Logo
শিরোনাম

এবার মেয়ের নাম প্রকাশ করলেন নিক-প্রিয়াংকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো। প্রিয়াংকা চোপড়া ও নিক জোনাস তাদের মেয়ের কী নাম রেখেছেন তা এবার প্রকাশ করেছেন। নিক-প্রিয়াংকার প্রথম সন্তানের নাম মালতি মারি চোপড়া জোনাস। 

চলতি বছরের গোড়ার দিকেই সারোগেসির মাধ্যমে বাবা-মা হন এ তারকা দম্পতি।  সান দিয়াগোর এক হাসপাতালে চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াংকার মেয়ের। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ২২ জানুয়ারি যৌথ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানসুখ লাভের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন ‘প্রিনিক’ জুটি। তবে সন্তানের লিঙ্গ পর্যন্ত ফাঁস করেননি তারা। যদিও পরবর্তী সময়ে প্রিয়াংকার বোন মিরা চোপড়া জানান, মেয়ের মা হয়েছেন অভিনেত্রী।

এবার হলিউডের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর— প্রিয়াংকা চোপড়া তার মেয়ের নাম রেখেছেন মালতি মারি চোপড়া জোনাস। রাতে বার্থ সার্টিফিকেট হাতে এসেছে ওই সংস্থার, এমনটিই দাবি করেছেন তারা।

জানা গেছে, রাত ৮টার পর জন্ম হয় মালতি মারির। সংস্কৃত এবং লাতিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন নিক-প্রিয়াংকা। সংস্কৃতে ‘মালতি’ শব্দের অর্থ হলো— এক রকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো। অন্যদিকে মারি শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী, মূলত ভার্জিন মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেওয়া হয়। মারি নামের সঙ্গে বাইবেলের যোগও রয়েছে। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রেঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি। দিনকয়েক আগেই লিলি সিংয়ের সঙ্গে তার নতুন বইয়ের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মেয়ের নাম উল্লেখ করতে দেখা গেছে প্রিয়াংকাকে। মা হওয়ার পর তার চিন্তাভাবনায় কেমন বদল এসেছে সে ব্যাপারে কথা বলেন পিগি চপস। 

প্রিয়াংকা জানান, ‘একজন নতুন মা হিসেবে আমি যেটি সবসময় ভাবি, তা হলো আমি কখনও আমার ইচ্ছে, ভয়, আমার বড় হয়ে ওঠা, আমার শিশুর মধ্যে আসতে দেব না। আমি এটি সবসময় বিশ্বাস করি, বাচ্চারা তোমার মাধ্যমে এ দুনিয়ায় এসেছে, তোমার মধ্যে থেকে নয়। এটা ভাবা কখনও উচিত না যে, আমার সন্তান মানে আমি আমার মতো করে ওকে বড় করব। ওরা আপনার মাধ্যমে এলেও নিজের জায়গা তৈরি করতে এসেছে এখানে। এটিকে মেনে নিলেই অনেক সুবিধে হয়ে যায়, আমার মা-বাবাও কখনও জোর করে আমার ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চায়নি।’

একদিকে যেমন মেয়েকে সামলাতে ব্যস্ত, তেমনই প্রিয়াংকার হাতে রয়েছে একগুচ্ছ প্রোজেক্ট। ‘টেক্স অফ ইউ’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ ‘সিটাডেল’-এর শুটিংও শেষ করেছেন দেশি গার্ল।



সুত্রঃ  যুগান্তর


আরও খবর



তিন দিনব্যাপী বর্জ্যের প্রদর্শনী করবে ডিএনসিসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আগামীকাল (শনিবার) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আরেকটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।

প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব পরিত্যক্ত দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয় করা পরিত্যক্ত দ্রব্য প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন)-এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

কোন পরিত্যক্ত দ্রব্যতে কত টাকা পর্যন্ত দেবে সে বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেটপ্রতি ১০০টির জন্য ১০০ টাকা করে মূল্য দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। একইভাবে আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস, কাপ ১০০টির ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, প্রতি ডাবের খোসা ২ টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ইত্যাদির পাত্র প্রতিটির জন্য ৩ টাকা করে দেবে ডিএনসিসি।

এ ছাড়া পরিত্যক্ত টায়ার প্রতিটি ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড, বেসিন ইত্যাদি প্রতিটির জন্য ১০০ টাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্য প্রতি কেজি ১০ টাকায় কিনে নেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



ফোর্বসের অনূর্ধ্ব-৩০ এশিয়ার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সি উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি ও অবদানের জন্য বাংলাদেশের ৯ জন তরুণ-তরুণী স্থান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া তালিকা প্রকাশ করে সাময়িকীটি।

১০টি শ্রেণিতে তরুণদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ক্রীড়া ও বিনোদন; ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল; এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি; গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন; কনজ্যুমার টেকনোলজি; শিল্প, উৎপাদন ও জ্বালানি; শিল্পকলা; সামাজিক প্রভাব; রিটেইল ও ই-কমার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা ও বিজ্ঞান।

ফোর্বসের তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আবদুস গাফ্ফার সাদী, মো. তুষার ও মো. শহীদুল ইসলাম, এই তিন তরুণ ঢাকাভিত্তিক দ্রুত লোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তারা ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ করে দেন। একই সঙ্গে ঋণদাতাদের সুবিধার জন্য যাকে ঋণ দেওয়া হবে, তিনি তা পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাইয়ে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর এই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে ২০ লাখ ডলারের (প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা) বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। গত নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এক লাখ ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

এই তালিকায় থাকা ফাহাদ আহমেদ ২০২২ সালে গড়ে ওঠা উইন্ড ডট অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার সেবা দেন তারা। এই কাজে প্ল্যাটফর্মটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাদের সেবা দ্রুত ও সাশ্রয়ী। গত নভেম্বরে তারা ৩৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ডারস ক্যাপিটাল ও স্পার্টান গ্রুপের নেতৃত্ব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই বিনিয়োগ করেছে।

উইন্ড প্রতিষ্ঠার আগে ফাহাদ রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও তৈরিতেও যুক্ত ছিলেন। পাঠাওয়ে খাবার ডেলিভারি, পেমেন্ট ও রাইডের জন্য গাড়ি ডাকার সেবা চালুতে তার ভূমিকা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতক করা ফাহাদ নিজে নিজেই কোডিং শিখেছেন।

সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা ফিনটেক তথা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (আর্থিক প্রযুক্তি) স্টার্টআপ জাতিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। ছোট কোম্পানিগুলোকে তাদের অ্যাকাউন্টিং সামলাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় এই স্টার্টআপ। তাদের সেবাটি এমন যে, স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত একটি বিজনেস ক্যালকুলেটর দিয়ে আর্থিক হিসাব-নিকাশ ও প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। ছোট কোম্পানিগুলোকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে সহজ পথ বাতলে দেয় তারা। গত আগস্টে এই স্টার্টআপ ১৬ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

রেদোয়ান আহমেদ পুরস্কারজয়ী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। এএফপির হয়ে রোহিঙ্গা সংকটের খবর সংগ্রহ করেন তিনি। এই কাজের জন্য তিনি ২২তম হিউম্যান রাইটস প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের জন্য তার অনুসন্ধানকাজে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মীদের বঞ্চনার শিকার হওয়ার গল্প উঠে আসে।


আরও খবর



৬ ঘণ্টা স্কুলের টয়লেটে আটকা, তালা ভেঙে উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image



শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:



মাদারীপুরে স্কুলের টয়লেটে আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ৬ ঘণ্টা বাথরুমে আটকে থাকার পর সন্ধ্যায় তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। 


গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাফিন হোসেন (৭) পাঁচখোলা ইউনিয়নের মৃত নুরুল হকের ছেলেএতটা সময় আটকে থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে কোমলমতি ওই শিক্ষার্থী। তাকে জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যায় রাফিন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টয়লেটে যায় সে। শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে সব শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। পরে স্কুলের দপ্তরি খোকন খান শ্রেণিকক্ষ ও টয়লেটের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান। এতে আটকা পড়ে রাফিন।  



বের হতে না পেরে অঝোরে কাঁদতে থাকে রাফিন। এক পর্যায়ে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। কিন্তু দরজা-জানালা সব বন্ধ থাকায় রাফিনের কান্না ও চিৎকার স্কুলের বাইরে কারও কান অবধি পৌঁছায়নি। 


এদিকে স্কুল ছুটির পরও রাফিন বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শুনতে পান তালাবদ্ধ স্কুলের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। 


তিনি দৌড়ে স্কুলের কাছে ছুটে যান। টয়লেটের ভেতর একটি শিশু আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙে রাফিনকে উদ্ধার করেন।  ঘটনাটি পরদিন শুক্রবার (১৭ মে) বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।


মাদারীপুর সদরের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের সঙ্গে এমন ঘটনা কাম্য নয়।’


মাদারীপুর জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টা মতো হতো পারতো! বিষয়টি দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক। এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক, দপ্তরি—কেউই এড়াতে পারেন না। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়মিত মামলা হওয়া উচিত।’


আরও খবর



দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইলেন রুবাইয়াত ফাতিমা তনি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image



সদরুল আইনঃ


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মুখ এবং রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমের মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। 



পাকিস্তানি বলে দেশীয় পোশাক বেশি দামে বিক্রি করায় এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়। দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর নিজস্ব অফিসে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে তনি জানান, তিনি এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন। তার ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানালেও মডারেটররা এটা গুরুত্ব দেন না এবং পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি নোটিশ আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। 



সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। 



তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বলে বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।



তিনি বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর



বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলেও দাবি করেন বাইডেন।

মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন। জেনোফোবিক অর্থ হলো বিদেশি বা অভিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব। তবে বাইডেনের এই মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক ও ভুল বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে জাপান।

এক বিবৃতিতে টোকিও জানিয়েছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক, কারণ মন্তব্যটি জাপানের নীতি যথাযথভাবে না জেনেই করা হয়েছে।

জাপান সরকার এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজে এই বার্তা পাঠিয়েছে ও নীতি-অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।

বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে অলঙ্ঘনীয় বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।


আরও খবর