Logo
শিরোনাম

ছাত্রলীগের স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেবেন বলেও জানায় আয়োজকরা। শুক্রবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ লাখ নেতাকর্মী জমায়েত করতে চায় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনবে। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা বার্তা দিতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতার আদর্শে বলিয়ান থাকবো। একই সঙ্গে খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার কোনও জায়গা ছাত্রসমাজে নেই। শেখ হাসিনার প্রতি এ দেশের সব শিক্ষার্থীর যে ভালোবাসা রয়েছে, গভীর ভাবাবেগ রয়েছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে আমরা এই সমাবেশ করবো।

তিনি আরও বলেন, এটি ছাত্রলীগের সমাবেশে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর একটি প্রতীকী ছাত্র সমাবেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে এই তরুণদের শক্তির ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লবে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আজকের ছাত্রসমাজ আপসহীন জায়গায় রয়েছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, সমাবেশে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত যতজন আসবে, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি আসবে; যারা কোনও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শুধু শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি গভীর দরদ অনুভব করে, জাতির পিতার সন্তান হিসেবে এ দেশের সুনাগরিক হওয়ার জন্য এই ছাত্র সমাবেশে শামিল হবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও নৌকার কোনও বিকল্প নেই এই প্রশ্নে ছাত্রসমাজ, তরুণ সমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। এই ছাত্রসমাবেশ থেকে সারা বিশ্বে আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবারের সমাবেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা উন্মুক্তভাবে শপথ নিতে চাই, দেশবিরোধী যেকোনও অপশক্তির অপতৎপরতাকে রুখে দিতে এ দেশের তরুণরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

সারা দেশের শিক্ষার্থীরা, তরুণ সমাজ আজ এক সুরে, এক নামে ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে ইনান বলেন, উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প তাদের সামনে নেই। আজ তরুণ সমাজ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা এ দেশের লাখো কোটি মানুষের দিন বদলে দিয়েছেন।

আইন শৃঙ্খলার সার্বিক দিক ইতোমধ্যেই ঝালিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। সমাবেশ থেকে দেশ-বিরোধী সকল শক্তি রুখে দেবার প্রত্যয় জানাবে ছাত্র সমাজ। সমাবেশে ৫ লাখ নেতাকর্মীর জমায়েতের আশা ছাত্রলীগের।


আরও খবর



১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

৩২ বছর ধরে চলমান রেয়াত সুবিধা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর মাত্র ১০ দিন পরই বেড়ে যাবে রেল এর ভাড়া।

আগামী ৪ মের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়া। ওই দিনের আসন বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরইমধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

১৫টি প্রধান রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।


আরও খবর



ট্রেন দুর্ঘটনায় ইমেজ সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ট্রেন দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভুল সিগন্যালে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং এর জেরে টানা কয়েক দিন ধরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে রীতিমতো ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নিরাপদ বাহন হিসেবে রেলের সুনাম মুছতে শুরু করেছে। হারানো এই ইমেজ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল দুপুরে রেলভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি রেলসচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বারবার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন রেলমন্ত্রী। ট্রেন চলে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিস্টেমের (সিআইবিএস) ভিত্তিতে। কিন্তু অনেক স্টেশন এখনো চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এসব স্টেশনকে দ্রুতই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আনার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সূত্র আরও জানায়, নির্মাণকাজ চলাকালে অনেক স্থানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এমন স্থানেই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার খবর এসেছে। পয়েন্টসম্যান ও স্টেশনমাস্টারের ভুলে এমনটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব স্থানে দ্রুত তদারকি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী জানান, বৈঠক হয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে। সেখানে নিরাপদ বাহন হিসাবে ট্রেনের ইমেজ ধরে রাখতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, প্রচলিত আইনকানুন অনুসারে ট্রেন পরিচালনার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয় গতকালের বৈঠকে। টিএলআর তথা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের দায়বদ্ধতা কম। অনেক ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে অপারেশনাল কাজ চালাতে হয়। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি যেমন রয়েছে, তেমনি অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্র্মচারীও বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কর্মরত। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোয় জোর দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে এমন নির্মাণাধীন রেলপথে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার ও জয়দেবপুরে সিগন্যালের ভুলে ট্রেন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসে রেল। এর পর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশনে মৈত্রী ও ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্যে দুর্ঘটনার যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতেও ছিল প্রায় একই রকম ভুল। রেলকর্মীদের এমন ভুলের খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনায় হতাহত এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় রেল থেকে যাত্রীরা যেন মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তেমন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, নন-ইন্টারলকিং বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালনায় চলে পেপার লাইন ক্লিয়ার বা পিএলসি। একটি চলন্ত ট্রেন সামনের স্টেশন অতিক্রম করবে কিনা, অথবা ট্রেনটিকে ক্রসিংয়ের জন্য কোথায় থামতে হবে, অথবা ট্রেনটির অনির্ধারিত স্টপেজ কোন স্টেশনে দেওয়া হয়েছে- এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা একটি কাগজে লেখেন স্টেশনমাস্টার। এরপর ওই কাগজটি নিয়ে স্টেশনের রেললাইনের পাশে উঁচু করে ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন স্টেশনমাস্টার। চলন্ত ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় ইঞ্জিনে থাকা লোকোমাস্টার নেন সেটি। সেখান থেকে সামনের স্টেশন সম্পর্কে ধারণা মেলে। আর পয়েন্ট তৈরির কাজটি করেন পয়েন্টসম্যান। তাদের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এখানে বড় সমস্যা জনবল সংকট। ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। সহকারী স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যানসহ অপারেশনাল কাজে নিয়োজিতরা প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারেননি। দক্ষতা অর্জনের অভাবে ভুল করছেন কর্মক্ষেত্রে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে- অনেকে অবসরে চলে যাওয়ার পর প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করছেন। তাদের জবাবদিহিতা ওই অর্থে রেলের কাছে নেই। পুরনো সংকেত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে দক্ষ নয়, নতুন নিয়োগ পাওয়া জনবল। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারের সরবরাহ করা পয়েন্টসম্যান রেলের বিশেষায়িত কাজ জানে না। এসব কারণে ভুল হচ্ছে।

দেশে মোট যাত্রীর ৮ শতাংশ রেলের। অথচ স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এ হার ছিল ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে মোট পণ্য পরিবহনে রেলের অবদান ২৮ থেকে নেমে এসেছে ১৬ শতাংশে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় ছিল ৫৬১ কোটি টাকা। যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন করে এই আয় করেছে রেল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ১৭৮৩ কোটি টাকা। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সময়মতো ট্রেন চালনা রেলের অন্যতম কাজ। এ কাজে গুরুত্ব কম। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আসা-যাওয়ায় বিলম্বের ঘটনা বেড়েছে। যাত্রাবিলম্ব ঘটে নানা কারণে। ইঞ্জিন ফেইলিওর, রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি, কোচের ত্রুটি, চালকের দুর্বলতাসহ নানা কারণ রেলসেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।


আরও খবর



গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসম্বলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৭১- বিধিতে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের উত্থাপন করা নোটিসের জবাবে লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি।

নোটিসে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এখানে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যদি গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হয়, তাহলে এসব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান তিনি।

লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অধীনে নর্দান রুটে গাবতলী পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বর্তমান অবস্থান থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ১২ দশমিক ৮০ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন অস্থায়ী টার্মিনালটি ৬ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের। সেই সঙ্গে ২৬০টি গাড়ি রাখার জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসম্বলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে গাবতলী বাস টার্মিনালকে সিটি বাস টার্মিনালে রূপান্তর করা হবে এবং হেমায়েতপুরে আধুনিক আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।


আরও খবর



গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ২০২৩ সালে সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সেই সময়ে এক কেজিও গম সংগৃহীত হয়নি। ফলে গমের বাজার এখন প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম এখনও চড়া রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিকে বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।


জানা গেছে, বর্তমানে দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৮৫-৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতি বছর গম উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গম আমদানি হচ্ছে ৭৪-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের উৎপাদন দিয়ে বড় জোড় ১০ শতাংশ চাহিদা মিটছে।
সূত্র জানায়, দেশে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি বছর একটু একটু করে গমের উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গমের সরকারি মজুদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে গত বছর (২০২৩ সাল) সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ অভিযানে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার মূল্য অধিকাংশ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা প্রতি কেজি গমের দাম ছিল ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং খোলা আটার দাম ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। চলতি বছরের (২০২৪ সাল) গত মার্চে এর দাম ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪২ টাকা ৮৯ পয়সা।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত গমের আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) বছরের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২২ সালের মার্চে। ওই সময় প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য ছিল- ইউএসএ লাল নরম ৪২৫ ডলার, ইউক্রেনের গম ৪৩৮ ডলার, রাশিয়ার গম ৪১০ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ৪০৮ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ৩৯৩ ডলার। ওই সময়ে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গম ও খোলা আটার দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।


বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চের হিসাবে) প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য হচ্ছে- ইউএসএ লাল নরম ২৩২ ডলার, ইউক্রেনের গম ১৯৭ ডলার, রাশিয়ার গম ২০৪ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ২২২ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ২৫০ ডলার। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক কম হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার দাম ২০২২ সালের তুলনায় বেশি।


জানা যায়, স্বাধীনতার আগে দেশে গম উৎপাদিত হতো ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। স্বাধীনতার পর এক দশকে বেড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন হয়। গত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনে রেকর্ড হয়, ওই সময় গম উৎপাদিত হয়েছিল ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এরপর আর গমে উৎপাদন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



প্রতিটি মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে কাজ করছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে আমার বাড়ি, আমার খামার, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

 

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।


আরও খবর