Logo
শিরোনাম

আত্মসমালোচনার পথ খোলা রাখুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

-- আমিনুল ইসলাম কাসেমী :

আমরা মাঝে- মাঝে ভুল করি। বড় ভুল হয় আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের। তবে সে ভুল শোধরানোর চেষ্টা করিনা। বরং কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে গালমন্দ করে থাকি।

আমরা কেউ চাই না আমাদের কোন সন্তান ভাদাইম্মা হয়ে যাক।কেউ চায়না তার ছেলে কট্টরপন্হী  গ্রুপে যোগদান করুক। এমনকি আজকাল কোন অভিভাবক চায়না তার সন্তান প্রচলিত রাজনীতিতে শরীক হোক বা মিছিল - মিটিং-এ যাক। কিন্তু বর্তমান যে অবস্হা তাতে সন্তানেরা গার্জিয়ানের অপছন্দের  ওইসব কর্মকান্ড টপকিয়ে ভাদাইম্মার স্তর থেকেও উপরে উঠে গেছে। এখন আর স্বাভাবিক অবস্হাতে নেই। বরং বর্তমান তাদের কার্যকলাপগুলো স্কুল- কলেজ- ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের হার মানিয়ে দিচ্ছে।

আমরা কারো পাগড়ি বাঁধা দেখলে ফেরেস্তা মনেকরি। মনেহয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল মানুষ। কিন্তু বর্তমানে  কিছু কিছু পাগড়ির নিচেও শয়তানে বাসা বেঁধে ফেলেছে সেটা ভেবে দেখিনা। 

এজন্য আত্মসমালোচনার রাস্তা খোলা রাখতে হবে।  নিজের সন্তানদের ভুল হলে সেটা সংশোধনের নিয়্যাতে ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে তারা ইসলাহ হয়ে যায়। সামনে থেকে আর ওই ভুলগুলো না করে।

মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ( রহ,)  একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে "কলরব" গঠন করেছিলেন। বিশেষ করে অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় একটা সুস্হ - সুন্দর এবং শালীন সংস্কৃতি জাতিকে উপহার দিবেন।  কিন্তু বর্তমান "কলরব" এর শিল্পিদের যে অবস্হা তাতে আর সুস্হ- সংস্কৃতি বাকি নেই। বিশেষ করে কদিন পর পর "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে যে সব আপত্তিকর আওয়াজ শোনা  যায় সেটাতো জাহেল আর হুজুরদের মাঝে কোন ফারাক নেই।

 "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে আমি কোন  আপত্তি করতাম না। তারা পাগড়ি - জুব্বা খুলে কলরবের সাইনবোর্ড সরিয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করুক। কোনদিন আমি কথা বলবনা। কিন্তু জুব্বা- পাগড়ি লাগিয়ে  আবার প্রখ্যাত শিল্পি আইনুদ্দিন ( রহ,) এর নাম ভাঙিয়ে নিজের ইচ্ছেমত চলবেন, শরীয়াতের হুকুমের তোয়াক্কা করবেন না, তাহলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে চরম অন্যায়। 

 কদিন আগে কলরব এর এক শিল্পি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ভিডিওগুলো অনলাইনে ঘুরছে।   তার বিয়ের গান নাকি তিন দিনেই একলক্ষ ভিউ হয়েছে। যেটা নিয়ে তিনি খুব শুকরিয়া আদায় করলেন।  তবে  আজব ব্যাপার হল  অধিকাংশ কমেন্টার এবং রিয়েক্টার মহিলা। তারাই ওইসব ভিডিওর আগাগোড়া দেখছে,আর অন্যরকম অনুভূতি ফিল করছে।

দেখলাম, শিল্পিরা গান গাচ্ছে " বিয়ে সুন্নাত মোতাবেক হোক"  

 মানে মুখে এক বুলি আর কর্মে আরেকটা।  ওনাদের কোন জিনিসটা সুন্নাত মোতাবেক হয়েছে?  হিন্দি- বাংলা সিনেমার নায়কদের স্টাইলে শেরওয়ানী আর টোপর পরে কোন সুন্নাত আদায় হয়েছে এখানে?  সারা জীবন পাগড়ি আর জুব্বা পরে গান গাইলেন আর বিয়ের সময় শাহরুখ খান আর সাকিব খানের বেশধরা এটা কোন সুন্নতের আওতায় পড়ে।

আমি এটা নিয়ে কিছু বলতাম না,  শুনেছি তিনি নাকি  যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন। তাহলে একজন আলেম হয়ে এভাবে নায়কের বেশধরা কতটা যুক্তিযুক্ত? 

 বিয়ের আদ্যপান্ত ভিডিও করে ছাড়া হল। শেরওয়ানী গায়ে জড়ানো থেকে নিয়ে ওয়ালীমা সবকিছু ধারণ করে ইউটিউব অনলাইনে ছাড়া হল। আবার বিশাল বহর নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেওয়া হল, এগুলো কোন সুন্নাতের আওতায় পড়ে? মানে সুন্নাতের কোন খোঁজ নেই, ওদিকে গান গাওয়া হচ্ছে " সুন্নাত মোতাবেক বিয়ে হোক, মানে স্পষ্ট প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

এই তো বেশীদিন আগের কথা নয়, মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীম ( রহ,) এক বিয়েতে বর পক্ষকে গালমন্দ করেছিলেন। ছেলে নাকি দ্বীনদার। বিয়ে পড়ানোর সময় ছেলে এবং অভিভাবকদের বলেছিলেন, আপনারা কেমন দ্বীনদার? মেয়ের বাড়িতে গাড়ির বহর নিয়ে আসলেন এটা কেমন দ্বীনদারী? 

নব্বইদশক এবং এর পরবর্তি সময়গুলোতে দেখেছি, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও করা আমাদের ওলামায়েকেরাম সে বিয়েতে শরীক হতেন না। বয়কট করতেন। অহেতুক ছবি তোলা,  ভিডিও করা এটা কোন আলেম জায়েজ বলেন নি। আজ পর্যন্ত কোন আলেম বৈধতার ফতোয়া দেয়নি। আর এখন বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভিডিও করে আপলোড করা হচ্ছে। 

এখানেও আমি সমস্যা মনে করতাম না। যদি ওনারা এভাবে পাগড়ি - জুব্বা লাগিয়ে পাক্কা হুজুর না সাজতেন। অথবা রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য বা ইসলামী কোন বিষয় প্রতিষ্টার চিন্তাভাবনা থাকত। কিন্তু অহেতুক এবং মানুষকে বোকা বানানোর উদ্দেশ্যে এমন ভিডিও সত্যি আপত্তিকর। এর দ্বারা দলিল হয়ে গেল।  হুজুরেরা বিয়ের শুরুতে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ে, তারা সিনেমার নায়কদের মত শেরওয়ানী আর টোপর পরে, তাহলে আর আমরা করলে সমস্যা কোথায়? দিনে দিনে মানুষ অহেতুক এবং অনার্থক কাজের দিকে ঝুকে যাবে। এখন তাদের বড় দলিল "কলরব"এর হুজুরদের বিয়ে।

হাদীস শরীফে এসেছে, " ইন্না আ'জমান নিকাহে বারাকাতান আইছারুহু মায়ুনাতান"

অর্থাৎ ওই বিয়েতে বরকত যেখানে আড়ম্বরি কম হয়।  কিন্তু বিয়েতে আজকাল হুজুরেরা, আলেমেরা, পীর সাহেবরা যেভাবে আড়ম্বারিতা দেখাচ্ছেন তাতে কোন বরকত বিয়ে- শাদীতে থাকছেনা। যার কারণে দেখবেন, কদিন পর পর এখন হুজুর শিল্পিদের  বউ ডিভোর্স হচ্ছে। বেশীদিন থাকছেনা। জাহেলদের বিয়েশাদীতে যা হয় আলেমদের বিয়েতে  এখন তাই হচ্ছে। একারণে বিয়ের পরে প্রায় জায়গাতে আজকাল কিছু কিছু হুজুরদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ বিয়েতে সুন্নাত নেই। এরপর জাহেলদের মত কিছু হুজুর শরীয়াত মানছেনা।যে কারণে বিপত্তি ঘটে যাচ্ছে।  

শরীয়াতের গন্ডির মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে।  টাকা পয়সা বেশী হলেই যে খুব বাড়াবাড়ি করতে হবে তা নয়। কেননা এখন তো শিল্পিদের টাকার অভাব নেই। আইতেও টাকা যাইতেও টাকা। তাই বলে "অর্থই যেন অনার্থের মুল"  এটা না হয়ে দাঁড়ায়।

আমি কলরবের বিলুপ্তি চাই না। আমি চাই সংশোধন। তারা নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করে সামনে কদম রাখুক।  অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় জেগে উঠুক এমনটি চাই।

আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পাল্টে যাচ্ছ মহাদেবপুর শহর চৌমাশিয়া বাজারের চিত্র

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে, কাজ সম্পূর্ণ হলে পাল্টে যাবে উপজেলা সদর শহরের চিত্র, কমবে জন-দূর্ভোগ। ইতি মধ্যেই সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। গত বছর শুরু হওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মেষ সূচনা ঘটবে। একই সাথে পাল্টে যাবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহর সহ এলাকার সড়কের চেহারা। এমনটিই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সওজ বিভাগ নওগাঁ থেকে আত্রাই, বদলগাছী, মহাদেবপুর আর মান্দা থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ৬টি সড়কে মোট ১৪টি প্যাকেজে আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক হাজার একশ’ কোটি টাকা। মহাদেবপুর অংশে ব্যয় হবে একশ’ ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নওগাঁ টু মহাদেবপুর হয়ে পত্নীতলা সড়কের চৌমাশিয়া বাজার (নওহাটামোড়) থেকে আখেড়া পর্যন্ত। শুধু মহাদেবপুর না ইতি মধ্যেই নওগাঁ জেলার মধ্যেমনি স্থান হিসেবে পরিচিত চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ব্যাপক উন্নয়ন এর ছোয়াতে পাল্টে গেছে এবাজারের চেহারা। পুঠে ওঠেছে এক সুন্দর বাজার এর চিত্র। তারপরও চলমান রয়েছে আরো কাজ। কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে জনগুরুত্বপূর্ণ তিন-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার সর্বসাধারনের কাছে বিনোদন কেন্দ্র হয়ে ফুটে ওঠবে বলেই মনে করছেন মানুষজন। মহাদেবপুরে চলমান আখেড়া থেকে কালুশহর মোড় পর্যন্ত এবং কালুশহর মোড় থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতি প্যাকেজে ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এছাড়া মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত ০ থেকে ৯ কিলোমিটার। 

চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সড়কের স্বাভাবিক চওড়া হবে ১০ দশমিক ৩ মিটার অর্থাৎ ৩৪ ফুট। তবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর এলাকায় বচনা ব্রিজের পশ্চিমে চাউল কল মালিক গ্রুপের অফিস থেকে ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে পর্যন্ত মোট এক কিলোমিটার ৩০০ মিটার সড়ক হবে আরসিসি ঢালাই। আর চওড়া হবে ৬৮ ফুট। মাঝখানে থাকবে আইল্যান্ড। ইতিমধ্যেই এর ৬০০ মিটার ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭০০ মিটারের কাজ রয়েছে চলমান। মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত সড়ক হবে ১৮ ফুট চওড়া। আর বিভিন্ন বাজার এলাকায় হবে ২৪ ফুট আরসিসি ঢালাই। 

এসব সড়কে প্রয়োজনীয় স্থানে নতুন ব্রিজ ও কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। 

পাশাপাশি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে যে মাছের মোড়ের মাছের ফোয়ারা আর চারমাথা বকের মোড়ের বকের ফোয়ারা আর থাকবেনা। এ দুটি স্থানে তৈরি হবে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারের আদলে বিশাল ইন্টারসেকশন। আগামী এক দের বছরের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ হবে। এগুলো সম্পন্ন হলে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহরের চেহারাও পাল্টে যাবে। জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এর উদ্যোগে বিশাল বাজেট এর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এমপি'র প্রচেষ্টায় ৩৪ ফুট চওড়া ঢালাই সড়ক বচনা ব্রিজ এলাকা থেকে বাড়িয়ে আখেড়া ওসমান গণির বয়লারের ওপার কালভার্ট পর্যন্ত এবং ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে থেকে বাড়িয়ে বরেন্দ্র মোড় পর্যন্ত বর্ধিত করার চেষ্টা চলছে ৬৮ ফিট করণের। এছাড়া উপজেলা সদরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে মহাসড়কের পাশ দিয়ে নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থাও সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছেন এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। 

সরেজমিনে উপজেলা সদরের বুলবুল সিনেমা হল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া শিবগঞ্জ মোড়ে সড়কে আরসিসি ঢালাই দেয়া হচ্ছে। সেখানে পাওয়া গেলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর পত্নীতলা উপ-বিভাগের মহাদেবপুর এর দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী নুর আহমেদকে। তিনি জানালেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পটি শেষ হলে এলাকার সড়ক যোগাযোগে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হবে। অপরদিকে নওগাঁ জেলার মধ্যেবর্তী স্থান ও জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতীতে এগিয়ে চলেছে। কাজ সব সম্পূর্ণ হলে এবাজার এর চেহারাও পাল্টে যাবে বলেই বলাবলি করছেন সর্ব-সাধারন।


আরও খবর



দাম কমল ডিম-পেঁয়াজ-আলুর

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বাজারের লাগাম টানতে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না এসব পণ্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালাতে যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। খবরটি শোনার পর এসব পণ্যের দাম কমিয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।

নিউমার্কেটে এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালাতে গেলে দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় দেখা গেছে, ভোক্তা অধিকারের অভিযানের খবর শোনার পর ব্যবসায়ীরা প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দেন। যদিও সকাল থেকে তালিকা প্রদর্শনে ছিল না তেমন তোড়জোড়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আসার খবরে কিছু দোকানে আলু, পেঁয়াজ, ডিম কম আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ দোকানে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশি দামে আগে এসব পণ্য কিনে রাখায় তারা সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। এজন্য অনেকে চালান রশিদ দেখান। তবে অভিযানকালে তাদের কিছুটা দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ, ডিম ও আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেয় সরকার। সেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। যা সেদিন থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা।

কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরলেও কোথাও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এসব পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা কেজি, আলু ৪৫ টাকা ও ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা দাম না কমালে হার্ডলাইনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে। এরই অংশ হিসেবে আজ নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযানে যায় ভোক্তা অধিদফতর। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

জানা যায়, সকালে দোকানিরা আলু বিক্রি করছেন ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ভোক্তা অধিকারের অভিযানের সংবাদে দোকানিরা দাম কমিয়ে দেয়। অভিযানের প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের বাজারেও। এসব পণ্যেও আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অভিযানকালে অনেক দোকানিকে চালান রশিদ দেখতে অপারগতা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।

মাছবাজারেও দোকানিদের দাম পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। অনেকেই নতুন করে প্রদর্শন করেছেন তালিকা। কেউ কেউ তালিকায় পণ্যের দাম লিখছেন।

নিউমার্কেট বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মো. বাদল মিয়া জানান, সকল ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ চালান রশিদ রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই খুচরা ব্যাবসায়ীরা যেখান থেকে পণ্য ক্রয় করেন, তারাই মালের রশিদ দেয় না বলেও দাবি তার।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারাল ৯০৯ জন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে সারা দেশে ৯০৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩০০৮ জন রোগী। তাদের মধ্যে দুই হাজার ১৯৬ জনই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন।

বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি তিন হাজার ৭৯৪ জন। অন্যরা ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মোট ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ধামরাই পৌরসভায় স্থানীয় সরকার দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর সভার আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষে সরকারের দেয়া বিভিন্ন ভাতা  গ্রহণকারী উপকারভোগীদের নিয়ে রেলী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ  মঙ্গলবার( ১৯ সেপ্টেম্বর)পৌরসভা চত্ত্বরে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মোল্লার  সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, সানোড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

এ সময় বিভিন্ন ভাতা  উপকারভোগীদের উদ্দেশ্য করে এমপি বলেন, পনের বছর আগে আপনাদের কথা কেউ চিন্তা করেনাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য বই ফ্রী করে দিয়েছেন। 

এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মতো।  মা যেমন প্রত্যেক সন্তানদের ভাল ও  সুখে রাখার জন্য  অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তেমনিই  প্রধানমন্ত্রীও আপনাদের  ভাগ্য উন্নয়নের জন্য  পরিশ্রম করেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান করেন।  

পৌর মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  অসহায় মানুষ অর্থাৎ আপনাদের কথা চিন্তা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। ধামরাইয়ে ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের জন্য ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। নৌকায়  ভোট দিয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সম্মান করে  সকল  সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।  তাই  আগামী নির্বাচনে নৌকায়  ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে  বিজয়ী করলে আরো সুযোগ সুবিধা পাবেন। সব শেষে সেরা কর দাতাদের মাঝ ক্রেস্ট বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৃন্দ ও সুধিজন।


আরও খবর



রামগড়ে ৪ জনকে অপহরণ, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযানে উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

,রামগড়(খাগড়াছড়ি :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ গাড়ীর ২ চালক ও ২ হেলপারকে অপহরন করেছে সশস্ত্র উগ্র উপজাতি অস্ত্রধারীরা।গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের বনবীথি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে আসা ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র উপজাতি অস্ত্রধারী ১টি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ন-১৮-২৬৪১) এবং ১টি মিনি ট্রাক (চট্টমেট্রো ন-১১-৯১৪৬) গতিরোধ করে থামিয়ে কাভার্ড ভ্যান চালক মো. জায়েদ হোসেন (৩০), হেলপার মো. হান্নান (২৫) এবং মিনি ট্রাক চালক মো. আনোয়ার (৪০) ও হেলপার মো. মনির (২৮) কে অপহরণ করে  জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।

অপহরণকারীরা আঞ্চলিক সশস্ত্র উগ্র উপজাতি সংগঠন ইউপিডিএফ  (প্রসিত) গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। 

অপহরণের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে অপহৃতদের উদ্ধারে তাৎক্ষণিকভাবে রামগড় ৪৩ বিজিবি ও রামগড় থানা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথদল অভিযান পরিচালনা করেন। প্রশাসনের অভিযানে এক পর্যায়ে সোমবার ভোরে অপহৃতকারীদের ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগড় থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই স্থান থেকে প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবসার সাথে জড়িত দুইজন ব্যবসায়ীকে টাকার জন্য অপহরন করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় ফেনী থেকে আগত ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ গতবছরের ১১ এপ্রিল একই এলাকা থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানের চালক ও রানারকে অপহরন করেছে সশস্ত্র উগ্র উপজাতি অস্ত্রধারীরা। পরে তারা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পায়।


আরও খবর