Logo
শিরোনাম

ঢাকায় অননুমোদিত ও অবৈধ ভবন ভাঙা অভিযান থেমে গেছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

অননুমোদিত ও অবৈধ ভবন ভাঙা অভিযান থেমে গেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওততাধীন এলাকায়। শুধু রাজউক নয়, সিটি করপোরেশনেরও এ ধরনের কোনো তৎপরতা এখন আর চোখে পড়ছে না। এমনকি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ নদতীরের অবৈধ দখল করা জমি উদ্ধারের তৎপরতাও নেই। মাঝখানে কিছু দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছিল রাজউক ও সিটি করপোরেশন। এখন এরই সুযোগে প্রতিদিনই রাজধানীতে উঠে যাচ্ছে নতুন নতুন অননুমোদিত স্থাপনা ।

ঢাকা মহানগরী ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা শহরগুলোর অন্যতম। এক শ’ বছর আগের বাংলাদেশ অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে গেছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরেকটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার সময় হয়ে গেছে। এক শ’ বছর আগে ঢাকা ছিল ছোট একটি শহর। সিলেটে অথবা সিলেটের আশপাশের বড় ভূমিকম্পের আঁচড় ঢাকাতেও লেগেছিল। তখন তেমন বড় স্থাপনা না থাকায় ঢাকায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে কোনো কোনো ভবনে ফাটলও দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী। কিন্তু এখন ঢাকার আশপাশে ৭ অথবা এর চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে ধারণাতীত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে পুরান ঢাকায়। কারণ পুরান ঢাকার অনেক ভবন ১০০ বছরের বেশি পুরনো। এ ছাড়া নকশা অনুমোদন ছাড়া কেবল রাজমিস্ত্রি দিয়ে তৈরি করা অনেক

ভবনও ঢাকায় রয়েছে সেখানে। এসব ভবন বড় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারবে না, ভেঙে পড়বে। ফলে জানমালের প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। সে কারণে পুরনো, জরাজীর্ণ ও রাজউকের অনুমোদনহীন দুর্বল ভবনগুলো ভূমিকম্প হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলা উচিত।

এ ব্যাপারে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন সরকারও রাজউকের উদ্দেশে একটি প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার অননুমোদিত ও জরাজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে রাজউক সবাইকে নতুন নকশা করে দিতে পারে। অন্য দিকে ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে; যেন এসব বাড়িঘরের মালিকরা পুরনো, জরাজীর্ণ ও অনুমোদনহীন বাড়িগুলো ভেঙে যেন নতুন করে মজবুত বাড়ি নির্মাণ করতে পারে।

প্রকৌশলী আজহার আলী বলেন, ‘নতুন নকশা দিয়ে বাড়ি করলে দুর্ঘটনা যেমন এড়ানো সম্ভব আবার ভবনের নান্দনিকতাও বৃদ্ধি পাবে। পুরান ঢাকায় ছোট একটি প্লটের মালিক বেশ কয়েকজন। তারা কয়েকটি প্লট একত্রিত করে যেন নতুন বাড়ির নকশা নেন সে জন্য রাজউক বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে। ব্যাংক ঋণ দিলে ব্যাংকে পড়ে থাকা অলস অর্থ কাজে লাগবে তেমনি অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারও হবে।

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকাকে নতুন করে গড়ে তুলতে রাজউক কিছু উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন বাড়ির মালিকদের সহায়তা করলেও পুরনো, জরাজীর্ণ ভবন ছেড়ে তারা নতুন ভবন তৈরিতে উৎসাহী হতে পারেন। এটা করলে পুরান ঢাকা আবারো বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এবং ভূমিকম্পের দুর্ঘটনাসহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে সেখানকার মানুষ।

রাজউকের কর্মকর্তারাই বলছেন, ঢাকা মহানগরীর যত্রতত্র অননুমোদিত ভবন যথাযথভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ম মেনে না করায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারবে না। ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে অনেক বেশি। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারীর মতে, অপরিকল্পিত ভবনগুলো ভূমিকম্পে ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে; কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করে ভবন করা হলে সেগুলো ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা সম্ভব। আবার পুরনো কিন্তু ঐতিহ্যবাহী অনেক ভবন ঢাকায় রয়েছে। সেগুলো না ভেঙে ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করেও শক্ত ও মজবুত করে গড়ে তোলা যাবে। সে জন্য রাজউক ও সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।

এ ছাড়া ঢাকার অনেক ভবনে নিচের অংশে কোনো ঝামেলা না থাকলেও হঠাৎ করে উপরের দিক থেকে ভবনের চার পাশ বাড়িয়ে ফ্লোর স্পেস বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র পল্টনের কালভার্ট রোডে এ ধরনের ভবন দেখতে পাওয়া যাবে। আবার গুলশান-বনানীতে এমন অনেক ভবন গড়ে উঠেছে যা পুরোপুরি অবৈধ। রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই তা গড়ে উঠেছে। গুলশান-১-এর গোলচত্বরের লাগোয়া সুপার মার্কেটটি এমন ধরনের আরেকটি ভবনের উদাহরণ। এটা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক এমন ভবন রয়েছে যেখানে ছয় তলার অনুমোদন নিয়ে ১০ তলা করা হয়েছে। এমন অনেক ভবন রয়েছে যেগুলোর নকশা অনুমোদনে সামনে-পেছনে কোনো বারান্দা ছিলনা; কিন্তু পরে নির্মাণের সময় দ্বিতীয় তলা থেকেই বারান্দা গড়ে তোলা হয়েছে। ভবনের উপরের দিকে এমনভাবে বারান্দা তৈরি করা হয়েছে যার পুরোটাই রাস্তার উপর। উপরের তলায় বলে চলাচলরত যানবাহনের কোনো সমস্যা হয় না; কিন্তু নিচের তলা নকশা অনুযায়ীই করা হয়েছে।

রাজউকের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছেই রয়েছে ১০ হাজারের মতো অবৈধ ভবনের তালিকা। প্রায় এক যুগ আগে এ তালিকা করা হলেও তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

 


আরও খবর



মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে: এবি পার্টি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

 


ডিজিটাল ডেস্ক:


‘মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে’ বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন দলের নেতারা। 


অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, আমদানি-রফতানির নামে ডলার পাচার ও উচ্চ-দ্রব্যমূল্যে জনগণের চরম ভোগান্তির প্রতিবাদে এই মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে এবি পার্টি। 



এতে বক্তব্য রাখেন—দলের আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও পার্টির অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। 


মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে সরকার দলীয় লোকজন ও কিছু আমলা। 


প্রকৃতভাবে এখন দেশে রিজার্ভের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে। যদিও সরকার বলছে, এর পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ রয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার।’ 



সোলায়মান চৌধুরী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না, অথচ প্রতিবেশী একটি দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে অবৈধভাবে কাজ করছে। দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। 


ব্যাংকগুলো জবর দখল করে দলীয় লোকজনের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। রিজার্ভ আজ শূন্য হতে চলেছে। দেশ আজ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার চোরাবালিতে আটকে গেছে।’ 


এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব ও দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।  


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রবিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।


আরও খবর



সাহিত্য রচনার পাশাপাশি ব নার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন,রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙগালীকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্বকবি পতিসর কাচারী বাড়ির আঙ্গিনায় বসে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জমিদার হয়েও সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করতেন। কবি সকল গুনের অধিকারী ছিলেন। তৎকালীন সমাজের বৈষম্য ও কুসংষ্কার ‍দূর করে স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছিলেন। নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনা থেকেই সেই কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কবি সকল ব নার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম  জন্মোৎসব

অনুষ্ঠানে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে এসব কথা বলেছেন তিনি। 

প্রতি বছরের মত এবারো সংষ্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বুধবার বিকেলে কবির নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনার কবীর কাচারি বাড়ী দেবেন্দ্র মে  এই আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক ড. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া নওগাঁ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম খাঁন, কৃষি অর্থনীতি গবেষক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন আলোচনায় অংশনেন।  আলোচকরা  বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন।

  এদিন বিকেল সোয়া চারটায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেনন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রহানী সুলতান, নওগাঁ- ৬ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক সুমন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সি তা বিশ্বাস,জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা।

আলোচনা সভা শেষে দেবেন্দ্র মে  সাংষ্কৃতিক, কবীতা আবৃতি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



মার্কিন ভিসানীতির পরোয়া করে না আ.লীগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে। আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেই না। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।

বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।

বিএনপির নেতারা এখন বলছে গরম কমলে আন্দোলন করবে। এভাবে তো ১৫ বছর পার হয়ে গেল, আর কত সময় নেবে বিএনপি। প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।

মেট্রোরেলের ভ্যাটের বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ বাস্তব সম্মত না, যৌক্তিক না। দুনিয়ায় কোথাও এত ভ্যাট নাই। তবে ৫ শতাংশ ভ্যাটের নজির আছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। এই কথাগুলো নেত্রীকে (শেখ হাসিনাকে) বলেছি। তিনি যৌক্তিক ভ্যাট আরোপের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইনঃ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।




আরও খবর