Logo
শিরোনাম

কিডনি বিকল হওয়ার ৫ লক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্য টিপস : মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কিডনি শরীরের যাবতীয় খারাপ পদার্থ শরীরের বাইরে বের করে দেয়। কাজেই সুস্থ থাকতে কিডনিকে সুস্থ রাখতেই হবে। চিকিৎসকদের মতে, আপনার শরীরে যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সাবধান হোন, হয়তো আপনার অজান্তেই কিডনি বিকল হচ্ছে-

চোখের ফোলা ভাব- পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও যদি চোখের তলায় ফোলা ভাব না কমে, তা হলে বুঝতে হবে কিডনির কার্যকারিতায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। রক্ত থেকে পুষ্টিকর পদার্থ ছেঁকে দূষিত পদার্থ বের করতে পারছে না কিডনি। 

প্রস্রাবের বেগ- খুব বেশি পানি খাননি অথচ ঘনঘন প্রস্রাব পাচ্ছে মানেই বুঝতে হবে কিডনি বিকল হচ্ছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ কখনও কখনও প্রস্টেটের সমস্যারও ইঙ্গিত দেয়।

খিদে না পাওয়া- কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যেতে পারে। কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ না করলে শরীরে ‘টক্সিন’-এর পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে খাওয়ার ইচ্ছে হ্রাস পেতে পারে।

বমি বমি ভাব- কিডনি বিকল হয়ে গেলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ মূত্রের সঙ্গে বেরোয় না। কিডনির সমস্যার ফলে শরীরেই সেই ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমতে থাকে। তা থেকে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।

শুষ্ক ত্বক- শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার পাশাপাশি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা উৎপাদন করা, বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য— সবই নির্ভর করে কিডনির উপর। রক্তে বিভিন্ন উপাদান সঠিক মাত্রায় না থাকলে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

------ আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ:

ঈদ আনন্দ উৎসব। পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অভিষিক্ত মুমিন আত্মার আবেগ বিধুর এক বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর। এ মধুর মুহূর্তটিতে একজন মুমিনের হৃদয় যেমন সিয়ামের লব্ধ পবিত্রতায় আলোক উদ্ভাসিত হয়ে উঠে, অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত মাহে রমযানের বিদায়ে হয়ে উঠে দুঃখ ভারাক্রান্ত। একটি মাসের সিয়াম সাধনায় রহমত, মাগফিরাত লাভ করার মতো যোগ্য সাধনা হলো কিনা, যতটুকু হয়েছে তাও আবার গ্রহণ যোগ্য হয়েছে কিনা, ইবাদতের এক মৌসুমী মাহে রমযান আবার ভাগ্যে জুটবে কিনা, ইত্যকার ভাবনায় মুমিন অন্তর হয়ে উঠে বিষাদময়। এই আর বিষাদকাতর অবস্থাতেই অশ্রু বিগলিত হয়ে জায়নামায সিক্ত করে প্রতিটি মুমিন মাহে রমযানকে জানায়‘আল বিদা’।

এর পরই আসে হিসাব নিকাশ মিলানোর পালা। “আস-সাওমু লি, ওয়া আনা উজযা বিহী” ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস সিয়াম সাধনার বদলা-মুজুরী লওয়ার মোবারক আনন্দঘন ঈদের মূহুর্ত। ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদ জামাতে এক হয়ে—দুহাত উঠিয়ে প্রভুর পক্ষ থেকে আত্মপরিতৃপ্তির সাথে পুরষ্কার গ্রহণ করে সকলে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম, সংযম, তিলাওয়াত, যাকাত, সাদকা – প্রভৃতি পেশ করার প্রতিদানে গ্রহণ করে নেয় রাব্বুল আলামীনের অপার সন্তুষ্টি। আর এরই নাম হলো ঈদ, এই হলো মুমিনের প্রকৃত আনন্দ উৎসব। এটাই হলো আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করার শরীয়ত সম্মত প্রক্রিয়া।

বস্তুতঃ এই শরীয়ত সম্মত আর্দশ জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করার শপথ নবায়ন করার বার্ষিক অনুষ্ঠান হলো ঈদ উৎসব। তাই যুগপত এই ঈদের প্রভাতে প্রতিটি মুমিনের মুখেই ফুটে উঠে তৃপ্তির হাসি।

পক্ষান্তরে ভোগবাদী সভ্যতার অনুকরণে অর্ধ রমযান অতিক্রান্ত হতে না হতেই শুরু হয় ঈদের সাজ-সরঞ্জাম-জুতো, জামা, শাড়ী অলংকার ও প্রসাধনের বাজারে প্রচণ্ড ভীড়। নূতন নূতন ছায়াছবি মুক্তির সমারোহ, ভিডিও কর্ণারগুলোর অমার্জিত প্রচার, আর খাওয়া-দাওয়ার রকমারী উদ্যোগ।

অথচ সিয়াম সাধনায় শরীক না হয়ে এসবের মধ্যে সকল শক্তি নিয়োগ করে মার্কেটে মার্কেটে ছুটে বেড়ানো বা ইত্যাকার ভোগসর্বস্ব যে সমস্ত ইহ হল্লা হট্টগোল ঈদ উৎসব নামে অভিহিত করা হয়, এমন ঈদের সংগে কোন মুমিনেরই পরিচিত হওয়ার অবকাশ নেই। এ গুলো ইহুদী খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যর্থ অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এক কথায়—যারা রোযা রাখেনি, যারা আল্লাহর বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, কুরআনকে যারা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মনে করেনা এবং যে রোজাদারের, যাকাত দানে অনীহা, পরশীর হক অস্বীকার করে, এ সমস্ত লোকদের কারো ঈদের জামাতে শরীক হওয়ার অধিকার নেই। ঈদের জামাতে তারা অনভিপ্রেত। তারা অবাঞ্ছিত। মুমিনের কাতারে তারা অন্যায় অনুপ্রবেশ কারী। এদের জৌলুষ, এদের বিত্তবৈভবের নগ্ন প্রদর্শনী, উদ্ধত অহংকার, এদের পশুসুলভ লালসার জিহ্বা এড়িয়ে চলা প্রতিটি ঈমানদারের জন্য একান্ত অপরিহার্য।


আরও খবর



বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ ৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

স্বাভাবিকভাবেই বছর ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ আগের বছরের ‍তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ে ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

যে সব প্রকল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদরা।


আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরা হলোনা তাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারা পরিরবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাহিন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের শিশু সন্তান মাহিতের (২) মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।


আরও খবর