Logo
শিরোনাম

আজ প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রবারণা পূর্ণিমা আজ। আত্মশুদ্ধি ও মনের পবিত্রতার জন্য ধ্যান ও নীতি অনুশীলনে তিনমাস বর্ষাবাসের পর এই পূর্ণিমা পালন করেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।

সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিকতা। দেশ ও জাতির সুখ ও মঙ্গল কামনায় পঞ্চশীল গ্রহণের পর, বুদ্ধের উদ্দেশ্যে ফুল পূজা, বুদ্ধ পূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিস্কার দান, সংঘ দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডদান করেন বৌদ্ধ নরনারীরা। একই সাথে ভিক্ষুদের কাছ থেকে স্বধর্ম শ্রবণ করেন তারা। এছাড়া আজ থেকে শুরু হচ্ছে একমাস ধরে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানের আয়োজন। এদিকে সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির ধর্মপুর আর্যবন বিহারে ৮৪ হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও চুলামনি ধাতু জাদির উদ্দেশে ফানুস উড়ানো হবে।


আরও খবর

সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




নিঃসন্দেহে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিঃসন্দেহে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত আছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচিত বিষয়ে কিছু সামঞ্জস্য ও মতনৈক্য উভয় আছে। আশা করি, আজ আলোচনার সমাপ্তি টানতে পারবো বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফা বৈঠকের সূচনা বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসব বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন নতুন প্রস্তাব এসেছে, সেসব নিয়ে আমরা ঐকমত্য কমিশন নিজেদের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি। এখন সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যা আলোচনা হচ্ছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা।’ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনের সহ-সভাপতি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্রের বিষয় তাই তাড়াহুড়ো করে নয়, ধীরে-সুস্থে আলোচনা করছি।‘

যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, স্প্রেডশিট নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। দফা-ওয়ারি বিস্তারিত আলোচনা করছি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন করার কথা বলা হচ্ছে। এটা সহ-বিচার বিভাগের সব স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু সব কিছু যেন আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে হয়। কোনও কিছু যেন অসাংবিধানিকভাবে না হয়।


আরও খবর



৫ সংগঠনের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

পাঁচটি সংগঠনের নেতারা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে তারা জুলাই গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিবাদী অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স; অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন; প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ; স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি; জাবি, জবি, ঢাবি, ঢাকা কলেজ এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা এই স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে তারা জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গসংগঠন এবং ১৪ দলের যেসব নেতা বিগত তিন নির্বাচনে ক্ষমতায় ছিলেন তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে সংগঠিত গণহত্যার বিচার, শাপলায় সংঘটিত গণহত্যা, পিলখানা, ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ২৬ মার্চসহ সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন পাঁচ সংগঠনের নেতারা।

স্মারকলিপিতে এখনো গুম থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান দিতে হবে এবং আয়নাঘর ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

গত জুলাই আন্দোলনে করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলাগুলোসহ গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে করা ষড়যন্ত্র, প্রহসন এবং রাজনৈতিক হয়রানিমূলক সব মামলা বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭১৯ কেজি চাল জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭শ' ১৯ কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানির পর লোকজনের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা যেন কোন ভাবেই পার না পায় সেই বিষয়ে প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। রাণীনগর

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান জানান, একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ আছে এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার পারইল ইউপির ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঐ বাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা চাল এবং ১৯ কেজি চালের একটি বস্তা পাওয়া যায়। তবে ঐ চালগুলো সরকারি কিনা তা তদন্তের পরই জানা সম্ভব। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জব্দকৃত সব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। তিনি ও তার সহযোগীরা এসব চাল ঐ বাড়িতে রেখেছিল। এই চালের মূলহোতা ডিলার সুইট। চালের বস্তার পাশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের সরকারি খালি বস্তা পড়ে ছিল। আর চালগুলো অন্য প্লাষ্টিকের বস্তায় প্যাকেট করা ছিল। এমনকি রাতেই ঐ বাড়িতেই চাল মাপ করার কাজ চলছিল। এসব চাল বাহিরে বেশি দামে বিক্রির জন্য ঐ বাড়িতে রাখা হয়েছিল। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। আমি তাকে চাল নিয়ে যেতে বললে তিনি পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।

উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।


আরও খবর



জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব.

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

১) জুম’আর দিন গোসল করা। 

(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।

২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)

৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)

৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)


৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)


৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)


১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)


১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)


১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)


১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। (বুখারীঃ ৯৩৫)


১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)


১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)


১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)


১৭) মসজিদে গিয়ে ফরজের আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা আদায় করা।(আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ১২৬৭৪) (আল মুজামুলআওসাত,

হাদিস: ১৬১৭) 


১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকির বা কোন শিক্ষামূলক হালাকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ ১০৮৯)


১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা তাকে থামার জন্য ইশারা করা। (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)


২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)


২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)


২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)


২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)


২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯)


২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)


২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)


২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া,বা প্রচুর জনবসতি থাকা,বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া,বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)


২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)


২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)


৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।


৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)


৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া,যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)


৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।

৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।

৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)


৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে,ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)


৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)

৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫




পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। যুক্তরাজ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রায় এক দশক পর লন্ডনে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ঈদ উদযাপন করছেন। এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, “খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে সুস্থ আছেন এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন। এটি আমাদের জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত।”

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ‘ম্যাডাম ওনার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বাসায় আছেন। ঈদের দিনটি উনি বাসায় আপনজনদের নিয়ে একান্তে কাটাচ্ছেন। বাসায় দুই পুত্রবধূ (ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান) আছেন। আছেন তিন নাতনি (ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমান)। ম্যাডামকে ঘিরে ঈদের সব আয়োজন তারাই সাজিয়েছেন। কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর পর ম্যাডাম তার আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। বুঝতেই পারছেন এখানে অনেক আবেগ জড়িত। ’

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তার অবস্থা আগের থেকে মাচ বেটার। খালেদা জিয়া দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি করা হয়। ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালে অধ্যাপক জন কেনেডির তত্ত্বাবধানে। এরপর লন্ডন ক্লিনিকে তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অধ্যাপক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকছেন খালেদা জিয়া।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

কথিত দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসনকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার। করোনার সময়কালে সরকার তাকে বিশেষ কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদে কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

৫ আগস্ট পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পরিবার বারবার আবেদন করলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর তার বিদেশ যাওয়ার দরজা উন্মুক্ত হয়।


আরও খবর