Logo
শিরোনাম

জামিন মেলেনি হেফাজত নেতা মামুনুলের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নাশকতার দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামুনুল হকের জামিন শুনানি স্ট্যান্ডওভার করেন আদালত।

এর আগে ৭ মে মামুনুল হকের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

গত ৩ মে ২০১৩ ও ২০২১ সালে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে পল্টন ও হাটহাজারীর দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাতসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জান্নাতকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


আরও খবর



সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নিজ বাড়ী পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত পৃথক দুই বিবৃতিতে দুই এমপির প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বীর মক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি মরহুম এ কে এম শাহজাহান কামাল-এর আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। 

এছাড়া শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয় মো : গোলাম ফারুক পিংকু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী এমপি,লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ান কবির পাটোয়ারি,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. রাসেল মাহমুদ মান্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ বাবর প্রমুখ। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহজাহান কামালের পারিবারিক সূত্র জানায়, তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় । আর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ আসর লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ স্কুল মাঠে। পরে তাঁর নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। শাহজাহান কামাল প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ১৮ সালের তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

এ কে এম শাহজাহান কামাল দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। স্ত্রী, এক পুত্র ও তিন কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।  এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

শাহজাহান কামাল ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার আটিয়াতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি, চৌমুহনী মদনমোহন কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পাস করেন এবং একই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ফ্লাইওভারে পোস্টার লাগানো রোধে মনিটরিং করবে ডিএসসিসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ফ্লাইওভারগুলোতে যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা পোস্টার বা বিজ্ঞাপন লাগাতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং করবে সংস্থাটি।

এ লক্ষ্যে মনিটরিংয়ে লোক নিয়োগ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিএসসিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামান এ বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করেছেন।

সচিব আকরামুজ্জামান জানান, কোনো ফ্লাইওভারে কেউ বিজ্ঞাপন, পোস্টার যেন না লাগাতে পারে তা মনিটরিং করতে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি মনিটরিং করবেন।

জানা গেছে, ফ্লাইওভারে পোস্টার, বিজ্ঞাপন লাগানো রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ কাজ মনিটরিং করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর উপ-কর কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম শাওনকে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় বাবা-মার উপর অভিমান করে ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রেমের সম্পর্কে বাঁধা দেওয়ায় বাবা-মার উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে মোসাঃ জেনি আক্তার (১৪) নামের এক ছাত্রীর আত্মহত্যা। মর্মান্তিক ছাত্রী আত্নহত্যার এঘটনাটি ঘটেছে বুধবার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায়। নিহত ছাত্রী জেনি আক্তার বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামের মমিন হোসেন এর মেয়ে ও কেশাইল নুরানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম' শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার প্রেম  সম্পর্ক জনিত কারণে নিহতের সাথে তার মা-বাবার ঝগরা হয়। এরি কোন এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন এর অজান্তে ঐ ছাত্রী তার বাবা ও মায়ের উপর অভিমান করে নিজ ঘড়ের মধ্যে ঢুকে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টার ভেতর কোন এক সময় শয়ন কক্ষের বাশের ডাসার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এক পর্যায়ে ছাত্রীর মা তার মেয়ের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ও ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এসময় পরিবার ও প্রতিবেশি লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে ভেতর হতে সাড়াশব্দ না  পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঐ ছাত্রীকে ঘড়ের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সেখান থেকে নিচে নামিয়ে মৃত অবস্থায় পান।

সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধ এর পেক্ষিতে মৃতদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



রামগড়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় ঔষধ সহ আটক-১

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভাধীন বল্টুরাম এলাকা থেকে অবৈধ ভারতীয় ঔষধ এবং কসমেটিক সহ মো.হানিফ (৪২) কে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ। আটককৃত মো.হানিফ রামগড় পৌরসভার বল্টুরাম টিলা এলাকার বাসিন্দা সিরাজ মিয়ার ছেলে। 

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় থানার এসআই মো.ফরহাদুল হক সহ সংঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সের বিশেষ অভিযানে অবৈধ ভারতীয় ঔষধ ও কসমেটিক সহ  আসামীকে আটক করা হয়েছে।

রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ মালামাল বহন সংক্রান্ত আইনে আসামীর বিরুদ্ধে  থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শপথ নিয়েছেন নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।

এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবা মরহুম ডা. আলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশ নেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল লইয়ারস কনফারেন্সে অংশ নেন। তিনি অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে একই সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব ইত্যাদি।

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইনবিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত।


আরও খবর