পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলের উপস্থিতিতে শান্তি মিছিল থেকে বাউফল হাসপাতাল রোডস্থ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের গালর্স স্কুল রোড এলাকায় মুজিব চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাংচুরের জের ধরে শান্তি মিছিল উত্তেজিত কর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ে এ হামলা চালিয়েছে ।
প্রতক্ষ্যদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৫টার দিকে বাউফল আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে শহরে একটি শান্তি মিছিল বের হয়। মিছিলটি হাসপাতাল রোড এলাকা অতিক্রম করার সময় শান্তি মিছিলে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে পরে এবং হাতুড়ি দিয়ে বিএনপি বন্ধ কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে কার্যলয়ের নিচতলা ও দোতালায় চেয়ার, টেবিল, আলমারী ও জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবি ভাংচুর করে। এসময় হাসপাতাল রোড এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে।
পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবির বলেন," বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানী করার জন্য আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভেঙ্গেছে। আর এর জের ধরে মেয়র জুয়েলের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। তারা শান্ত শহরকে অশান্ত করতে এ হামলা চালায়।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সাথে তিনি বা তার দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত না। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুরের দায় এড়াতে বিএনপি নিজেরাই নিজেদের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করেছে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে হামলার কথা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ।
উল্লেখ্য, এর আগে আজ ভোররাতে বাউফল শহরের সড়কের মুজিব চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুখের অংশের পাথর ভেঙে বিকৃত করে রাখে কে বা কারা। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সন্দেহর তীর বিএনপি'র দিক রয়েছে। তারই ধরে বিকেলের এই হামলা হতে পারে।