বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও মাইজভার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভারীর (মা.জি.আ.) ৫৭ তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষ্যে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভারী ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভা ও মইনীয়া যুব ফোরামের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুব মহাসমাবেশ চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি মাইজভার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ ফেব্রæয়ারি শনিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ও বাদ মাগরিব হুজুর কিবলার জীবনী আলোচনা, র্যালি, মাদক, যৌতুক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতায় গণস্বাক্ষর ও প্রচারণা, রক্তদান,, খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়াসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। খোশরোজ শরীফ ও মইনীয়া যুব ফোরামের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, যুব তরুণ সমাজ আজ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নানামুখী অবক্ষয়ে ধুঁকছে। বিপথগামিতার পথে পা বাড়িয়ে বহু তরুণ নিজেদের মূল্যবান জীবন নিঃশেষ করে দি”েছ। সর্বনাশা মাদক ও বিভিন্ন প্রকার নেশার আগ্রাসনের শিকার সম্ভাবনাময়ী যুব তরুণ সমাজ। তাই, অবক্ষয়ের অতল গহŸর থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে সত্য সুন্দর ও আলোর পথে নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে দেখাতে হবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সুষমামন্ডিত স্বপ্ন। তিনি বলেন, যুব তরুণদের আধুনিক জীবন যাপনের নামে অবাধ মেলামেশা ও অনৈতিকতার পথে বাধাহীনভাবে চলতে দেয়া যায় না। তাদেরকে সূফিবাদি উদার মানবিক, নৈতিক ও দ্বীনি মূল্যবোধের আলোকে গড়ে তুলতে হবে। নবী-ওলী মনীষীদের মহৎ জীবনাদর্শের আলোকে যুব সমাজকে জাগিয়ে তুলতে পারলে তারাই এগিয়ে নেবে দেশকে।তিনি বলেন, অক্ষর জ্ঞানে শিক্ষিত হলে হবে না। রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে নৈতিকভাবে পরিশুদ্ধ সৎ, বিবেকবান ও দুর্নীতিমুক্ত সু¯’-আদর্শিক হতে হবে। নৈতিকভাবে উজ্জীবিত আদর্শবান প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী যুব সমাজকে মইনীয়া যুব ফোরামের ্প্লাটফরমে এসে জ্ঞান, চরিত্র ও আদর্শিকভাবে উজ্জীবিত হবার আহŸান জানান এবং তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার তাগিদ দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মইনীয়া যুব ফোরামের সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল-হাসানী, উদ্বোধক ছিলেন ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পি, এইচ, পি ফ্যামিলীর চেয়ারম্যান সূফি মোঃ মিজানুর রহমান, আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভারীয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খলিফা শাহ্ মো: আলমগীর খান, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভারী ট্রাস্টের মহাসচিব ও বিএসপি কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খলিফা কাজী মহসীন চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো: আসলাম হোসাইন। মহাসমাবেশ ও ট্রাস্টের সভায় অতিথি এবং আলোচক ছিলেন আনজুমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বিএসপি দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, , প্রমুখ। মিলাদ ক্বিয়াম শেষে বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। পরে সবার মাঝে তবারুক পরিবেশিত হয়।
৫৭ তম খোশরোজ শরীফ ও মইনীয়া যুব ফোরামের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
"মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর করাই হোক ঈদের শপথ
বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪
ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা
ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে
হামাস। লেবানন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।এক বিবৃতিতে হামাসের লেবানন শাখা
জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলা
চালানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে
ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স। বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে,
হামাসের ছোড়া অধিকাংশ রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে।
তাছাড়া পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।
এতে এখন পর্যন্ত কোনো
হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি
বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় প্রতিটি ভবন, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল এখন ধ্বংসস্তূপে
পরিণত হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এক দুই বছরে
এসব ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন এজেন্সি বলছে, এসব
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতি
নিয়ে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। হামাস বা ইসরায়েলি বাহিনী এ বিষয়ে একমত হতে না
পারায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ শেষ হলে এসব ধ্বংসস্তূপ
সরিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাটাই হয়ে উঠবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কারণ এরই মধ্যে সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা
দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’
বুধবার ০১ মে ২০২৪
জারি হতে পারে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
বুধবার ০১ মে ২০২৪
কলেরার প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাই বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ— ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দু’তিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিক ভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।
এ কর্মসূচিতে ডব্লিউএইচও’র অংশীদার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল।
গরমে হাঁসফাঁস, হাসপাতালে রোগীর চাপ
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল)
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য
উল্লেখ করা হয়।
২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ
বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়, গত বছর
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে
রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা
অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।
এছাড়া নির্বিচারে
গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও
অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত
করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট
ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের
জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং
শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।
বাংলাদেশে
মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার
স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন
বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন
প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে
শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে।
প্রতিবেদনে রাজনৈতিক
অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি,
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা
হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
বুধবার ০১ মে ২০২৪
বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন
বুধবার ০১ মে ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের 'স্টেট অফ
গ্লোবাল ক্লাইমেট' রিপোর্টে ২০২৩ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছে। তবে এশিয়ার
বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের উষ্ণতা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে
যাবে কিনা সেই শঙ্কা করা হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে
গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, সমুদ্রের তাপ এবং
অ্যাসিডিফিকেশন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ এবং অম্লকরণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি,
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আচ্ছাদন গলে যাওয়া এবং হিমবাহ পশ্চাদপসরণের মতো
একাধিক ঘটনাও যা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের
মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন,
জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রার (বাড়ার) চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৩ সালে আমরা যা
প্রত্যক্ষ করেছি, বিশেষত সমুদ্রের অভূতপূর্ব উষ্ণতা, হিমবাহের পশ্চাদপসরণ এবং
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ্রাস- এই সব কিন্তু বিশেষ উদ্বেগের কারণ।
জলবায়ু পরিবর্তনের চরম
প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও।
চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছবিটা প্রায় একইরকম
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।
হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ,
পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও
একই পরিস্থিতি।
অন্যদিকে, ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই
নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের ছবি বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না।
দেখে নেয়া যাক দক্ষিণ
এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।
ভারত
গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে
৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার
ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
করা গিয়েছে।
পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ
মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে।
পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি।
বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা
৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে
জানানো হয়েছে- রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০
ডিগ্রি হবে আগামী তিনদিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯
ডিগ্রির মধ্যে।
হরিয়ানাতেও তাপমাত্রার
দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির
একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬
ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশরর কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ
বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই।
চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা
হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে
সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে
তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে।
পাকিস্তান
এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক
তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লাহোরে গত এক সপ্তাহে
সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
উষ্ণতম শহরের তালিকায়
বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে
তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের ন্নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং
সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
অন্যদিকে করাচিতে চলতি
মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে
করাচীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, গত বছর তীব্র
দাবদাহের শিকার হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী,
২০২৩ সালে বেলুচিস্তানের দালবন্দিনে এবং নক্কুন্দিতে জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা
লক্ষ্য করা গিয়েছিল যা অতিক্রম করেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মালদ্বীপ-চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে
সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।
মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য
বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর
পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মালদ্বীপের আবহাওয়া
দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির
বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীলঙ্কা
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোতে এ সপ্তাহে
তাপমাত্রা সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর
অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে
বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল
প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে তা হল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ত্রিঙ্কোমালি শহরেও
সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি। এটা ত্রিঙ্কোমালি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর
এবং শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রধান বন্দর শহর।
আবহাওয়া দফতরের তরফে
২০২৩-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বছর ওই দেশের
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রির এর
মধ্যে ছিল পুরো বছর।
মালদ্বীপ
চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক
তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।
মালদ্বীপের আদ্দু
অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে- সেখানে
সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো
দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক
সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল- ওই বছর সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নেপাল
চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১
ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে
জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২
ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
অন্যদিকে নেপালের
লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড
করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর
এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের
মধ্যে।
নেপালের জ্বালানি,
জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের জলবায়ু রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের সারা
বছরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
সে বছর তরাইয়ের নাওয়ালপারাসির দামকাউলি রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা (৪৩.৮ ডিগ্রি
সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যা গত ৪৪ বছরে দেখা যায়নি।
সূত্র : বিবিসি
দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’
বুধবার ০১ মে ২০২৪
জারি হতে পারে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
বুধবার ০১ মে ২০২৪
দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা
ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব
পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে
পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা
মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে
পরিস্থিতি।
রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে
শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন
থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।
চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের
সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত
চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।
এবারের গ্রীষ্মে
বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক
কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের
চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার
মেগাওয়াটের নিচে।
বিদ্যুৎ বিভাগের
তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও
রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন
করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,
আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে
সংকট আরও তীব্র হওয়ার।
কনজ্যুমার্স
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম
বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল,
বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার
মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০
মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা
যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে
না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ
সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি
টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
বুধবার ০১ মে ২০২৪
বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন
বুধবার ০১ মে ২০২৪