Logo
শিরোনাম

বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিনিয়োগ করুন

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড আল আমিন, শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঃ

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা  নতুন যেই নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে তারল্য কিছু বাড়বে বলে আমি মনে করি। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক সম্মতিতে  ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে ১০% কম মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হবে,মূল বাজারে ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে। এখানে  ১০% কমে যিনি ক্রয় করছেন তিনি যদি এক বছরও অপেক্ষা করেন,অন্যান্য যেকোন সঞ্চয় স্কিমের চেয়ে এটা কম লাভজনক হবে না। আর যিনি বিক্রয় করছেন,হয়তো তার খুব প্রয়োজন অথবা উনি তার বিনিয়োগ অন্য কোন শেয়ারে করতে পারেন,যেখানে তিনি হয়ত ১০% বেশি মুনাফা পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের দুর্ভাগ্য ফেসবুক ভিত্তিক নানা গুজবে অনেকে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন,এটাকেই কাজে লাগায় নানা প্রতারক চক্র। আপনি কি কখনো শুনেছেন,বড় কোন বিনিয়োগকারী,অথবা এমন কোন নির্ভরযোগ্য ফেসবুক পেইজ আছে,যেটা ফলো করে আপনি অনেক বেশি লাভবান হয়ে গেছেন? অবশ্যই না।কারণ ঐসব ফেসবুক গ্রুপ কারো কারো দালাল হিসাবে কাজ করে,যেসব বিনিয়োগকারী কম বুঝেন তাদের বেশি ক্ষতি হয় ঐসব গুজবে কান দিয়ে। তাই দোষটা কার?যিনি ফেসবুকের গুজব বিশ্বাস করেন,নাকি যিনি গুজব ছড়িয়ে থাকেন?আমি মনে করি যিনি গুজব বিস্বাস করেন,বেশি দোষ তার। ঐসব ফেসবুক গ্রুপের কি দায়,আপনাকে মুনাফা করিয়ে দেয়ার?আপনাকে মুনাফা অন্য কেউ কেন করিয়ে দিবে,কোন স্বার্থ ছাড়া? তাই ঐসব দালাল গ্রুপের খপ্পরে পড়ে, আপনি পুঁজি হারাবেন?নাকি বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে,সময় নিয়ে বিনিয়োগ করবেন,সম্পূর্ন আপনাদের সিদ্ধান্ত। আমরা খুব সহজেই অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে,অন্যকে দোষারোপ করি,কখনো নিজের অজ্ঞতাকে দোষ দেই না। সবাইকে পুঁজিবাজারে কেন আসতে হবে? যারা বুঝবে শুধু তাদের আসা উচিৎ, না বুঝলে নানা দালাল গ্রুপ আপনাকে যা বুঝাবে আপনি তাই বুঝে নিজ দায়িত্বে নিজেদের ক্ষতি করতেই পারেন,কিন্তু কাউকে এটার জন্য দায়ী করা ঠিক হবে না। কারণ আপনার ঝুকি নেয়ার সক্ষমতার উপর নির্ভর করে,আপনার বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত। তাই কোন গুজবে কান না দিয়ে,কোন দালাল চক্রের হাতে না পড়ে, নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিনিয়োগ করুন আর নিজের পুঁজির নিরাপত্তা দিন।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় দাম বেশি নেওয়ায় ৪ মাংস ব্যবসায়ীর জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পৌর শহরের মাংসের বাজারে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে ৪ ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এ জরিমানা করেন। এছাড়াও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এক সবজি ব্যবসায়ীকে আরও ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফরের সহকারী পরিচালক বলেন, সারাদেশে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখানে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। তাই ভোক্তা সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বিসমিল্লাহ গোস্ত ঘরকে ১ হাজার টাকা, মিজানুর গোস্ত ঘরকে ১ হাজার টাকা, নিউজ মিট স্টোরকে ১ হাজার টাকা ও ভাই ভাই মিট স্টোরকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় কাঁচা বাজারের মতিউর সবজি ঘরকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য সাদেকা হালিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম চৌধুরী। 

তিনি জবির ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হলেন সাদেকা হালিম।

আজ বৃহস্পতিবার সাদেকা হালিমকে এ নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন। 

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলে হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫–এর ১০ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। 

উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়স পূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে ওই মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।

 উপাচার্য পদে তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। 

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পান। 

এরপর ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিনকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

 ২০১৩ সালে অধ্যাপক মীজানুর রহমানকে চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২১ বছরে গত ১৮ মার্চ উপাচার্য মীজানুর রহমান দ্বিতীয় দফার মেয়াদের পর পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। 

দ্বায়িত্বকালীন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ নভেম্বর তিনি মারা গেলে ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম চৌধুরী।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




সোনার ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর ও ২৭ অক্টোবর আরও দুই দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা হয়। এর মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে সোনার দাম।

সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার ১২ দিনের মাথায় এই ধাতুটির দাম আরও বেড়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৯৯ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৫ হাজার ১৯৪ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ শনিবার পর্যন্ত দেশের বাজারে এই দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

তারও আগে ২৭ অক্টোবর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ২ হাজার ৩৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার ১৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এখন সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫ হাজার নিহত ছাড়াও গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও এখনও অগণিত মরদেহ গাজার রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজায় এখনও অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ জনের বেশি। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু।

মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০৭ চিকিৎসাকর্মী, ৭০ সাংবাদিক ও ২৬ বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধারকারী দলের সদস্য রয়েছেন।

এ ছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো। আর এ পর্যন্ত ৮৮টি মসজিদ পুরাপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, আর আংশিক ধ্বংস হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ। অন্যদিকে তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চারদিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।

সোমবার ছিল চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিন হামাস ও ইসরায়েল সরকারের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।

 


আরও খবর



অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটিতে। গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে এই কয়েকদিনে। এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মারধরের শিকার ও ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই ১৭ দিনে সারা দেশে ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে ৯৪টি বাস, মাইক্রোবাস তিনটি, প্রাইভেটকার দুটি, মোটরসাইকেল আটটি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ড ভ্যান আটটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, পিকআপ দুটি, সিএনজি দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা একটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে দিনে পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে দেখা গেছে, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এ সময় দেশের সকল বিভাগে দুর্বৃত্তদের দেওয়া অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সময়ের বিবেচনা দিনের চেয়ে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩