Logo
শিরোনাম

এবার কানাডার ৪১ কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলল ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলেছে ভারত। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এসব কানাডিয়ান কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে হবে। মূলত কানাডার খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামনে আসার পর উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে।

আর এর মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে বলা হলো। সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪১ জন কূটনীতিককে অবশ্যই প্রত্যাবাসন করতে হবে বলে কানাডাকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার ফিনান্সিয়াল টাইমস এই তথ্য সামনে এনেছে।

গত জুন মাসে কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এবং কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের ভূমিকা ছিল বলে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ সামনে আনার পর ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক গুরুতরভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

নিহত নিজ্জার নয়াদিল্লির চোখে সন্ত্রাসী হলেও তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

এই পরিস্থিতিতে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলেছে ভারত। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ১০ অক্টোবরের পর থেকে যাওয়া কূটনীতিকদের কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা বা নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছে ভারত।

সংবাদপত্রটি বলেছে, ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে এবং ভারত বলেছে- কানাডিয়ান কূটনীতিকদের মোট এই সংখ্যা থেকে ৪১ জন কমানো উচিত।

অবশ্য এ বিষয়ে ভারতীয় এবং কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর এর আগে বলেছিলেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য সহিংসতার পরিবেশ এবং ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ রয়েছে। এছাড়া উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি নয়াদিল্লিকে হতাশ করেছে বলেও সেসময় জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেসময় পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে। হাউস অব কমন্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে হত্যার পেছনে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাসযোগ্য কারণ রয়েছে।

ভারত অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এছাড়া ভারত ২০২০ সালে নিজ্জারকে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করে এবং নিজ্জারকে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর আনা অভিযোগটিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি।

এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে ট্রুডোর এই অভিযোগ সামনে আসার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয় দেশ একে অপরের একজন করে কূটনীতিককে বহিষ্কার করে এবং পরে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করে ভারত।


আরও খবর



অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা আর কেউ বাধা দিতে পারবে না।

১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বিজয় সরণিতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। কাজেই আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতার এ ভাস্কর্য শুধু একটা ভাস্কর্যই নয়; বরং এটা একটা ইতিহাস, আমাদের দেশকে জানার ইতিহাস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে মর্যাদা পেয়েছি, তা ধরে রেখেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকের দিনের শিশুরা আগামী দিনের সৈনিক, তারাই স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু কিশোরদের কাছে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, 'পারবে না তোমরা?'

তিনি বলেন, দেশের ৯৮ শতংশ শিশু এখন স্কুলে যেতে পারে। গ্রামপর্যায়ে সেভাবে স্কুল করে দিচ্ছি, বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি যেন কেউ বাদ না যায়। দরিদ্র মা-দের মোবাইল ফোনে সরাসরি বৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছি। এভাবেই কিন্তু আমরা উদ্বুদ্ধ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাই বড় সম্পদ, যা কেউ ছিনিয়ে নিতে বা চুরি করতে পারবে না। সেই শিক্ষা থাকলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে।

তিনি বলেন, পাশে জাতীয় সংসদ এবং এই এলাকা দিয়ে যেহেতু আন্তর্জাতিক ও দেশের অনেক মানুষ যাতায়াত করে সে কারণেই ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য এই জায়গাটি বেছে নেওয়া হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে আমাদের সব ইতিহাস সুন্দর করে এখানে তুলে ধরা হয়েছে।


আরও খবর



চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শিশু ও নারীসহ ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় হামাসের সঙ্গে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার এক দীর্ঘ বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

কখন থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বা জিম্মিদের কোথায় কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই ৫০ জনের অতিরিক্ত প্রতি ১০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো একদিন করে বাড়বে।

হামাসের দাবি ছিল, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি তাদের সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। সে বিষয়ে ইসরায়েলের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় তিন বছরের এক শিশুসহ অন্তত তিন মার্কিন নাগরিককেও হামাস মুক্তি দেবে বলে তারা আশা করছেন।


আরও খবর



সব প্রস্তুতি সম্পন্ন অপেক্ষায় ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধান প্রতিবেদক :দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বাজেট, মাঠ প্রশাসনের শৃঙ্খলাবদ্ধকরণসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু তপশিল ও ব্যালটের অপেক্ষা। এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী আগামী ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার আগে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণের মধ্য দিয়ে ভোটের তপশিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরই মধ্যে তপশিল ও ভোটের প্রায় সব প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছে কমিশন। শুধু ব্যালট ছাপানোই এখন বাকি রয়েছে, যাকে ভোটের সর্বশেষ ধাপ বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমার পরই ছাপানো হয়ে থাকে। সর্বশেষ গত শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ৪৪টি দলের মধ্যে ইসির ডাকে সারা দেয় ২৬টি দল।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের। বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) প্রথম দফার প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ। আগামী শুক্র ও শনিবার হবে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনাকাটার কাজও শেষ। ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগের সব জেলায় পুলিশি নিরাপত্তায় এসব পাঠানো হয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগননাও শুরু হয়ে গেছে। তপশিল ঘোষণার জন্য ইসির হাতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না গেলেও শেষ পর্যন্ত সংবিধানের পথেই হাঁটবে আউয়াল কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা মিলিয়ে ১০-১২ লাখের মতো জনবল বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা এরই মধ্যে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের সম্পূর্ণ অনুকূল না হলেও কিছু করার নেই বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন সিইসি। বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কমিশনের সামর্থ্য ও ম্যান্ডেট কোনোটাই কমিশনের নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট সমাধানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনের পরিস্থিতি সব সময় শতভাগ অনুকূলে থাকে না। তবু সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শপথের কারণে কমিশনকে ভোটের আয়োজন করতে হবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। সেটি নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর সংস্কারও হয়েছে। যদিও এতে ইসির ক্ষমতা বাড়া বা কমা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। নতুন দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টি। তবে ভোট-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আরও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা, আসন অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঠিক করার কাজ চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের প্রাথমিক ধাপ শেষ। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালাও। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়ে সাংবাদিক নীতিমালাও সংশোধন করা হয়েছে।

সাধারণত নির্বাচনী কাজের জন্য প্রায় ১১ ধরনের সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্প প্যাড, লাল গালা, মনোনয়ন ফরম, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালির কলম, গানি ব্যাগ, হেসিয়ান ব্যাগ (বড়), হেসিয়ান ব্যাগ (ছোট) ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালট বাক্স, বাক্সের ঢাকনা, বিভিন্ন ধরনের সিল, কালি ও ব্যাগ কেনার কাজ হয়ে গেছে। এবার ব্যালট বাক্স ও ঢাকনা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই কিনেছে ইসি। ১ লাখ ৬১ হাজার রিম বা ৩২ লাখ ২০ হাজার দিস্তা কাগজ কেনা হয়েছে। এসব কাগজ দিয়ে তৈরি হবে ব্যালট পেপার, বিভিন্ন ধরনের খাম ও প্যাড। নির্বাচনের জন্য মোট ৮০ হাজার ব্যালট বাক্স কেনা হয়েছে যা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। আর তপশিল ঘোষণার পর ব্যালট পেপারের কাগজ সংগ্রহ ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর হবে মুদ্রণের কাজ।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাবও তুলে ধরা হয়। এবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে নির্বাচনে এক দিনের ভাতা দেওয়া হতো। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও এবার বাড়বে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ভাতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন মোট ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রে থাকেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলে মোট খরচ আরও বাড়বে। সশস্ত্র বাহিনীকে সাধারণত মোতায়েন করা হয় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। তবে এবার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সেজন্য এ খাতে ব্যয়ও এখন পর্যন্ত ধরা হয়নি।

এবার প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকাও পরিশোধের সুযোগও থাকছে। ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর থাকবে।

ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ এবং সেটি সন্তোষজনক।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ। ভোটের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে ইটিআই। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হবে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে পণ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ।

বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সহযোগীতায় তেলিগাতী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উক্ত খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: শামসুল ইসলাম, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহা: জিয়াউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম, সম্রাট মিয়া সহ  সমিতির অন্যান সদস্যরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।

২০২১ সালে  প্রতিবন্ধীদের কে নিয়ে  করে তুলা হয় প্রতিবন্ধীদের  সহায়তায় তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতি। সমিতির সদস্য প্রায় চারশত।নিয়মিত এই সমিতিটির প্রতিবন্ধী পরিবারদের সহায়তায় করে যাচ্ছে।


আরও খবর



অবরোধ ঘিরে বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ইে চলছে। এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি। ফলে বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন কর্মসূচি টানা চলতে থাকলে বাজারে সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা পরোক্ষভাবে ভোক্তাপর্যায়ে খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে গত সপ্তাহে এক দিন হরতালসহ শেষ তিন কার্যদিবস সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল। এ সময় আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার পরিবহণ প্রায়ই বন্ধ ছিল। একইভাবে সীমিত আকারে চলেছে পণ্যবাহী ট্রাক। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশে পণ্যে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। ফলে পেঁয়াজ-আলুসহ অতিপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্যের দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। যদিও এর আগে থেকেই এসব পণ্যের দাম ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবোরেধের মতো কর্মসূচিতে ট্রাক মালিকরা ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহণ করতে চায় না। ফলে কাঁচাবাজারে পণ্যের সরবরাহ হ্রাস এবং দাম বৃদ্ধি শঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের টানা তিন দিনের অবরোধে রাজধানীর বাজারে পণ্যের সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে। এ সময় বিক্রি কমার পাশাপাশি বেড়েছে দামও। অন্যদিকে দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তিন দিনের অবরোধে তাদের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, তিন দিনের অবরোধে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখলেও বিক্রি ছিল খুবই কম। তিন দিনে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১,৫০০-২,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৫০-৩০০ ট্রাক ভোগ্যপণ্য নিয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ও আসাদগঞ্জ বাজারে আসে। আবার একই সংখ্যক ট্রাক এবং গাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলা পণ্য পরিবহণ করে। কিন্তু অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা ৬০-৭০ শতাংশ কমেছে।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, অবরোধে ৫০ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে বাস-ট্রাকসহ ৪১টি যানবাহন রয়েছে। কারওয়ান বাজার ট্রাক স্ট্যান্ডের পণ্যবাহী অনেক ট্রাক মালিক অবরোধের শুরুতে পণ্য পরিবহণ অব্যাহত রাখলেও শেষ দুই দিন বন্ধ রাখেন অনেকেই।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিস্থিতি অবনতি হলে চলমান অবরোধেও পরিবহণ বন্ধ রাখবেন তারা। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ট্রাকচালকরাও।

এদিকে, রাজধানীসহ সারা দেশের বাজার দরে তিন দিনের অবরোধে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচাবাজারের বিভিন্ন পণ্যের দাম। লাগাতার এমন কর্মসূচি পরে প্রভাব ফেলতে পারে মুদিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামেও।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ কনটেইনার হ্যান্ডেল করে এবং ৫-৬ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং প্রাইম মুভার খাদ্যসহ আমদানি পণ্য সারা দেশে পরিবহণ করে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যানুযায়ী, তিন দিনের অবরোধে পরিবহণ সংকটে কনটেইনার ডেলিভারি ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবি, অন্তত খাদ্যপণ্য যেন চলমান আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়। তা না হলে বাজারে চরম সংকট দেখা দিতে পারে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩