Logo
শিরোনাম

আকবর আলি খান আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান আর নেই ।

বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

আকবর আলী খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক বা এসডিও ছিলেন। যুদ্ধকালে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করেন।

২০০৬ সালে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে পদত্যাগ করেন।

আকবর আলী খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়ন করেন। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর দুটিতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে তিনি লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭০ সালে হবিগঞ্জ মহুকুমার এসডিও হিসেবে পদস্থ হন।


আরও খবর



ভারতের ২ ব্র্যান্ডের মসলা বিক্রি নিষিদ্ধ করল নেপাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পর এবার ভারতের দুই ব্র্যান্ডের মসলা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল নেপাল। এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খবর ইন্ডিয়া টুডে।


বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওই দুই ব্র্যান্ডের মসলায় ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা শুরু করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। এই উপাদানটি মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে।



নেপালের খাদ্য প্রযুক্তির মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে বলেন, ‘এভারেস্ট ও এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা এগুলো বাজারে বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি। মসলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মসলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’



এভারেস্ট ও এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা কয়েক দশক ধরেই ভারতের গৃহস্থালি পণ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এমনকি এগুলো মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানিও করা হয়। নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই দুই ব্র্যান্ডের মশলাগুলো নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।


নিউজিল্যান্ডের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাপরিচালক জেনি বিশপ রয়টার্সকে বলেন, ‘ইথিলিন অক্সাইড এমন একটি রাসায়নিক যা মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। 


খাদ্য জীবাণুমুক্ত করার কাজে এই রাসায়নিকের ব্যবহার নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয়েছে। যেহেতু এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ব্র্যান্ডের মসলা নিউজিল্যান্ডে পাওয়া যায় তাই আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।’


গত এপ্রিলে হংকং খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা দুটি ব্র্যান্ডের চারটি মমলা পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর সিঙ্গাপুরের ফুড এজেন্সিও (এসএফএ) ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে এভারেস্টের ফিশ কারি মাসালা প্রত্যাহার করে।


ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) ইতোমধ্যে এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্যের গুণমান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে৷ প্রতিষ্ঠানটি হংকং ও সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।






আরও খবর



আসছেন কাতারের আমির, সই হবে ১১ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তার এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইই। এ ছাড়া আলোচনায় প্রাধান্য পাবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি।

এছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার এই সফরের বিস্তারিত গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। পাশাপাশি এই সফর একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিনের। কাতার বঙ্গবন্ধুকালীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের মহা মুহিম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমাদের আরো অনেক এক্সপোর্ট আইটেম আছে, এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বলব। এছাড়া আমাদের ওষুধ আছে। এগুলো এখনো রপ্তানি হয়, এগুলো ভলিয়মটা আরো বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয়, বিশেষ করে আমাদের ইকোনোমিক জোনে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয় সেটাও আলোচনা করব। আমরা বিনিয়োগ চাইব, কাতার তো নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে, অর্থনৈতিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরও খবর



৬ ঘণ্টা স্কুলের টয়লেটে আটকা, তালা ভেঙে উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:



মাদারীপুরে স্কুলের টয়লেটে আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ৬ ঘণ্টা বাথরুমে আটকে থাকার পর সন্ধ্যায় তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। 


গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাফিন হোসেন (৭) পাঁচখোলা ইউনিয়নের মৃত নুরুল হকের ছেলেএতটা সময় আটকে থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে কোমলমতি ওই শিক্ষার্থী। তাকে জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যায় রাফিন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টয়লেটে যায় সে। শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে সব শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। পরে স্কুলের দপ্তরি খোকন খান শ্রেণিকক্ষ ও টয়লেটের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান। এতে আটকা পড়ে রাফিন।  



বের হতে না পেরে অঝোরে কাঁদতে থাকে রাফিন। এক পর্যায়ে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। কিন্তু দরজা-জানালা সব বন্ধ থাকায় রাফিনের কান্না ও চিৎকার স্কুলের বাইরে কারও কান অবধি পৌঁছায়নি। 


এদিকে স্কুল ছুটির পরও রাফিন বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শুনতে পান তালাবদ্ধ স্কুলের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। 


তিনি দৌড়ে স্কুলের কাছে ছুটে যান। টয়লেটের ভেতর একটি শিশু আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙে রাফিনকে উদ্ধার করেন।  ঘটনাটি পরদিন শুক্রবার (১৭ মে) বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।


মাদারীপুর সদরের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের সঙ্গে এমন ঘটনা কাম্য নয়।’


মাদারীপুর জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টা মতো হতো পারতো! বিষয়টি দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক। এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক, দপ্তরি—কেউই এড়াতে পারেন না। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়মিত মামলা হওয়া উচিত।’


আরও খবর



অসহনীয় দুর্ভোগে ৩৩ রুটের যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় পরিবহণ খাতে নৈরাজ্য ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা-রামপুরা সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগেরও সীমা নেই। এসব রুটে চলাচলকারী বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে বাড়ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ ও মাদকাসক্ত চালকের সংখ্যা। যাদের অধিকাংশেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আর ওই দুটি সড়কের মুখেই যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হয়। যে কারণে যানজট ও মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি নিত্যদিনের ঘটনা। ফলে এ দুটি সড়কে চলাচলকারী অন্তত ৩৩টি রুটের গণপরিবহণের যাত্রীদুর্ভোগ ব্যাপক বেড়েছে।

অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত না থেকে ব্যস্ত থাকেন চাঁদাবাজিতে যা এখন ওপেন সিক্রেট। ফলে সকাল ও সন্ধ্যার পর থেকেই ওই দুটি সড়কে যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সড়কের দীর্ঘ জায়গাজুড়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহণ আটক করে চেকিংয়ের নামে হয়রানি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরিবহণ সেক্টরে ট্রাফিক ও থানা পুলিশসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসোহারাভিত্তিক চাঁদাবাজির কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এখানকার চালকরা।

তবে এ বিষয়ে ট্রাফিক ও থানা পুলিশ বলছে ভিন্নকথা। তারা বলছেন, সড়কে পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য থামাতে শুধু পুলিশের একক পদক্ষেপ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিবহণ মালিক-নেতা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমিতিসহ নানা কমিটি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে একত্র হয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

দেখা গেছে, ডেমরার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় রাজধানীর প্রবেশদ্বার ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের মুখে যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। রয়েছে নিষিদ্ধ অটোরিকশা, ইজিবাইকও। ডেমরা চৌরাস্তা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ সিএনজি-ইজিবাইক থামিয়ে চেকিংয়ের নামে হয়রানি। দীর্ঘ সময় আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওইসব যানবাহন। দূরপাল্লার পণ্যবাহী যানবাহনকে ফিরে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশকে জরিমানার নামে দিতে হয় টাকা। পাশাপাশি অনেক যানবাহনের সঙ্গে করা হচ্ছে মাসিক চুক্তি। এসব যানবাহনের অধিকাংশই ফিটনেসবিহীন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডেমরা থেকে রামপুরা সড়ক দিয়ে শহরের কয়েকটি রুটে আসমানী, রাজধানী, অছিম, স্বাধীন, আলিফ ও রমজান নামের চার শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কে চলাচল করে আসিয়ান, রানীমহল পরিবহণ, গ্রীনবাংলা, গ্লোরি ও গাউসিয়া এক্সপ্রেস নামে দেড় শতাধিক বাসসহ দেড় শতাধিক ফিটনেসবিহীন লেগুনা। একই সঙ্গে সড়ক দুটিতে বিভিন্ন দূরপাল্লার কাভার্ডভ্যান ও যাত্রীবাহী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল করে, যেগুলোর অধিকাংশই ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিয়ে চলতে হয়।

বির্ভিন্ন পরিবহণের কয়েকজন চালক বলেন, আমাদের বয়স কম বলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় না। তবে পুলিশ ধরলে টাকা দিয়ে ছুটে যাই। আর মালিক ও নেতারা মাসে মাসে আমাদের কাছ থেকে আলাদা টাকা নেয় সড়কে চলাচলের জন্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। মাদকাসক্ত চালকের হাতে মালিকরা তাদের মূল্যবান গাড়ি তুলে দিচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসন, ট্রাফিক পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালী মহলসহ আমরা সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

ট্রাফিক জোনের টিআই মৃদুল কুমার পাল বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিকের একক পদক্ষেপে স্বাভাবিকতা আনা সম্ভব নয়। সমন্বিত পদক্ষেপেই নৈরাজ্য দূর হবে। পরিবহণ খাত থেকে মাসোহারা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে সবকিছুর দায়িত্ব ট্রাফিকের। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে ১৮ বছরের নিচে কাউকেই কোনো প্রকার যানবাহন চালাতে দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রস্তুত।


আরও খবর



গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ'র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ভর্তুকি কমাতে আবারও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোনোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ সুপারিশ করেছে। এর আগের সফরেও একই সুপারিশ করে আসছিল সংস্থাটি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ। এতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্রভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ মিশন। তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্যও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রতিনিধিদল।

এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে সরকার যে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে মিশন। তবে একীভূতকরণের পর ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা যেনো খারাপ না হয়ে যায়, এতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাড়াহুড়া না করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে একীভূকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা।

এছাড়া ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে বিশেষ ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকখাতে সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে মিশন।


আরও খবর