Logo
শিরোনাম

বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সারা দেশ থেকে পণ্য ঢাকায় ঢুকতে ভাড়া বেড়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে গেছে। বেড়েছে দামও। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের ওপরে।

অবরোধের আগে এক ট্রাক সবজি বা অন্য খাদ্য পণ্য বাইরে থেকে ঢাকায় আনতে যেখানে খরচ হতো দূরত্ব ভেদে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন একই পণ্য একই স্থান থেকে ঢাকায় পরিবহনে খরচ গুনতে হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তারপরও সব ট্রাক ঢাকায় আসতে চায় না; অবরোধকারীদের অগ্নিসংযোগের আতঙ্কে থাকেন। যারা আসছেন তাদের বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েক হাজার ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্যবোঝেই করে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারে কথা হয় ট্রাক ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে। তিনি যশোরের গদখালি থেকে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, অবরোধের সময় তিনি ট্রাক ভাড়া পাবেন ১৯ হাজার টাকায়। অবরোধের আগে একই ওজনের একই পণ্য এনেছিলেন ১৬ হাজার টাকা ভাড়ায়।

তিনি বলেন, অবরোধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কোন দিকে থেকে অবরোধকারীরা ট্রাকে হামলা করে! গ্লাসে একটি ঢিল মারলে যে ক্ষতি হবে তা এক মাসের ভাড়া দিয়েও উঠবে না। আর আগুন দিলে পুরো ট্রাক শেষ, এমনকি জীবনও যেতে পারে। এই ঝুঁকি নিয়েই আসছি, ভাড়া তো একটু বেশি নেবই। এমন অভিযোগ সুজন মাদবরের। তিনি ফুলকপি নিয়ে এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে।

তিনি বলেন, তারা আমিরুল ইসলাম নামে এক মহাজনের পুরোনো ট্রাকচালক। অনেক দিন থেকেই আমিরুলের পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনিও বেশি ভাড়া পাচ্ছেন। অন্য সময়ের থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি ভাড়া পাচ্ছেন হরতাল-অবরোধের সময়।

তিনি বলেন, অবরোধে ছেলেমেয়েরা ট্রাক চালাতে নিষেধ করে কিন্তু সংসার তো আছে। আতঙ্ক নিয়ে ট্রাক চালাই, কখন কি হয়। কিছু হলে কেউ না দেখলেও পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে ট্রাক নিয়ে বের হই।

একই আশঙ্কার কথা জানালেন কুষ্টিয়া থেকে চাল নিয়ে আসা ড্রাইভার আনছার আলী। তিনি মোহাম্মদপুর বাজারে আড়তে চাল নামিয়েছেন। তিনি বলেন, সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার অবরোধ দিচ্ছে না। এই কয়দিনই ট্রাক চালাই। অবরোধে বসে থাকি। এরপরও ভয় পিছু ছাড়ছে না।

অবরোধের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে আসা পণ্যের খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম কমার কথা ছিল, কমছেও। কিন্তু যে হারে কমার কথা ছিল সে হারে কমছে না। বাড়তি পরিবহন ভাড়ার কারণে পণ্যের দামও বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারে মুলা নিয়ে আসা হাফিজুর রহমান জানান, তিনি সংবাদপত্রের ফিরতি গাড়িতে করে মুলা নিয়ে এসেছে। রাত তখন সাড়ে ১১টা। বাস থেকে মল সড়কে মুলা নামিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সামনে ফাঁকা জায়গা মুলার বস্তা রাখছেন। তিনি আরো বলেন, অবরোধের আগে যে বস্তা ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে এনেছিলাম, অবরোধের সময় একই বস্তার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৩০ টাকা। এর ফলে প্রতি কেজি মুলাতে খরচ বেড়েছে এক থেকে এক টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরও আগের মতো ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যের চেয়ে বেশি ভাড়া দিলেই কেবল ট্রাক ঢাকায় আসে বলে জানান তিনি। অন্য সবজি, ফল বা পণ্যেও এভাবে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীদের যাতায়াত কমে গেছে। আগে ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সবজি ঢাকার আনার জন্য ব্যবসায়ীরা মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সশরীরে এসব পণ্যের উৎপাদন স্থলে যেতেন। এখন অনেকেই আর এলাকায় যাচ্ছেন না। প্রয়োজনে ফোনে ফোনে কথা বলে পণ্য আনছেন। খুব প্রয়োজনে দুয়েকজন যাচ্ছেন বা কর্মচারী পাঠাচ্ছেন। এতে পণ্যটি ঢাকায় এলেও দাম বা মানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় প্রত্যাশার মতো কাজটি হচ্ছে না।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আর ব্যবসায়ীদের জায়গা দখল করেছে কৃষকরা। ব্যবসায়ী কম পাওয়ার কারণে কৃষকরা নিজেরাই কয়েকজন মিলে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য ঢাকায় আনছেন। সবজি এখন বিক্রি করতে না পারলে পরে দাম পড়ে যাবে। আবার মাঠে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তো আছেই। এজন্য কৃষকেরা নিজেরাই ঢাকায় চলে আসছেন। অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর জায়গা কৃষক দখল করেছেন বলে জানান তিনি। যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর মার্কেটে খোঁজ নিয়ে একই খবর মিলল।

অবরোধ-হরতালের প্রভাবের দেখা মিলেছে বাজারে। শীতকালীন শাকসবজির দাম উলে­খযোগ্য হারে কমেনি। মাছের বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

পণ্য পরিবহনে পুলিশ প্রহরা সাহস জোগাচ্ছে: অবরোধ চললে ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের গাড়ি পাহারা দিয়ে নিজ নিজ এলাকা পার করে দিচ্ছে বলে জানালেন যশোরের গদখালি থেকে আসা গিয়াস উদ্দিন।

তিনি বলেন, মাঠ বা ছোট বাজার থেকে ট্রাকবোঝাই করে সড়কে উঠলেই দাঁড় করিয়ে পুলিশ অনেকগুলো ট্রাক এক সঙ্গে করে নিজ জেলা পার করে দিচ্ছে। পরের জেলায় ওই জেলার পুলিশ পাহারা দিয়ে পার করে দিচ্ছে।

রাজশাহী থেকে আসা ব্যবসায়ীও এমন কথা জানালেন। তবে চুয়াডাঙ্গা বা ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাক পুলিশ প্রহরা ছাড়াই এসেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী এখলাছ হোসেন ও ড্রাইভার সুজন মাদবর। ফলে জীবন ও ট্রাক সম্পত্তির ঝুঁকি নিয়ে পণ্য আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া দেওয়ার পরও ব্যবসায়ী বা চালক-হেলপারের জানমালের নিরাপত্তা নেই।

প্রসঙ্গত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি দল। আগামীকাল রবিবার থেকে এ হরতাল পালন হবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা।

এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। তারপর ৭ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়। পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আবার চতুর্থ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। এর আগে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ পালন করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল।

 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বুধবার অষ্টম দফার এ অবরোধ কর্মসূচিতে ঢাকার সড়কে সকাল থেকে চলছে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, রিকশাসহ বেশকিছু যানবাহন। তবে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস। বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী ও মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

সকাল থেকেই অফিসগামী মানুষের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বাসের চাপ বাড়ায় ও থেমে থেমে যাত্রী নেওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় গাড়ির জটলাও তৈরি হয়। যদিও অবরোধ ছাড়া সাধারণ দিনের তুলনায় কিছুটা কম।

এদিকে, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, শ্যামলী ও গাবতলী এলাকায় অবরোধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে। সড়কে যানজট নেই। বেশ কিছু পাবলিক ও ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন ঢাকার বাইরের যাত্রীরা।

অন্যদিকে, সকাল থেকে গুলিস্তান, টিকাটুলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, কাজলা, শনির আখড়া ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ি চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক। রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, পণ্যবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে।


আরও খবর

১৩ দিনে ঢাকায় ৬৪ গাড়িতে আগুন

শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩




নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান মতে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একটি করে মোট ৩০০টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

এতে বলা হয়, কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/ থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।

এতে আরও বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন এবং প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ওই কর্মকর্তারা নিজ দফতর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর প্রেরণ করবেন এবং ওই প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে অত্র সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিব ও সিনিয়র/সহকারী সচিবের ইন্টারনাল একাউন্টে প্রেরণ করবেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১-৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর; প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোট হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।


আরও খবর



কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

হরতাল-অবরোধের প্রভাব নেই রাজধানীর সবজির বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে শীতকালীনসহ অন্যান্য সবজির দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় এসব সবজির দাম কমেছে।

আর সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২৪ নভেম্বর রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ টাকা, কলার হালি ২০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মুলা ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শেওড়াপাড়ার সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার বলেন, শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসছে, যার প্রভাব দামে পড়েছে। গত সপ্তাহে শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি সেটা আজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ফুলকপি বড় আকারের ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সবজির বাজারে প্রভাব পড়েনি।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বিক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা সুমন বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছিলাম। গতকালও ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি। তবে শুক্রবার হওয়ায় পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেশি দিয়ে আনতে হয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আমরা সোনালি ২৮০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ৩২০ টাকা টাকা দরে বিক্রি করছি।

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং আইড় মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

সোনার ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা

বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩




অনির্দিষ্টকালের জন্য শতাধিক কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরের কোনাবাড়ি-কাশিমপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

১১ নভেম্বর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং জিরাবো-বিশমাইল সড়কের এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।

ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার গেটে টাঙানো নোটিশে লেখা, গত ৮ নভেম্বর কারখানায় বহিরাগত হামলা হওয়ার কারণে বিকেল ৩টার দিকে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে পরদিন ৯ অক্টোবর শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ বন্ধ রাখেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বেলা ১১টার দিকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগ না করে বিভিন্ন অবৈধভাবে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করতে থাকেন। এতে করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। কর্তৃপক্ষ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা শান্ত না হয়ে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এমন আচরণ শ্রম আইন অনুযায়ী অবৈধ ধর্মঘটের আওতায় পড়ে। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও অবৈধ ধর্মঘট করার কারণে ৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিংবা কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

আগামী এ্যাপারেল্স লিমিটেড কারখানার নোটিশে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কারখানায় এসে ফেইস পাঞ্চ করে। তারা কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার চেচামেচি করে। পরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যায়। এতে করে নিরুপায় হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু বেতনের আগ পর্যন্ত ৫ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যায়। বেতন হয়ে গেলে ৮ নভেম্বর আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। সাধারণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মিছিল করতে করতে কারখানা গেটে চলে যায়। এমতাবস্থায় আবারও কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয়। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ৯ নভেম্বর কারখানা বন্ধ রাখে। এমন কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃঙ্খলতা ও বে-আইনি ধর্মঘটের শামিল। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১১ নভেম্বর হইতে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।

কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার বিষয়টি শ্রমিকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েও জানিয়ে দিচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগামী এপ্যারেলস কারখানার এক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। আমাদের মোবাইলে এ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেকেই কারখানায় সকালে গিয়ে নোটিশ দেখে ফিরে এসেছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ যে আইন দেখিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে সেই আইনে কারখানা যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিনের বেতন পাবে না শ্রমিকরা।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোনো চিঠি দেয়নি। তবে বিভিন্নভাবে আমরা বন্ধের খবর পেয়েছি। অন্যান্য দিনের মতো আজও আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে মজুরি বোর্ডে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করা হলে সেটি প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। তবে শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোথাও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বিএনপির চার নেতার কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পুলিশের কাজে বাধা এবং নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ চার নেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের কারাদণ্ড দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফুজ্জামান আলী সপু ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।

এর মধ্যে সোহেল, হেলাল ও সপুকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার একটি মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় আরো ১১ জন আসামি রয়েছেন। তাদেরও একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি নীরবকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলার আরো ৬ আসামিকে একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ৬ আসামি হলেনসাজেদুল ইসলাম সুমন, গান্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল ও শাকিল আহমেদ রিপন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর