Logo
শিরোনাম

দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার রায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ৮ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই দিন আদালত নওগাঁ সদর উপজেলার এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে আরো ১ জনকে ১৪ বছরের জেল রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। এসময় ২ জনকেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা ২ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ দু' মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫০) ও নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে আসামী তার শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ জুন ১৩ জনে সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার প্রবেশ দ্বারে আসামী সুমন জোর করে সিএনজি যোগে নাবালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ তাকে ১৪ বছরের জেল দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বলেন, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে বুঝা যায় দেশে এখনো ন্যায়বিচার আছে। আইনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে। আগামীতে এই ধরণের কেউ কোন ঘটনা ঘটানোর পূর্বে চিন্তা-ভাবনা করবেন, তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে কিনা।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

ঈদ শব্দটি আরবি। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

এ বছর ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ভিন্ন। টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আছে নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, সঙ্গে আছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তীব্র মানবিক সংকটে অনাহার-দুর্ভিক্ষও এখন আর দূরের কিছু নয়। এই অবস্থার ভেতরেই ফিলিস্তিনে এসেছে ঈদ। আর সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণও করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এমনকি ফিলিস্তিনিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুরু উপলক্ষ্যে আনন্দ উদযাপনে রাস্তায়ও নেমে আসেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনিরা তাকবীর পাঠ করে এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এবারের ঈদ গাজা উপত্যকায় এমন এক সময়ে এসেছে যখন ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি ব্যাপক অবরোধের পাশাপাশি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হামাস। ঈদুল ফিতরের আগে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হামাস গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের শক্তি এবং অবিচলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

মূলত কয়েকদিন আগেই গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ করেছে এবং সেই আগ্রাসন এখনও চলছে।

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই দলটি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরে, জেরুজালেমে, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত শিবিরে থাকা মানুষ গাজায় আমাদের এবং আমাদের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে আমরা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করছি।

হামাস আরও বলেছে, আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষ্যে আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে সবার প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে হামাস।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠসংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল কিশোরগ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান কোরবান আলী। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত হন তিনি। তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

এদিকে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ রাখা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার ওই চিকিৎসকের ছেলে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভারতে শুরু হয়ে গেল ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ৪৭ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

প্রথম দফায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফার ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ।

৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। একইসঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

এছাড়াও ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ভোটারের সংখ্যা ২১ কোটি। সবমিলিয়ে নির্বাচনকে উৎসবে পরিণত করতে প্রস্তুত দেশটির সাধারণ জনগণ। ১০ লাখ ৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইভিএমের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভারতের জনগণ।

ভারতজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যশানাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রদেশিক দলও।

এদিকে, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশ সিআইএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, আকাশপথে এবং ড্রোনের সাহায্যেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



গরমে হাঁসফাঁস, হাসপাতালে রোগীর চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ দিন ধরে ভর্তি আছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটির কবীর হোসেন (৪২)। বেড পাননি, ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। একটু দূরে একটা ফ্যান থাকলেও বাতাস আসে না। তাই হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম।

কবীর হোসেনের মস্তিষ্কে পানি জমেছে। তাসলিমা বলেন, আমার স্বামী গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বাতাসের অভাবে হাঁসফাঁস করছেন।

তাপপ্রবাহ চলছে। তীব্র গরমে কাহিল মানুষ-প্রাণী। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এসি)। সরকারি হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নির্দিষ্ট কয়েকটি বিভাগে থাকলেও ওয়ার্ডগুলোতে নেই। আলো-বাতাস প্রবাহের সমস্যাও রয়েছে। ফ্যানই একমাত্র ভরসা। সেগুলোও চলে না ঠিকঠাক।

সরেজমিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গতকাল এমনটাই দেখা গেছে।

আলো ও বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নেই : ২৬শ বেডের হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল চিকিৎসা দিচ্ছে দ্বিগুণের বেশি রোগী। বেড না পাওয়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে বারান্দা, মেঝে এবং সিঁড়িতে। বাইরের আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা নেই। সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থাও নেই।

বুকে আঘাত নিয়ে ২১ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন ১৯ বছরের সজীব। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাথার ওপর ফ্যান থাকলেও তীব্র গরমে অস্থির সজীব।

তার দাদা আতিকুর রহমান বলেন, ফ্যান থেকে লাভ কী? ঘোরেই না। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্যান কিনে আনতে হয়েছে। প্রতিটি বেডে সব রোগীরই একই অবস্থা।

সুস্থরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন : ঢাকা মেডিক্যালের কেবিনেও এসি নেই। নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকে আরও অসুস্থ পড়ছেন।

পিত্তথলির অস্ত্রোপচারের জন্য পাঁচদিন ধরে সি-৫৮ নম্বর কেবিনে আছেন উত্তম কুমার (৫৫)। তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর ডায়াবেটিস আছে। এখানে আসার পর আরও বেড়েছে। কেবিনে ঠিকমতো আলো-বাতাস ঢোকে না। ফ্যান ঠিকমতো চলে না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় রাতে।

চরম বিপাকে বেড না পাওয়া রোগীরা : যারা বেড পাননি তারা চরম সংকটে রয়েছেন। বিশেষ করে সিঁড়ি ও বারান্দার রোগীদের থাকতে হচ্ছে প্রচ- গরমে।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) বেড পাননি, সিঁড়িতে থাকছেন। তার বোন সেলিনা বলেন, এই গরমে ভাইয়ের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত রবিবার ভর্তি হয়েছেন মনি বেগম (৪০)। প্রথম দিন বারান্দায়, পরে ওয়ার্ডের মেঝেতে জায়গা পেয়েছেন।

গতকাল দেখা যায়, ওয়ার্ডটি ১৮ শয্যার হলেও চিকিৎসা নিচ্ছেন দ্বিগুণ রোগী। মনির স্বামী জাহাঙ্গীর বলেন, রোগীদের গাদাগাদিতে খুবই করুণ অবস্থা। চিকিৎসা নিতে এসে এখন অসুস্থ হয়ে পড়ার অবস্থা।

বাইরে থেকে আনা ফ্যানে বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা : হাসপাতাল দুটি ঘুরে দেখা গেছে, ৯০ ভাগ রোগী বাইরে থেকে আনা ফ্যান ব্যবহার করছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারে সংযোগ দিয়ে ফ্যান চালাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের করিডোরে অনেক রোগী আছেন। নিয়ম অনুসারে সেখানে ফ্যান লাগাতে পারি না। রোগীরা ফ্যান নিয়ে এসে চালাচ্ছেন, যা থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সঠিক লাইন থেকে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কেন্দ্রীয় শীতাতপের ঝুঁকি হাসপাতালজুড়ে : ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বিশেষ কিছু বিভাগ কেন্দ্রীয় শীতাতপের আওতায় এসেছে। কিন্তু পুরো হাসপাতালে এটা সম্ভব নয়। পুরনো হওয়ায় যে লোড হবে তা নিতে পারবে না হাসপাতাল। এ জন্য তিন হাজার চিকিৎসক থাকলেও অনেকের কক্ষেই এসির ব্যবস্থা নেই। ইতোমধ্যে এ হাসপাতাল অনেকটা ঝুঁকিতে রয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান বলেন, পুরো হাসপাতাল কেন্দ্রীয় শীতাতপের আওতায় আনতে গেলে অনেক পরিকল্পনা করতে হবে। এটি আমাদের কাজ নয়। মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা ভাবতে পারে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর