Logo
শিরোনাম

ঈদের ‘আনন্দ মেলা’তে রয়েছে নতুন চমক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ টেলিভিশনের এবারের ঈদের ‘আনন্দ মেলা’তে রয়েছে নতুন চমক। এবারের ঈদ আনন্দ মেলায় থাকছে নাচ, গান, রোমান্স, ফাইটিং, সাসপেন্স ও থ্রিলিং।

বিগত পাঁচ দশকের সিনেমার জনপ্রিয় পাঁচ গানের সঙ্গে থাকছে তুষার খান, চিত্রলেখা গুহ, মুরাদ, চাঁদনি, নিরব, রুহি, মাহিয়া মাহি, সাব্বির, সাজু খাদেম ও নাদিয়ার পারফরমেন্স। এছাড়া আরও থাকছে তিন পুরুষ সংগীতশিল্পী সন্দীপন দাস, কামরুজ্জামান রাব্বি ও মেসবাহ বাপ্পির গাওয়া মেয়েলি কণ্ঠের তিন গান।

ভিন্নধর্মী এ আনন্দ মেলা প্রসঙ্গে বিটিভির পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ বলেন, প্রতিবারই বর্ণিল আয়োজনে সাজানো হয় এ অনুষ্ঠানটি। তবে এবার দর্শকরা একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী এক আনন্দমেলা দেখবেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও দৃশ্যায়নেও রয়েছে বৈচিত্র। সিনেমা বানানোর ঢংয়ে তুলে ধরা হয়েছে সমসাময়িক অনেক বিষয়। আশা করছি, এবারের আয়োজন আরও বেশি উপভোগ্য হবে।

অনুষ্ঠানটির প্রযোজক মনিরুল হাসান বলেন, সাজু খাদেম অভিনেত্রী নাদিয়াকে নিয়ে একটি সিনেমা বানাবেন। এ সিনেমা বানাতে গিয়ে নানান দৃশ্যের আবর্তন। যা দেখা যাবে এবারের আনন্দমেলায়। পাঁচ দশকের গান নিয়ে পাঁচ রকম গেটাপে মঞ্চে হাজির থাকবেন জনপ্রিয় তারকারা। এমনকি অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বিশেষ এক কারণে সাজু খাদেমকে চড় মেরে বসবেন অভিনেতা তুষার খান! সবমিলিয়ে এবারের আনন্দমেলায় ভিন্নতা থাকছে।

ঈদের দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর এটি প্রচারিত হবে। সাজু খাদেম ও নাদিয়া আহমেদ এটি উপস্থাপনা করবেন। মনিরুল হাসান ও গোলাম মোর্শেদ যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন।


আরও খবর



২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে। দর বাড়িয়ে ডলার কেনায় এপ্রিলে বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

আগের মাসে যেখানে ১৯৯ কোটি এবং আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৫৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যেখানে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর



খরতাপে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দিনভর বৈশাখ তথা ভরা গ্রীষ্মের প্রখর রোদে যেন সূর্য থেকে মাটিতে আগুন ঝলসে পড়ছে। রাতের বেলায়ও গরমে-ঘামে অস্বস্তি। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রার আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণের জনপদ বাগেরহাট জেলার মোংলায় ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সে.। চলতি এপ্রিল মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পারদ ৪২ ডিগ্রি সে. অতিক্রমের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

 বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) মাস উচ্চ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। আগের দিন সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ছিল দক্ষিণের জনপদ পটুয়াখালী উপজেলার খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। যা উক্ত এলাকায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। গতকাল রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে দিনের বেলায় ৩৮.৪ এবং রাতেও ২৮.৬ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। অবশ্য গতকাল রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জে হঠাৎ কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির সাথে সাময়িক বৃষ্টি স্বস্তি এনে দেয়। এ সময় ঢাকায় ১২, ফরিদপুরে ২৩, চাঁদপুরে ১৪ ও কিশোরগঞ্জে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এছাড়া সারা দেশের কোথাও ছিঁটেফোঁটাও বৃষ্টিপাত হয়নি। বৈশাখের শুরুতেই সমগ্র দেশে অসহ্য খরতাপের দহনে দুর্বিষহ পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া বিভাগ আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে তাপপ্রবাহ আরো বৃদ্ধি এবং বিস্তারের সতর্কবার্তা (হিট এলার্ট) জারি করেছে। টানা কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টি-খরা ও উচ্চ তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচের দিকেই নামছে দ্রুত। নদ-নদী-খাল, পুকুর-জলাশয়-দীঘি, হাওড়-বাওড়সহ ভূ-উপরিভাগের পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে মাঠ-ঘাট-বিল ফেটে চৌচির। তীব্রতর গরম ও খরার কবলে ইরি-বোরো, আম-লিচুর ফলন ব্যাহত হওয়ারর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন জায়গায় হিট স্ট্রোক, শরীরে পানিশূন্যতায় এবং সর্দি-কাশি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা রোগব্যাধিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দিনের প্রখর রোদের তেজে জরুরি কাজ ছাড়া কেই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।

গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়া বিভাগ আরেক দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট এলার্ট জারি করেছে। এতে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৬ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও (তিন দিনে) অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বাতাসে অত্যধিক হারে জলীয়বাষ্প থাকার কারণে গরমের তীব্রতায় অস্বস্তি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬, মোংলায় ৪০.৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াও দেশের অন্যত্র উল্লেখযোগ্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও পাবনায় ৩৯.৮, খুলনায় ৩৯.৫, রাজশাহীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় ৩৯.২, রাঙ্গামাটিতে ৩৯, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালীতে ৩৮.৫ ডিগ্রি সে.।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪১ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্থানভেদে এখন ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রির ঘরে। তাতে খরতাপ অসহ্য হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্তসহ আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল  সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এর পরের ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন গত সোমবার ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত কিছুদিন ধরে রাজশাহীতে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়া। রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রাও দুএক ডিগ্রি কমতে পারে। তবে এ কয়েক দিনের মধ্যে খুব একটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর আগে তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে রাজশাহী আরও তিন বিভাগে এসব অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ফিরতে পারেনি। অনেকটা কর্মহীন দিন পার করছে তারা।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ। তিনি আরো জানান, এপ্রিল মাসব্যাপী মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভবনা রয়েছে।

ভ্যাপসা গরম, আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া সকাল থেকে কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। রিকসা ও ভ্যান এবং ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালকদের যাত্রী হচ্ছে না। এছাড়া গরম আবহাওয়ায় কেউ কাজ না করায় দিন হাজিরায় কর্মজীবী বিপাকে পড়েছে। 


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কি ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

দুর্ঘটনা রোধের কারণ বের করা দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি নির্দেশনার পর তিনি আরও ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে যাবে বলে আশা করছি।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়।

আজ বিকেলে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েম ইমরানের উপস্থিতে বিমানবন্দর থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম মৃতদেহগুলোর আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু ওই দেশে ইতিপূর্বে তাদের ময়নাতদন্ত হয়েছে তাই নতুন করে আর করা হয়নি।

মৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব (১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫) গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪) একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। মাননীয় পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক প্রভাষক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম।

দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্টেম হয়েছে তা দেখলাম, সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখানে যাদের গার্ডিয়ান আছে, ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে, মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করি।

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- যুবরাজ ও কামাল।

তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্যাবলি পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র, এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে এবং দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনিটরিং করছেন বলেও জানান তিনি। এর সাথে যারই কানেক্টিভিটি পাব বা থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



অর্থনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডলার সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডলারের কবজায় এখন দেশ আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়), রাজস্ব আয়সবই নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডলার সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই একে বাগে আনতে পারছে না সব নীতি-কৌশল আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাড়ছে ডলার খরচ, কমছে এর মজুত আইএমএফের কঠিন শর্তে উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে অর্থনীতির অনেক খাতের প্রসার সংকুচিত করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার ডলারের কারণেই অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে জনজীবনও অনেকটা বিপর্যস্ত এই সুযোগে রাজনীতিও উত্তপ্ত

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার সংকট এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সীমাবদ্ধ নেই; বরং বস্তি থেকে ওপরতলার হেঁশেল, চায়ের টেবিল থেকে মন্ত্রিপাড়াসবখানেই উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে তাদের মতে, ডলারের মজুত না বাড়ালে আর আমদানি দায় শোধ করার সক্ষমতা না বাড়লে, সরকার-উদ্যোক্তা কেউই হাত খুলে খরচ করতে পারবে না ফলে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের স্থবিরতা কাটবে না

অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মতে, আমদানিনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী চালক রিজার্ভ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নেতৃত্বে আছে ডলার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহনীয় হয়ে আসার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়লে দাম বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আগুনে ঘি ঢালে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করায় ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে অর্থনীতিতে কম পণ্য আমদানি করেও বেশি ডলার খরচ করতে হয় ওই সময় থেকেই মজুত ভেঙে দায় শোধ করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক একই সময়ে রপ্তানি আর প্রবাসী আয়ে ভর করে যেভাবে ডলারের মজুত স্থিতিশীল রাখার কথা, সেটা ধরে রাখা যায়নি সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করেছে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে ডলারের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাতে অভিযানও চালানো হয়

একের পর এক পদক্ষেপ নিতে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সময়ে মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও ফল হয় উল্টো এতে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দরে বড় পার্থক্য রয়ে যায় প্রবাসীরা বৈধ পথে ডলার পাঠানোর বদলে হুন্ডির দিকে ঝোঁকেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সরকারি হিসাবেই ৩৪ বিলিয়ন ডলার  আইএমএফের হিসাবে ২৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, ডলার একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এর সংকট স্বীকার করেই আমাদের চলতে হবে। এটিকে একেবারে বাদ দিয়ে চলতে পারব না। সহজ কথা হলো, ডলার সাশ্রয় করতে হবে, আয়ও করতে হবে। আয় করার জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। আরও প্রণোদনা দিয়ে আয়টা বাড়ানো সম্ভব। ডলার আমরা ছাপতে পারব না। তা কামাই করেই আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমদানিনির্ভরতার কারণে আমাদের ডলার প্রয়োজন। আমরা যদি স্থানীয়ভাবে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, তাহলে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমবে।

ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোতে হাহাকার চলছে। জানা গেছে, অন্তত ২০টি ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আমদানি ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিও কমছে। ডলারের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে ঘাটতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল যন্ত্রপাতির আমদানি। এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতেও সংকট। সরকার প্রায় দ্বিগুণ দাম বাড়িয়েও আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রয়োজনীয় ডলার পাচ্ছে না। জ্বালানি তেল গ্যাস আমদানি সীমিত হওয়ায় এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পণ্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য রপ্তানিতে। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশ

উদ্যোক্তাদের লোকসান বাড়ছে। তারা এখন বেশি দাম দিতে রাজি থাকলেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। 
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, জ্বালানি সংকট চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক মানুষ কাজ হারাবে। গত সপ্তাহে মেইড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান জ্বালানি সংকটে পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন

বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়েছে। রপ্তানির আদেশ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। দেশে ডলারের দরের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে দর বেশি হওয়ায় প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। গুজবের কারণে প্রবাসীরা চলতি মাসেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করলেও আস্থা ফেরেনি

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার জানান, ব্যাংকে টাকা পাঠালে তা ঠিকমতো পাওয়া যাবে কি না, নিয়ে অনেক প্রবাসীই উদ্বিগ্ন। সরকারের ঘোষণার পর কেউ কেউ কিছুটা মনোবল পেলেও অনেকেই পুরো আস্থা ফিরে পাননি। যদিও তাঁরা নিজেরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠান বলে জানিয়েছেন

জানা যায়, হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে বিবৃতি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে, সেটা মাস শেষে জানা যাবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩০টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে। তাদের পরিবার মুচলেকা দিলে ওই সব হিসাব চালু করার শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডলার সংকটে ব্যয় বাড়লেও পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে। আমদানি থেকে আহরিত শুল্ক আয়ে প্রায় ধস নেমেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের আয় কমছে। আয়কর, ভ্যাট দেওয়ার হারও কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘাটতি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান

ডলার সংকটে কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের প্রবৃদ্ধিতেও ধাক্কা লাগছে। কাঁচামালে টান পড়েছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এটা পণ্য উৎপাদন সেবায় কতটা ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করছে, তার চিত্রও সামনে স্পষ্ট হবে

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ডলার সংকট দীর্ঘায়িত হলে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানি কমে যাবে। পরিণামে তা ডলার সংকটকে আরও কঠিন করে তুলবে। জন্য তিনি রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন

ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ পরিচালক অর্থনীতিবিদ . জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলার সব সময়ই বিশ্বে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সংকটের সময় এটা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ক্রমে এর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। সংকট কাটাতে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হবে। জন্য রেমিট্যান্সে জোর দিতে হবে। প্রথম কাজ হলো এমএফএসগুলোকে কাজে লাগানো। এর জন্য প্রবাসী-অধ্যুষিত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। তিন আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি চক্র বিদেশে বসে কারসাজি করে। বিদেশি মিশনের গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে এদের রোধ করতে হবে


আরও খবর