Logo
শিরোনাম

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গত সপ্তাহে ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে। শুক্রবার সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।
ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পুরোপুরি বিপরীত। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।

কিন্তু ইস্ফাহানকে কেন টার্গেট করা হয়েছে?

একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।

(আলোচিত আক্রমণ) যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি, বিবিসিকে বলেন তিনি।

ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসাথে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেয়ার চেষ্টা।

ইরান ইসরাইলের দিকে তিন শর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরাইল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দুটি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরাইল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং ইসরাইলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের।

ইরানিদের পক্ষ থেকে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে


আরও খবর



যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে চরের বাদামসহ অন্যান্য ফসল। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ক বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা চরের বাদাম চাষীরা পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছেন।

চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিস ও চাষীরা জানান, চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বাদাম চাষ করেছিল বহু কৃষক। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা, কোচগ্রাম, বসন্তপুর, মালিপাড়া, ছোট চৌহালী-বড় চৌহালী, তেঘুরি, স্থল চর, মিস্রিগাতি ও লাঙ্গলমুড়া, উমারপুর ইউনিয়নের দত্তকান্দি, ছোল, উমারপুর, খাষকাউলিয়া, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর, স্থল ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমচর এলাকা প্রায় ২ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকদের। আকস্মিক জোয়ারে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার বাদামেখেত তলিয়ে যায়। এতে দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের তিন শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারনে ওই এলাকার শতাধিক কৃষকেরা বড় ধরণের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

সন্তোষা চরের আবুশামা, লোকমান হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, মোসছেদ আলী ও জয়নাল হোসেন জানান, অন্যান্য বছরে বাদামের বাম্পার ফলন দেখে এবার বেশি জমিতে চাষ করি। তবে আমাদের এলাকায় পানিতে তলিয়ে বহু জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারনে কোমর পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলতে হচ্ছে। এদিকে যমুনার পশ্চিম তীর এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নদীর পাড়ে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছে। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্তোষা গ্রামের ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, কৃষকদের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে গেছে, বাদামের জমি তলিয়ে যাওয়ায় বহু কৃষক এবছর লোকশানের মুখে পড়বে। সরকারী ভাবে তাদের সহায়তার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের উপহসকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুহুরাইয়া জানান, জানান, যমুনার চরাঞ্চলের বাদাম জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। অপরিপক্ক বাদাম তুলে বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে, সরকারী সহায়তা এলে দেয়া হবে। এছাড়া বিশেষ প্রণোদনার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, অসময়ে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী চর এলাকায় বাদামের জমি ডুবে গেছে। কৃষকেরা পানির মধ্যে নেমে ভেজা বাদাম সংগ্রহ করলেও সুফল পাবে না। অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদী এলাকায় প্লাবিত ধান, কাউন, তিল সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হবে তিনি উল্লেখ করেন।


আরও খবর



গেজেট প্রকাশের পর আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। রবিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

সিইসি বলেন, সরকারের গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গেজেট প্রকাশ হলে আমরা নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো। কমিশনের আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কাল গেজেট হয় তাহলে কালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গত ৭ মে মধ্যরাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। এর সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন সংগঠন ও দল।

গত দুদিন ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে রাজধানী এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। শনিবার রাতে গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে গত রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।


আরও খবর



একটি দলের ওপর ভরসা করে অশ্বডিম্ব পেয়েছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পতিত সরকারের পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারির নেতা ও তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিএনপিকে ইঙ্গিত করে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যাতে তিনি আক্ষেপের সুরে লিখেছেন, একটি দলের ওপর বেশি ভরসা করে আমরা অশ্বডিম্ব পেয়েছি। ০৯ মে দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে মাহফুজ আলম লিখেছেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এ আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই। দল হিসাবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো পশ্চাতপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কিনা। এ যুক্তি যিনি দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।

তিনি লিখেছেন, বলে রাখা ভালো, দুজন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের উপদেষ্টা (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) ও আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও পক্ষে ছিলেন। গতকাল বিকেলে কথা হয়েছে। দল হিসাবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ওই উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।

তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দেবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।

‘পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই না। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্ব্বাচন হবেই,’ যোগ করেন তিনি।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, ওই দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!

তিনি আরও লিখেছেন, আমরা ওই দলকে বিশ্বাস করতে চাই। ওই দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। ওই দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই ওই দল ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সঙ্গে চলবেন। ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এ প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এ প্রজন্ম এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।


আরও খবর



সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সরকার সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো যৌথভাবে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে পারবে। শব্দদূষণ রোধে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সব মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হবে।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বন অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু ও বাড়ানোর প্রস্তাবও পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে মে মাসে সচিব পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক) এবং কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম-সহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গত সভার সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।


আরও খবর



বিপিএ-এর পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বপ্রথম মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়, সচিব মহোদয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই—আমাদের প্রান্তিক খামারিদের সমস্যা, সংকট ও দাবি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।


মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়—প্রশাসন পরিচালক, উৎপাদন পরিচালক, খামার পরিচালকসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে—বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক ডিম-মুরগি উৎপাদনকারী খামারিদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেন।



সভায় ডিজি মহোদয় অত্যন্ত মনোযোগসহকারে খামারিদের ১০ দফা দাবি ও বাস্তব সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে “শাহরুখ স্বারকলিপি” নামক একটি লিখিত দাবি তিনি হাতে গ্রহণ করেন এবং সেটি আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যালোচনা করেন। ডিজি মহোদয় আশ্বাস দেন—খাদ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সরকার নির্ধারিত ডিম-মাংসের ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় পোলট্রি খাদ্যের দাম কেজিপ্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। ফিড, বাচ্চা এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণে তদন্ত চলছে, ভবিষ্যতে যা আরও হ্রাস পেতে পারে।



সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে উপস্থিত সকল প্রান্তিক খামারি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারের প্রতি আস্থা রেখে এবং জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত ১ মে থেকে খামার বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই—প্রান্তিক খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।


বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—দেশের খামারিরাই পোলট্রি খাতের প্রাণ। আপনাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ওপরই দাঁড়িয়ে আছে এই শিল্প। তাই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি—আগামী ১ মে থেকে সকল খামার পুরোদমে চালু রাখুন এবং সরকারের সকল নিয়মকানুন মেনে বৈধভাবে খামার পরিচালনা করুন। আপনারা ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করুন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধন সম্পন্ন করুন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নিন। সরকার ইতোমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যাঁরা নিয়ম মেনে খামার চালাবেন, তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।


 জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খামারিদের উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকা, স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা।


আমরা বিশ্বাস করি—আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে বাজারে সিন্ডিকেটের অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে।

২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের খামারিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পোলট্রি খাতকে বাঁচাতে এবং সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে ১ মে থেকে ডিম-মুরগির খামার বন্ধের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো।


বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সংক্ষিপ্ত ১০ দফা দাবি


১. জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করতে হবে।

২. সরকারিভাবে ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপন করতে হবে।

৩. কোম্পানির কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪. স্বাধীন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে।

৫. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসন করতে হবে।

৬. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।

৭. জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।

৮. সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. প্রশাসনিক অভিযান চালিয়ে ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করতে হবে।

১০. জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক খামারিদের বরাদ্দ ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে


তবে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি—যদি আগামী দিনে এই ১০ দফা যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।


আরও খবর