Logo
শিরোনাম

ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাবে কোটি পরিবার

প্রকাশিত:রবিবার ২০ মার্চ ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image
  • *দুই কিস্তিতে ন্যায্যমূল্যের এই বিক্রি কার্র্র্যক্রম চলবে
  • *প্রথম কিস্তি ২০ থেকে ৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি ৩ থেকে ২০ এপ্রিল
  • *ভোগ্যপণ্যের বাজারের ওপর চাপ কমবে
  • রমজান মাস সামনে রেখে দেশের ১ কোটি নি¤œ আয়ের পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির ভোগ্যপণ্য পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তার এই কার্যক্রম আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ ভিত্তিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে ইতোমধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারী এ কার্যক্রমের ফলে দেশব্যাপী প্রায় ৫ কোটি দরিদ্র মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এছাড়া ভোগ্যপণ্যের বাজারের ওপর চাপ কমে এলে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘উপকারভোগী’ পরিবারের মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল দেয়া হবে। এছাড়া ২ কেজি করে ছোলা পাবেন ৫০ টাকা দরে। দুই কিস্তিতে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দেয়া হবে। প্রথম কিস্তি ২০ থেকে ৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি ৩ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে দেয়া হবে। তবে ঢাকা ও বরিশাল নগরীতে যেভাবে দেয়া হচ্ছে ঠিক সেভাবেই দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছেন তারা সবাই টিসিবির পণ্য পাবেন। বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
  • জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম কমে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু রমজান মাস সামনে রেখে দেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা বেড়েছে। একারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নেমেছে সরকার। এ লক্ষ্যে বেশকিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে মজুদ নিয়ন্ত্রণসহ আমদানিতে ভ্যাট-ট্যাক্স তুলে নেয়া হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য দু-একদিনের মধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এ ছাড়া ভোগ্যপণ্যের অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে প্রশাসনিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে নানামুখী তৎপরতা। এ কারণে কমতে শুরু করেছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি ও ছোলার মতো পণ্যের দাম। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। নতুন করে আর কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। খুব শীঘ্রই দ্রব্যমূল্য কমে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়টি সমন্বয় করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনার সরকারী সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
  • রমজান সামনে রেখে দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে ভোগ্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। দেশে এখন রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চালের মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু রোজা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এই অপকর্ম রুখে দিতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি। ভোজ্যতেলের অবৈধ মজুদের বড় বড় ভান্ডার ধরা পড়ছে অভিযানের মুখে। এ পরিস্থিতি বাজারে দ্রুত পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০টি উদ্যোগ রয়েছে প্রশাসনের। সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো হচ্ছে- ভোজ্যতেল ও চিনির শুল্ক প্রত্যাহার, ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকির মূল্য খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত বাজারে অভিযান পরিচালনা, এলসি শূন্য মার্জিনের আমদানির সুযোগ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম মাঠে নামানো, মজুদদারদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বৃদ্ধি ও বাজার পর্যবেক্ষণ, ফেরি পারাপারে পণ্য পরিবহনের অগ্রাধিকার ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে জেলা পুলিশের সহায়তা, পণ্য পরিবহনের সময় রাস্তায় কিংবা বাজারে চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে পুলিশের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মতো পদক্ষেপ রয়েছে।
  • এর পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যের আমদানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। রোজা সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনতে আরও যদি কোন পদক্ষেপ নিতে হয় সে ব্যাপারেও তাৎক্ষণিক যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, এ মুহূর্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামা হয়েছে। প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা এবং ভর্তুকির মূল্যে খাদ্য সহায়তার বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। আর পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্যের দাম কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, অধিদফতর এবং সংস্থাগুলো একযোগে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাজারে দ্রব্যমূল্য কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোগ্যপণ্যের মজুদ রয়েছে এ তথ্য সরকারের কাছে রয়েছে। তাই যারা অপকর্ম ও কারসাজি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবে আমরা তাদের ছাড়ব না। টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশের এক কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তা পাবেন। এর ফলে বাজারে পণ্যের চাহিদা কিছুটা হলেও কমবে। তখন ভোগ্যপণ্যের দাম আরও হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যত শক্তিশালী হউক না কেন তারা রাষ্ট্রের চেয়ে বড় নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরো প্রশাসন যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে।
  • নিম্ন আয়ের কোটি পরিবার পাচ্ছ ভর্তুকির খাদ্য সহায়তা ॥ দেশের নিম্ন আয়ের কোটি পরিবার পাবে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তা।
  • আজ রবিবার থেকে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর আগে শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সভাকক্ষে টিসিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু জানান, সরকারের আগের ভাতাভোগীদের সঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ের আরও ৫৭ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষ পেয়েছেন ‘ফ্যামিলি কার্ড’। যারা রোজা উপলক্ষে এটি দিয়ে কিনতে পারবেন কম দামের টিসিবির পণ্য। আজ রবিবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ‘এক কোটি পরিবারের’ এসব মানুষের কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। তিনি বলেন, এ তালিকা করা হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীকালীন নগদ সহায়তা পাওয়া ৩০ লাখ পরিবারের সঙ্গে পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনসংখ্যার দারিদ্র্যতার সূচক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। তবে ঢাকা ও বরিশাল নগরীতে কার্ড দেয়া যায়নি। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের ভিত্তিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৫৭ লাখ ১০ হাজার ‘উপকারভোগী’ পরিবারের মধ্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি করতে ‘ফ্যামেলি কার্ড’ বিতরণ করা হয়েছে। 
  • করোনাকালীন সময়ে ৩০ লাখ পরিবারের নগদ সহায়তার ডাটাবেজের সঙ্গে এই ৫৭ লাখ ১০ হাজার ‘উপকারভোগী’ পরিবার নতুন যোগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এতে স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এ তালিকা করা হয়েছে। এটা বলা যায় যে, ৮৭ লাখ পরিবার গ্যারান্টেড পাবেই। বলা যায় যে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছেন তারা সবাই পাবেন। তিনি বলেন, এক কোটি কার্ড মানে এতে অন্তত প্রতি পরিবারে ৫ জন করে যোগ করলে পাঁচ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এ সুযোগ পাবে। পরবর্তীতে যদি এই কার্ড স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং যদি আমরা চালিয়ে যাই, প্রধানমন্ত্রী সেভাবে নির্দেশ দেবেন সামনের দিনগুলোতে একই প্রক্রিয়া যাব। ঢাকা ও বরিশাল নগরীতে কার্ড দিতে না পারার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা ও বরিশালে দিতে পারেনি, ঢাকা ও বরিশালে যেভাবে ছিল সেভাবেই আমরা দেব। দরকার হলে নাম্বার মেইনটেন করব। ঢাকার পাশাপাশি বরিশালেও একই ব্যবস্থায় দেয়া হবে। তিনি জানান, টিসিবির জন্য এক কোটি চাপটা অনেক বেশি। ক্ষমতার অনেকগুণ দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তারপরও সেটা কাভার করতে পেরেছে। তারা সেটা পারবে। যারা সত্যিকার অর্থে টিসিবি পণ্য পাওয়ার কথা তারা পাচ্ছে না, এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় ১২ লাখকে আগের প্রক্রিয়ায় দেয়া হবে। এর বাইরে আমরা ঠিক করেছি যে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে যতবেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এর বাইরে যাতে কেউ সুযোগ না নিতে পারে। ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আগেই বলে দেয়া হবে কোথায় ট্রাক থাকবে। সেখানে কোন কোন কার্ড হোল্ডার থাকবেন তাও আগে থেকে বলে দেয়া হবে। শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় ছুটির দিন শুক্রবার ট্রাক যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

রোজার আগে হুড়াহুড়ি করে পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এতে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয় এবং পণ্যের দাম বাড়ে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। এ কারণে বেশি করে ভোগ্যপণ্য কেনার প্রয়োজন নেই। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দরবৃদ্ধির প্রভাব ছাড়াও ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের’ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান জানান, রমজানের আগে ও রমজানের মধ্যে দুই দফা এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে কার্ডের ভিত্তিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। রবিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রোজার আগে প্রথম পর্বে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। এরপর রোজা শুরু হলে ৩ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে ওই তিন পণ্যের পাশাপাশি ছোলাও বিক্রি করা হবে বলে জানান টিসিবির চেয়ারম্যান। এছাড়া ঢাকায় এসব পণ্যের সঙ্গে খেজুরও বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উপকারভোগী’ পরিবারের মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল দেয়া হবে। এ ছাড়া ২ কেজি করে ছোলা পাবেন, ৫০ টাকা দরে। এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে তাদের কাছে টিসিবি’র এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হবে।


আরও খবর



বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

আর কিছুদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো। বাংলাদেশ কবে দল ঘোষণা করবে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।

অবশেষে, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার (১৪ মে) ১৫ সদস্যের এই দল প্রকাশ করে তারা।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপাল আছে বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ তানভির ইসলাম, শেখ মাহাদি, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব।


আরও খবর



হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে স্মার্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টাল রয়েছে, সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি।

বুধবার সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন, তাহলে আপনারা হজের নিয়মকানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতাসবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা।


আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে। দর বাড়িয়ে ডলার কেনায় এপ্রিলে বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

আগের মাসে যেখানে ১৯৯ কোটি এবং আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৫৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যেখানে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর



দুবাই বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা, দুর্বিসহ অবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক শহরগুলোর অন্যতম দুবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত দুবাই বিমানবন্দর যেভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে সেটি দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। শহরটির বহু বাড়ি ও শপিংমল হাঁটু পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। দুবাইয়ের মতো শহরে এ ধরনের চিত্র অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাতিল করতে হয়েছে শত শত ফ্লাইট। বিমানবন্দরের ভেতরে চরম এক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা বিমানবন্দরের পরে দুবাই বিমানবন্দরই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। গত বছর এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছে আট কোটি যাত্রী। বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় দুবাইগামী ও দুবাই ছেড়ে আসা ফ্লাইট কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঢাকার বাসিন্দা প্রসূন রায় গত তিন ধরে দুবাই বিমানবন্দরে আটকে আছেন। কবে ঢাকায় আসতে পারবেন সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করেছে তার মধ্যে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটবার তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইট কখন ছেড়ে যাবে সেটির কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।

দুবাই থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট ছিল প্রসূন রায়ের। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরে যাবার পর তিনি ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। ফ্লাইটের কোনো নিশ্চয়তা না পেয়ে এন্ট্রি ভিসা নিয়ে তিনি শহরের ভেতরে গেছেন। কারণ, এয়ারপোর্টের ভেতরে কোনো হোটেলে কক্ষ খালি নেই।

তার বর্ণনা অনুযায়ী, হাজার হাজার যাত্রী দুবাই এয়ারপোর্টের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। অনেকে স্লোগান দিচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাত-দিন কাজ করেও কূলকিনারা করতে পারছে না।

ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে যারা বুধবার দুবাইতে অবতরণ করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা ছিল দুর্বিষহ। অবতরণ করার জন্য বিমানগুলো আকাশে চক্কর দিলেও অবতরণের অনুমতি পাচ্ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে শত শত গাড়ি বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, অনেকবার ফ্লাইট বাতিল হবার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছেছেন। ঢাকায় তিনি ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর দুবাইয়ের উদ্দেশে প্লেন ছেড়ে যায়।

তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকিব ইরফানের। তার স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকা আসার কথা ছিল। এক দিন অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকার উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে উঠতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইট কনফার্ম না হলে কাউকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, ভেতরে যাত্রীদের এতো বেশি চাপ তৈরি হয়েছে যে আর যাত্রী ভেতরে নেওয়া সম্ভব ছিল না।

দুবাই বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ব্রিটিশ টুরিস্ট অ্যান উইং, তার স্বামী ও তিন সন্তান। তারা লন্ডনের হিথ্রোতে যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন। এটা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমদের পশুর মতো করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক, বলছিলেন অ্যান উইং। তিনি বলছিলেন, তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো খাবার নেই।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে খাবার আনতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, বিমানবন্দর অভিমুখে সবগুলো সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।

গত ৭৫ বছরের মধ্যে দুবাইতে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক মশিউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা আছে বলে তিনি জানান। কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬০ মিলিমিটার।

দুবাইয়ের সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলছেন, সেখানে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের অপ্রতুল ব্যবস্থা। তিনি জানান, শহরের কেন্দ্রস্থলে ড্রেনেজ সিস্টেম আছে, কিন্তু এর বাইরে ড্রেনেজ সিস্টেমের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তিনি জানান অল্প বৃষ্টিতেও অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

দুবাইয়ে ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য ২০২৩ সালে দেশটির সরকার প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, আগামী ১০০ বছরের কথা চিন্তা করে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি খাত মিলে এই কাজ করবে।

দুবাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

একটানা বৃষ্টি এবং তার ফলে সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ওমানে ২০ জন মারা গেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে জীবনযাত্রা অচল হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুবাইতে আসা কিছু ফ্লাইট অবতরণ করতে পারলেও সার্বিকভাবে বিমানবন্দর অনেকটাই অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক নম্বর টার্মিনালে কিছু বিমান অবতরণ করা শুরু করেছে। কিন্তু দুবাই ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোর আরও বিলম্ব হবে। এটা এখনো সাংঘাতিক একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমার মনে হয় না কেউ তার জীবনে কখনো এ ধরনের অবস্থা দেখেছে, জানান দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান পল গ্রিফিথস।

বিমানবন্দরের আশপাশের সড়কগুলো যানজটে স্থবির হয়ে আছে। কারণ, হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।


আরও খবর