Logo
শিরোনাম

ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিনির্ভর গরম মসলার দাম বাড়ছে। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মৌসুমি খাদ্যাভ্যাসের কারণে মসলার চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এ বছর শীত আসতে না আসতেই আরও বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

শিপন আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মুগদাপাড়ায়। চাকরি করেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খিলগাঁও বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না। শুধু তাই নয়, আকাশচুম্বি মসলা পণ্যের দাম। আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয়। খুব বিপদের মধ্যে আছি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ডলারের চড়া দাম আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে গত এক বছর ধরে গরম মসলার বাজার অস্থির। ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। তাই হু হু করে বাড়ছে গরম মসলার দাম। পাইকারিতে দাম বাড়লে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের কিছুই করার নেই।

তিনি আরও বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে লাভের পরিমাণ কমে। মূলধন বেশি লাগে। ক্রেতারা আগের চেয়ে কম পণ্য ক্রয় করে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মসলার দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শীত এলে দেশে ভাজা-পোড়াসহ অন্যান্য মসলাদার খাবারের চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া বছরের শেষ বলে অনেক অনুষ্ঠান-আয়োজন থাকে। তাই মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। অপরদিকে মসলার বাজারের বৃহৎ অংশই মূলত আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট আর এলসি বন্ধ থাকায় বাড়ছে গরম মসলার দাম। কেননা চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় জোগান না বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

জানা যায়, ভারত ও চীন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি মসলা আসে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, গুয়েতেমালা, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও মসলা আমদানি করা হয়। তবে শুধু ধনিয়া, জিরা, মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, কালিজিরাসহ হাতেগোনা কয়েকটি মসলা উৎপাদন হয়। চাহিদার তুলনায় সেগুলোর উৎপাদনও কম। তাই এসব পণ্যও আমদানি করতে হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগেও এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে একই মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

গোলমরিচ ছিল ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা। কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায়। প্রতিকেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা ও জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম ২৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ ২৮০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২০০ টাকা, দেশি হলুদের দাম ২০০, কালিজিরা ২৪০ টাকা, মেথি ১২৫ টাকা, ধনিয়া ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

অপরদিকে, কয়েকমাস আগে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে বেড়ে এক হাজার টাকায় ওঠে, যা এখন সামান্য কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতিটি মসলা পণ্য ৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




মানিকগঞ্জে পদ্মায় ধরা পড়লো ১২ কেজির বোয়াল মাছ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন :

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মায় জেলের জালে ১২ কেজির একটি বোয়াল মাছ ধরা পরেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পদ্মা নদীর হরিনাঘাট এলাকায় জেলের জালে বোয়াল মাছটি ধরা পরে বলে জানান হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইকরাম।

হরিণা ঘাট এলাকা থেকে জেলেরা জানান, বুধবার রাতে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পাটগ্রাম গ্রামের জেলে আলম মিয়া নদীতে মাছ শিকার করতে যান। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে হরিণা ট্রলার ঘাটের অদূরে জাল ফেলেন আলম। পরে জাল টেনে তোলার সময় বোয়াল মাছটি ইলিশ ধরার জালে আটকা পড়ে। মাছটি বিক্রির জন্য হরিণা টলার ঘাটে এলাকার নিয়ে আসেন আলম। পাটগ্রাম গ্রামের আমির হোসেনসহ পাঁচ জন কৃষক বোয়ালটি ১৫০০০ হাজার টাকায় কিনে নেন ।

পাটগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্য শিকারী আলম মিয়া জানান, হরিনা ঘাট থেকে একটু ভিতরে পদ্মায় আজ ভোর ৫টার দিকে ইলিশের জাল তুলতেই বুঝতে পারি বড় কোনো মাছ জালে আটকা পরেছে। অবশেষে টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পাই বড় একটি বোয়াল জালে আটকা পড়েছে।

মাছ ক্রেতা ও পাটগ্রাম গ্রামের কৃষক আমির বেপারি বলেন, “১২ কেজির বোয়াল মাছটি সরাসরি জেলের কাছ থেকে আমরা পাঁচ জন কৃষক ১৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি। মাছটি হরিণা ঘাটে পানিতে বাশের খুঁটি সঙ্গে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা অনেকে দেখতে ভিড় করেন”।

হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইকরাম বলেন, ” হরিরামপুরে পদ্মায় মাঝে মাঝে বড় বড় মাছ বিশেষ করে বোয়াল, আইড়, পাঙাস, রুই, কাতল মাছ ধরা পরে। আজ একটি বোয়াল ধরা পরেছে বলে শুনেছি ।


আরও খবর



মিথ্যা মামলা করে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই আসামি হলেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলায় ৩ জন যুবক কে ফাঁসানোর অভিযোগে মাবিয়া বেগম (৪৮) নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে ঐ নারীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

মাবিয়া বেগম নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চাপাডাল গ্রামের আসাদুল হাকিম এর স্ত্রী। তার পক্ষে জামিন শুনানী করেন এ্যাডভোকেট শুভ্র সাহা। জামিনের বিরোধিতা করেন, রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলী এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন।

একই দিন একই আদালতে যৌন পীড়নের আরেক মিথ্যা মামলায় ৪ জন যুবক কে ফাঁসানোর অভিযোগে নিগার সুলতানা ওরফে নাইচ (২৭) নামে অপর আরেক নারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার। নিগার সুলতানা নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ এর মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার চাপাডাল গ্রামের গৃহবধূ মাবিয়া বেগম একই গ্রামের তহিদুল তুহিন সহ ৩ জন যুবক এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ মামলায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। তদন্ত শেষে ঘটনাটির সত্যতা নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। 

ঐ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করেন মাবিয়া বেগম। এরপর ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে বলে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে এ মামলায় ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত ১০ আগস্ট অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত। 

এরপর ১ অক্টোবর মিথ্যা মামলায় শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আদালত। আজ ঐ মামলায় জামিনের প্রার্থনা করে আদালতে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে মাবিয়া বেগমের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।

অপরদিকে, ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শেরপুর গ্রামের নিগার সুলতানা একই গ্রামের সোহেল রানা সহ ৪ জন যুবকের বিরুদ্ধে যৌনপীড়নের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ মামলায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্ত শেষে ঘটনাটির সত্যতা নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। ঐ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করেন নিগার সুলতানা। এরপর ঘটনাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করে আদালত। পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করে আদালত। এরপর আজ মিথ্যা মামলায় শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় নিগার সুলতানা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী শেরপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হক এর ছেলে সোহেল রানা।

এ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন বিজ্ঞ আদালত। আগামী ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলী এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় মাবিয়া বেগম নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যৌন পীড়নের আরেক মিথ্যা মামলায় নিগার সুলতানা নামে আরেক নারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সাধারন জনগন আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই যেকোনো মামলা গ্রহণের আগে অবশ্যই আইনজীবী ও পুলিশদের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সকলের যৌথ প্রচেষ্টা থাকলে সাধারণ মানুষদের মিথ্যা মামলায় আর হয়রানি হতে হবে না।


আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ বিশ্বে চতুর্থ ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

১৬নভেম্বর সকাল পৌনে ১০টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১০টি শহরের মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি শহরই ভারত, পাকিস্তান বাংলাদেশের আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) থেকে তথ্য পাওয়া গেছে

সকাল পৌনে ১০টার দিকে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। লাহোরের স্কোর ৩৪৩। এরপর রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ২৫৬। ২০৩ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, স্কোর ১৭৫। ১৭০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই

একই সময়ে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নির্মল বাতাস ছিল রাশিয়ার ক্রাসনোয়ার্সকে তারপর রয়েছে নরওয়ের অসলো স্লোভাকিয়ার ব্রাতিসলাভা তিন শহরের স্কোর যথাক্রমে , ১০

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে

আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম .) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণের বেশি

আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন, সেটি দূষণ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকেমাঝারিবাগ্রহণযোগ্যমানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকেসংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকরধরা হয়

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাঅস্বাস্থ্যকরবায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে, তাকেখুবই অস্বাস্থ্যকরবায়ু ধরা হয় ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকেদুর্যোগপূর্ণবাঝুঁকিপূর্ণধরা হয়


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




অবরোধের প্রতিবাদে মাধবদীতে আ. লীগের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নরসিংদী প্রতিনিধি  :৫ নবেম্বর সকাল ৮ টা থেকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মাধবদী পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। পরে বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী নিয়ে জামাত বিএনপির কর্মসূচির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। মাধবদী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাধবদী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিকের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি তে অংশ গ্রহণ করে নুরালাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, যুবলীগ নরসিংদী জেলার অর্থ সম্পাদক রাজিব হোসেন, মাধবদী পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন প্রধান, সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল মিয়া, পৌর কাউন্সিল ফরিদা ইয়াসমিন, পেয়ারা বেগম, নৌসর আলী, মায়া রাণী দেবনাথ, সাবেক কাউন্সিলর আমেনা বেগম জোৎস্না, শ্রমিক লীক নেতা আনিসুর রহমান সুমন ছাত্রলীগ মাধবদী পৌরসভা শাখার সভাপতি রান মোহাম্মদ মাসুদ  সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি তে স্বল্প সংখ্যাক দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল  করায় জনগণকে অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়েছে। স্বল্প পাল্লার বাস ও সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করতে হয়েছে ছাত্রছাত্রী, চাকরিজিবী ও জনসাধারণ কে।

বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচির ১ ম দিনে আইন শৃংখলা বাহিনী সতর্ক প্রহরায় থাকায় কোনপ্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। বি এন পি জামাতের কোন নেতাকর্মীদের মহাসড়কের দেখা যায় নি।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য শতাধিক কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরের কোনাবাড়ি-কাশিমপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

১১ নভেম্বর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং জিরাবো-বিশমাইল সড়কের এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।

ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার গেটে টাঙানো নোটিশে লেখা, গত ৮ নভেম্বর কারখানায় বহিরাগত হামলা হওয়ার কারণে বিকেল ৩টার দিকে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে পরদিন ৯ অক্টোবর শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ বন্ধ রাখেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বেলা ১১টার দিকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগ না করে বিভিন্ন অবৈধভাবে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করতে থাকেন। এতে করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। কর্তৃপক্ষ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা শান্ত না হয়ে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এমন আচরণ শ্রম আইন অনুযায়ী অবৈধ ধর্মঘটের আওতায় পড়ে। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও অবৈধ ধর্মঘট করার কারণে ৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিংবা কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

আগামী এ্যাপারেল্স লিমিটেড কারখানার নোটিশে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কারখানায় এসে ফেইস পাঞ্চ করে। তারা কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার চেচামেচি করে। পরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যায়। এতে করে নিরুপায় হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু বেতনের আগ পর্যন্ত ৫ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যায়। বেতন হয়ে গেলে ৮ নভেম্বর আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। সাধারণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মিছিল করতে করতে কারখানা গেটে চলে যায়। এমতাবস্থায় আবারও কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয়। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ৯ নভেম্বর কারখানা বন্ধ রাখে। এমন কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃঙ্খলতা ও বে-আইনি ধর্মঘটের শামিল। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১১ নভেম্বর হইতে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।

কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার বিষয়টি শ্রমিকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েও জানিয়ে দিচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগামী এপ্যারেলস কারখানার এক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। আমাদের মোবাইলে এ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেকেই কারখানায় সকালে গিয়ে নোটিশ দেখে ফিরে এসেছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ যে আইন দেখিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে সেই আইনে কারখানা যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিনের বেতন পাবে না শ্রমিকরা।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোনো চিঠি দেয়নি। তবে বিভিন্নভাবে আমরা বন্ধের খবর পেয়েছি। অন্যান্য দিনের মতো আজও আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে মজুরি বোর্ডে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করা হলে সেটি প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। তবে শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোথাও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩