গাজাবাসীর ওপর নতুন উপায়ে চরম
অত্যাচারের পথ খুঁজে বের করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। এবার তারা গাজায় ব্যক্তিগত
বাড়িঘরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এমনকি খেলনাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের
দোকানে ঢুকেও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেখা গেছে তাদের।
ইয়াহু নিউজ জানায়,
ইসরায়েলি সৈন্যরা খাবার ও পানির সরবরাহে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
সৈন্যদের তাদের অস্ত্র নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে। এ সময় তারা একটি বৃত্তে
আবদ্ধ হয়ে বর্ণবাদী স্লোগান দিচ্ছিল।
সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের অবমাননাকর আচরণের বেশ কয়েকটি ভিডিও এবং ছবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বেসামরিক মানুষের
মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কেমন আচরণ আন্তর্জাতিক
মহলে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। এমতবস্থায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কয়েকটি বিচ্ছিন্ন
মামলা বলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ ধরনের ভিডিও নতুন
নয়। বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি, মার্কিন এবং অন্যান্য সামরিক বাহিনীর সদস্যরা
বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে অনুপযুক্ত বা বিদ্বেষপূর্ণভাবে কাজ করছে বলে ক্যামেরায় ধরা
পড়েছে।
ইসরায়েলি মানবাধিকার
গ্রুপ বিটসেলেমের একজন মুখপাত্র ড্রর সাদোত বলেন, ইসরায়েল সরকারের ওপর মহল থেকে
যে চরম অমানবিক আচরণ দেখানো হচ্ছে তা সৈন্যদের ভেতরেও ছড়িয়ে যাচ্ছে।
গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের
হামলায় এখানে কয়েক ঘণ্টায় সাত শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়। আরও বড় ধরনের হামলা সামনে
রেখে ইসরায়েলি বাহিনী সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলেছে। এদিকে ইসরায়েল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন
অস্ট্রেলিয়ার শতাধিক ইতিহাসবিদ। গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি
খোলা চিঠিতে তারা বলেন, গাজার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ ধ্বংসের হামলা চালাচ্ছে
ইসরায়েলি বাহিনী।
অস্ট্রেলিয়ার
ইতিহাসবিদদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের জীবন ধ্বংস করা এবং তাদের জন্য গাজায় বসবাস করা
অসম্ভব করে তোলাই ইসরায়েলি বাহিনীর মূল লক্ষ্য। চিঠিতে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিরা
গাজার বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, মসজিদ
এবং গির্জা ধ্বংসের কথাও উল্লেখ করে বলেন, ইতিহাসবিদ হিসেবে আমরা এটিকে জনগণের
অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ওপর আক্রমণ হিসেবেই দেখছি।