Logo
শিরোনাম
প্রেমঘটিত কারণ সবচেয়ে বেশি দায়ী

আট মাসে ৩৬৪ শিক্ষার্থীর আত্মহনন

প্রকাশিত:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

রোকসানা মনোয়ার : দেশে ক্রমেই বাড়ছে আত্মহননের প্রবণতা। বিশেষ করে নানা কারণে শিক্ষার্থীরা বেশি আত্মহননের দিকে ঝুঁকছেন। এ বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৩৬৪ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ১৯৪ জনই ছিল স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী। আর ৭৬ জন কলেজপড়ুয়া এবং ৫০ জন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এছাড়াও মাদরাসার ৪৪ জন শিক্ষার্থী নিজের জীবন নিজেই বিসর্জন দিয়েছেন।

সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক জরিপে এসব তথ্য ওঠে আসে এসব তথ্য। 

সংগঠনটি জানায়, ১৫০টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার থেকে নেওয়া তথ্যে এ জরিপ করা হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে সারা দেশে মোট ১০১ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিল বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। জরিপে দেখা গেছে, গত আট মাসে মোট আত্মহননকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ জন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬০ শতাংশ এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৪০ শতাংশ। কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে ৭৬ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, যাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ছেলে এবং ৫৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে। গত আট মাসে ১৯৪ জন স্কুলগামী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ছেলে এবং ৬৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ মেয়ে। আর মাদরাসাপড়ুয়া ৪৪ জন শিক্ষার্থীর ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ ছেলে এবং ৬০ দশমিক ৭১ শতাংশ মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি ডিভিশন) আজিজুল হক মামুন এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তরুণ প্রজন্মকে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে তৈরি করা দরকার এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল করে তোলার একান্ত প্রয়োজন। তাই আঁচল ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এটি তরুণ প্রজন্মের ওপর জরিপ পরিচালনা ও আত্মহত্যার তথ্যও সংগ্রহ করছে। যাতে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা নিরূপণ করা যায়।

জরিপে ওঠে এসেছে, আত্মহত্যাকারীদের অবস্থান বিবেচনায় সবার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আত্মহননকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শিক্ষার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে তুলনামূলক কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন, যা ৪ শতাংশ।

শিক্ষা স্তর বিবেচনায় আত্মহননকারীদের মধ্যে প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর হাড় ৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। আত্মহত্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, যা ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এবং মাদরাসার শিক্ষার্থী ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

মেয়েরাই বেশি আত্মহননে দিকে যাচ্ছে। আত্মহননের দিকে বেশি ঝুঁকছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা, যা মোট আত্মহননকারীদের ৬০ দশমিক ৭১ শতাংশ। অন্যদিকে ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক আত্মহত্যার হার। জরিপের ফল থেকে জানা যায়, ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সিদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি, যা ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আত্মহননের ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ ২১ থেকে ২৬ বছর বয়সি শিক্ষার্থী। আর ১৩ নিচে ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষর্থী এ পথ বেছে নেন।

প্রেমঘটিত কারণ সবচেয়ে বেশি দায়ী : আত্মহত্যার ঘটনা অনুসন্ধানে আঁচল ফাউন্ডেশনের তরুণ গবেষকরা আত্মহননের পেছনের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে পারেন। বিশেষ করে অভিমান, প্রেমঘটিত, ডিজিটাল ডিভাইস, সেশনজট, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, পড়াশোনার চাপ, পরিবার থেকে কিছু চেয়ে না পাওয়া, পারিবারিক কলহ, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি, চুরি বা মিথ্যা অপবাদ, মানসিক সমস্যা, বিয়েতে প্রত্যাখ্যাত, স্বামী পছন্দ না হওয়া, বাসা থেকে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও মানসিক ভারসাম্যহীনতা, বিষণ্নতা, বন্ধুর মৃত্যু, আর্থিক সমস্যার মতো বিষয়ও রয়েছে। তবে প্রাপ্ত তথ্যে প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা ঝুঁকি বেশি যাওয়া যায়। অর্থাৎ ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেন। এরপর রয়েছে অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে চাওয়া-পাওয়ার অমিল হওয়ায় ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং পারিবারিক কলহের কারণে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির কারণে ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মানসিক সমস্যার কারণে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। পড়াশোনার চাপে শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ, সেশনজটের হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ১ দশমিক ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহননের দিকে যান। ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ চুরির মিথ্যা অপবাদে, ১ দশমিক ৯২ শতাংশ আর্থিক সমস্যায় এবং বন্ধুর মৃত্যুতে বিষাদগ্রস্ত হয়ে শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং স্বামী পছন্দ না হওয়ায় ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অন্যদিকে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর আত্মহননের কারণ জানা যায়নি।

ডিজিটাল ডিভাইস ও সাইবার ক্রাইম অন্যতম : আত্মহননকারী কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার পূর্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের মানসিক অবসাদ কিংবা বিদায় নেওয়ার কথা জানান দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন আটজন এবং ভিডিও কলে এসে আত্মহত্যা করেন দুজন। আর সেলফি ক্যামেরা নিজের দিকে তাক করে আত্মহত্যা করেন শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ প্রেমিক যুগল। এছাড়া মৃত্যুর আগে চিরকুট বা সুইসাইড নোট লিখে আটজন আত্মহত্যা করেছেন। আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের শিকার শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার পথ নিচ্ছে। এই জরিপে ওঠে আসে এ কারণে চারজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।

আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ আবেগ বলেন, আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীরা পরিবার থেকে কোনো কিছু না পেয়ে অভিমান করেও আত্মহত্যা করেছেন। মোটরসাইকেল, মোবাইল চেয়ে না পাওয়ার কারণে অনেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। প্রত্যাশা পূরণ না হলে কীভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক বড় ধরনের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে হবে। সাত বছরের একজন বাচ্চা যার আত্মহত্যা বোঝার মতো বয়সও হয়নি, তার আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলোও বিশ্লেষণ করে শিশু অবস্থা থেকেই শিক্ষার্থীদের মনোবল শক্ত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, আত্মহত্যার ঘটনাগুলো আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশেষ করে কম বয়সি স্কুলগামী থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্কুলগামী আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি। এই হার এত উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে কারণগুলো কী! তা খুঁজে বের করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা এখন যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে আত্মহত্যা না করলেও তাদের অন্যান্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আঁচল ফাউন্ডেশনের ১০ প্রস্তাবনা :

১. আত্মহত্যা মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন।

২. পাঠ্যপুস্তকে মানসিক শিক্ষাকে এবং মনের যত্নের কৌশলগুলোকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।

৩. স্কুল-কলেজে অভিভাবক সমাবেশের আলোচিত সূচিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মহত্যা সম্পর্কিত এজেন্ডা রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রদান।

৪. মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা।

৫. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রদান।

৬. সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

৭. মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।

৮. হতাশা, আপত্তিকর ছবি, আত্মহত্যার লাইভ স্ট্রিমিং, জীবননাশের পোস্ট ইত্যাদি চিহ্নিত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ টুলস ব্যবহার করা।

৯. আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবার ও পরিচিতদের দায় অনুসন্ধানে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা।

১০. মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দ্রুত ও সহজলভ্য করতে একটি টোল ফ্রি জাতীয় হট লাইন চালু করা।


আরও খবর



ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image


ডিজিটাল ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৪টায় তাকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করে।এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।


বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছে তিনি নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই ছিল নৈশভোজের আয়োজন।

বুধবার তিনি পররাষ্ট্র সচিব, পরিবেশমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। ঢাকায় আসার আগে তিনি ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করেন।

চলতি বছর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড লুর এটাই ছিল প্রথম ঢাকা সফর।


আরও খবর



চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার করায় হলুদ সাংবাদিক রাশেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

উখিয়ায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাংবাদিক সেজে ''জেএসআর'' চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপে অডিও রেকর্ড পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কথিত টায়ায় সাংবাদিক মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি উখিয়ার কোর্ট বাজার অফিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন 'জেএসআর' স্টুডেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দীন।

এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য'তে বলেন, মোহাম্মদ রাশেদ (প্রকাশ টায়ার রাশেদ) গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে ফোন করে আমাদের শপিংমলে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্লাকমেইল করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় প্রতিষ্টানের নামে ভূয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের হুমকী দিয়ে ফিরে যান। পরে একইদিন রাত ১টায় আমাকে টাকা নিয়ে তার ধুরুমখালী অস্থায়ী অফিসে আসতে বলেন। আমি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে আবারো টাকা দাবি করে একটি স্যাম্পল অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে বলে মেসেজ করে হুমকী দেন। যার স্কিনসর্ট আপনারা দেখেছেন। চাঁদার টাকা দাবী করার মেসেজটি সে নিজে ডিলিট করে দিয়েছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় রাশেদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করলে আমি উখিয়ার বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে টাকা না দিয়ে আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং রাশেদ নামের কোন গণমাধ্যম কর্মী উখিয়াতে নাই বলে জানান। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্টান চাঁদা দাবির সব তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন, কিছু অপসংবাদিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রাশেদ তার নিজস্ব গণমানুষের দর্পন নামের একটি অনুমোদনহীন ভুয়া নিউজ পোর্টালে আমাদের নামে মিথ্যা, ভূয়া, ভিত্তীহীন গুজব প্রচার করে আমাদের প্রতিষ্টানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। চাঁদা না পেয়ে অপপ্রচার কারী ভুয়া সাংবাদিক রাশেদ যে ১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা অডিট রির্পোট বলে প্রচার করেছে সেটির কোন সত্যতা নেই।

১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে আমার কাছে সব গুলো ডকুমেন্টস আপনারা দেখেন। এই ব্যয় গুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়েছে। এইটাকে দুর্নীতি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমাদের শেয়ারহোল্ডার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ সকল ভিত্তিহীন বিষয়ের কর্ণপাত না করে বিচলিত না হয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

যুক্তরাষ্ট্র গাজায় চলমান সংঘাত শেষে ফিলিস্তিন উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। ওয়াশিংটন ওই শান্তিরক্ষী বাহিনীতে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, সংঘাত শেষে গাজায় আবার হামাসের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ঠেকাতে এবং উপত্যকাটিকে নিরাপদ করতেই এমন পদক্ষেপ চায় তারা।

মিসর, ইউএই ও মরক্কো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে দেশ তিনটি চায়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিক যুক্তরাষ্ট্র।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজেদের সেনাদের যুক্ত করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো। যদিও গাজায় কোনো এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে তারা। কারণ, সংঘাত শেষে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের বিকল্প কোনো বাহিনী আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছেন। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না ইসরায়েল। আর আরব দেশগুলো পশ্চিমাদের কাছে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কাছাকাছি রয়েছে।


আরও খবর



৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর