Logo
শিরোনাম

ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন পরীমণি

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত বছরের শেষের দিকে ব্যবসায়ীর হিসেবে নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। নিজের পরিকল্পনায় তিনি শুরু করেছেন বুটিক ও বিউটি পারলার এবং রেস্টুরেন্টের ব্যবসা। এবার সেই পথে হাটতে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি।

অভিনেত্রীর পাশাপাশি এবার নতুন পরিচয়ে আসছেন তিনি। আসছে ঈদে একটি প্রসাধনীর পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন।

এ নিয়ে এক গণমাধ্যমকে পরীমণি বলেন, আসলে অনেক আগে থেকেই আমার ব্যবসা করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু কি কিসের বিজনেস শুরু করবো তাই ভাবছিলাম। অবশেষে অনেক ভেবে আর সবদিক বিবেচনা করে প্রসাধনীর পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছি।

হালের এই জনপ্রিয় নায়িকা আরও বলেন, এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলেই অনেকেই দেখি অনেক ব্যবসা করছে। সেগুলোর মাঝে মেয়েদের প্রসাধনীর পণ্যের ব্যবসা বেশ তুঙ্গে। অনেকেই বেশ ভালো পণ্য বিক্রি করছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটু কম দামে অনেকেই ব্যান্ডের পণ্য অনলাইন থেকে ক্রয় করছে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় তারা আসলে প্রতারিত হচ্ছে। কেননা ব্যান্ডের পণ্য বলে বিক্রি হচ্ছে ক্লোন পণ্য। যা আসলে আমাদের স্কিনের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আর তাই স্কিন ভালো রাখতে অরজিনাল ব্যান্ডের পণ্য নিয়ে বাজারে আসছি।


আরও খবর



রমজানে সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শুরু হচ্ছে রোজার মাস। এ সময় হুট করেই অভ্যস্ত রুটিন বদলে যাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ইফতারে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া, কম শারীরিক পরিশ্রম করার কারণেও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোজার সময় গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়ে। রোজা রেখে সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। 

১. সাহরিতে শাকসবজি, শর্করা যেমন পুরো শস্যের চাল বা পুরো গমের রুটি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মুরগির মাংস মুরগির মাংস খান। তবে সাহরি খাওয়া বাদ দেবেন না। কারণ ইফতার পর্যন্ত সারাদিনের জন্য শক্তি দেবে সাহরির সময় খাওয়া খাবার।

২. সাহরি ও ইফতারের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া খুব জরুরি। হাইড্রেটেড থাকতে উচ্চ পানিযুক্ত খাবার যেমন ঘরে তৈরি স্যুপ, শাকসবজি, ফল, শসা, লেটুস, টমেটো এবং তরমুজ খান। 

৩. ইফতারে শর্করা গ্রহণ সীমিত করুন। বিশেষ করে মিষ্টি খাবার এবং পানীয় যেমন কেক, মিষ্টি বা কোমল পানীয়। চিনি মেশানো ফলের রস খাওয়াও অনুচিত।

৪. চর্বিযুক্ত খাবার বিশেষ করে ভাজা খাবার যেমন সিঙ্গাড়া, পেঁয়াজু, পাকোড়া খাওয়া সীমিত করুন। লাল মাংসের পরিবর্তে সাদা মাংস বেছে নিন।

৫. লবণের পরিমাণ বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। 

৬. ধীরে ধীরে খান। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে তাড়াহুড়া করে অনেক খাবার খাবেন না। ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া গ্যাস্ট্রিক ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

৭. ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। 


আরও খবর



সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




চাল সংগ্রহে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেবে অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহের ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর। এ জন্য ব্যর্থ কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে। এর বাইরেও চাল সরবরাহে ব্যর্থ মিলারদের বিরুদ্ধে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে সাড়ে পাঁচ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে তিন লাখ ৮৭ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ৭১ হাজার ৯৬৫ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি), কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারের মজুতের বড় একটি অংশ আসে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান ও চাল কেনার মাধ্যমে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সেদ্ধ চাল কেনা শুরু হয়েছে, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।

প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা ও ধান ৩৩ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এছাড়া ৪৬ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে আতপ চাল।

তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তা কিনতে পারছে না।

চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে চুক্তি না করা এবং চুক্তি করে চাল সরবরাহ না করা মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তাদের কাছে এর আগেও চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




সবজির বাজারে স্বস্তি, চড়া দাম মাছ-মাংসের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা শুরুর দুই দিন আগে থেকেই আগুন লাগে নিত্যপণ্যের বাজারে। হাতেগোনা দু-একটি পণ্য ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম ছিল বাড়তি। এর মধ্যে রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলো দাম হয়ে যায় লাগামহীন। রোজার এক সপ্তাহ পর সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে মাছ-মাংসের বাজার চড়া। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে থেকে ধানমন্ডি’র কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ট্যানারি মোড়ের সবজি বিক্রেতা মো. কবরী হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। লেবুর দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম বলে জানান তিনি।

কবরী হোসেন বলেন, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ও টমেটোর কেজি যথাক্রমে ৩০ ও ২৫ টাকা। এছাড়া সব ধরনের সবজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আদা কেজি ১২০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। চিনি দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। তবে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের সংকট এখনো আছে।

সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম কমেনি মাছ-মাংসের। মুরগি কেজি প্রতি ব্রয়লার ২১০ টাকা, লেয়ার ৩৩০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা, দেশি ৬৬০ টাকা ও হাঁস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া আছে গরুর মাংসের বাজারও। রোজার শুরু থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজা শুরু আগে মাংসের কেজি ছিল ৭৫০ টাকা। রোজার শুরু থেকে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা ও ৫ লিটারের একটি বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা।

মাছের বাজার চড়া। এদিন মাঝারি আকারের রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, বড় কাতল ৪শ’ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২৫০ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩৩০ টাকা, তেলাপিয়া আড়াইশ’ টাকা ও শিং মাছ ৬০০-৬৫০’ টাকা, শোল মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৬৫০ থেকে টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকারভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছোটমাছ ৪০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা, গলদা ৭০০-৭৫০ টাকা’ এবং বাগদা ৮০০’ থেকে ৯০০’ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার করতে আসা চাকরিজীবী সোহেল বলেন, ‘আমরা যারা ভালো বেতনের চাকরি করি বর্তমান নিত্যপণের যে বাজার তা সামান্য সমস্যা হলেও আমাদের চলে যাচ্ছে, যা সহনীয়। তবে যারা নিম্নআয়ের মানুষ তারা এমন বাজার দরেও অস্তিত্বে আছেন।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকাকে মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় অটোফেজি বলে। ২০১৬ সালে জাপানের ডাক্তার ওশিনরি ওসুমি এটি আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এবং এরপরে থেকে বিশ্বের বহু মানুষ অটোফেজি করতে শুরু করেন।

Autophagy কি?

আমাদের শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় একে অটোফেজি বলা হয়।

একটু সহজভাবে বলি- আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। যেখানে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ জমা হয়। আমাদের খাদ্যাভাস এবং লাইফ স্টাইলের জন্য শরীরের কোষ থেকে ওই বর্জগুলো সাধারণত পরিস্কার করা হয় না। ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতন অনেক বড় বড় রোগের

শুরু হয় ওই কোষের ডাস্টবিন থেকে।

আমরা যখন রোজা রাখি বা খালি পেটে থাকি, তখন শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে ডাস্টবিনে মুখ দেয়। অর্থাৎ বর্জগুলো খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের শরীর অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে রেহাই পায়। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাপানের বিজ্ঞানী ওশিনরি ওসুমি আবিষ্কার করেন- একজন মানুষ বছরে অন্তত একমাস রোজা রাখলে বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে নিম্নলিখিত উপকারগুলো হয়-

১| দেহের সেল বা কোষ পরিস্কার হয়।

২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।

৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।

৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে।

৫| শরীর নিজেই নিজেকে মেরামত করে, (Autophazy)

৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৭| বার্ধক্য দেরিতে আসে।

৮| স্থূলতা দূর হয়।

৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।


আরও খবর