Logo
শিরোনাম

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

স্বাস্থ্য ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছেন সবাই। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্যদিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. অজিত জৈন বলেছিলেন যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ট অ্যাটাকের পরেও একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম। হার্টের ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃত্‍পিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক মৃত হয়ে যায়।

ডা. জৈন বলেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে এ সমস্যা বাড়ছে। এমনকি কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

AIIMS-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মিলিন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি এই ৪টি সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এইগুলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ। যেমন : হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নাড়ি বন্ধ, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মিলিন্দ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরপরই যদি কার্ডিওপালমোনারি রেজিস্ট্যান্স (সিপিআর) দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। সিপিআরে ব্যক্তির বুকের মাঝের অংশে ধাক্কা দিতে হয়। এক মিনিটে ১০০ বারের বেশি পুশ করা হয়। এতে করে হৃত্‍পিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পায়।


আরও খবর



২৩ নাবিকের মুক্তি যেকোনো সময়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২৩ নাবিক ও জাহাজের মুক্তিপণের দরকষাকষি শেষ পর্যায়ে। যে কোনও সময় মুক্তি মিলতে পারে।

ঈদের আগে নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের দেশে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

এমন তথ্য জানিয়েছেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তি বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় হয়তো ভালো খবর আসতে পারে।

জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জিম্মিদশার অবসান হতে পারে কয়েক দিনের মধ্যে। ঈদের আগেই নাবিকরা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর ৫ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে নাবিকদের দেশে ফিরতে। কেননা তারা মুক্তি পাওয়ার পর তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে দেশে ফিরবেন।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে আলোচনা চলছে মুক্তিপণ নির্ধারণ ও প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে। অতঃপর মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পরিবহন সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। ওই পরিবহন সংস্থা নগদ ডলার কিংবা জলদস্যুদের চাহিদামতো মুদ্রায় পৌঁছে মুক্তিপণ পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার (৫০), লতিফ জোমাদ্দার (৫৫), রশিদ জোমাদ্দার (৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান (৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদারসহ ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। 


আরও খবর



বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২৩ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ। বিস্ফোরণ প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় দুটি।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচার কাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর একই যুক্তি দিয়ে আসছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত।

হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ বিষয়ে অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা।

সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যাতে পাই, সেই প্রত্যাশা করি।

২০১৫ সালে হত্যা মামলার রায়ে মুফতি হান্নানসহ মোট আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয় অন্য আরেকটি মামলায়।


আরও খবর



তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে প্রাণীকুল। ঘর থেকে বাহিরে বেরোনো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মানুষের। কিন্তু তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। 

গত কয়েক দিন থেকে নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। প্রচন্ড গরমে আক্রান্ত হচ্ছে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। যার বেশির ভাগ বয়স্ক ও শিশু। হঠাৎ করে হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, এক সপ্তাহে অন্তত ৩শ' রোগী ভর্তি হয়েছে। যার বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। আক্রান্ত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৫টি হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ২৬ জন। তবে হাসপাতালে থেকে বাড়তি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার অধিকাংশ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর তথ্যমতে, গত ৭ দিনে জেলার ১১টি উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭শ' ৯৮ জন এবং কলেরা (এআরআই) ২৪ জন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোনিম্ন ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

প্রচন্ড তাবদাহে কর্মজীবি মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। হাপিয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষ। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা ও কালো চমশা ব্যবহার করছেন।চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রচন্ড গরমে ঘরের বাহিরের না যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের গৃহবধু আয়েশা বলেন, বাচ্চার বয়স ৮ মাস। প্রচন্ড গরমে বাচ্চা কয়েক বার পাতলা পায়খানা করে। এরপর রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বারান্দায় বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চা কিছুটা সুস্থতা বোধ করছে। তবে হাসপাতাল থেকে ঔষধ পাওয়া গেলে একটু ভাল হতো। হাসপাতলে প্রচুর রোগীর চাপ।

জেলার মান্দা উপজেলা থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বয়স এক বছর। হঠাৎ করেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করলে স্থানীয় চিকিৎককে দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার পরামর্শে হাসপাতালে গত রাতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ প্রায় ৫শ টাকা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। বাচ্চা এখন কিছুটা সুস্থ।

শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টার্ফ নাস সিমা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগী। আমরা ৯ জন স্টার্ফ। পর্যায়ক্রমে ডিউটি করতে হচ্ছ। হঠাৎ রোগীর চাপ সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে যেসব ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে তা রোগীদের দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন, রজমানে রোজায় ভাজা পোড়া সহ অনিয়মত খাওয়া এবং প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

 ঈদ মানে আনন্দ, প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে সময় কাটানো। ঈদ মানে প্রিয় খাবার খাওয়া। তবে দেশ ভেদে ঈদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। আর এই খাবার গুলোই সেদেশের ঈদ আনন্দে যোগ করে অন্য মাত্রা। কিন্তু সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই

দক্ষিণ এশিয়ায় সেমাই


বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবগুলো দেশে ঈদুল ফিতরের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো সেমাই। চাল বা গম থেকে তৈরি এক প্রকার সরু নুডলস যা রান্না করা হয় দুধ ও বাদাম যোগে। দেশ ভেদে যদিও এর নামে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। এই যেমন ঘন দুধ দিয়ে রান্না করা সেমাইকে পাকিস্তানে বলা হয় শির খুরমা।

রাশিয়ার খাবার মানতি


মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার নাম। এখানকার ১৫ শতাংশ অধিবাসী মুসলিম। রাশিয়ায় ঈদের দিনে তাদের অনেকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার - মানতি। সহজ কথায় যাকে আমরা মোমো বা ডাম্পলিং বলে চিনি। মাখানো আটার পুটুলির মাঝে থাকে ভেড়া কিংবা গরুর মাংসের কিমার পুর। এরপর তা ভাপে সেদ্ধ করা হয়। মাখন আর ক্রিমের সাথে এই ডাম্পলিং পরিবেশন করা হয়।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মানতির রেসিপিতে রয়েছে ভিন্নতা। তবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন ঈদের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কোনটি? সবাই একযোগে জবাব দেবে- মানতি

চীনে জনপ্রিয় শানজি-



চীনের বেশিরভাগ মুসলিমদের ঈদের দিনের খাবার হিসেবে প্রিয় খাবার হলো ঐতিহ্যবাহী শানজি। ৩০ লাখ মুসলিমের এ দেশে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শানজিতে জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার।

ময়দার লেই দিয়ে মোটা করে নুডুলস বানিয়ে তা ভাজা হয় ডুবো তেলে। এরপর পিরামিডের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে অনেকটা মোটা চানাচুরের মতো। চীনের মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর মুসলিমদের খুবই জনপ্রিয় খাবার এটি। ঈদের আগে তাদের দোকানে গেলেই দেখা মিলবে মুচমুচে শানজির।

মধ্যপ্রাচ্যের খাবার মাখন কুকিজ


মোটা বিস্কুটের মাঝে খেজুরের পেস্ট, আখরোট কিংবা পেস্তা বাদামের পুর দিয়ে প্রস্তুত করা হয় মাখন কুকিজ। ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় হালকা চিনির গুঁড়ো। পুরো রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদের দিনে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে বিশেষ এই কুকি খুবই জনপ্রিয়। একই খাবার সিরিয়ায় পরিচিত মামুল নামে, ইরাকে একে বলা হয় ক্লাইচা আর মিশরে এর নাম কাহাক

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কেটুপাট


ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ আয়োজনে রাখা হয় নানা ধরনের মুখরোচক মিষ্টি। এর পাশাপাশি থাকে ঐতিহ্যবাহী খাবার কেটুপাট। পাম গাছের পাতায় মোড়া এক ধরনের চালের আটার পিঠা এটি। পরিবেশন করা হয়, মাংসের বিভিন্ন আইটেমের সাথে (ওপর আয়াম- নারকেল দুধ দিয়ে রান্না মুরগি অথবা সাম্বাল গোরেং কেনটাং- বিফ এবং আলুর ডিশ)।

ব্রিটেন জুড়ে বিরিয়ানি


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের মুসলিমদের কাছে ঈদের দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এখন বিরিয়ানি। চাল, মাংস এবং সবজি দিয়ে তৈরি এই মুখরোচক খাবারের সাথে থাকে দৈ এবং পুদিনার চাটনি।

ব্রিটেনে বিরিয়ানির জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু অনেকটা আমরাই। এখানকার জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত।

সোমালিয়ায় জনপ্রিয় কামবাবুর

পাতলা রুটি বা প্যানকেকের মত দেখতে খাবারটি সোমালিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। মাংস বা সবজির সাথে গরম গরম পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্যানকেক। খাওয়া হয় চিনি আর দই দিয়ে। ইথিওপিয়ায় এটির নাম ইনজেরা।

বসনিয়ার তুফাহিজা

বসনিয়ার এতিহ্যবাহী এক খাবার হলো তুফাহিজা। এই বিশেষ রেসিপিটি ঈদসহ বিশেষ দিনে বসনিয়ানরা তৈরি করে থাকেন। আপেল সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় বিশেষ এই পদ। সেদ্ধ আপেলের মধ্যে আখরোট বাদামে ভরাট করা হয় এবং হুইপড ক্রিম দিয়ে উপরে সাজানো হয়।

বার্মাতে শাই মাই ঈদ

বার্মার মানুষেরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার শাই মাই ঈদ তৈরি করে থাকেন। তারাও আমাদের মতোই সেমাই রান্না করে থাকেন; তবে তা ভিন্ন উপায়ে। নারকেল, কিসমিস এবং কাজু বাদাম ভাজা দিয়ে তারা শাই মাই ঈদ পরিবেশন করে থাকেন

ভারতে শের খুরমা


ভারতের মুসলিমরা ঈদে শের খুরমা তৈরি করেন। সেমাই দিয়েই মজাদার এক পদ শের খুরমা তৈরি করেন তারা। ঈদে ভারতে প্রস্তুত করা হয় মিষ্টান্ন। ঈদের নামাজের পর সবাই এই মিষ্টান্নের স্বাদ উপভোগ করেন।

লেবাননের মামুল

লেবাননে ঈদ উদযাপন মামুল ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাটার, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুকিজ। লেবাননের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে মামুল পরিবেশন করা হয়।



তুরস্কে লোকুম

হরেক রঙের মিষ্টির টুকরো এই লোকুন। বরফি আকৃতির বিশেষ এই মিষ্টি তুরস্কের সব ঘরেই ঈদের দিন তৈরি করা হয়। সেখানখান শিশুদের প্রিয় খাবার হলো লোকুম।

এই খাবারগুলো কোনটি কি আপনি খেয়েছেন? সময় করে বানিয়ে দেখতে পারেন ভিনদেশি খাবারগুলো।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪