যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া
ভয়ংকর আব্রামস ট্যাংকের প্রথম চালান হাতে পেয়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। সোমবার (২৫
সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
নিউইয়র্ক
টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিগ্রাম বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের কাছ থেকে সুখবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে
ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের আব্রামস ট্যাংক। আমাদের সেনা ব্রিগেডগুলোর
সক্ষমতা বাড়াতে সেগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তবে প্রথম চালানে
কতগুলো ট্যাংক ইউক্রেনে পৌঁছেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানননি জেলেনস্কি।
নাম প্রকাশ করা শর্তে
মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুই কর্মকর্তা বলেন, আগামীতে আরও বেশি এম ওয়ান আব্রামস
ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানো হবে।
ওয়াশিংটন
চলতি বছরের শুরুতে কিয়েভকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব ট্যাংকের সঙ্গে সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী
ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ ১২০ মিলিমিটারের গোলাও সরবরাহ করা হবে।
ইউক্রেনীয়
বাহিনীর পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয় - এমন অভিযোগে শুরুতে আব্রামস ট্যাংক দিতে
রাজি ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। পরে ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের চাপের মুখে ওই
সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দেশটি।
এর
আগে, গত
২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনে
আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেন।
আব্রামস ট্যাংকের বিশেষত্ব কী : ১৯৭৮ সালে জেনারেল ডায়নামিকস ল্যান্ড সিস্টেমস
(জিডিএলএস) কোম্পানি প্রথম এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক তৈরি করে। ১৯৮০ সালে এটি
মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আব্রামস ট্যাংকে অধিক শক্তিশালী ও
তুলনামূলক জটিলভাবে নির্মিত টারবাইন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এতে ১৫শ অশ্বক্ষমতার
গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিন রয়েছে। এছাড়াও ঘণ্টায় এর গতি ৬৭.৫ কিলোমিটার। এ ছাড়াও
আব্রামস ট্যাংকের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১০০৫ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের এ ট্যাংকটি
পরিচালনা করতে চারজন ড্রাইভার, একজন কমান্ডার, একজন লোডার ও একজন বিশেষ বন্দুকধারীর (গানার) প্রয়োজন হয়।