মাসুম খান :ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কি:মি: দুরত্বে অবস্থিত মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার, টেঙ্গারচর ইউনিয়নের ১৩ নং টেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এটি। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,শিক্ষকবৃন্দ ম্যানেজিং কমিটি,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিগন, সচেতন সমাজ কারোই কি এই বিবস্র শহীদ মিনারটি দেখে লজ্জা লাগে না? একটি সরকারি বিদ্যালয়ের পিছনে সরকার বছরে ২০-২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি,নির্মান সংস্কার,বই-পত্র,অবকাঠামো, শিক্ষা উপকরণ সহ বিভিন্ন খাতে। অথচ শহীদ মিনারের এই করুণ অবস্থা! এর দায় ভার কার? প্রাথমিক শিক্ষাই হলো একজন মানুষের শিক্ষার মুল ভিত্তি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা,ব্যক্তিগত,পারিবারিক,জাতীয়, আন্তর্জাতিক আচরণিক মূল্যবোধ, স্বদেশ প্রেম,মানবতাবোধ,পরিবেশ সচেতনতার,নান্দনিক সৌন্দর্য বোধের মৌলিক ভিত্তি অর্জন করে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারী আমাদের স্বাধীন জাতি সত্ত্বার শিকড়ের কথা,সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। শহীদ নিনার ভাষা শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রতিক। এই অবহেলিত শহীদ মিনার কোমল মতি শিশুদের কি শিক্ষা দেয়? কেন এই অবহেলা?
আমার জানামতে গজারিয়ায় প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুন্দর ভবন আছে। কিন্তু শহীদ মিনার নেই।
প্রতিটি স্কুলে নান্দনিক শহীদ মিনার বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে আমি মনে করি। শহীদ মিনারে সারা বছর ব্যাপী বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। ২১ ফেব্রুয়ারিতে সজ্জিত করা হবে যথাযথ মর্যাদা ঈ গাম্ভিয্যের সাথে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ৪০-২০ হাজার টাকা বেতন পান। অথচ সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে, সবাই কিন্ডারগার্টেনে পড়তে যায়। ৬২ টি কিন্ডারগার্টেন আছে গজারিয়ায়। অথচ গজারিয়ায় ৮৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৭৮ টি ওয়ার্ডে। শহীদ মিনারের এই করুন দশা যেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ এবং শিক্ষার মানের প্রতিচ্ছবি।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছি।