কুমিল্লা ব্যুরো :
প্রতারকচক্রটি হ্যালো পার্টির মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে ।প্রতারনায় নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবার কেউ পুলিশ সুপার। এভাবে নিজের পরিচয় গোপন করে ভূয়া পরিচয় দিয়ে চাকরি প্রত্যাশিদের চাকরি দেবেন বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তিন প্রতারককে জেলার ডিবিপুলিশের ২টি টিম ডিএমপি ঢাকা ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে।এসময় প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ,সীম ও আত্নসাৎকৃত টাকা উদ্ধার করে ডিবিপুলিশ । সর্বশেষ ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা জেলার বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেনিং রিলুট ক্যাস্টেবল (টিআরসি) পদে জনবল নিয়োগ পাইয়ে দেবার নামে প্রতারণার পর ধরা পড়ে চক্রটি। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এমন তথ্য জানিয়েছেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
তিন প্রতারক গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডিএমপি কদমতলী থানায় প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদারীপুর জেলার শাখার পাড় মোল্লা বাড়ির মৃত শাহাদাত হোসেন ওরফে শুকুর আলীর ছেলে মেরাজুল ইসলাম ওরপে লায়ন মেরাজ (৪৬)।
ডিএমপির বংশাল থানার চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সুলতান খন্দকারের ছেলে মো. জামান খন্দকার ওরপে আলীমুজ্জামান (৪৩) ও তাদের সহযোগী মাদারীপুরের সারোয়ার ফকিনার ছেলে মোঃ রিপন ফকির (৩৭)।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম(বার) জানান, ফাহিম নামের এক পুলিশের চাকরি প্রত্যাশির আত্মীয়দের কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পরিচয় দেয় মেরাজুল ইসলাম ওরপে লায়ন মেরাজ (৪৬)। সেই সঙ্গে জামান খন্দকার ওরফে আলীমুজ্জামান নিজেকে পুলিশ সুপার পরিচয় দেয়। নিজেদের আসল পরিচয় গোপন রেখে তারা চাকরি দেবে বলে ছয় লাখ টাকা দাবী করে। এবং চাকরির আশায় ফাহিমের পরিবারও ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করে। যখন ফলাফলের দিন সে উত্তীর্ণ হয়নি তখন তারা বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। পরে তারা কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা দীর্ঘদিন যাবত হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম/পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান চাকরি প্রত্যাশিদের এমন প্রতারণার ফাঁদ থেকে দূরে থাকতে আহবান জানান।