Logo
শিরোনাম

কাশিমপুর কারাগারে শিশু ও মহিলা হাজতিরা পেলেন ঈদ উপহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের সাথে থাকা শিশু ও নারী হাজতিদের ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক দিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) কারাগারের ভেতরে গিয়ে আটক থাকা নারী ও শিশুদের হাতে ঈদের নতুন ওই পোশাক তুলে দেন তিনি।

গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নারী হাজতিদের সঙ্গে ৮৪ জন শিশু রয়েছে। 

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নারী হাজতিদের শাড়ি এবং শিশুদের জন্য নতুন পোশাক উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। 

ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে কারাগারে বন্দি সকলের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর বন্দিদের পবিত্র ঈদের পোশাক পৌছে দেওয়া হয়।

এসময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল কালাম, কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন প্রমুখ।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু'র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর আগে ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রথমে ভারতের চেন্নাই সফর করবেন লু। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে শ্রীলংকা সফর করবেন। সেখানে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাশাপাশি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। তার আগে গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


আরও খবর



লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতর আর বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে এবার দীর্ঘ ছুটি ছিল। এমন ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করে? তবে উসবেও আমাদের একমাত্র উকণ্ঠা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। পৃথিবীর প্রত্যেক জনপদেই উসব পালিত হয়। কিন্তু কোনো নাশকতা ছাড়া শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ হতাহতের নজির বোধ হয় অন্য কোথাও নেই। 

ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফেরার পথে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এর মধ্যে গাড়ির উচ্চগতি, ওভারটেক, ঝাঁকুনি কিংবা হার্ডব্রেক অবচেতনে ডেকে আনছিল মৃত্যুভয়। তবে শেষমেশ নিরাপদেই ফিরতে পেরেছি। তবে কারো কারো কপালে সে ভাগ্য হয়নি। এবারের ঈদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে প্রতিদিনই।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়ির আরও ১৪ আরোহী নিহত হয়। দুর্ঘটনায় নিহতের এ তালিকায় যোগ হয়েছে তরুণ সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের নাম। ১৮ এপ্রিল সকালে কনসার্ট থেকে ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন পাগল হাসান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ এপ্রিল কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সবমিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও এক হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ ও আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এসব দুর্ঘটনায় যথারীতি মোটরসাইকেলই শীর্ষে রয়েছে। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

যদিও সব দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে না। তাই প্রকৃত দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার হাজার ৪৭৫ জনের। অর্থা শুধুমাত্র ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের দিন মিলিয়ে সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬ শতাংশের বেশি জাতীয় মহাসড়কে, ৩৪ শতাংশের বেশি আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং প্রায় ১১ শতাংশ শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে মোট দুর্ঘটনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘটে মোটরসাইকেলে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৫.১১ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষে ২১.২৫ শতাংশ, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ধাক্কা বা চাপায় ২৩.৬২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উঠতি বয়সী তরুণ।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের সময়ে যে পরিমাণ নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটারে সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আছে।

এসব সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে হাইওয়ে পুলিশের ৭৩টি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার সদস্য। ইতিমধ্যে দেশে অনেকগুলো মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে পরিণত হয়েছে আর চার লেনগুলো আট লেনে পরিণত হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এত এত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল মোতায়েন এবং পরিবহন আইন সংস্কার সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলার অভাব রয়ে গেছে, যা রোজার ঈদ আর কোরবানির ঈদে প্রকট আকার ধারণ করে।

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়: ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ভাঙাচোরা সড়ক, অদক্ষ চালক, দুর্নীতি, ট্রাফিক তদারকির অভাব, অপ্রশস্ত সড়ক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে মোটরসাইকেল, তিন চাকার গাড়ি চলাচল ইত্যাদি। পরিবহনের তুলনায় যাত্রী কয়েকগুণ বৃদ্ধি ও পরিবহন মালিকের অতিমুনাফার লোভে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক রাস্তায় নামানো হয়। সড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্নীতি সড়ক শৃঙ্খলার অন্তরায়। এমনকি মহাসড়কে অনভ্যস্ত শহুরে সিটি বাসগুলো সড়কে চাপ তৈরি করে। আর অধিক ট্রিপ পাওয়ার আশায় বিরতিহীন ও বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

 


আরও খবর



তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে প্রাণীকুল। ঘর থেকে বাহিরে বেরোনো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মানুষের। কিন্তু তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। 

গত কয়েক দিন থেকে নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। প্রচন্ড গরমে আক্রান্ত হচ্ছে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। যার বেশির ভাগ বয়স্ক ও শিশু। হঠাৎ করে হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, এক সপ্তাহে অন্তত ৩শ' রোগী ভর্তি হয়েছে। যার বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। আক্রান্ত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৫টি হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ২৬ জন। তবে হাসপাতালে থেকে বাড়তি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার অধিকাংশ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর তথ্যমতে, গত ৭ দিনে জেলার ১১টি উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭শ' ৯৮ জন এবং কলেরা (এআরআই) ২৪ জন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোনিম্ন ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

প্রচন্ড তাবদাহে কর্মজীবি মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। হাপিয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষ। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা ও কালো চমশা ব্যবহার করছেন।চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রচন্ড গরমে ঘরের বাহিরের না যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের গৃহবধু আয়েশা বলেন, বাচ্চার বয়স ৮ মাস। প্রচন্ড গরমে বাচ্চা কয়েক বার পাতলা পায়খানা করে। এরপর রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বারান্দায় বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চা কিছুটা সুস্থতা বোধ করছে। তবে হাসপাতাল থেকে ঔষধ পাওয়া গেলে একটু ভাল হতো। হাসপাতলে প্রচুর রোগীর চাপ।

জেলার মান্দা উপজেলা থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বয়স এক বছর। হঠাৎ করেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করলে স্থানীয় চিকিৎককে দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার পরামর্শে হাসপাতালে গত রাতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ প্রায় ৫শ টাকা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। বাচ্চা এখন কিছুটা সুস্থ।

শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টার্ফ নাস সিমা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগী। আমরা ৯ জন স্টার্ফ। পর্যায়ক্রমে ডিউটি করতে হচ্ছ। হঠাৎ রোগীর চাপ সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে যেসব ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে তা রোগীদের দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন, রজমানে রোজায় ভাজা পোড়া সহ অনিয়মত খাওয়া এবং প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার দুপুরে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রু হলে শপথ নেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা সম্মিলিতভাবে সকল বাধা অতিক্রম করব, আমাদের সকল পরিকল্পনা সফল করব এবং জয়ী হবো।

সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ১৯৯৬ সালে। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪




রণক্ষেত্র রাফায় মুখোমুখি ইসরায়েল- হামাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উপেক্ষা করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার (১০ মে) রাফাহর পূর্বাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। পূর্ব ও পশ্চিম রাফাহকে পৃথককারী মাঝামাঝি সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দখলদার বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে এবার সর্বাত্মক লড়াইয়ে নেমেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও।

ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার মাটি থেকে হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে হলে তাদের রাফাহতে অভিযান চালানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। আর হামাসও বলেছে, তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধে পরাজিত করবে। এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের শেষ চেষ্টাও ভেস্তে গেছে। হামাসের শেষ প্রস্তাবও মেনে নেয়নি ইসরায়েল।

রাফাহর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় সারাদিন রাফাহর পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে হামাস। রাফাহর সমরে হামাসের সঙ্গ দিচ্ছে ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে একাধিক ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। এতে বোঝা যাচ্ছে, রাফাহ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক।

এদিকে ইসরায়েলের এই রাফাহ অভিযানের কারণে পুরো গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বেপরোয়া এ অভিযান থেকে সরে আসার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েক দফায় কঠোরভাবে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্য ঘনিষ্ঠ মিত্ররা। কিন্তু তাতেও অনড় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু; ঘোষণা দিয়েছেন, মিত্ররা পাশে না দাঁড়ালে প্রয়োজনে একাই রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাবে তার বাহিনী।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদেরকে যদি একাই দাঁড়াতে হয়, তাহলে আমরা একাই দাঁড়াব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমরা জানি আমাদের আঙুলের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে। তার কথামতো ইতোমধ্যে রাফাহতে অভিযান এগিয়ে নেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে দখলদার রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।

টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ছিল এ রাফাহ শহর। কিন্তু যুদ্ধের এ দামামায় শেষ আশ্রয়স্থলটুকু ছেড়ে আবারও অনিশ্চিত গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, এরই মধ্যে ত্রাণের মজুদ ও সরবরাহ কমে এসেছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্যের মজুদও কমে আসছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী হামিশ ইয়াং বলেছেন, পাঁচদিন ধরে কোনো জ্বালানি ও মানবিক সাহায্য গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেনি এবং আমরা বন্দুকের নলের মুখে বসবাস করছি।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, হাজারে হাজারে ফিলিস্তিনিরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) ইউএনআরডব্লিউএ এক্সে এক পোস্টে বলেছে, রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ জোরদার হওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তার খোঁজে লাখো মানুষ পালিয়ে গেলেও তাদের জন্য প্রকৃতপক্ষে কোথাও নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই।

হামিশ ইয়ং আরও বলেন, রাফাহর লোকজন খুব ক্লান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের ফলে গাজার বাসিন্দাদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে হেঁটে হেঁটে স্থানান্তরিত হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তাদের শরীরে নেই। হেঁটে যাওয়া ছাড়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রে আর কোনো উপায়ও নেই। এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, রয়েছে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করা এবং অপুষ্টিতে ভোগা অসংখ্য মানুষ।

রাফাহর পশ্চিমে তেল আল-সুলতানের বাসিন্দা আবু হাসান রয়টার্সকে বলেন, আমাদের জন্য আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, কারণ সব জায়গায় ট্যাংকের গোলা এসে পড়ছে। আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার পরিবারের জন্য একটি তাঁবু কিনতে আমি দুই হাজার শেকেল জোগাড় করতে পারছি না।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো ইতোমধ্যে দক্ষিণ থেকে পূর্ব রাফাহ বন্ধ করে দিয়েছে, গাজা ও মিশরের মধ্যে একমাত্র ক্রসিংটিও দখল করে বন্ধ করে দিয়েছে তারা। শুক্রবার সালাহউদ্দিন রোডের দিকে গাজা উপত্যকাকে ভাগ করে রেড জোন ঘেরাও সম্পন্ন করেছে দখলদার বাহিনী। ফলে রাফাহ থেকে বাসিন্দাদের বের হয়ে যাওয়ার প্রায় সব পথ আক্ষরিক অর্থে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সব বাসিন্দাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪