Logo
শিরোনাম

ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটি সদস্য সত্যিকারের হিরো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শরিফুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ারফাইটার মেহেদি হাসানের (৩৫) শ্বাসনালীর কিছু অংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণের এসেছিলেন কল্যাণপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার মেহেদি হাসান (৩৫)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী বিকাশ (২২)। আগুন নেভাতে মই দিয়ে বঙ্গবাজারের তৃতীয় তলায় উঠেছিলেন তারা। কিন্তু স্টিলের দরজার কারণে ভেতরে পানি দিতে পারছিলেন না তারা। মেহেদি দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। ওই সময় ভেতর থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া তার নাকে মুখে এসে লাগে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মেহেদি। পরে মেহেদি ও বিকাশকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান তার সহকর্মীরা। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে মেহদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেহেদির শ্বাসনালীর কিছু অংশ পুড়ে গেছে।' মেহেদির সহকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সবাই দোয়া করবেন মেহেদি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।'

অন্তর থেকে মেহেদির জন্য দোয়া করছি। শুধু মেহেদি নয় আজকে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক বাবুল চক্রবর্তীসহ সোহেল, রবিউল ইসলাম অন্তর ও আতিকুর রহমান রাজনসহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছন। 

আপনারা হয়তো জানেন, উৎসৃক জনতা, পানির অভাব, প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতার পরেও ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আফসোস এতো কষ্ট করলেন যারা সেই ফায়ার সার্ভিসে আজকে হামলা হয়েছে। 

সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে হামলা করে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে কর্মীরা ভবনের ভেতরে নিরাপদে অবস্থান নেন। হামলার এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.মাইন উদ্দিন বলেন, ‘কেন আমাদের সদস্যদের ওপর আক্রমণ? কেন আঘাত? 

গত এক বছরে ১৩ জন ফায়ার কর্মীর প্রাণ গেছে উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘নিহত ১৩ ফায়ার ফাইটার অগ্নিবীর খেতাব পেয়েছেন। এছাড়া ২৯ জন আহত হয়েছেন। আজকে আমাদের আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। কেন বা কারা ফায়ার সার্ভিসের ওপর আঘাত আনলো আমার বোধগম্য নয়।’

আমি বলবো এটি ভয়াবহ ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আপনারা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই হামলাকারীদের চিহিৃত করা উচিত। কারণ ফায়ার সার্ভিসকে আমি লি বাংলাদেশের বীরের এক বাহিনী। 

এই কয়েকদিন আগেও আমি লিখেছি, আমার প্রায় দুই যুগের সাংবাদিকতা জীবনে রানা প্লাজায় ভবন ধ্বস, লঞ্চডুবি, তাজরীন গার্মেন্টস, নিমতলীর আগুনসহ অনকে ঘটনা সরাসরি কাভারে করেছি। বহু ঘটনার খবর পড়েছি। প্রতিটা ঘটনায় দেখেছি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসাধারণ কাজ করে। একটি ঘটনার কথা না বললেই নয়!

২০১২ সালের মার্চ মাস। মেঘনায় এমভি শরীয়তপুর-১ নামে একটা লঞ্চডুবেছে। শত শত মানুষ নিখোঁজ। উদ্ধারকারী জাহাজে বসে মানুষের আহজারি দেখছি। প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে সেই আহাজারির খবর পত্রিকায় লিখে পাঠাচ্ছি। 

ঘটনার দুদিন পর স্বজনেরা জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে লাশের জন্য আহাজারি করছে। এই বাহিনী সেই বাহিনীর দেশি বিদেশি ট্রেনিং পাওয়া নানা লোকজন আসছে আধুনিক সব সরঞ্জামন নিয়ে। তারা পানির নিচে যায়। কিন্তু খুব একটা লাশ উদ্ধার হয় না। সেই সময় হাজির হলেন শুকনো রুগ্ন লিকলিকে শরীরের ফায়ার সার্ভিসের এক ডুবুরি। একেকটা ডুব দেয়। দুইটা করে লাশ তোলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে একাই ৩০-৩৫ টা লাশ উদ্ধার করলেন। সব বাহিনীর সদস্যরা বিস্ময় নিয়ে তাকে দেখছে। বিস্মিত আমিও। 

শুকনো শরীরের লোকটার নাম আবুল খায়ের। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি। অসম্ভব সাহসী মানুষ। তাই তো প্রচণ্ড স্রোত বা যতো প্রতিকূল পরিস্থিতিই হোক, ডাক পড়ে আবুল খায়েরের। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে চায়, আবুল খায়ের, তুমি কি যেতে পারবে?’ তার উত্তর, ‘পারব স্যার। কিন্তু ফিরে আসতে পারব, সে আশা নাই। আমি মারা গেলে স্যার লাশটা বাড়িতে পাঠায় দিয়েন।'

এই হলো আবুল খায়ের। রানা প্লাজার উদ্ধার অভিযানে আমি তাকে দেখেছি। দেখেছি আরো অনেক ঘটনায়। আসলে বাংলাদেশ ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটা সদস্য যেন একেকজন আবুল খায়ের। দুর্ঘটনা বা আগুন লাগার পর প্রতিটা ঘটনায় দেখেছি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অসম্ভব ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। 

শুধু আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে অনেক ফায়ার গত সাত বছরে অন্তত ২০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অরো অনেকে। এই তো গতবছর সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ছয়জন  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর প্রাণ যায়। আহত হয় অন্তত ২১ জন। বছর তিনেক আগে বনানীতে ফায়ার সার্ভিসের উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ করতে হিয়ে সোহেল নামে এক ফায়ার কর্মী মারা যান। এমন ঘটনা অনেক। 

আজকে যে ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করেছে তাতে তো তাদের শ্রদ্ধা জানানো উচিত। আমি অনেকবার লিখেছি, বীরের বাহিনী ফায়ার সার্ভিস।

নানা সংকটে কাজ করতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। এই লেখায় যে আবুল খায়েরের কথা বলছিলাম, যার জীবনটা বীরের, গোটা দেশের সব বাহিনী মিলে যেখানে একজন খায়ের বিরল, সেই খায়েরের সংসার চলে অতিকষ্টে। ছেলেটা তার লেগুনা চালায়। স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত বলে জানতাম। অনেকদিন ধরে খোঁজ জানি না।

কিছুটা আধুনিকায়ন হলেও আবুল খায়েরের মতোই নানা সংকটে আমাদের ফায়ার সার্ভিস। তারপরেও দেখবেন, দিন হোক, গভীর রাত হোক, একটা ইমার্জেন্সি কলেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সাইরেন বাজিয়ে সবার আগে হাজির ঘটনাস্থলে। অবশ্য আরও অনেক বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেখবেন। আসলে সবাই কম-বেশি কাজ করে। কিন্তু আমার সবসময় মনে হয়েছে, ফায়ার সার্ভিস অসাধারণ এক বাহিনী। 

বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস প্রতিটা সদস্য আমার বীর মনে হয়। মনে হয়, অন্য অনেক বাহিনীর মতো আধুনিক যন্ত্রাপাতি বা পেশাদারিত্ব থেকে হয়তো তারা অনেক পিছিয়ে কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের  প্রতিটা সদস্য মমত্ববোধ নিয়ে, মানবপ্রেম নিয়ে নিরলস চেষ্টায় সবার থেকে এগিয়ে। তাই সুযোগ পেলেই আমি বলি তাদের জন্য লিখি। 

২০২৩ সালে জনসেবায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। দুর্ঘটনা, দুর্যোগ আর দুর্বিপাকের এই দেশে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটি সদস্যকে আমার সত্যিকারের হিরো মনে হয়। আনসাং হিরো শব্দটা আসলে তাদের জন্যই। আমি মনে করি এই বাহিনীর আরো আধুনিকায়ন হওয়া দরকার। দরকার আধুনিক সব সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি। কারণ যখন তখন আগুন লাগার আর দুর্ঘটনার এই শহরে, দুর্যোগের এই দেশে তারাই আসল নায়ক। এই বাহিনীর প্রতিটা সদস্যকে তাই আজকে আবার ভালোবাসা ও স্যালুট।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, কোনো এলাকায় যদি তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তাহলে তাকে বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড এই গরমে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি ধীরে ধীরে পান করুন। ঠান্ডা ও বরফজাতীয় পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে মানবদেহের ছোট রক্তনালিগুলো ফেটে যেতে পারে।

২. বাইরে যখন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তখন আপনি বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কখনোই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। সব সময় ধীরে ধীরে উষ্ণ পানি পান করুন।

৩. যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

৪. তীব্র গরমের এই সময়ে যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ঘরে থাকাই ভালো।

৫. বাইরে বের হতে হলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না।

৬. তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করুন। সব সময় পানীয় সঙ্গে রাখুন।

৭. শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস স্যালাইনে পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লাচ্চি বানিয়েও পান করতে পারেন। এভাবে শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

৮. বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। যাদের পেশার জন্য রাস্তায় রোদে থাকতেই হবে, তারা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠাণ্ডায় থাকার চেষ্টা করুন।

৯. যারা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, যাদের কনকনে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা থাকে এবং গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাদের অসুখ চট করে ধরে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।

১০. হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা পানিতে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন।

১১. পুরোনো বা বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন।

১২. প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করুন।


আরও খবর

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




রাজধানীতে কোথায় কখন ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়।

এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে পর্যায়ক্রমে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করবেন। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায় ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম এ জামাতে ইমাম থাকবেন।

মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূর উদ্দীন তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ইমাম থাকবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান এ জামাতে ইমামতি করবেন।

তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর অন্যান্য ঈদ জামাত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জমঈয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লন মসজিদ এবং ঢাবির আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮ টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

কাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৭টা, ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে, দারুস সালাম মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার মিয়া সাহেবের ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানি জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট ও সকাল সাড়ে ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সায়েদাবাদ চিশতিয়া দরবার শরফয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, সিলেটের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন মোল্লাহ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর হাফেজ্জী হুজুর মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠসংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল কিশোরগ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান কোরবান আলী। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত হন তিনি। তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

এদিকে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ রাখা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার ওই চিকিৎসকের ছেলে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



ইসরায়েলে দুই শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

অবশেষে ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটি প্রথমে ড্রোন হামলা চালায়। পরে ছুড়ে ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইতোমধ্যে ইরান দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। খবর বিবিসির।

মুখপাত্র দাবি করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং এ অঞ্চলে থাকা মিত্ররা ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই আটকে দিয়েছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বাইরে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি তার।

ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, এ পর্যন্ত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পড়ার পর একটি সামরিক স্থাপনা হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামরিক স্থাপনাটির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু বলেননি তিনি।

এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, আরাদ অঞ্চলের বেদুইন এলাকায় পড়ন্ত ধ্বংসাবশেষের টুকরোর আঘাতে আহত ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সিরিয়ায় তেহরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধে অপারেশন ট্রু প্রমিজ পরিচালনার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস-আইআরজিসি। গভীর রাতে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় শোনা যায় সতর্কতামূলক সাইরেন। ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সে দেশের গণমাধ্যম।

ইরানের এ হামলার পরপরই লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলও সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন নিক্ষেপের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। আর সেটা আত্মরক্ষা ও আক্রমণ-উভয় দিক দিয়েই। ইসরায়েল রাষ্ট্র শক্তিশালী। আইডিএফ শক্তিশালী। দেশের জনগণ শক্তিশালী।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন জেনারেলসহ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। দেশটি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করল।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও বিস্তার হতে পারে। শনিবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সারা দেশে শনিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ পরিস্থিতি আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) দিন ও রাতেও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ সময় দেশের উত্তর পূর্বাংশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর