Logo
শিরোনাম

ঢাকায় এআর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকায় এলেন ভারতের প্রখ্যাত সুরকার ও গায়ক এআর রহমান। উপলক্ষ্য ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ কনসার্ট, এতে পারফর্ম করবেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বিশেষ গান পরিবেশন করবেন ভারতের বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ। আগামীকাল (মঙ্গলবার) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। তার একদিন আগেই ঢাকার মাটিতে পা রাখলেন এআর রহমান।

দুপুরেই হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন ভারতীয় এই সঙ্গীত শিল্পী।

বাংলাদেশ এআর রহমানের আসার কথা ছিল ২০২০ সালেই। কিন্তু করোনার প্রকোপে এতদিন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

করোনার প্রকোপ কমে আসায় এবার সেই কনসার্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ইতোমধ্যে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। আজ ও ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে টিকিট পাওয়া যাবে।

রোববার রাতে কনসার্টের টিকিট মূল্য প্রকাশ করে বিসিবি। টিকিট মূল্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা আর সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা।

বিসিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিন ক্যাটাগরির টিকিট বিক্রি হবে। প্রিমিয়াম গোল্ডের টিকিট মূল্য ১০ হাজার, গোল্ড ৫ হাজার ও ব্রোঞ্জ ১ হাজার টাকা।

এআর রহমান ছাড়াও এ কনসার্টে গাইবেন বাংলাদেশি শিল্পী মমতাজ বেগম ও জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য কনসার্টে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

কনসার্টটি সরাসরি কোনো চ্যানেলে দেখাবে কিনা, সে বিষয়টি চূড়ান্ত করেনি বিসিবি ও সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।

প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত

বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে।

শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।

অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।

এর মধ্যে আছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট নয়)।

এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়), বলছিলেন অস্টিন। আমি প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো

তিনি জানান, আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।

তবে এবারের যে সহায়তা প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।

অস্টিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪




পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভূক্তির নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে গতিশীলতার মাধ্যমে সার্বিক অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন। ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ডিএসইর দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির। কিন্তু নানা প্রচেষ্টার পরও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসই'র চেয়ারম্যান ড. হাসান বাবু বলেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে গতি আসবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে, যা পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে এবং দেশের অথনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজার আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও গতিশীলতা আনতে সরকারের বিশেষ গুরুত্ব প্রতীয়মান হয়েছে। এজন্য তিনি সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী উল্লেখ করে ড. হাসান বাবু বলেন, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো পুঁজিবাজার। তাই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের পুঁজিবাজার সরকারকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

ডিএসই'র চেয়ারম্যান আরো বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিবাজারকে অধিকতর গতিশীল করতে প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত সকল ধরণের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী এবং তৈরী পোশাক খাতের গ্রীন ফ্যাক্টরীগুলো পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশ দেন। ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়িয়ে দেশের শেয়ারবাজারকে আরো শক্তিশালী করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগকে দায়িত্ব দেন। এজন্য সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সরকারি সংস্থা ও সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।


আরও খবর



নেশাগ্রস্ত স্বামীর কাছ থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক :

নেশাগ্রস্ত ও বিকৃত স্বভাবের স্বামীর কাছ থেকে রেহাই পেতে গতকাল (১৭ এপ্রিল বুধবার) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রিয়ন্তী সাহা নামে ১৯ বছর বয়সের এক তরুণী। অত্যাচারিত মেয়েটি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চায়। কিন্তু হিন্দু আইনে ডিভোর্স নেই। পরে “শ্বশুরবাড়িতে হামলা করার সময় চার বোতল ফেনসিডিলসহ” মেয়েটির স্বামী দীপকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আচ্ছা বলুন দেখি, দীপ “ফেনসিডিলসহ শশুরবাড়িতে হামলা”র ঘটনাটি না ঘটালে আর কোন আইনে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারত? হিন্দু আইনে প্রিয়ন্তী সাহা প্রতিকার পাবে কিভাবে? প্রকৃত আইনে প্রতিকারের সুযোগ না থাকলে বিকৃত পন্থায় কিভাবে কি করতে হয় সে বিষয়ে আমাদের দেশের মানুষ সিদ্ধহস্ত। সবকিছুতেই বিকৃত পন্থার অনুশীলন!

শুরুতেই ঝরে গেছে মেয়েটির মধুময় দাম্পত্য জীবনের সকল সম্ভাবনা। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী মাত্র এক মাস আগে গরীবের মেয়ে প্রিয়ন্তীর বিয়ে হয়েছিল এক কোটিপতির নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপের সাথে। বিয়ের প্রথম রাত থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। অভিযোগ অনুযায়ী, দীপ তাকে জোর করে নেশা করাতো; এমনকি স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গোপন মুহুর্তগুলো ফিল্মিং করে ফেসবুকে দিত। 

মেয়েটি ঐ স্বামীর সাথে সংসার করতে রাজি নয়। ছেলের কাকাও নেশাগ্রস্ত দীপের দুরাচারের কথা স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত এই তথ্যগুলি মিডিয়ায় এসেছে। এরপর দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব যখন দীর্ঘায়িত হবে, তখন হয়তো ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েটির চরিত্রের দোষ ছড়ানো হবে। এসব নিয়ে সমাজে খোশগল্প হবে। কিন্তু এর স্থায়ী আইনগত সমাধান এবং এধরনের অবস্থার শিকার হওয়া মেয়েদের সুস্থ্য স্বাভাবিক দাম্পত্য ভবিষ্যৎ তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভাববে না! 

আমরা যখন হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ ও মেয়েদের পুনঃবিবাহের আইন চাচ্ছি তখন আমাদের দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত তথাকথিত প্রগতিশীল কিছু হিন্দু বলছে “হিন্দু বিয়ে জন্মজন্মান্তরের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।” হিন্দু বিয়ে ভাঙা সম্ভব নয়। মেয়েদের পুনরায় বিয়ে হতে পারে না। বাটপারদের এসব কথা বাস্তবসন্মত নয়, প্রিয়ন্তী ও দীপের ঘটনা তার প্রমাণ। এরকম প্রমাণ অসংখ্য। 

প্রিয়ন্তী নামক ১৯ বছরের এই মেয়েটির জন্য বাকি জীবন একাকি কাটানো কতটা ভাল এবং নিরাপদ? বর্তমান স্বামীর সাথে বৈধভাবে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে তাকে অন্য কোনো ভাল যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ দিলে কি অধর্ম হবে? অথচ বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনরায় বিবাহের বিধান নেই। ভারতের হিন্দু আইনে আছে; হিন্দু শাস্ত্রেও বিধান আছে। 

বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ না থাকা সত্ত্বেও এখন আইনকে পাশ কাটিয়ে বহু দম্পত্তি অবৈধপন্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে। অবৈধভাবে মেয়েদের নতুন করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। জীবনের বাস্তবতায় যে বিষয়ের চাহিদা আছে বা অনিবার্যতা আছে, তাকে শুধু আইনগতভাবে বাঁধা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। 

হিন্দু বাটপাররা অবৈধ বিবাহ বিচ্ছেদ, মেয়েদের অবৈধভাবে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া, অবৈধভাবে দাম্পত্য সম্পর্ক করা, অবৈধভাবে সন্তান উৎপাদন এবং সেই অবৈধ সন্তানের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি সব জিইয়ে রাখতে চায়। সব অবৈধকর্ম মানবে, কিন্তু বৈধ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইন প্রণয়ন মানবে না। ইংরেজদের ভগবান হিসেবে বিশ্বাস করে হিংরেজদের রেখে যাওয়া আইন মানবে! 

হিন্দুদের বড় বড় সংগঠন আছে। অথচ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ ছাড়া হিন্দুদের কোনো সংগঠনের দাবিনামায় প্রিয়ন্তীর মতো বিড়ম্বিত জীবনের মেয়েদের মুক্তির জন্য বা নারী অধিকারের পক্ষে একটিও দাবি নেই। সবচেয়ে বড় বাটপার সেইসব হিন্দু, যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত ও প্রগতিশীল দাবি করে; ইসলামী মৌলবাদের বিপক্ষে কথা বলে অথচ হিন্দু সমাজের সমস্যাগুলোর বিষয়ে নিরব থাকে। শুধু নিরব নয়, এরা কেউ প্রকাশ্যে, কেউ নিরবে এবং কেউ কেউ ইনিয়েবিনিয়ে ”হিন্দু বিয়ে জন্মজন্মান্তরের বন্ধন” গল্পই চালিয়ে যাচ্ছে। 

মন্ত্র পরে নাকি নারী ও পুরুষের দুই আত্মা এক করে দেয়া যায়! দুই আত্মার বন্ধন হলেও সেটা আবার পুরুষের জন্য নয়। পুরুষ বিয়ে করে এক বউকে ঘরে পৌঁছে দিয়েই চাইলে এক ঘন্টার মধ্যে আবার আরেকটি বিয়ের জন্য দৌড় দিতে পারে। এক পিঁড়িতে বসেই একাধিক মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। আরও বহু নারীর সঙ্গে “জন্মজন্মান্তরের বন্ধন” তৈরি করতে পারে। সবগুলো বিবাহবন্ধনে শুধু নারী আটকাবে, পুরুষ মুক্ত। হিন্দু আইনে পুরুষের জন্য যতখুশি বিয়ে করতে বাধা নেই। বিয়ে ছাড়াও যত্রতত্র গমণে পুরুষের বাধা নেই; কারণ পুরুষের জন্য “সতীত্ব” নয়। 

হিন্দু পুরুষের বহুবিবাহের সুযোগ বন্ধ করার কথা বললে জন্মজন্মান্তরের বন্ধনবাদী দাদারা হৈ হৈ করে বাধা দিতে আসে। বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের দাবি জানালেও প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীল শয়তনরা আপত্তি করে। আমরা বহুবার শাস্ত্রবিধি দেখিয়ে বলেছি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনরায় বিয়ে দেয়া সনাতন ধর্মে বৈধ। শাস্ত্রগ্রন্থে এর সুস্পষ্ট বিধান আছে; পৌরাণিক আমলে বিবাহ বিচ্ছেদের নজিরও আছে। একজনেরও সামর্থ্য হয়নি শাস্ত্র দেখিয়ে আমাদের দাবি ভুল প্রমাণ করার। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক কায়েমি স্বার্থ ও হীনমন্যতার ঊর্দ্ধে তারা উঠবে না। 

এরা গরু-বাছুর ও পণ্যসামগ্রির মতো মেয়েকে দান করার পক্ষে। শুধু দান নয়, এর নাম আবার “সম্প্রদান”! অর্থাৎ কোনও প্রকার শর্ত ছাড়া, সম্পূর্ণভাবে স্বত্ত্ব ত্যাগ করে ধর্মার্থে কন্যাদান। মেয়ে নাকি দানের বস্তু! দানের মধ্য দিয়ে মেয়ের উপর বাবার আর কোনও স্বত্ব থাকবে না; কন্যা দান করে বাবা পুণ্য অর্জন করবে। বাবার গোত্রেও মেয়েটির আর পরিচয় থাকবে না। একদম গোত্রান্তর! 

অনেকবার বলেছি, তোমরা একটি প্র্যাকটিক্যাল দৃষ্টান্ত আমাকে দেখাও যেখানে, বিয়ের মন্ত্রের মাধ্যমে মেয়েটির গোত্র বদলে গেছে। মেয়েটির শরীরে আর বাবা-মায়ের ডিএনএ নেই –পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে বিয়ের পর মেয়েটির সঙ্গে তার স্বামীর অথবা তার শশুর- শাশুড়ির ডিএনএ মিলছে। একজনও ডিএনএ টেস্ট করে পরীক্ষা দিতে রাজি নয়। মেয়েকে দান করেছ, তার সাথে তোমার আর সম্পর্ক নেই! দান করে মেয়েকে কি পর করে দেয়া যায়? তুমি কি বিয়ে দেয়ার পর তোমার মেয়েকে ভিন্ন সম্পর্কে বউদি ডাকতে পারবে? তাহলে গোত্রান্তর কি আসলে মিথ্যা নয়? তোমার মেয়ের গোত্রান্তর হবে কেন বন্ধু? 

শাস্ত্রে কন্যাদানের বিধান আছে, আমরা তা অস্বীকার করছি না। যজ্ঞের পুরোহিতকে স্বালঙ্করা কন্যা দান করলে পুণ্য বেশি হয়। শাস্ত্রে তাই বলা আছে। কিন্তু উপযুক্ত ছেলের কাছে বিয়ে না দিয়ে পুরোহিতকে কন্যাদান করতে কেউ রাজি হয় না। শাস্ত্রে শিশু কন্যাদানকে আরও বেশি মহিমান্বিত করা হয়েছে। আট বছর বয়সী কন্যাদানে পুণ্য অনেক বেশি। অষ্টম বর্ষীয় কন্যার বুড়ো স্বামী মারা গেলে সেই বাচ্চা মেয়েটাকে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারলে আরও বেশি পুণ্য অর্জন করা যায়। শাস্ত্রে এসব আছে। কিন্তু সরকার আইন করে সতীদাহ ও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে। ভারতে পুরুষের বহুবিবহাও নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন কন্যাদানের মতো অসভ্যতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করার সময় এসেছে। মানুষকে উন্নত হতে হবে, আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের সমান্তরালে চলতে জানতে হবে। 

আমি বহুবার শাস্ত্র দেখিয়ে বলেছি, কন্যাদান ছাড়াও বিয়ের বিধান আছে। শাস্ত্রে আট প্রকার বিয়ের বিধান আছে। প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর পারস্পরিক পছন্দে ও সন্মতিতে বিয়ের স্বীকৃতি শাস্ত্রে আছে। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বিশেষ একটি শাস্ত্রের নির্দিষ্ট কোনো বিধান অনুসরণ করার বাধ্যবাদকতা নেই। 

সনাতন ধর্মে উদ্ভট প্রাচীন কিছু প্রথার নজির যেমন আছে তেমনি প্রথার বাইরে গিয়ে উন্নত হওয়ার তাগিদও আছে। সনাতন ধর্ম প্রগতিশীল। পরিবর্তন ও যুগধর্ম অনুসরণ সনাতন শাস্ত্রে অনুমোদিত। যারা সনাতন শাস্ত্রকে প্রতিক্রিয়াশীলতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করতে চায় এবং হিন্দু নারীদের দাসীর মতো ব্যবহার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই এবং জয় আমাদের প্রাপ্য।


আরও খবর

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা

রবিবার ১২ মে ২০২৪




পর্দা উঠছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

প্রতি বছর ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের কান উৎসব ২০২৪-এর ৭৭তম আসরের পর্দা উঠছে আজ মঙ্গলবার। শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব এটি।

ফ্রান্সের পালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে জমকালো আয়োজনে বসবে এই আসর। এ উপলক্ষে কান শহরে জড়ো হচ্ছেন বিশ্বের বড় বড় চলচ্চিত্র তারকারা।

প্রতি বছরই বাছাই করা বেশ কিছু চলচ্চিত্র দেখানো হয় এই উৎসবে। এবারের তালিকায় কিছু ভারতীয় সিনেমাও রয়েছে। প্রদর্শিত হবে পায়েল কাপাডিয়ার অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট ও শ্যাম বেনেগালের মন্থন

এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা। সেই সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইটসিনেমার কথা। মুম্বাইয়ের একজন নার্সের জীবনের ওপর র্নিমিত হয়েছে সিনেমাটি।


আরও খবর



কৃষ্ণচূড়ার বনে ‘আগুন জ্বেলেছেন’ রুনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,বিনোদন ডেক্স থেকে:

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান মাঝেমধ্যেই নিজেকে মোহনীয় রূপে উপস্থাপন করে থাকেন। সম্প্রতি তারই ধারাবাহকতায় তিনি নিজেকে রাঙালেন কৃষ্ণচূড়ার রঙে। 

রুনা খান মঙ্গলবার (১৪মে) তার ফেসবুক পেজে বেশকিছু ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ’কৃষ্ণচূড়ার বনে বনে আগুন লেগেছে।’ রুনার পোস্ট দেখে তার রূপের প্রশংসায় ভাসছেন নেটিজেনরা।

অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু অভিব্যক্ত প্রকাশ করে লিখেছেন, ’আগুন লেগে গেছে সবার মনে মনে। অনেক অনেক সুন্দর লাগছে রুনা আপু।’

সাইদা আফরিন আলী নামে এক ভক্ত বলেন, ’তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি, সেকি মোর অপরাধ"! এক গুচ্ছ টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়ার ভালোবাসা - শুধু তোমার জন্য।’ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাল জামদানিতে কানের পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুল গুঁজে দিয়ে চমৎকার হাসিতে আকাশের দিয়ে চেয়ে আছেন রুনা খান।  

এছাড়া কপালে ছোট লাল টিপ আর খোলা চুলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।রুনা ‘অসময়’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 


আরও খবর