Logo
শিরোনাম

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা, চেন্নাইয়ে নিহত বেড়ে ১৭

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চল। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতলা উপকূলে আঘাত হানে। এতে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে। এছাড়াও প্রবল এই ঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতল উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে তামিলনাড়ুর প্রাদেশিক রাজধানী চেন্নাই, কাঞ্চিপুরামসহ বিভিন্ন জেলা।

এছাড়াও ঘর-বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতালে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে, বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে পানিবন্দীদের উদ্ধার করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দুর্গম এলাকাগুলোতে হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যাসহ বৃষ্টিপাতজনিত নানা কারণে ভারতের চেন্নাইয়ে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

এছাড়াও মিগজাউমের প্রভাবে চেন্নাই এয়ারপোর্টের বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী।

এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার কারণে চেন্নাইয়ে আইফোন উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে তাইওয়ানের ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান ফক্সকন।

 


আরও খবর



দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।


আরও খবর



ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

নাড়ির টানে ঈদ করতে শেষ মুহূর্তে বাস, লঞ্চ ও রেলে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। ঈদের আগে একদিন ছুটি থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ আগেই ছুটি নিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন।

এবার বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। পরের দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের ছুটি। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই আবেদন করে দুই দিন ছুটি নিয়েছেন। যেসব সরকারি কর্মচারী দুদিনের বাড়তি ছুটি নিয়েছেন, এবার তাদের ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল থেকে। কারণ, সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমা খোলা থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। তাই মাঝখানের মাত্র দুই দিনের ছুটি নিয়েই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এবারই প্রথম দীর্ঘ ছয়দিনের ছুটি পেয়েছেন সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। এবার গণমাধ্যমকর্মীরা ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করবেন।

ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে আগের নিয়মে ফিরবে সরকারি অফিস, আদালত ও ব্যাংক। রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ছুটির পর আগের মতোই অফিস সময় চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মারপিটে দিনমজুরের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে রাসেল মুন্সী বাদি হয়ে মো. কালাম গাজী, কবির হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৫.৪.২০২৪।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম মুন্সী প্রতিবেশী মো. কালাম গাজী ও মোঃ কবির হাওলাদারের সাথে বসতবাড়ির ৪০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এর জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বসতবাড়ির জমি দখলে বাধা দিলে হামলা মারপিটের গুরুত্বর আহত হয় দিনমজুর।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কতাব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকাকালিন অবস্থায় (২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) দুপুরে নূর ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু হয়।

   বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই রহমান মুন্সি (৬৫) ছোট ভাই মোঃ দীন ইসলাম মুন্সী (৫০), ভাইজি কোকেলা বেগম (৪৮)। চাচাতো ভাই বেলায়েত মুন্সী (৬৫)। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। ওই দিনমজুরের ২ ছেলে ও  ৪ মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।  

দিনমজুরের ছেলে মো. রাসেল মুন্সী, প্রতিবন্ধী বোন জনতা বেগম বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি চাই তা হলে আমার পিতার আত্মার শান্তি পাবে।  

   এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, দিনমজুর নিহতের ঘটনায় ৪ জন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ সম্মুখীন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় টানা ছয় মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়ছে খাদ্য সংকট। এর ফলে গাজার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ১০ লাখের বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত ৭ অক্টোবরে পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা থামছেই না। এতে এখন পর্যন্ত এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এদিকে গাজায় গণহত্যার বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। কারণ ইসরায়েলের হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি। ৪৭ সদস্যের সংস্থাটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮টি। বিপক্ষে ৬টি ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ১৩ দেশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় আকাশপথে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।

ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দখলদার ইসরায়েলি হামলায় গত ছয় মাসে এক লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৫০ জন।


আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরা হলোনা তাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারা পরিরবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাহিন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের শিশু সন্তান মাহিতের (২) মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।


আরও খবর