Logo
শিরোনাম

আজ জয় বাংলা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘জয় বাংলা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলা স্লোগানকে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন। বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আইনজীবী বশির আহমেদের করা এক রিট মামলার নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন আদালত।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ‘জয় বাংল’কে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেদিন মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ জারি করে তা জানিয়ে দেওয়ার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের।

পরে গত ২ মার্চ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জয় ‘বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ, দেশে ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ সকল জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করিবেন। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনেও স্লোগানটি ব্যবহার হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ সমাপ্তির পর এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্যের শেষে শিক্ষকগণ ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করিবেন।’


আরও খবর



বিএনপি-জামায়াতের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করায় আমাদের আন্তরিক প্রয়াস ছিল। 


কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।



শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন। 


আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পারি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করতে নতুন জাতীয় স্বস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়। 


বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি।



তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।


শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


আরও খবর



দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইলেন রুবাইয়াত ফাতিমা তনি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



সদরুল আইনঃ


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মুখ এবং রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমের মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। 



পাকিস্তানি বলে দেশীয় পোশাক বেশি দামে বিক্রি করায় এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়। দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর নিজস্ব অফিসে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে তনি জানান, তিনি এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন। তার ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানালেও মডারেটররা এটা গুরুত্ব দেন না এবং পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি নোটিশ আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। 



সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। 



তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বলে বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।



তিনি বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর



দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর



দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে এনইসি।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসির সভায় এই উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।



সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


তিনি আরও জানান, সভায় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। 


সুতরাং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের বরাদ্দসহ এডিপির সর্বমোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ।


২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির আওতায় প্রকল্পের সংখ্যা ১৩২১টি। সত্যজিৎ কর্মকার জানান, বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রম-শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ সংক্রান্ত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই শাহদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।

কাদের মির্জা একইসঙ্গে বসুরহাট পৌরসভার মেয়রও।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার সরকারি মিলনায়তনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের সমর্থনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।


তার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তারা দুজনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

‘কুলাঙ্গার’ ছাড়াও শাহদাত হোসেন তার ভাই নন বলে তিনি মন্তব্য করেন কাদের মির্জা। তার বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন। ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দেওয়া কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।


শাহদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর হলফনামায় মামলার তথ্য না দেওয়ায় এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণী না থাকায় প্রথমে যাচাই-বাছাইয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।

এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও এখনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজ ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারেন না একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না।

আমাদের ভাই নয় এই কুলাঙ্গার শাহদাত। তার কারণে আজ ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়। শেখ হাসিনার কাছে জবাব দিতে পারে না।

কাদের মির্জা বলেন, সে (শাহদাত) আজ কোর্টে কোর্টে ঘুরছে। কাদের ইঙ্গিতে এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে একদিন প্রকাশ হবে ইনশা আল্লাহ। ওবায়দুল কাদেরের ইজ্জত যে ছেলে নষ্ট করে, সে ছেলেকে যদি ভোটে আসে, ভোট দেওয়া যায়?...না। আল্লাহর গজব পড়বে এই ছেলের ওপর।

ছোট ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটা সালিস তার জন্য করতে পারি না পৌরসভায়। সালিসে রায় দিলে যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ হয়। সালিস বাস্তবায়ন করতে পারি না এই ছেলের কারণে।

এই ছেলেকে ঘৃণাভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারা যান, তার আত্মার শান্তি পাবে না।


আরও খবর