Logo
শিরোনাম

উখিয়ায় নিহত বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাটি পাচারকারীদের ট্রাকের চাপায় নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ রবিবার রাত ৯টায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে তার দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহন করা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি  ভিটিকান্দি তার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে, সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে ঐ এলাকার বাতাস। সাজ্জাদুজ্জামান'কে একনজর দেখতে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী ভিড় করেন।

এদিকে ছেলে'কে হারিয়ে দিশাহারা পুরো পরিবার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা শাহজাহান মাস্টার মা ওম্মে কুলসুম। শোকে স্তব্ধতায় পুরো গ্রাম। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে আসছে গ্রামের বাসিন্দারা। 

নিহতের বাবা শাহজাহান মাস্টার বলেন, শনিবার গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে  মোটরসাইকেলে করে আমার ছেলে সাজ্জাদ ঘটনাস্থলে গেলে মাটি পাচারকারীরা ট্রাক চাপা দিয়ে আমার ছেলে'কে হত্যা করে। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ছেলের কর্মস্থল উখিয়ায়

প্রথম জানাজার পর আমার ছেলের মরদেহ গ্রামে পৌঁছায়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানান শেষে তাকে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহত সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ভুক্ত উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।


আরও খবর



দেশের সকল ব্যাংকের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এছাড়া তল্লাশিচৌকি ও টহল জোরদারেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র ও তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এই নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করে।

এছাড়া তল্লাশিচৌকি টহল জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গত মঙ্গলবার রাতে হামলা করে অস্ত্রধারী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা। তবে ব্যাংক থেকে তারা কোনো টাকা নিতে পারেনি।

গত বুধবার বান্দরবানের থানচিতে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে। এরপর গতকাল রাতেও থানচিতে থানায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বান্দরবানের আলীকদম থানার ডিম পাহাড়ের ২৬ মাইল এলাকায় পুলিশ ও সেনাদের যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেএনএফ।

বান্দরবানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ব্যাংকে লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সারা দেশেই নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিল।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠসংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল কিশোরগ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান কোরবান আলী। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত হন তিনি। তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

এদিকে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ রাখা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার ওই চিকিৎসকের ছেলে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



ঢাবি মেধা তালিকায় ৭২তম হয়েও ভর্তি অনিশ্চতায় পূর্বধলার সাইফুল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩—২৪ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭২তম হওয়ার পরও অর্থের অভাবে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী। 

সাইফুল জেলার পূর্বধলা উপজেলার নিজহোগলা গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন ও রিনা বেগম দম্পতির ছেলে। জামাল উদ্দিন ও রিনা বেগমের সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ১৮ বছর আগে ডিবোর্স হয়ে যায়। পূর্বভিকুনীয়া গ্রামের দিনমজুর মইজ উদ্দিনের মেয়ের ছেলে সাইফুল। সাইফুল তার নানার বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করেন। সংসারের ব্যয়ভার মিটিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ালেখার খরচ বহন করার সামর্থ নেই মা রিনা বেগমের। প্রাথমিক অবস্থায় ভর্তির জন্য যে টাকা লাগবে সেটাই এখনো জোগাড় করতে পারেননি তিনি।

সাইফুল ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোনার পূর্বধলার সাধুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ এবং ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পূর্বধলা সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। 

সাইফুল ইসলামের মা মোছা. রিনা বেগম জানান, একমাত্র ছেলে ছাড়া তার আর কেউ নেই। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হবার পর থেকে ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধ বাবার অভাব অনটনের সংসারে বসবাস করছেন তিনি। অভাবের কারনে ছেলেকে তেমন প্রাইভেট কোচিং এ পড়াশুনা করাতে পারেননি। কোন মতে তাদের সংসার চলে। সাইফুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে এখন খরচ আরও বেড়ে গেল। 

দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, তার বয়স যখন দুই বছর পাঁচ মাস তখন বাবা এবং মায়ের ডিভোর্স হলে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকেন। তার বাবার বাড়ি নিজহোগলা এবং নানার বাড়ি পূর্বভিকুনীয়া। তার মায়ে ইচ্ছে ছিল যে কোনভাবে ছেলেকে পড়াশুনা করিয়ে মানুষের মত মানুষ করবে। তাই তাকে পূর্বভিকুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। নানার আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল ছিল তাই তাকে পড়াশুনা করানোর জন্য তার মাকে অন্যের বাড়িতেও কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু ভাগ্য ভাল যে তার নানা— নানু, মামাদের পাশাপাশি আশেপাশে অনেক ভাল মানুষ ছিল। সবাই তাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। তার যখন টাকার প্রয়োজন হয়েছে অথবা কোন সমস্যা হয়েছ তারা সমাধান করেছেন। শিক্ষকরা তাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। এলাকার বড় ভাই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্যামল চন্দ্র এবং আরেক বড় ভাই জসিম শেখ তারা তাকে খুব কাছ থেকে সাহায্য করেছেন। দিলরুবা হাবিব শিক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওসমান গনি সুমন স্যার, সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান সম্পর্কে তার নানা হন। তারা তাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই সাইফুল পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন এবং পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কাজ করে নিজেও টাকা উপার্জন করেছেন।  তিনি স্বপ্ন দেখতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবেন। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ‘ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু মায়ের পক্ষে পড়াশুনার টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ভর্তি সুযোগ পেয়ে খুশি হয়েছিল সাইফুল। কিন্তু ভর্তি ও পড়াশুনার টাকার চিন্তায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন মনে হয় তার পূরণ হবে না।’ 

 

ঢাবি’র পূর্বধলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রুকন উদ্দিন রানা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বধলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ (উটচঝডঅ) মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাইফুল ইসলামকে সকল বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধ্য মত সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

 

পূর্বধলা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক আবু হানিফ তালুকদার রাসেল বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম খুব মেধাবী ছাত্র। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সহযোগিতা করেছি। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সে হয়তো মেধা তালিকায় প্রথম থেকে দশের মধ্যে স্থান পায়নি, তবে সে যে মেধাবী তার প্রমাণ সে দিয়েছে। সমাজের বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি, সরকারি বা বেসরকারি দাতা সংস্থা পাশে দাঁড়ালে সাইফুলের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর ‘গ’ ইউনিটে যে ৪ হাজার  ৫৮২জন মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাদের মধ্যে ৭২তম সাইফুল ইসলাম। অদম্য মেধাবী সাইফুল ইসলামের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লড়াইয়ে বিত্তবান মহৎ ব্যক্তি ও দাতা সংস্থা শরিক হলে লড়াইটা সহজ হবে। সাইফুল ইসলামের সাথে ০১৯৯০-৬২৬১৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে! 


আরও খবর



মে মাসের শুরুতেই টানা বৃষ্টি নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। একাধিকবার জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। গা ঝলসানো এমন গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা জানার আগ্রহ মানুষের। গরমের এই তীব্রতার মধ্যেই আজ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও তার আগে আরও কয়েকদিন দাবদাহ ভোগান্তি পোহাতে হবে মানুষকে।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলমান তাপদাহ এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতেও থাকবে। ঢাকাসহ চলমান এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে মে মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের আকাশে মেঘের উপস্থিত বাড়বে। ২ মে থেকে পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হবে। এতে গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ২ মের পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী হতে পারে। টানা ২ থেকে ৩ দিন বা তার বেশিও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির ফলে সারাদেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।

চলমান তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ একটানা সবথেকে বেশিদিন স্থায়ী রয়েছে। গতবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়।

তিনি জানান, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল। আজ তা রেকর্ড ভেঙেছে এবং আরও কিছুদিন তা বজায় থাকবে। তাছাড়া এবারের তাপমাত্রা বলতে গেলে সারাদেশেই বিরাজ করছে, যা এর আগে দেখা যায়নি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর