Logo
শিরোনাম

কী ধরণের ঋণ দিয়ে থাকে ব্যাংকগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ২০ মার্চ ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো নানা নামে বিভিন্ন ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে। যেমন ব্যক্তিগত ঋণ, ভ্রমণ ঋণ, পড়াশোনার ঋণ, চিকিৎসক ঋণ, বিবাহ ঋণ, গাড়ি কেনার ঋণ, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট কেনার ঋণ ইত্যাদি। এর বাইরে ব্যবসার জন্য নানা ধরনের ঋণ, এসএমই ঋণ, কৃষি ঋণ, শিল্প কারখানার জন্য ঋণ- ইত্যাদি রয়েছে।

ব্যাংক মোটা দাগে এসব ঋণকে চারটি ভাগে ভাগ করে। যেমন সিকিউরড ঋণ, নন সিকিউরড ঋণ, এসএমই বা কৃষি ঋণ আর কর্পোরেট ঋণ।

ব্যক্তিগত ঋণগুলো নন-সিকিউরড ঋণ হয়, যেজন্য কোনো জামানত দিতে হয় না। তবে অনেক ব্যাংক গ্যারান্টার নিয়ে থাকে। গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি মর্টগেজ বা সিকিউরড ঋণ হিসাবে গণ্য হয়।

এর বাইরে এসএমই সিকিউরড বা নন-সিকিউরড দুইটাই হতে পারে। কৃষি বা শিল্প ঋণ সাধারণ মর্টগেজ ঋণ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মতো কিছু বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে, যারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি খাতের পেশাজীবীদের ঋণ দিয়ে থাকে।

যেমন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, শিল্প ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক যে উদ্দেশ্যে বা চার্টারে তৈরি হয়েছে, শুধুমাত্র সেই উদ্দেশ্যে বা শ্রেণির মানুষদের ঋণ দিয়ে থাকে।

সুদের হার কীভাবে নির্ধারিত হয়?

র্তমানে বাংলাদেশ সরকার আমানত ও ঋণের সুদের হার ৬-৯ পার্সেন্ট বেধে দিয়েছে।

ফলে ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশের ওপর সুদ নিতে পারে না। বরং ঋণ গ্রহীতার অতীত ঋণের ইতিহাস, পেশা বা আয়ের ওপর নির্ভর করে অনেক সময় আরো কম সুদ হার দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শামস উল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সবসময়েই সবচেয়ে কম সুদ দেয়ার। এখন সিঙ্গেল ডিজিট সুদ নেয়া হয়। তবে কাস্টমারের রেকর্ড ভালো হলে সেই সুদের হার আরো কমিয়েও দেয়া হয়।’

প্রতিবেদনের শুরুতেই যে শাহনাজ চৌধুরীর কথা বলা হয়েছে, যিনি একরকম সুদহারে ঋণ নেয়ার কিছুদিন পর দেখেছিলেন তার সুদের হার বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এমনটি কেন ঘটে?

একটি বেসরকারি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘পার্সোনাল ঋণগুলো সাধারণত ফিক্সড রেটে হয়ে থাকে। অর্থাৎ সুদের হার বাড়ুক বা কমুক না কেন, সেই সুদের হারে পরিবর্তন হয় না। তবে গাড়ি বা বাড়ি কেনার সুদের হার সাধারণত পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে। সুদের হার বাড়লে সেটা বাড়বে, সুদের হার কমলে সেটা কমবে।’

ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের যে চিঠি দিয়ে থাকে, সেখানে ঋণের হার পরিবর্তনশীল কিনা, সেটি উল্লেখ থাকে বলে এই কর্মকর্তা জানান। ঋণ গ্রহণের চূড়ান্ত সম্মতির আগে ব্যাংকের মঞ্জুরি পত্র ভালোভাবে পড়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

মোঃ শামস উল ইসলাম বলছেন, ‘কখনো যদি ডিপোজিটের সুদ হার বাড়ে, তখন আমাদের ঋণের সুদের হারও বাড়াতে হবে। কারণ ব্যাংক তো গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত নিয়ে সেটাকেই আবার ঋণ দিয়ে ব্যবসা করে থাকে। সবসময়েই সেটা ব্যাংকের ঋণের শর্তে উল্লেখ থাকে। তবে রাতারাতি সেটা বেড়ে যে অনেক হয়ে যায়, এমন নয়। বাড়লেও আস্তে আস্তে বাড়ে।’

ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আগে বরাদ্দ ঋণের সুদহার বছরে ০.৫ শতাংশের বেশি পরিবর্তন করা যায় না।

তবে কর্পোরেশন, শিল্প বা বড় আকারের ঋণের ক্ষেত্রে আলোচনার ভিত্তিতে সুদহার নির্ধারণ করা হয়। সেটাও বিভিন্ন সময় আমানতের সুদের হারের সঙ্গে মিল রেখে পরিবর্তিত হতে পারে।

ঋণ পেতে হলে কী কী লাগে?
একটি ব্যাংক থেকে আরেকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পার্থক্য দেখা যায়। তবে যে ব্যাংকে ঋণ আবেদন করা হয়, সেখানে গ্রাহকের হিসাব থাকতে হবে।

এছাড়া আয় প্রমাণের জন্য কমপক্ষে ছয় মাসের পে-স্লিপ অথবা ব্যবসার রিটার্ন, স্যালারি সার্টিফিকেট, টিআইএন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, চাকরির প্রমাণপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, বাসার ঠিকানার বিলের কপি ইত্যাদি দিতে হয়। অনেক ব্যাংক গ্যারান্টার চেয়ে থাকে। কমপক্ষে দুইজন স্বজনকে রেফারেন্স হিসাবে দিতে হয়।

গাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে হলে সেসব সম্পত্তির বিস্তারিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সেই সঙ্গে এসব সম্পত্তি ব্যাংক ও গ্রাহকের যৌথ নামে কিনতে হবে। ঋণ শোধ হলে গ্রাহক পুরোপুরি মালিকানা পাবেন।

কৃষি, ব্যবসা ঋণ, শিল্প-কারখানার ঋণের ক্ষেত্রে অনেক সময় জমি, ভবন, কারখানা ইত্যাদি জামানত হিসাবে ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে সম্পত্তির সকল কাগজপত্র ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হবে।

চলমান অন্যান্য ঋণ থাকলে সেসব ঋণ অনুমোদনের চিঠি এবং গত এক বছরের লেনদেন বিবরণী দরকার হবে।

বড় আবাসিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি মিলে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সবার জন্য এসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

ক্রেডিট রেটিং তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে, যাকে বলা হয় ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি।

বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে যদি কেউ ঋণ নিয়ে থাকেন, এই সিআইবিতে তার তথ্য থাকে।

ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটা ব্যাংক এই সিআইবি থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে।

গ্রাহক ঋণ আবেদনে কোনো ভুল তথ্য দিয়েছেন কিনা, অন্য কোনো ব্যাংকে তার ঋণ আছে কিনা, ইত্যাদি তথ্য যাচাই করে দেখতে পারে।

কেউ যদি অতীতে ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের কিস্তি পরিশোধে অনিয়ম করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক ঝুঁকি বেশি বলে বিবেচনা করে থাকে।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




বাংলাদেশের দুর্বিষহ কর ব্যবস্থা ও পরিসংখ্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ তার উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ যোগানে রাজস্ব বাড়াতে লড়াই করছে, এমনকি একই আয়ের তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলির চেয়েও বেশি। আর্থিক বছর ২০২২ এ, মাত্র ১.৪% মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। প্রতিবেশী ভারতে এই সংখ্যা ৫.৮%।

ফ্রান্সে অবস্থিত ওইসিডি(OECD) অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কর্পোরেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জরিপ মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ১০.২ শতাংশ যেখানে এশিয়ার দেশগুলোর কর-টু-জিডিপি হার ১৯.১ শতাংশ যা আমাদের দেশের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি এবং যদি ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশগুলোর সাথে তুলনা করি তাহলে ওইসিডি(OECD) দেশগুলোর কর- টু-জিডিপি হার ৩৩.৫ শতাংশ যা আমাদের দেশ থেকে ২৩.৩ শতাংশ বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ১৫%, শ্রীলংকায় ১১.৫%, পাকিস্তানে ১১.৮%, আফগানিস্তানে এ হার ৯.৩% ও নেপালে ১৮% ।

যদি, আমরা ২০০৭ থেকে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান লক্ষ করি , তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ৮.৫ শতাংশ ছিল, ২০২০সালে যা শুধু ১.৭শতাংশ বেঁড়ে ১০.২ শতাংশ হয়েছিল, যার মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১০.৮ শতাংশ ছিল।

সিইআইসি(CEIC) এর তথ্য মতে, ২০২২ সালে কত কর-টু-জিডিপি হার ছিল ৮ শতাংশ ২০২৩সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে এক বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে, এঁর পিছনে নানান কারন জড়িত। রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত লেগেছে, যার কারনে নিত্যপন্য দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জিনি্সের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এই সমস্যার আরেকটি বড় কারণ হলো সরকার কাঙ্ক্ষিত কর তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারন হতে পারে জনগনের কর ফাঁকি অথবা কর দানে অনুৎসাহ, ফলশ্রুতিতে জিডিপিতে কর হার এত কম।

অর্থনীতির এই জটিল অবস্থায় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ যখন আইএমএফ(IMF) এর কাছে ঋণ অনুমোদন চায় তখন আইএমএফ এর দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল , কর-টু-জিডিপি হার ২০২৪ এর মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ২০২৬ এর মধ্যে ৯.৫%মধ্যে উন্নিত করতে হবে। এত কিছুর পরেও ২০২৩ সালে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা কর আয় কম তুলতে পেরেছে ।

ওইসিডি(OECD) তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের কর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মূল্য সংযোজন কর / পণ্য ও পরিষেবা কর(value added taxes / goods and services tax) যার হার মোট কর উত্তলনের ৩৩ শতাংশ, এখানে ব্যক্তি আয়কর (Personal income tax) সবচেয়ে কম ১১ শতাংশ, আশ্চর্য ভাবে এদেশের সামাজিক নিরাপত্তা (Social security contributions) খাতের ক্ষেত্রে কোনো কর আদায় হয় না। কিন্তু যা অন্যান্য উন্নত দেশের প্রধানতম আয়ের উৎস। যদি এশিয়ার দেশ গুলোর দিকে দেখি তাহলে, ব্যক্তি আয়কর ১৬ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২৩ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ৬ শতাংশ। আর ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশ গুলোতে ব্যক্তি আয়কর ২৩ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ২৬ শতাংশ। সুতরাং স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে তাদের কর আদায়ের উৎস এবং প্রক্রিয়া কতটা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এপ্রিল-জুন ২০২২সালের ত্রৈমাসিক কর আদায় এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,৪৬,০০০ কোটি টাকা, যা বাস্তবে অর্জিত হয় ৩,০৮,৬২৫ কোটি টাকা। ২০২১সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,১৬,০০০ কোটি টাকা যাতে অর্জিত হয় ২,৬৯ ,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড থেকেই আয় হয় ৯১.৩ ভাগ।

এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে নতুন আয়কর আইন ২০২৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে এবং এটি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশের কর ব্যবস্থা এত দিন ধরে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে সেই আয়কর অধ্যাদেশের সংশোধন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর পর এটিই প্রথম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তৈরিকৃত আয়কর আইন। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে এখন পরিপূর্ণ আয়কর আইন প্রণীত হয়েছে। প্রথমেই যে সেই আইনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তেমনটা আশা করা যায় না। এখন এই আইনকে ভিত্তি ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে সময়ের পরিক্রমায় হয়তো আইনটি পরিপূর্ণ মাত্রা পাবে। আসা করা যায় এরই ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় কর আয়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।


আরও খবর



সুন্দরবনে খালে ভাসছে বাঘের দেহ !

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: সাধারণত উল্টো খবরটিই বেশি পাওয়া যায়। সুন্দরবন এলাকায় বাঘের আক্রমণে মৃ্ত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের বা মধু সংগ্রহের সময়ে বাঘের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় মানুষের। কিন্তু বাঘের মৃত্যু? সেই খবরই মিলল এবার। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সুন্দরবনের জোংড়া আর মরাপশুর খালের মাঝামাঝি এলাকা জোংড়া খালের অন্তর্গত আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসমান অবস্থায় মিলল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত দেহ। মৃত দেহটি উদ্ধারে গেছেন বনরক্ষীরা।

সুন্দরবনের কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর বনরক্ষীরা গেছেন। বাঘটিকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে বাঘটি। 

তিনি আরো বলেন,বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বাঘটির বয়স-সহ অন্যান্য বিষয়গুলিও বন বিভাগ অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি(ফলিত পুষ্টি) বিষয়ে তিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: 

নেত্রকোনায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউট(বারটান) এর আয়োজনে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি(ফলিত পুষ্টি) বিষয়ে তিন দিনের  (৭-৯ মে ২৪ ইং ) প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

আজ মঙ্গলবার(০৭ মে) সকাল ১০ টায় জেলার রাজুর বাজার এলাকার বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউট( বারটান) নেত্রকোনার আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অনুষ্টিত হয়।

উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোসা আলতাফ-ঊন-নাহার এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ইউনিয়ন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাফরিনা আক্তার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী দীনা বেগম , মহিলা অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার উম্মে সাদিয়া, নারী প্রগ্রতি সংঘের কমিউনিটি ম্যানেজার স্বপন ভট্রাচার্য্য, সদর তথ্য সেবা সহকারী দীনা বেগম ও  ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এনজিও কর্মীসহ মোট ৩০ জন। একই সাথে অন্য  বাচে ৩০ জন কৃষক ও কৃষাণী নিয়ে মোট ৬০ জনকে তিনদিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রশিক্ষণে ড. মোসা আলতাফ-ঊন-নাহার  খাদ্য, পুষ্টি, ফলিত পুষ্টি, খাবারের উপাদান , দৈনন্দিন জীবনযাত্রা প্রণালি ও প্রয়োজনীয় খাবারের পরিমাণ বিষয়ে আলোচনা করেন।


আরও খবর



গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়। এই গরমে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

কাঁচা আমে অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ থাকে। এতে থাকা ফোলেট বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে উপকারিতা দেয়। পরিপাকজনিত সমস্যা দূর, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এর আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরমে প্রশান্তি দেয়

ওয়ার্কআউট করার পর এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস একটি দারুণ সতেজ পানীয় হিসেবে কাজ করে। এটি উত্তপ্ত তাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই পানীয় শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজের ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। যেহেতু গরমের সময়ে ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় খনিজের ক্ষয় হয়, তাই কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

হজমের সমস্যায় উপকারী

গরমের সময় বেড়ে যাওয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাচন রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্লতা, অম্বল, মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

লিভার ভালো রাখে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং এর রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্যাট শোষণ বাড়ায়।

দাঁতের জন্য উপকারী

কাঁচা আম একটি শক্তিশালী ফল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করে এবং এটি দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত পেতে চাইলে কাঁচা আম খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলকে সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করে

বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে যে কাঁচা আম খেলে তা রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা আম কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ক্ষতিকর দিক

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা আম খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, আমাশয় এবং গলা জ্বালা হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান করবেন না কারণ এটি জ্বালা বাড়ায়।


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে। সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সাথে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরিন আরএমই, আরবিএস, এক্সরে চেস্ট পিএ ভিউ, ইসিজি, সেরাম ক্রিয়াটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং এন্ড আরএইচ টাইপিং।

মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন হজযাত্রীরা। সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।

এ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর