Logo
শিরোনাম

হযরত সাইয়্যিদ আবুল বশর আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (ক.) জীবনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক,লেখক ও গবেষক :

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। যা রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে পূর্ণতা লাভ করেছে। তাঁরই তিরোধানের পর খোলাফা-এ-রাশেদীন, তাবেঈন তাবে- তাবেঈন এবং আল্লাহর প্রিয় বন্ধু আউলিয়া এ-কেরামের মাধ্যমে বিশ্বের প্রত্যন্ত- অঞ্চলে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের এ মহান সুফি সাধক তথা আউলিয়া-এ-কেরামগণ নিষ্ঠা সহকারে ধর্মীয় অনুশাসনসমূহ পালন করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদেরকে এর দীক্ষা দান করেন। তাঁরা এমন চরিত্র এবং মহা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যার প্রশংসা মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামিন পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন-

"হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও।"

এই উপমহাদেশের শাসকদের উপর দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, মুহাম্মদ বিন কাসেম, সুলতান মুহাম্মদ গজনবী, মুহাম্মদ গৌরা ও মাহাম্মদ বখাতিয়ার খলজী সকলেই ছিলেন বিজয়ী বীর। ইতিহাসের বিচারে তারা কেউই ইসলাম প্রচারক ছিলেন না। ইসলাম প্রচার হয়েছে এ দেশের সুফী, দরবেশগণের প্রচেষ্টায়, তাদের অলৌকিক প্রভাবে। তাদের আচার আচরণ, সাদাসিধে জীবন যাপন, ইসলামের উদারনৈতিক সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষায় মুগ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন।

বিশেষ করে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ (রাঃ) সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্‌ জালাল ইয়ামনী (রহঃ), গাউসুল আযম হযরত শাহ্‌ছুফী মাওলানা সাইয়্যিদ আহমদউল্লাহ আল-মাইজভাণ্ডারী (কঃ), গাউসুল আযম শাহ্‌সুফী মাওলানা সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী বাবাভাণ্ডারী (কঃ) প্রমুখের প্রচেষ্টায় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসার লাভ করেছে। এ-রকম একজন আওলাদে রাসুল (দ), সুলতানুল মাশায়েখ, গাউছে জমান হযরত আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ আবুল বশর আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

.জন্ম ও বংশ পরিচিতি........

১৯০৬ ইংরেজী সনের এক শুভক্ষণে পৃথিবীর পঞ্চম তীর্থস্থান মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের মহান আধ্যাত্মিক সাধক প্রাণপুরুষ অলিকুল শিরোমণি গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর পবিত্র ঔরশে জন্ম গ্রহণ করেন। এ নূরানী শিশুর আগমনে আনন্দিত ও পুলকিত হয়ে সকলেই বলতে লাগলেন, এ শিশু মানব নয়, এ যেন নুরের পুতুল। সৃষ্টির কর্তৃত্ব নিয়েই যেন এর আগমন! কালে হয়ে ছিলোও তাই। তিনি একজন জগদ্বিখ্যাত মহান অলি আল্লাহ্ হয়েছিলেন।

বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন......

শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক পর্যায় দরবার শরীফ থেকেই অতিক্রম করেন। পরবর্তীতে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মময় জীবন..........

শিক্ষা জীবন সমাপন করে তিনি স্বীয় পিতা, অলিকুল শিরোমণি গাউসুল আযম বাবাভান্ডারী (কঃ) এর পবিত্র খেদমতেই নিয়োজিত থাকতেন। বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) নিজ আদরের সন্তানকে আধ্যাত্মিকতার পরম পরশে যুগসেরা অলি আল্লাহ্ রূপে গড়ে তোলেন। মহান আধ্যাত্ম সাধক বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা, বিশেষ বায়াত (বায়াতে খাছ) এর মাধ্যমে তাঁকেই খিলাফত দান করে ত্বরিকার মহান খিদমত আঞ্জামের মহান জিম্মাদারী অর্পণ করেন।

বৈবাহিক ও আধ্যাত্মিক জীবন...

বৈবাহিক ও আধ্যাত্মিক জীবন উভয় ছিল চমৎকারিত্বে পরিপূর্ণ। তাঁর পারিবারিক বা সাংসারিক জীবন ছিল হাবিবে কিবরিয়া (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর গভীর প্রেমময় সাধনায় পরিপূর্ণ। তার পবিত্র চেহারা মুবারকে,হযরত বাবাভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা-এ-আলম এর চেহারা মোবারক এর প্রতিফলন ছিল বলে বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর পবিত্র পর্দা করার পরে আশেক, ভক্ত, অলিকুল তাঁর চেহারা মুবারক দেখেই তৃষ্ণা মেটাতেন।

তিনি ইসলামের ও সুফিবাদের বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ সমাধান ও আলোচনা করতেন। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ তার পবিত্র সান্নিধ্যে গিয়ে আধ্যাত্নিকতা, সুফিবাদ সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান লাভে ধণ্য হন। ইমাম শেরে বাংলা আজিজুল হক্ব আল ক্বাদেরী (রঃ), হযরত শাহ্ আহমদ সিরিকোটি (রঃ), শেরে বাংলা একে ফজলুল হক্ব, মওলানা ভাসানী (রঃ) সহ বিশিষ্ট অলি আল্লাহ্ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তার সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন।

তাকে সকলে "সুলতানুল মাশায়েখ" বা উলামা মাশায়েখগণের সুলতান বলে অভিহিত করতেন।
গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর নূরানী আওলাদ-এ-পাকগণের মধ্যে যোগ্যতম ও আধ্যাত্নিকতায় সিক্ত হযরত শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর পবিত্র জানাজা শরীফের ইমামতি করেন।

তার কয়েকটি পবিত্র বাণী...

"প্রিয় নবিজী () এর প্রেম ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয়"

"একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্যবান হল, প্রিয় নবিজীকে () নিঃশর্তভাবে ভালবাসা ও তার প্রেমে নিজেকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করা।"

"প্রিয় নবিজী () এর স্নেহময় দৃষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে তার প্রেমে উৎসর্গ করে দাও।"

"প্রিয় নবিজী () এর দুশমনদের হতে নিজেকে দূরে রাখবে। তারা মহান আল্লাহর অফুরন্ত দয়া, রহমত ও ক্ষমা হতে বঞ্চিত।"

"হযরত বাবাভাণ্ডারী (কঃ) "গাউসুল আযম"এর মহৎ সম্মানের মুকুটধারী। তিনি সুবিশাল ধনভাণ্ডার (বেলায়ত) অর্জন করেছেন। যার চাবি রয়েছে আমার হাতে। আমি ছাড়া কেউ সেই ধনভাণ্ডারের তালা খুলতে পারবে না।"

"ও মইনুদ্দীন! আমার ভক্তদের জিম্মাদারি তুমি বুঝে নেওয়ায়, আমি চিন্তামুক্ত হয়েছি।"

"প্রিয় মইনুদ্দীন! তোমার মিলাদ মাহ্ফিলে স্বয়ং রাসুলে পাক () তাশরিফ আনায়ন করেন। তুমি মিলাদ মাহ্ফিল পাঠ করলে বাবাভাণ্ডারী ক্বেবলা-এ-আলম (কঃ) খুশি হন।"

বেছাল শরীফ বা পবিত্র ওফাত.....

বিশাল কর্মময় ও আধ্যাত্মিক জগতের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করে, ঊনষাট বছর বয়সে ১৯৬৫ সালের ১৬ই ডিসিম্বর, ৩০শে অগ্রহায়ণ, মাবুদে হাক্বিকী তথা আল্লাহর একনিষ্ট সান্নিধ্যে গমন করেন।

স্থলাভিসিক্ত আওলাদে পাকগণ......

১৯৬২ সালের ৫ই এপ্রিল, মহান ২২শে চৈত্র, বাবাভাণ্ডারী ক্বেবলা-এ-আলম (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর পবিত্র ওরশ শরীফে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি তার স্নেহধন্য শাহ্জাদা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ)


কে একান্ত সান্নিধ্যে এনে বায়াত-এ-খাছ বা বিশেষ বায়াতের মাধ্যমে বেলায়ত ও খেলাফতের পবিত্র ক্ষমতা ও জিম্মাদারি অর্পণ করেন।

সাত শাহ্‌জাদা ও পাঁচ শাহ্‌জাদা আওলাদে পাকদের মধ্যে আধ্যাত্মিক মহাসমুদ্রে অবগাহনকারী মেঝ শাহ্‌জাদা বর্তমান জমানার যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, শায়খুল ইসলাম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট, ত্বরীকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার দিকপাল, সুফিকুল শিরোমণি হযরত আল্লামা শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দিন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কে তার স্থলাভিষিক্ত করে যান।
তার অগণিত কারামত বা অলৌকিক ক্ষমতাবলে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন উঁচু মর্যাদার অলিয়ে কামেল, গাউছে জামান। "সুলতানুল মাশয়েখ" বা মাশায়েখদের সুলতান তার এক পবিত্র বিরল উপাধি।


আরও খবর



নওগাঁয় জীবন্ত মাতৃ পূজা করলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যমে সকল মানুষ এর প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করার প্রত্যয় নিয়ে শুক্রবার দিনব্যাপী নওগাঁর মহাদেবপুরে ''রঘুনাথ জিউ মন্দির'' প্রাঙ্গণে দিন ব্যাপি এ মাতৃ পুজার আয়োজন করেন বাংলাদেশ সনাতন বিদ্যাপীঠ মহাদেবপুর উপজেলা শাখা।

সনাতন বিদ্যাপীঠের পরিচালক অমিত কুমার মন্ডল জয়ের পরিচালনায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩ শতাধিক সনাতন ধর্মীয় সন্তান তাদের জীবন্ত মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এ পূজা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল দেবী দূর্গার আগমনী নৃত্য, রাবন বধ, রুদ্রা নৃত্যানুষ্ঠান, ছোটদের নাটক ও সনাতন ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন।

মহাদেবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে জীবন্ত মাতৃপূজা ও দেবীর আগমনী (মহালয়া) উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ ৪৮, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অনুকূল চন্দ্র সাহা বুদু, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম নূরাণী আলাল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, চেরাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র শিবু, মন্দির কমিটির সভাপতি নির্মল চন্দ্র বিশ্বাস, সহ সভাপতি ও সাবেক শিক্ষক মাতৃ প্রসাদ, সাধারণ সম্পাদক অমিয় কুমার মন্ডল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুশুম ব্যানার্জী বাবুল। উপজেলা আ'লীগের সহঃ সভাপতি বদিউজ্জামান বদি, যুগ্ম সম্পাদক বাবুল চন্দ্র ঘোষ, প্রচার সম্পাদক বিশ্বনাথ অথিকারী গোপাল।


আরও খবর



লজ্জাজনক হার : ক্ষমা চাইলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ঘরের মাটিতে লজ্জায় ডুবেছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের মতো ম্যাচে ১০ জন ব্যাটসম্যান মিলে ৫০ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি দাসুন শানাকার দল। তাতে হারতে হয়েছে শোচনীয়ভাবে। এমন হারের পরে ক্ষমা চেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারায় ভারত। এশিয়ার এই বিশ্বকাপ জিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমে এমন লজ্জার রেকর্ড গড়ে বিব্রত শ্রীলঙ্কা।

ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছেন, সবাই অনেক আশা নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাদের আমরা হতাশ করেছি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়াবে।

শানাকা আরো বলেছেন, উইকেট দেখে মনে হয়েছিল ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারবে। সেজন্যই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আবার আবহাওয়াও মেঘাচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু আমরা ধারণারে চেয়েও খারাপ খেলেছি। ভারত বোলিংয়ে ভালো করেছে। ফলে ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ধামরাইয়ে কারখানার ভিতর থেকে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে করিম টেক্সটাইল মিল লিমিটেড কারখানার ভিতর থেকে অনিক(১৯) নামে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) শিমুল বিশ্বাস।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। অনিক করিম টেক্সটাইল কারখানায় রিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল।

অনিক নেত্রকোনা জেলার কুমারপাড়া গ্রামের মো: সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে গত দুই মাস ধরে চাকরিতে যোগদান করেন।

জানা যায়, অনিক কারখানার ভিতর ডর্মেটরিতে থাকেন।গতকাল সোমবার দিনগত রাতে অনিককে ডর্মেটরিতে না পেয়ে তার সাথে থাকা সহকর্মীরা রাতে অনেক খোজাখুজি করে। পরে সকালে কারখানার ভিতর ডর্মেটরির পিছনে মেশিনের সাথে অনিকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি পুলিশকে জানালে আজ মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল প্রায় ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। প্রেম বা পারিবারিক কারণে এই আত্মহত্যা সংঘঠিত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

করিম টেক্সটাইল লি: কারখানার এইচ আর এডমিন অলি চৌধুরী বলেন, আমি অফিসে আসার সময় জানতে পারলাম অনিক নামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। আমি কারখানায় এসে পুলিশকে খবর দেয়ার পর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক শিমুল বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টার দিকে দিঘীনালা সাজেক সড়কের শুকনা ছড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।

তিনি জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের ফলে বাঘাইছড়ির ১০ নংশুকনাছড়ি বড়ইতলী সংলগ্ন ৫৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, সীমান্ত সড়কের জন্য পাথর নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকও বর্তমানে আটকা পড়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, পাহাড় ধসের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সকলকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি সকালের মধ্যে সড়কের মাটি সরিয়ে ফেলা যাবে। এতে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না।


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই হ্রদের ১৬টি গেট

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আবারো খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের স্লুইসগেট (জলকপাট)।  ১৯ সেপ্টেম্বর বাঁধের ১৬টি স্লুইসগেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে।

বাঁধ খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে আজ লেকের পানির উচ্চতা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হ্রদে পানির লেভেল ১০৮ দশমিক ২৪ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। যা রুল কার্ভ থেকে প্রায় ৭ ফুট বেশি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে আজ আবারো ১৬টি গেইট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরও প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩