Logo
শিরোনাম

আহ জীবন, আহারে জীবন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরীর ফেসবুক থেকে নেয়াঃ

কেউ কেউ জীবনে দিয়েই যায় | যতদিন সে দিতে পারে ততদিন তার দাম থাকে | তারপর একদিন তার দাম ফুরিয়ে যায় | যে মানুষটা সংসারের হাল ধরতে গিয়ে নিজের জীবনকে নিয়ে কখনো ভাবেনি বরং তিল তিল করে নিজেকে নিঃশেষ করতে করতে পরিবারের অন্যদের ভবিষ্যত গড়ে দিয়েছে একদিন পরিবারের কাছে সে বোঝা হয়ে দাঁড়ায় | কখনো কখনো পরিবারের অলংকার হবার পরিবর্তে কলংক হয়ে যায় | 

প্রশ্ন তো আসতেই পারে, কি কি বিসর্জন দেয় সেই নিঃস্বার্থ মানুষটা ? অনেককিছু, যা হয়তো খোলা চোখে দেখা যায়না, বন্ধ করে ফেলা চোখে দেখা যায় | চোখ যখন খোলা থাকে তখন মানুষ কোনোকিছু বিচার করতে পারেনা | তবে দিন যত যাচ্ছে চোখ তত বড় বড় চশমার কৃত্রিম কাঁচে আরও বন্দি হয়ে পড়ছে, ক্রমশ ঝাপসা হচ্ছে মানুষের দেখার অনুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি    |  হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি  বলে খ্যাত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বানিয়ে মানুষ কত কিছুই না খুঁজছে অথচ একজন স্বার্থহীন মানুষের ত্যাগের মূল্য কি খুঁজছে | 

কোনটা বড় মানুষ, না মানুষের অতি উচ্চ বিলাসী স্বপ্ন | স্বপ্নের প্রাচুর্য বড় নাকি বাস্তবতার কষাঘাতে নিমজ্জিত মানুষের অসহায় মনটা বড় | এটা নিয়ে তর্ক বিতর্কে জড়াবোনা | সারা পৃথিবী সেই মনোমুদ্ধকর ছবির নানা বিশ্লেষণে মেতেছে, কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয় | যুক্তি-তর্কে কে কাকে ছোট করবে, কে কাকে বড় করবে এমন এক মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে | পান্ডিত্য জাহিরের এতো বড় সুযোগ মুখোশ মানুষরা কোনভাবেই ছাড়তে রাজি নয় | সাধারণ একটা মানুষের কাছে এসবের কোনো মূল্য নেই | তার কাছে তার মৌলিক চাহিদা মেটানোর  লড়াইটা সবচেয়ে বড় | 

এটা বিশ্ব রাজনীতির কোনো কৌশল কিনা বলতে পারবোনা, এটা বিজ্ঞানের মানব কল্যাণে নিহিত কোনো গবেষণা কিনা তা বলতে পারবোনা, এটা যেটাই হোক না কেন কোনোটাই বলতে পারবোনা | কারণ  সময় কথা বলবে, প্রকৃতি কথা বলবে, ইতিহাস কথা বলবে  |   তবে একটা কথা বলতে দ্বিধা নেই, সারা পৃথিবী অস্ত্র, মরণাস্ত্র, তারকাযুদ্ধের  নামে ধ্বংসযজ্ঞের যে অতি উচ্চ বিলাসী পরিকল্পনা হাতে নিয়ে শক্তির উন্মাদনায় মেতে উঠে টাকার পর টাকা ঢালছে,  সে টাকা কি দারিদ্রপীড়িত মানুষদের দারিদ্র্য মোচনের জন্য ব্যয় হতে পারতোনা  ? পৃথিবীর ক্ষুধার্ত শিশুদের ক্ষুধার যন্ত্রনা কি মিটাতে পারতোনা | হয়তো পারতো, কিংবা কারো কারো যুক্তিতে পারতোনা | কারণ বিষয় যাই হোক, এর পক্ষে, বিপক্ষে দাঁড়ানো মানুষদের সংখ্যাও কম নয় | কারণ সবকিছু যে একটা খেলা আবার সব খেলা খেলা নয় | 

ফেসবুকে একটা লেখা পেলাম, লেখাটা এমন ছিল:

"বাবার অসুস্থতার কারনে ৮বছর বয়সে সংসারের দায়িত্ব নিলাম... ইটভাটায় কাজ করেছি, জেলের কাজ করেছি, ট্রাকে লেবারি করেছি...

হাত ২টা ঠোসা পড়ে গেছে... পড়ালেখা করিনি...

বিয়ে করেছি ৩৫বছর বয়সে... শুধু ভাই-বোনের কথা চিন্তা করে...

সম্পুর্ন নিজের টাকায় ২জন বোন কে বিয়ে দিলাম...

২জন ভাইকে শিক্ষা অফিসার বানালাম...

আরেকজন ভাইকে বানালাম ডাক্তার...

আজ ছোট ভাই একটার জন্য মেয়ে দেখতে যাবে... ভাই বোন সবাই যাচ্ছে, আমাকে নেয়নি.. কারণ, আমি দেখতে ওদের মতো স্মার্ট না... এবং আমি মুর্খ, ওদের সাথে যায় না...

আহ জীবন, আহারে জীবন..."

ভাবছি অসহায় লোকটার কথা, একদিন যার দাম পরিবারের কাছে সবচেয়ে বেশি ছিল | স্বার্থপর আর সুবিধাবাদী পরিবারের মানুষরা তখন তাকে তাদের উপরে উঠার এক একটা  লোভনীয়  সিঁড়ি ভেবেছে | হয়তো লোকটা তাদের কাছে কোনোদিন মানুষের মূল্য পায়নি, আপনজনের ভালোবাসা পায়নি, যা পেয়েছে তা হয়তো একধরণের মেকি অভিনয়   | সবাই অভিনেতা হলেও সাধারণ লোকটা  সমাজের বাস্তবতা হয়েছে | কিন্তু সেটি হয়েওবা লাভ কি, সবাই রূপের জৌলুসকে ভালোবাসে, রক্ত মাংসের মানুষকে ভালোবাসেনা |

লোকটা পরিবারকে গড়ে তুলতে শরীরের ঘাম ঝরিয়েছেন, জীবনের অনেক মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদাকেও বিসর্জন দিয়েছেন | তার শ্রমের পানি করা রক্তে ভাই-বোনেরা এখন শিক্ষিত হয়ে সমাজের মাথা হয়েছে, বড় বড় পদপদবী পেয়েছে. ক্ষমতার রক্ত টগবগ করছে তাদের চোখে-মুখে   | সমাজে তাদের মর্যাদা বেড়েছে, জাতে উঠেছে তারা  | সবার দাম বেড়েছে আর সময় যতই গড়িয়েছে  নিঃস্বার্থ লোকটার দাম ততই কমেছে | খুব কষ্ট পেয়েছে লোকটা, হয়তো কান্নার পানি চোখে আনেননি , সেটা হিমশীতল বরফ করে জমাট বাঁধিয়েছেন এমন একটা জায়গায় সেটা হয়তো কেউ কোনোদিন খুঁজেও দেখবেনা | লোকটার কথাগুলো পড়ে মনে হলো মানুষ যতই শিক্ষিত  হয় ততই স্বার্থপর ও অকৃতজ্ঞ হয় | কারণ আমাদের শিক্ষায় ভোগবাদিতার সব উপাদান থাকলেও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো জায়গা নেই | লোকটাকে এতদিন ব্যবহার করে বড় বড় সাহেব সুবেদার হয়ে উঠা আপনজনরা  মনে করছে লোকটা পরিবারের জন্য একটা কলংক | স্টেটাস বলেও তো একটা অতি দানৱীয় কথা আছে , সে স্ট্যাটাসে লোকটার  কোনো জায়গা নেই | তার জায়গা ডাস্টবিনে কিংবা গরুর খোয়াড়ে | একদিন সে গাছ ছিল, এখন সে আগাছা হয়েছে | 

আমার একজন প্রিয় ছাত্র লিখেছে, "পরিবারের বন্ধন ততদিন মজবুত থাকে যতদিন বন্ধনের মুল কারিগর (মা) থাকে।মুল কারিগর (মা) নেই বন্ধনও ধুমড়ে মুচড়ে নড়বড়ে।এটাই কি হবার কথা? সবই শূণ্যের কোটায়!!" কথাটা খুব সাধারণ মনে হলেও এর ভিতরের গভীরতা অনেক | যতদিন মা বেঁচে থাকেন ততদিন সম্পর্কগুলো মাকে আবর্তিত করে চলতে থাকে | মা যখন চলে যান, সম্পর্কগুলো তখন স্বার্থপর হয়ে যায় | চেনামুখগুলো অচেনা মনে হয় | পরিবারের স্বার্থহীন মানুষেরা পরিবারের স্বার্থপর মানুষদের দ্বারা আক্রান্ত হয় | কে আপন, কে পর বোঝা খুব কঠিন হয়ে পড়ে | মায়ের মৃত্যুর সাথে সাথে সম্পর্কের বন্ধন নড়বড়ে হয়ে পড়ে, সম্পদের লোভ মানুষের সম্পর্কে ফাটল ধরায় | ভেঙে যায় সব স্বপ্ন, সব সুখ | 

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন জাপানের মানুষেরা দীর্ঘায়ু হবার কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো তাদের খাদ্যাভ্যাস  | আর বাকি কারণগুলো মানবিক ধারণা দ্বারা পুষ্ট | যেমন তাদের বয়স যত বাড়ে টেনশন তত কমে, নাতি নাতনিদের সাথে তাদের আনন্দ করেই  সময় কাটে | সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা এমন এক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে যেখানে ছোটরা বড়দের সব সময় সন্মান করে ,  পরিবারের জন্য বড়রা যে ত্যাগ করেন সে ত্যাগের প্রতি পরিবারের ছোটরা সব সময় কৃতজ্ঞ থাকে | তাদের শিক্ষায় মানবিক আচরণ ও জীবনাচরণের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ | 

এমন একটা সমাজের স্বপ্ন দেখি......স্বপ্ন কি সত্য হয় নাকি অধরাই থেকে যায় | ঠিক জানিনা, জানতেও চাইনা  | কারণ এ সমাজে কিছু চাওয়াটাই যে পাপ কিংবা অপরাধ | যদিও পাপ ও অপরাধের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান |  


আরও খবর



কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে মুরগি মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শেওড়াপাড়ার মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন। তিনি বলেন, এ সময়ে দাম কমার কথা না, গত সপ্তাহেও ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গরমে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই ক্ষতি এড়াতে ছোট ছোট মুরগি কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার বাজারে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




সর্বজনীন পেনশনে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রায় সাড়ে আট মাসে এর চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা এ চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন।

কিন্তু পরবর্তীতে এ সংখ্যা কিছুটা কমে পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদাদাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২২৬ জন। সব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪২ কোটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে আগামী ১ জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের প্রত্যয় নামের একটি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


আরও খবর



বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যেসব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনের নামে বাস ট্রাকে আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।


আরও খবর



মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। নির্বাচন কমিশনে সময় শেষ হয়ে গেলে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন না।

 এই বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।


আরও খবর