বৃষ্টি হলেই মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে শহরের ব্যবসায়ী, সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও বাসিন্দাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। বছরের পর বছর এ সড়কের বেহাল দশা হলেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে ক্লাবরোডের আব্দুল আজিজ মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের নাজেহাল দশা। অথচ এ সড়ক দিয়ে উপজেলার তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি নিষ্কাশনের নালা ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বাজার এলাকায় বার বার পুরাতন ইট তুলে নতুন ইট দিয়ে সলিং করা হয়। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে থাকে। এ কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অনেক সময় বৃষ্টির পানি তাদের দোকানে উঠে মালামাল নষ্ট হয়। এছাড়াও দোকানের সম্মুখে পানি জমে থাকার কারণে ক্রেতারা প্রবেশ করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক সময় যানবাহন উল্টে গিয়ে যাত্রীরা হন আহত।
এ সড়কে চলাচলকারী রিক্সাচালক আজমীল ইসলাম বলেন, সড়কের এ স্থানে রিকশা চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। একটু বৃষ্টিতেই সড়ক ডুবে যায়। রাস্তার কোন চিহ্ন দেখা যায় না। ফলে অনেক সময় যাত্রী নিয়ে চলাচলে অসুবিধার পাশাপাশি দূর্ঘটনায় পড়তে হয়।
স্থানীয় মা-মণি ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রিপন দাস বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে সড়কের এমন বাজে অবস্থা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি আটকে দোকানপাটে উঠে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের দুর্দশার আর সীমা থাকে না।
উজ্জ্বল গিফট কর্নারের স্বত্বাধিকারী আবুল ফজল বলেন, নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার রাখলে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিত না। ময়লা-আবর্জনায় নালা ভরে থাকে। পানি ঠিকমতো নামতে পারে না। আমাদের দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই। আমরা ব্যবসায়ীরা এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।
বাজারের চা বিক্রেতা বকুল দাস বলেন, সড়কে বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির সময় হেঁটে যাওয়ার কোন উপায় থাকে না।
পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনফর আলী বলেন, সড়কের এ অংশে চলাচলকারী জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি অচিরেই কাজ শুরু হবে।
কুলাউড়া সড়ক উপ-বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, জুড়ী চৌমুহনী থেকে কলেজ রোড পর্যন্ত যেসব জায়গায় পানি জমে থাকে এমন এক কিলোমিটার সড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের টেন্ডার হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।