Logo
শিরোনাম

৩৬ হাজার টন কয়লা সহ আরো এক জাহাজ পায়রায়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুলাই 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সাড়ে ৩৬ হাজার টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে ভিড়েছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি পাভো ব্রেভ। শনিবার (১ জুলাই) রাতে বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছায় জাহাজটি।

পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান বন্দর থেকে ৩৬ হাজার ৫৭০ টন কয়লা নিয়ে এমভি পাভো ব্রেভ নামে একটি জাহাজ পায়রা বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে জাহাজটি ইনার অ্যাঙ্কোরেজে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপরই লাইটারের মাধ্যমে কয়লা খালাস কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, চলতি বছরের ২২ জুন ৪১ হাজার ২০৭ টন কয়লা নিয়ে এমভি অ্যাথেনা নামে একটি জাহাজ বন্দরে এসেছিল।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম জানান, ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বয় করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। তা দিয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে এমভি অ্যাথেনায় করে আসা ৪১ হাজার টন কয়লা দিয়ে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কয়লার বাকি চালানগুলো নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে পর্যায়ক্রমে আরও ১৬টি জাহাজ আসছে। এছাড়া সরকার নতুন করে কয়লা কেনার জন্য ডলার সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এটি চালাতে প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দিয়ে থাকে চীনা অংশীদার সিএমসি। ডলার সংকটের কারণে সময়মতো বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল।

এতে চলতি বছরের ৫ জুন কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০ দিনের জন্য বন্ধ থাকার পর ২৫ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করা হয়।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্ঘটনায়। রাত আড়াইটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনের। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক, নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় এক এনজিও কর্মী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর, তার ছেলে জহির এবং আলমগীরের মামি রাহেলা বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শ্রমিক।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজ করতে শ্রীপুর থেকে মাওনা যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি উল্টে গেলে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই মো. কুদ্দুস জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ: শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় সঞ্জয় কুমার নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি এনজিও কর্মী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।

নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম জানান, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিওর আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা একটি ইটভাঙার মেশিন অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হন আরও কয়েকজন।

আত্রাই থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনাসদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫) । এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষ্মীপুর টু নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

মাদারীপুর :মাদারীপুরের রাজৈরে বদরপাশা এলাকায় গাছ বোঝাই ট্রাক আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এঘটনায় আরো জন গুরুতর আহত হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে কাঠায়িলা বিজ্রের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে নিহতরা হলেন হোসেন মুন্সী এবং ধলু হাওলাদার । স্থানীয়রা জানান, নিহতরা ইজিবাইকে করে রাজৈর যাচ্ছিলেন এসময় উল্টোদিক থেকে আসা গাছ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়


আরও খবর



কবিগুরুর ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে। মোর চিত্তমাঝে, চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ। এভাবে চির নতুনের মধ্যে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তি দিয়ে ভুবনকে আলোকিত করতে, নিজেকে উন্মোচন করতে।

আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ধাবমান রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি। তার কাব্যছন্দ, সুরের ডালা আর সরল লেখনীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রত্যেক বাঙালির। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। মুক্ত স্বদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভাষণেই মনে করেছিলেন তাকে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেছিলেন, কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে...।

আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা সাহিত্যের অনন্য প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ১৬২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল তার জন্মদিনের। তবু বাঙালি মানসে এখনো তিনি দিবাকরের মতো সমান সমুজ্জ্বল, তার কিরণ এতটুকু ম্লান হয়নি।

প্রতি বছরই এ দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু আমাদের নতুন করে দিয়ে যায় আত্মপরিচয়ের তাগিদ। আত্মশক্তির উদ্বোধনের আহ্বান, মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালোবাসার বারতা। কালবৈশাখীর মত্ত মেখে বন্ধহীন বেগে। অম্লান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝপানে এক দিন তুমি এসেছিলে এ লিখিলে নব মল্লিকার গন্ধে, সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবন-হিল্লোল-দোল ছন্দে, খামলের বুকে। সেই যে নূতন তুমি, তোমারে ললাট চুমি, এসেছি জাগাতে বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্রভাতে। হে নূতন, দেখা দিক্ আবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।

জন্মদিনের আড়ম্বর নিয়ে কবি নিজেই ১৩৪৩ সালে প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছেন, খ্যাতির কলরবমুখর প্রাঙ্গণে আমার জন্মদিনের যে আসন পাতা রয়েছে, সেখানে স্থান নিতে আমার মন যায় না। আজ আমার প্রয়োজন স্তব্ধতায় শান্তিতে।

রবীন্দ্রমোদীরা মনে করেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছেন, তাতে এই ভাষা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সব ভাব-অনুভূতির প্রকাশ এবং নির্মল হাস্য-কৌতুকের বাহন হতে সমর্থ হয়েছে। দেড়শ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে চিরজাগরুক হয়ে আছেন।

রবীন্দ্রনাথ একাধারে কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীত রচয়িতা, সুরস্রষ্টা, গায়ক ও চিত্রশিল্পী। সৃষ্টিশীলতার সমান্তরালে তিনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও সমাজভাবনা সমানভাবেই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বভারতী তার বিপুল কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান কীর্তি। অনেকেই মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিহারীলালের লেখনীর মাধ্যমে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূচনা হলেও রবীন্দ্রনাথের হাতেই তা পূর্ণতা পায়। একইভাবে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে জন্ম নেওয়া বাংলা গদ্যকেও তিনি চূড়াস্পর্শী সাফল্য দান করেন।

গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তিনিই প্রথম এশীয় ও একমাত্র বাঙালি লেখক।

রবীন্দ্রসাহিত্য, বিশেষত রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তার গানই (আমার সোনার বাংলা) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তার অনেক গান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুপ্রাণিত করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় এক মাস আগে সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায় জাহাজটি। এর আগে, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় জাহাজটি নোঙর করবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

দুই মাস আগে সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাস পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ঐ জাহাজ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়েলার হক আইনুল, শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে।

এছাড়াও আরো আছেন- লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ, খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল, ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির, নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম, নেত্রকোনার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন, নাটোরের অর্ডিনারি সীম্যান মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে বুধবার (১৫ মে) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩ টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে, একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

 


আরও খবর



৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কালবৈশাখীর রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সারা দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ জানান দিচ্ছে শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই। পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত চুলা। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর সঙ্গে ভাঙল কালবৈশাখীর রেকর্ড। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

এই এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি। এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। এবার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেল।

এই তাপপ্রবাহের মাসে বজ্রঝড় বা কালবৈশাখীর সংখ্যা গেছে কমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ১৯৮১ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার গবেষণায়। এই ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে ৩৬৫টি বড় বজ্রঝড় হয়। সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়েছিল ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি। আর ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম চারটি করে ঝড় হয় এপ্রিলে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে নয়টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এর পর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।

এপ্রিল মাসে ঝড় কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহকেই কারণ মনে করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিল ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। আমাদের যে বায়ুপ্রবাহ তার সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উডিষ্যার সম্পর্ক আছে। এ সময় এসব অঞ্চলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বজ্র মেঘের সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভারতের ওই সব অঞ্চলেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আর্দ্রতাপূর্ণ জলীয় বাষ্প জড়ো হয়ে বজ্র মেঘ সৃষ্টি করেনি। তাতেই এ বিড়ম্বনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থা দেখছি আমরা।


আরও খবর