Logo
শিরোনাম

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ঈদ পরবর্তী ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সোনালি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়ায় মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, আজ দুই-তিন মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই দাম ১০ টাকা কমলে ২০ টাকা বাড়ছে। গরমে দাম আরো বাড়তে পারে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে আলু ৪৫ টাকা আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা।


আরও খবর



র‌্যাংকিং এ শান্ত-লিটনের বিরাট অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

গত বুধবার শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। সে টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, আশিতা ফার্নান্ডো এবং বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) আইসিসি র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যাচ্ছেতাই ছিলেন লিটন কুমার দাস। নতুন বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ওয়ানডে দল থেকে সিরিজের মাঝপথেই বাদ পড়েন। তবে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। দলের প্রয়োজনে হাল ধরার চেয়ে অপ্রয়োজনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলের বিপদটাই বাড়ান লিটন।

টেস্ট সিরিজে একই অবস্থা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষেত্রেও। তবে ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। টেস্টে বাংলাদেশও ভুগেছে নিজেদের নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটারের অফফর্মের কারণে। প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে রেকর্ড হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে ১৯২ রানের ব্যবধানে।

এমন হারের পর আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে তাদের অবস্থান ৮ম স্থানে। এদিকে দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে ক্রিকেটারদের। যেখানে অবনমন দেখেছেন শান্ত এবং লিটন। আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে টেস্টে ৫ ধাপ নেমে ৬২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে লিটন এখন আছেন ২৯ নম্বরে। আর শান্ত ৮ ধাপ নেমে ৪৮৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন ৬১তম স্থানে।

এদিকে টেস্টে খারাপের জেরে ক্রিকেটারদের যেমন অবনমন হয়েছে তেমনি উন্নতিও হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। দ্বিতীয় টেস্টে ফিফটি করে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনধাপ উপরে উঠেছেন জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করা এই ব্যাটার তিন ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৭৫তম স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ রান করা মিরাজ ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে। আর চার ধাপ এগিয়ে ৪৬তম স্থানে উঠে এসেছেন মুমিনুল হক।

এদিকে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করেছেন দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ছয় উইকেট নিয়ে ৯৫তম অবস্থানে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেট পেয়েছেন হাসান। ওই টেস্টে ৩ উইকেট নেয়া আরেক পেসার খালেদ আহমেদ ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৩ নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, বোলিংয়ে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার খোলস ভেঙ্গে হঠাৎ করেই তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বিভাগের জনজীবন। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। সঙ্গে রোজাদার খেটে খাওয়া মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠলেও ভ্যাপসা গরমের কারণে দিনের বেলা লোকজন বাইরে তেমন বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকে জেলার ওপর দিয়ে মৃদ ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্টোকের ঝুঁকি থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, চলমান তাপ প্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখা, ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ প্রদান করা; প্রয়োজনে গাছের শাখাপ্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজি ক্ষেতে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ২ থেকে ৩টি সেচের ব্যবস্থা করা।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত গরমে মাঠে কৃষি কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। রোজায় তারা দিনে বেশি কাজ করতে পারছেন না।

শহরে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। বেচাকেনা জমে উঠলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে দুপুর ১২টা পর থেকে বিকেল পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলছি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলমান তাপ প্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর



মে মাসের শুরুতেই টানা বৃষ্টি নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। একাধিকবার জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। গা ঝলসানো এমন গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা জানার আগ্রহ মানুষের। গরমের এই তীব্রতার মধ্যেই আজ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও তার আগে আরও কয়েকদিন দাবদাহ ভোগান্তি পোহাতে হবে মানুষকে।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলমান তাপদাহ এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতেও থাকবে। ঢাকাসহ চলমান এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে মে মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের আকাশে মেঘের উপস্থিত বাড়বে। ২ মে থেকে পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হবে। এতে গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ২ মের পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী হতে পারে। টানা ২ থেকে ৩ দিন বা তার বেশিও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির ফলে সারাদেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।

চলমান তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ একটানা সবথেকে বেশিদিন স্থায়ী রয়েছে। গতবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়।

তিনি জানান, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল। আজ তা রেকর্ড ভেঙেছে এবং আরও কিছুদিন তা বজায় থাকবে। তাছাড়া এবারের তাপমাত্রা বলতে গেলে সারাদেশেই বিরাজ করছে, যা এর আগে দেখা যায়নি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



তীব্র দাবদাহ থেকে কবে মুক্তি মিলবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর

চলতি এপ্রিলে ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এরপর ঢাকা, খুলনা রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা বাড়ে এবং দুদিন তা অব্যাহত থাকে

এপ্রিল কক্সবাজার সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। আজ শুক্রবার ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভাঙে

১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা এর স্থায়িত্ব বাড়ছে

রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। সম্প্রতি আবহাওয়া অধিদফতরের প্রকাশিত 'বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন' প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা-দুটোই বাড়লেও এর মধ্যে দ্রুত বাড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা


আরও খবর