Logo
শিরোনাম

বর পছন্দ না হওয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে বাবাকে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

রংপুর প্রতিনিধি :

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় বর পছন্দ না হওয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তা বাবাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ফারজানা আখতার শাম্মি নামে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আহত অবস্থায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও আহতের স্বজনরা জানান, নৌবাহিনীতে কর্মরত রংপুর নগরীর তামফাট এলাকার এক ছেলের সঙ্গে তিন মাস আগে ফারজানার বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজন ছিল শুক্রবার। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিয়েতে ফারজানার সম্মতি জানতে চান কাজি। এ সময় বাবার সঙ্গে কথা বলে সম্মতি দেবেন বলে জানান ওই তরুণী। পরে বাবাকে একাকী একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে বাবা-মেয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে ফারজানা তার হাতে থাকা অ্যান্টিকাটার দিয়ে বাবার গলায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তার চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে আসেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারজানাকে আটক করে। পরে তাকেও পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসার পর শনিবার দুপুরে তাকে থানায় আনা হয়।

এদিকে, বিয়ে না হওয়ায় বর ও তাদের স্বজনরা বাড়িতে ফিরে যান। এ বিষয়ে বরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

ওসি বলেন, ‘ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই বাদী হয়ে ফারজানাসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। ওই তরুণী জানিয়েছেন, যে ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল তাকে তার পছন্দ হয়নি। এরপরও জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, শনিবার বিকালে ফারজানাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



আরও খবর



তিন মাস ধরে দুবাইয়ের হিমঘরে পরে আছে রাণীনগরের মিন্টুর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত্যু জামাল জোয়ারদারের ছেলে মিন্টু হোসেন। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে আর দশজনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার আসায় তিন বছর আগে দুবাই পারি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে হাসপাতালের হিম ঘরে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পরে রয়েছে মরদেহ। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে পারছেননা স্বজনরা। ফলে একদিকে স্বজন হারানোর শোক অন্যদিকে অর্থাভাবে মরদেহ আনতে পারার বেদনা পরিবারকে যেন ঘোর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মিন্টুর মামা আব্দুল মতিন জানান,মিন্টুর স্ত্রী-দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল। মাথাগোঁজার ঠাই ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই তার। শ্রমীকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো মিন্টু। এরই মধ্যে স্বপ্ন জাগে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল চলার। গত ২০২১সালে ধার-দেনা করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দুবাই যান মিন্টু। সেখানে যে কোম্পানীর ভিসায় গিয়েছিলেন সেই কোম্পানীতে কাজ না থাকায় অন্যত্র চলে যান মিন্টু। কিন্তু কোম্পানীর লোকজন পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় অবৈধ হয়ে পরেন। তার পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাসপোর্ট-ভিসা হাতে পাননি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও সুষ্ঠু বেতন পায়নি। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে দুবাইয়ের আজমানস্থ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ফেব্রæয়ারী মারা যান মিন্টু। এর পর মৃত্যুর খবর এপর্যন্ত পরিবারের লোকজন জানতে না পারলেও গত ১০মে এক স্বজনের মাধ্যমে মিন্টুর মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকে তার মরদেহ দেশে ফেরাতে নানা চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন। আব্দুল মতিন জানান, কোম্পানীর আওতায় থাকলে কোম্পানীর খরচে তার মরদেহ দেশে আসতো। কিন্তু অবৈধ থাকার কারনে নিজ খরচে মরদেহ দেশে আনতে হচ্ছে। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। যা পরিবারের পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। নগদ একাউন্ট নাম্বার- ০১৭৩৫ ১৯১৭৭৩(স্ত্রী),বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৮৩ ৮৪০৭৪৪(মামা)।


আরও খবর



গজারিয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন চিহ্নিত মাদক কারবারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল,জেলা প্রতিনিধি  মুন্সিগঞ্জ :

আসন্ন ০৮ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের কয়েকাংশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই যাত্রায় অনুষ্ঠিত হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনেশন তৎপরতা বেড়েছে স্থানীয় মাদক কারবারীদের। স্থানীয় সূত্র জানা যায় ক্ষমতায় যেতে মড়িয়া মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয়  চক্রটি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সরাসরি মাদক কারবারে সাথে জড়িত বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আতংক ২২ মামলার আসামি,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু। এই নির্বাচনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পেয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ও তার আশেপাশে এলাকায় তার পেশীশক্তির প্রভাবে চালান রমরমা মাদক ব্যবসা। নিজের আপন বড় ভাই বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান ও দুইবারের চেয়ারম্যান সেই সুবাদে তার এলাকায় মাদক কারবার ও পেশীশক্তির সংশ্লিষ্ট আধিপত্যতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।


মাদক কারবার জমি দখল চাঁদাবাজি করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে এই পরিবার বেছে নিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে। অভিযোগ রয়েছে নিজের আপন বড় ভাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে খরচ করেছেন মাদক কারবার হতে বাগিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা।

বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মন্টু মানেই একটি ভয়াভয় অংতকের নাম। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় তীব্রভাবে দাবী করে বেড়াচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যান্ডিডেট হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লবের নিজস্ব ব্যাক্তিগত প্রার্থী হিসেবে এবং তিনিই তাকে এই নির্বাচনে পাশ করিয়ে দিবেন এমন গুঞ্জন ও আংতক বিরাজ করছে স্থানীয় ভোটাদের মাঝে।  এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা ও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় এলাকায় এমন সংবাদ হারহামেশাই বলাবলি হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মন্টুর মাদক কারবার ও পেশীশক্তির মাধ্যমে আয় করা অর্থের ভাগ পান বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লব। তাই এই মর্মেই বোধহয় এমন পেশীশক্তি অধিপত্যেতা বজায় রেখেছেন তিনি। বারবার নানারকম অপকর্ম প্রশাসনের নাকের ডগায় করেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যান সদম্ভে।

এই প্রার্থী ছাড়াও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গজারিয়া উপজেলায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ডোনেশন (বিনিয়োগ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় একাধিক প্রার্থী পক্ষে। মাদক কারবারিদের নির্বাচনে লগ্নি করা অর্থ লুফে নিচ্ছেন একাধিক প্রার্থী বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাশ করলে করতে পারবেন নিরাপদ মাদক ব্যবসা।


এই তালিকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু শীর্ষে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে একাধিক প্রার্থীর পক্ষে।

এই তালিকায় মাদক কারবারী না হলেও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় খ্যাতি রয়েছে আরেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুনায়েত হোসেন মনির পেয়েছেন তালা প্রতীক।

মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে পরের অবস্থানে রয়েছে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এই নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি পেয়েছেন পদ্মফুল প্রতীক তিনিও মুন্সীগঞ্জ -০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লবের নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন জনসংযোগ কালে। তার একাধিক কোটিপতি মাদক কারবারি ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশীশক্তিশালীদের সাথে রয়েছে নানা সম্পর্ক।

এই তালিকায় তারপরের অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেসা উত্তরা ও আরেকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুসরাত বেগম মিতু তাদের নির্বাচনী প্রচরনা ও গনসংযোগ কালে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তারাও গুপ্তসন্ধি করেছেন এলাকাবেধে স্থানীয় মাদক কারবারিদের সাথে এমন খবর চাউর হয়েছে স্থানীয় ভোদের মাঝে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহাম্মেদ খান জিন্নাহ্ শিবিরেও ভয়ংকর মাদক কারবারিদের আঁতাত করা সর্ম্পক ও যোগসাজশ রয়েছে এবং এই সব মাদক কারবারিদের দেখা যায় তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরব উপস্থিতি হিসাবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ও আংতকিত গজারিয়া উপজেলাবাসী মাদক ব্যবসায়ী ও পেশীশক্তিশালীরা ক্ষমতায় গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করবে সারা গজারিয়া উপজেলা জুড়ে।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানতে পারি ভালো প্রার্থী না থাকায় সচেতন ভোটাররা ভোট বয়কট করবেন সেই হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার এই নির্বাচন স্মরনকালের সব থেকে কম ভোটার উপস্থিতি হবে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তর্কযুদ্ধের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


বিনোদন রিপোর্টঃ

মাসখানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং আগের মেয়াদের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণকে হারিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।

নির্বাচনে হারার পর মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। তবে মাস না পেরুতে পুরোনো রূপে ফিরেছেন তিনি। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। যা রীতিমতো হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ধরা দিয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার চেয়ার দখল নিয়ে লড়াই বন্ধ হবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করে সংগঠনটি আবারও নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি কারচুপির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির ফলাফল স্থগিত এবং নতুন নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি তারা।’


নিপুণ জানালেন, আরও আগেই রিট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা এবং জরুরি কাজে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিষয়টি শুধু রিটেই আটকে নেই। এরই মধ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নিপুণ। ডিপজলও যথা সময়ে উত্তর দিয়েছেন।

নিপুণ ডিপজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে—শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

শুধু কাজ করলেই হবে না, জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট। আমরা তাদের সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা সেই সম্মান রাখেনি। সম্মান রাখার যোগ্য তারা নয়। তাদের এখন আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।’


নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘সে তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।

আমরা ঝামেলা চাই না।’ দু’জনের এমন মন্তব্য নতুন বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রবিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।


আরও খবর



আলোচিত অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যাওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


 সরকারি চাকরিবিধি অমান্য করে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। 


গত ২৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। তার ভাই শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। 


গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ-১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন।



ব্যবস্থা নিতে এ–সংক্রান্ত চিঠি ১৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান। 


পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে বলা হয়, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান পোশাক পরে ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের নির্বাচন উপলক্ষে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য একজন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকালে সঙ্গে ছিলেন, যা পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।


সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি ১৯৭৯ লঙ্ঘন করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসি নির্দেশ দিয়েছে। 


এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ গৃহীত ব্যবস্থা ইসিকে অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।


আরও খবর