Logo
শিরোনাম

চলতি মাসে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ৩৯৬ প্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ইতোমধ্যে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত ৩০ দিনেই ডেঙ্গুতে ৩৯৬ জনের মৃত্যু এবং ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন। ফেব্রুয়ারীতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মৃত্যু তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এপ্রিলে দুইজনের মৃত্যু এবং ১৪৩ আক্রান্ত হয়েছেন। মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন আক্রান্ত এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এই পাঁচ মাসে ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ২২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া জুলাইয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু এবং ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আগস্টে ৩৪২ জনের মৃত্যু এবং ৭১ হাজার ৯৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন। মারা গেছেন ৯৮৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৬৩৯ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ৩৫০ জন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ জুন মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাস থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




বকশীগঞ্জে নৌকা প্রত্যাশী নুর মোহাম্মদের শোডাউন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুর মোহাম্মদের সমর্থনে শোডাউন করেছে শ্রমিক-চালকরা। এ আসনে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি নুর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে এই শোডাউন করেন তারা।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর ব্রীজ থেকে শোডাউন বের করেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক,অটোরিক্সা চালক,অটো ভ্যানচালক ও হোটেল শ্রমিকরা। প্রায় ৫ শতাধিক অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলের বহরটি বকশীগঞ্জ বাজার হয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার প্রদক্ষিণ করে। এর আগে তারা দেওয়ানগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে শোডাউন ও মিছিল করেন। শোডাউন থেকে নৌকা মার্কা ও নুর মোহাম্মদের সমর্থনে নানা স্লোগান দেয়া হয়। শোডাউনের সময় সড়কের দুই পাশ থেকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ হাততালি দিয়ে তাদের সমর্থন জানান। 

শোডাউনে আসা অটোভ্যান চালক দুলাল মিয়া,খলিলুর রহমান,নওশেদ আলী,নুর মোহাম্মদ কৃষকের সন্তান। তিনি আমাদের মত গরীব অসহায় মানুষের দু:খ বুঝেন। বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন। তাই এবার আমরা তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। 

ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রবিন,ওয়াজকুরুনি,হাফিজুর বলেন,জননেতা নুর মোহাম্মদ এমপি মন্ত্রী না হয়েও অনেকদিন ধরে গরীব মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের চাওয়া গরীব অসহায়ের  বন্ধু নুর মোহাম্মদে নৌকা মার্কা দেয়া হোক। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি।

হোটেল শ্রমিক রহমান,হিরা মিয়া,কামাল হোসেন বলেন, প্রতিটি ঈদে নুর মোহাম্মদ তাদের খোঁজ খবর নেন। বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগীতা করেন। তার কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরেন না। আমাদের মত গরীব খেটে খাওয়া মানুষরা এবার এক হয়ে নুর মোহাম্মদের পক্ষে মাঠে নেমেছি। নুর মোহাম্মদ নৌকা পেলে আমরা কাজ কর্ম বাদ দিয়ে তার নির্বাচনে কাজ করবো। 

একাত্মতা ঘোষনা করে শোডাউনে অন্যান্যের মধ্যে যোগ দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান লাল,ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া,ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম ও কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক আরিফুজ্জামানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। 

জানা যায়,জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন নূর মোহাম্মদ। তিনি গত প্রায় ৩০ বছর যাবত সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন এলাকায়। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনে বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে মাঠে কাজ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নুর মোহাম্মদ। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে সভা,সমাবেশ,শোডাউন,পথসভা,উঠান বৈঠক করছেন নিয়মিত।


আরও খবর



মিথ্যা মামলা করে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই আসামি হলেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলায় ৩ জন যুবক কে ফাঁসানোর অভিযোগে মাবিয়া বেগম (৪৮) নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে ঐ নারীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

মাবিয়া বেগম নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চাপাডাল গ্রামের আসাদুল হাকিম এর স্ত্রী। তার পক্ষে জামিন শুনানী করেন এ্যাডভোকেট শুভ্র সাহা। জামিনের বিরোধিতা করেন, রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলী এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন।

একই দিন একই আদালতে যৌন পীড়নের আরেক মিথ্যা মামলায় ৪ জন যুবক কে ফাঁসানোর অভিযোগে নিগার সুলতানা ওরফে নাইচ (২৭) নামে অপর আরেক নারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার। নিগার সুলতানা নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ এর মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার চাপাডাল গ্রামের গৃহবধূ মাবিয়া বেগম একই গ্রামের তহিদুল তুহিন সহ ৩ জন যুবক এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ মামলায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। তদন্ত শেষে ঘটনাটির সত্যতা নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। 

ঐ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করেন মাবিয়া বেগম। এরপর ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে বলে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে এ মামলায় ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত ১০ আগস্ট অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত। 

এরপর ১ অক্টোবর মিথ্যা মামলায় শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আদালত। আজ ঐ মামলায় জামিনের প্রার্থনা করে আদালতে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে মাবিয়া বেগমের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।

অপরদিকে, ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শেরপুর গ্রামের নিগার সুলতানা একই গ্রামের সোহেল রানা সহ ৪ জন যুবকের বিরুদ্ধে যৌনপীড়নের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ মামলায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্ত শেষে ঘটনাটির সত্যতা নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। ঐ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করেন নিগার সুলতানা। এরপর ঘটনাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করে আদালত। পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করে আদালত। এরপর আজ মিথ্যা মামলায় শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় নিগার সুলতানা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী শেরপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হক এর ছেলে সোহেল রানা।

এ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন বিজ্ঞ আদালত। আগামী ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলী এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় মাবিয়া বেগম নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যৌন পীড়নের আরেক মিথ্যা মামলায় নিগার সুলতানা নামে আরেক নারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সাধারন জনগন আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই যেকোনো মামলা গ্রহণের আগে অবশ্যই আইনজীবী ও পুলিশদের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সকলের যৌথ প্রচেষ্টা থাকলে সাধারণ মানুষদের মিথ্যা মামলায় আর হয়রানি হতে হবে না।


আরও খবর



হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৪ সালে হজ পালন করতে যারা যাবেন, তাদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে। নিবন্ধনের সময় আছে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দশ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনো এক হাজার নিবন্ধনকারী হজযাত্রী পাওয়া যায়নি। ফলে এবারও বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। হজযাত্রীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নিবন্ধন শেষ হলে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। তবে শেষ সময়ে নিবন্ধন বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের মতো আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬০৭ জন। এর মধ্যে সরকারিতে ২২৩ এবং বেসরকারিতে ৩৮৪ জন। আগামী বছর হজে যেতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। অর্থাৎ গত ৯ দিনে এক হাজার হজযাত্রীও নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি। নিবন্ধনের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। এ হিসেবে বাকি ১৭ দিনে বাংলাদেশের কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার আমাদের সময়কে বলেন, হজযাত্রীরা শেষ সময়ে এসে নিবন্ধন করেন। আগামী হজের জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য কার্যক্রম আগেই শুরু করা হয়েছে। সৌদি আরব আমাদের হজযাত্রীর সংখ্যা চেয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যেই। এ কারণে নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে। আমার পরামর্শ, হজযাত্রীরা যেন দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে তারা যেন অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করেন।

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।

সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কমেছে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী বছর বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।

হাব জানিয়েছে, হজযাত্রীকে কোরবানি বাবদ আনুমানিক ৮০০ সৌদি রিয়াল নিতে হবে এবং কোরবানি নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করতে হবে। সৌদি আরবে ৩০ থেকে ৪৮ দিন অবস্থান করতে পারবেন। মদিনায় অবস্থান করতে পারবেন পাঁচ থেকে আট দিন।

হজযাত্রীদের নিবন্ধন আশানুরূপ না হওয়া প্রসঙ্গে সিটি নিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ান খান বোরহান আমাদের সময়কে বলেন, যারা ২৯ হাজার টাকা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন, তাদের এখন নিবন্ধন করার জন্য পুরো টাকা দিতে হবে। সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করে বাকি টাকা কেউ কেউ এক, দুই বা তিন ধাপে পরিশোধ করতে পারবেন। শেষ সময়ে এসে আমাদের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের হিড়িক পড়বে। আমি মনে করি, সময় থাকতে আগেই নিবন্ধন সম্পন্ন করা উচিত। আশা করছি বাকি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোটা পূর্ণ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর নয় দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। এর মধ্যেও কোটা পূরণ হয়নি, ৬ হাজার ৭০৭ জন বাকি ছিল। তবে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিয়ে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা খালি থাকে। নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে হজের ব্যয় বেশি বলে ধারণা করা হয়েছিল।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছর ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা

শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩




ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা' ৫ দিনেও আটক হয়নি জড়ীতরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাস্টার জাহিদুর রহমান জাহিদ এর উপর হেলমেট বাহিনীর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত হেলমেট বাহিনী দুর্বৃত্তদের আটক করতে না পারার কারণে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত সহ গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ।

গত ৩ মাসের মধ্যেই নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হেলমেট পড়ে বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তিদের উপর দূর্বৃত্তদের আক্রমণের এই রকম একাধিক ঘটনায় রাণীনগরবাসী বর্তমানে হেলমেট বাহিনীর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। চেয়ারম্যান জাহিদ পারইল গ্রামের তছির উদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি আদমদীঘি আইপিজে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা বিষয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত।  


ঘটনার দিন হামলা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তরিকুল ইসলাম জানান, গত রবিবার ১২ নভেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় ইউপি কার্যালয়ে বসে চেয়ারম্যান কাজ করছিলেন। এসময় প্রথমে আনুমানিক প্রায় ৫০ বছর বয়সের একজন মাস্ক পরা লোক প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের সাথে কথা আছে বলে আমাকে বের করে দেয়। এরপরই ৩০-৩৫ বছর বয়সের আরো একজন যুবক হেলমেট ও মাস্ক পরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যান এর কার্যালয় প্রবেশ করেই চেয়ারম্যানকে আঘাত করতে শুরু করেন। এসময় পরিষদ চত্বরে আরো ৩/৪ জন হেলমেট ও মাস্ক পরা যুবকরা সেবা প্রত্যাশী ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের ধারালো অস্ত্র উচিয়ে ধাওয়া করতে থাকে আমাকেও অস্ত্র হাতে ধাওয়া করলে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই। চেয়ারম্যান জাহিদ আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে পরিষদের গেটের বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরাও দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যেই ৫-৬ জন দুর্বৃত্তরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। ঐ হামলায় চেয়ারম্যানের ডান হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হয়। পরে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাতেই তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ইউনিয়ন পরিষদ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় না থাকায় এবং দুর্বৃত্তরা মুখোশ ও হেলমেট পড়ে থাকার জন্য তাদেরকে চেনা সম্ভব হয়নি।  

ইউনিয়নের নারী সদস্য মোছাঃ নাসিমা আক্তার জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো পরিষদে এসে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করেই চিৎকার চেচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখেন ৫/৬ জন হেলমেট ও মাস্ক পরা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র হাতে চেয়ারম্যানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করছে। এসময় উপস্থিত সেবাপ্রত্যাশী ও কর্মচারীরা দিকবিদিক দৌড়ে পালানোর জন্য চেষ্টা করেন। এটা দেখে ভয়ে তিনি সচিবের কক্ষে আবারও ঢুকে পরেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। ঘটনার সময় একমাত্র তিনি ছাড়া অন্য ১১জন ইউপি সদস্যদের মধ্যে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।  

ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (দফাদার) গোলাপ চন্দ্র জানান, ঘটনার সময় তিনি পরিষদের বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যাস্ত ছিলেন। তবে লোকজনের বিভিন্ন দিক ছোটাছুটি দেখে তিনি পরিষদের কার্যালয়ের দিকে দৌড়ে আসতেই দুর্বৃত্তরা তাকেও আক্রমন করার চেষ্টা করে। উপায় না দেখে তিনি ভয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এসময় দূর্বৃত্তরা অস্ত্র উঁচিয়ে চলে যায়। 

পারিবারিক সূত্রে জানা জানা যায় যে মাস্টার জাহিদুর রহমান জাহিদ পারইল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি তার নিজ ওয়ার্ডে একাধিকবার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিকভাবে বা অন্য কারো সাথে দ্বন্দ্ব নেই জানিয়ে জাহিদের পরিবার থেকে বলা হয় বিএনপির রাজনীতি করার কারণে হয়তোবা এমন হামলা হতে পারে।

চেয়ারম্যান জাহিদ এর স্ত্রী মোসাঃ শ্যামলী আক্তার মুঠোফোনে জানান, জাহিদের কোন শত্রু নেই বললেই চলে। সে সাদা মাটা জীবন-যাপন করে। কিন্তু কি কারণে কে বা কারা এমন নির্মম কাজটি করলো তা ভাবনার বাহিরে। দুর্বৃত্তরা জাহিদের পিঠ, কোমর এবং উরুতে প্রায় ৯টি স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর আঘাত করেছে। এতে ডান হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে জাহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। পরিবারে তেমন কোন ব্যক্তি না থাকায় থানায় অভিযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। জাহিদ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেই সুষ্ঠ বিচার ও জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ বলেন, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় জোরালো পদক্ষেপও গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে হামলাকারীদের সনাক্ত করন সহ আটক করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



নোয়াখালীতে স্কুলের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর। 

সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।  এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে। 

ফাতেমা  নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।

অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন,  এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র  ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি। 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।


আরও খবর

স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩