Logo
শিরোনাম

দল গোছানোর কাজে গতি আনছে আ.লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

আগামী ডিসেম্বরে হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে মেয়াদোর্ত্তীণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই সারাদেশে সাংগঠনিক সফরে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে।

ভারপ্রাপ্ত আর নিষ্ক্রীয় নেতাদের দিয়ে চলছে সংগঠনগুলো। মহানগরের ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ, যুবলীগের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৮ বছর আগে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্যক্রম স্থাগিত, যুবমহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই, সংগঠনের নেতারা শুধু মাত্র দিবসকেন্দ্রিক কিছু অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ। তাই এখন কাজ চলছে সংগঠন গোছানো কাজে নতুন গতি আনার চেষ্টা।

সর্বশেষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মহানগরের নেতাদের বর্ধিত সভা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা মহানগরের সম্মেলনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেন মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এখন প্রতিদিনই মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কোনো না কোনো ওয়ার্ড ও থানায় সম্মেলন করছেন। নভেম্বরের মধ্যে সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু দলটির সহযোগী সংগঠনের বিষয়ে কারও কোনো উদ্যোগ নেই। সময়মতো কমিটি না হওয়ায় এসব সংগঠনে পদপ্রত্যাশীরা অনেক নেতাই দলীয় পরিচয় দিতে পারছে না। দলে থেকেও পদের পরিচয় না থাকায় হতাশ সংগঠনগুলোর নেতারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে মহানগর ছাত্রলীগের উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে দুই বছর মেয়াদী সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরই। কিন্তু এখনো সম্মেলনের কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিন পদে থাকায় নানান বির্তকিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। মাঝে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতির মো. ইব্রাহিম হোসেনকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদককে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছেন। যদিও তারা এখনো স্ব-পদে রয়েছেন।

এদিকে মহানগরের যুবলীগের অবস্থা এখন বেশ নাজুক। কেন্দ্রীয় নেতারাও ‘বিতর্কে জর্জরিত’ ঢাকা মহানগরে নজর দিচ্ছেন না। পুরনো কমিটি দিয়ে মহানগর চালাচ্ছে যুবলীগ। শুধু তাই নয়, বর্তমান কমিটির দুটি শীর্ষ চার পদের তিনটি চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। ২০১৩ সালে মিল্কী হত্যার পর পলাতক থাকেন ওয়াহিদুল ইসলাম আরিফ। পরে দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান এইচএম রেজাউল করিম রেজা। ক্যাসিনোকাণ্ডে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতার হলে মাইনউদ্দিন রানাকে দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল কেন্দ্রীয় যুবলীগে পদ পাওয়ার পরে জাকির হোসেন বাবুল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। এদিকে সম্মেলন না হওয়ায় মহানগরের যুবলীগের পদপ্রত্যাশীরা প্রায় আশা ছেড়ে বসে আছেন। অনেকে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির কথাও ভাবছেন।।

জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পরপরই ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আর মহানগরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে না পারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি স্থগিত করা হয়। গত জুলাই মাসের ২৮ তারিখে সকল কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড, থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। মহানগরের ওয়ার্ড, থানা কমিটি বিলুপ্ত করায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে নেতাকর্মীদের মনে তেমন তোড়জোড় নেই। যতিও গত শুক্রবার রাতে নগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় দপ্তরে। তবে এখনো মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ববিষয়ক কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই নেতৃত্বে শূন্যই বলা চলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের আড়াই মাস পার হয়ে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনটি। সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে ‘বিতর্কিত’ তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টসের কর্ণধার দোলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ‘বহুল বিতর্কিত’ আবদুল জলিলের নাম ঘোষণা করায় সংগঠনে ও সংগঠনের বাইরে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত ২২ মে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কমিটির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও বলেছিলেন।

মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দিনই ২০১৭ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমিটি গঠন হয়। কেন্দ্রের ওই কমিটির মতোই এখানেও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি চলছে। দিবসভিত্তিক কার্যক্রম ছাড়া এই সংগঠনের মহানগর শাখার তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। মহিলা আওয়ামী লীগের মতোই ২০১৭ সালে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগরের কমিটি হয়। এরপর আর মহানগরে সম্মেলনের কথা ভাবেনি সংগঠনটি। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অর্থাৎ ২০০২ সালের পর শীর্ষ দুই পদে নাজমা আক্তার এবং অপু উকিল ছাড়া আর কেউ আসেননি। ২০২০ সালে পাপিয়াকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে সংগঠনটি। এমন অবস্থায় সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সম্মেলনের কথা ভাবলেও মহানগরের বিষয়ে তাদের তেমন কোনো ভাবনা নেই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘ঢাকা শহরে এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত ও শক্তিশালী। নগরের উত্তরে ইউনিট কমিটি শেষ করে থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো করা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ওয়ার্ড এবং থানা কমিটি শেষ হবে। সহযোগী সংগঠনগুলোকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি। আওয়ামী লীগের মতো করে অনতিবিলম্বে সব সহযোগী সংগঠনের ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানা কমিটিগুলো করে ফেলার জন্য জোরেশোরে কাজ চলছে। আশা করি তারা সময় মতো কমিটিগুলো করতে পারবে।


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



আল-আকসায় ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার। তবে অন্যান্য সব দেশে ঈদ উৎসবে পরিণত হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেটি অবাস্তব। ঈদের রাতেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। স্বজনদের দাফনের মাধ্যমে গাজায় কাটছে ঈদ। ঈদের নামাজে আল আকসা মসজিদে সমবেত হন হাজার হাজার মুসলিম।

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিশু। ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকা গাজার বাসিন্দা আবুবকর বলেন, 'এবার ঈদ হবে আমাদের আরও প্রিয়জনকে কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে।' খবর আল জাজিরার ও মাকতুব মিডিয়ার।

আবুবকর বলেন, 'অপুষ্টির কারণে আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও বেশি যুদ্ধে আহত হচ্ছে। প্রতিদিন আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে।পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বাড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় আঘাত করা হচ্ছে। রাফায় স্থল আক্রমণ করা হতে পারে এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

মধ্য গাজার ফিলিস্তিনি যুবক জানান, এবারের ঈদের কোনো মানে নেই। তার কথায়, 'এটা শুধু দুঃখের। এটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিষাদময়। আমরা উদযাপন করতে পারি এমন কিছু নেই।'

এরপরও আবুবকররা আশা দেখছেন যে, এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অবসান হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের বার্ষিক শুভেচ্ছায় গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের উপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে যে গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। সেখানকার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের।

তিনি জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কি.মি. দীর্ঘ যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। এ ছাড়াও সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে।

এদিকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এক দেড় সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা নিয়েছি মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র কোনো গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এখন তার বাস্তবায়ন করছি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আমাদের হাইওয়ে পুলিশ তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স আছে। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করতেছি, যেখানেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজকে ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকদের একটি বড় চাপ আছে, এ কারণেই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কোথাও গাড়ি থেমে নেই, চলছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলছে, কোথাও থেমে নেই।


আরও খবর



ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

এদিকে কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা চড়া।

কেরানীগঞ্জের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি। আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের আগের দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ নেই, উল্টো বাড়তে পারে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।


আরও খবর