আদালত অবমাননার অপরাধে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়ার ৩ ঘণ্টার
মাথায় তাকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাকে এক মাসের
জামিন আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম
মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল
হক। তিনি বলেন,
আপিল করার শর্তে আদালত সোহেল রানাকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন। আমরা
আগামী রোববার হাইকোর্টের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
জামিনের বিষয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট মো. সোহেল রানাকে
৩০ দিনের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। একইসঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে বিচারিক
আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধির একটা প্রভিশন
আছে ৪২৬(২)— এ ধারায় সাজা যদি এক বছর বা
তার চেয়ে কম হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট আদালত অর্থাৎ যে আদালত সাজা দিয়েছে সেই আদালত তার
জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই প্রভিশন অনুযায়ী আমরা সাজা প্রদানকারী
আদালতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে মো. সোহেল রানাকে ৩০
দিনের জামিন দিয়েছেন। আগামী রোববার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করব।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার
সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল
রানাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন
দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সোহেল রানাকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ
মঞ্জুরুল হক। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায়।
আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, একটি ফৌজদারি মামলার
কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ৫৬১ (এ) ধারার ওই মামলার কার্যক্রম
স্থগিত করেছিলেন আদালত। পরবর্তীতে এ আদেশের কপি কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার কাছে যায়। তিনি হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে বিচার
কাজ চালিয়ে যান। এ কারণে আদালত অবমাননা মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এই আদেশ অমান্যের
কারণে তাকে সাজা দেওয়া হয়।