Logo
শিরোনাম

কুমিল্লায় শিশু রমজান হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ,কুমিল্লা 

কুমিল্লার বু‌ড়িচং ২০০৭সালে মোঃ রমজান আলী হত্যা মামলায় আসামী আইয়ুব আলী ও আজহারুল ইসলাম রিপনসহ দুই জনের যাবজ্জীবন সহ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদা‌য়ে ৬মা‌সের কারাদন্ডের রায় দেন আদালত।

 রোববার (১২আগষ্ট) বি‌কে‌লে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হো‌সেন এ রায় দেন। এ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রিপন পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আইয়ুব আলী (৪৫ )ও আজহারুল ইসলাম রিপন দুজনের বাড়ি কুমিল্লা বু‌ড়িচং উপ‌জেলার কালাকচুয়ার নারায়সার গ্রামে। 

কু‌মিল্লার আদাল‌তের এপিপি এড. জা‌কির হো‌সেন মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০০৭সালের জুলাই বিকেল কু‌মিল্লা বু‌ড়িচং নার‌ায়ণসার গ্রামের  সেনানিবাস পর্যদ বা‌লিকা বিদ‌্যাল‌য়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ রমজান আলী( ৮)কে বাড়ি থেকে চানাচুর দি‌বে ব‌লে ডে‌কে নিয়ে হত্যা করে। পর‌দিন ক‌্যা‌ন্টে‌মেন্ট পার হাউসের পা‌শের জঙ্গ‌লে শরীর থে‌কে মস্তক আলাদা ক‌রে ফে‌লে রা‌খে।প‌রে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  জ‌মি সংক্রান্ত বি‌রোধসহ জ‌মি‌তে পাইপ লাইন লাগা‌নোকে কেন্দ্র ক‌রে নিহত রমজান আলীর পিতার সা‌থে তার চাচা‌তো ভাই আইয়ুব আলীর বি‌রো‌ধের জের  হত‌্যার ঘটনা‌টি সংঘ‌ঠিত হয়।নিহত শিশু পিতা মোঃ হা‌বিল মিয়া  বাদী হয়ে ৬জন নাম উল্লেখ করে বু‌ড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদাল‌তে যুক্তিতর্ক শুনানী শে‌ষে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আদালত দুই আসামীকে যাবজ্জীবনসহ ২০হাজারটাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এড. জা‌কির হো‌সেন ।আসামী প‌ক্ষে মামলা প‌রিচালনা ক‌রেন  ম‌ফিজুল ইসলাম।


আরও খবর

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে হাসপাতাল চত্বরে এ মানবববন্ধন কর্মসূচি পালিত। নওগাঁ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র প্রতিনিধি রিয়াদুল সালেহীন, হাসপাতালের তালিকাভুক্ত এমএসআর সামগ্রী সরবরাহকারী ঠিকাদার আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত সরদার, তৌফিক ইমাম, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য অনলাইনে এমএসআর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে বরাদ্দ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিশেষ শর্ত যুক্ত করেছেন। শর্তের বেড়াজালে অংশ নিতে পারছে না অনেক ঠিকাদার। দরপত্রে বিভিন্ন শর্তাবলীর একটি অংশে বলা হয়েছে দরপত্রের জন্য ঠিকাদার বাছাইয়ের আগেই কাজ পেতে ইচ্ছুক ঠিকাদারকে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রীর নমুনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। অথচ এই শর্ত বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে দেওয়া হয় না। পছন্দের ঠিকাদারকে বাছাই করার জন্য এই শর্ত যুক্ত করেছে তত্ত্বাবধায়ক। এছাড়া হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ, হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দেওয়া সহ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, প্রধান সহকারী স ম ওমর ফারুক ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদেরকে অপসারণসহ তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।  

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দরপত্র আহ্বানসহ নিয়ম মেনেই হাসপাতালে সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। গত ৫ জানুয়ারী হাসপাতালে বিভিন্ন সামগ্রী কেনার জন্য সারে ৪ কোটি টাকার এমএসআর সামগ্রী দরপত্র অনলাইনে আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় দেওয়া হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। নওগাঁ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সভাপতি বলেন, এমএসআর সামগ্রী কেনার জন্য যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক স্বেচ্ছাচারীভাবে কিছু শর্ত যুক্ত করেছেন। দরপত্র পাওয়ার আগেই নাকি এমএসআর সামগ্রীর নমুনা জমা দিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। নিয়ম বর্হিভূতভাবে দেওয়া শর্তগুলো সংশোধন করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী, প্রধান সহকারী স ম ওমর ফারুক ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে অপসারণসহ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানাতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে নির্বাচিত ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করবেন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করার কিছু নেই। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি থাকলে সেটা তদন্ত করুক। তদন্ত হলেই সত্যতা বের হয়ে আসবে।


আরও খবর



মির্জাগঞ্জে ভবন নির্মান না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

ঠিকাদারের গাফলতির কারনে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ। নির্মান সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির অযুহাতে বছরের পর বছর পরে আছে ভবন নির্মানের কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার এমনই অভিযোগ। মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ করে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারের কাছে বারবার ধরনা দিলেও কাজ হচ্ছে না। শ্রেনীকক্ষের সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তাই বাধ্যে হয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান করাচ্ছেন। বেশি সমস্যায় পড়ের বৃষ্টির মৌসুমে। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার ২০২১ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বরাদ্ধের পরিমাণ ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফাউন্ডেশন চারতলা থাকলেও এখন নির্মাণ করা হবে একতলা। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার বারবার কাজের সময় বাড়ানোর আবেদন করে সময় ক্ষেপন করেন। কাজে বিলম্ব হওয়াতে ভোগান্তিতে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ে একটি মাত্র পুরোনো পাঁকা ভবন রয়েছে। এতে তিনটি কক্ষ আছে, ওই সব কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ। পাঠদান চলার সময় গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেনীর কক্ষে সিলিং ফ্যান পড়ে দু’জন শিক্ষার্থী আহত হয়। ক্লাস পরিচালনার জন্য শ্রেনী কক্ষের সংকট রয়েছে। 

শিক্ষার্থীর বলেন, ‘নবম ও দশম শ্রেনীর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্লাস করার সময় অতিরিক্ত কক্ষের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের বাধ্যে হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠেও ক্লাস করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’ 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ এলাকার মধ্যে ঐতিহ্য বহন করেন। বিদ্যালয়ে শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারনে নতুন ভবন নির্মানের কাজ শুরু হলে ঠিকাদার ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখেছেন বছরের পর বছর। আমি শ্রেনী কক্ষের সংকটের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারকে বলা হলেও তিনি কাজ করছেন না। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই যাতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয় এবং বিদ্যালয়ের শ্রেনী সংকট কেটে যায়। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে, সেই পরিমাণ বিল উত্তোলন করতে পারিনি। এখন যথাযথ বরাদ্ধ নেই। তবে কাজ ফেলে রাখলে ঠিকাদারেরই লস হয়। তবে অফিসে কাজের পে-অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি দুই তিন দিনের নতুন ভবনের বাকী কাজ শুরু করবো।’

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হবে।


আরও খবর



তিন লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ফিরেছেন উত্তর গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সোমবার গাজা উপত্যকায় ফিরেছেন ৩ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজার এই বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এতদিন উপত্যকার দক্ষিন ও মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৪৭০ দিন পর নিজেদের বাড়িতঘরে ফিরছেন তারা।

ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উত্তর গাজায় এখন কোনো বাড়িঘরই অক্ষত নেই। কিন্তু তারপরও প্রায় ১৫ মাস পর নিজেদের এলাকায় ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত উত্তর গাজার বাসিন্দারা।

সোমবার সকাল থেকেই নেৎজারিম করিডোর দিয়ে উত্তর গাজায় আসতে শুরু করেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অনেকেই ঘোড়া কিংবা গাধার গাড়িতে নিজেদের মালপত্র নিয়ে আসেন। উত্তর গাজার কেন্দ্রীয় শহর গাজা সিটির প্রধান সড়কের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে ‘গাজায় স্বাগতম’ লেখা ব্যানার টাঙানো ছিল এ সময়।

উত্তর গাজার বাসিন্দা ২২ বছরের তরুণী লামিস আল ইওয়াদি দীর্ঘদিন পর নিজ এলাকায় ফিরতে পেরে খুবই আনন্দিত। এএফপিকে তিনি বলেন, “আজকের দিনটি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। আমার মনে হচ্ছে— এতদিন আমি মৃত ‍ছিলাম; আজ আমার দেহে ফের জীবন এবং আত্মা ফিরে এসেছে।

চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংস্তূপ তাকে হতাশ করতে পারেনি। এএফপিকে লামিস বলেন, আমরা আবার আমাদের ঘরবাড়ি তৈরি করব। এমনকি যদি শুধু বালি আর কাদা দিয়ে তৈরি করতে হয়, তবুও।

গাজায় হামাসের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় ফিরে আসা এই বাড়িঘর হারানো এই ফিলিস্তিনিদের সাময়িক আশ্রয় হিসেবে অন্তত ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবু প্রয়োজন।

২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সে অভিযানে নিহত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১২ হাজার জন এবং গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের ব্যাপক ও বিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতার জেরে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারাও ফেরা শুরু করেছেন।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যেন ফাটল সৃষ্টি না হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যেন কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সবচাইতে জরুরি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই জাতীয় ঐক্যকে গণ ঐক্যে রূপান্তরিত করে সেটাকে রাজনৈতিকভাবে আমরা যেন সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি এবং সেই ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেটাই আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন এখন যেকোনো রকমের অনৈক্যের বিজ আমাদের ভেতরে বপন করতে না পারে কোনো সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন, আমরা এসেছি, কথা বলেছি, আমাদের পরামর্শ যা দরকার রাষ্ট্র পরিচালনা হিসেবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সেটা আমরা দিয়েছি।

ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনো পরামর্শ ছিল কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র আসলেই সাড়ে ৫ মাস পরে কোনো প্রয়োজন ছিল কি না? যদি থেকে থাকে সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী? সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে সেখানে যেন কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয় সেখানেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। যদি কোনো রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয় সে দলিলটাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয় সেই দিকটা নিয়ে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। যেন জাতীয় ঐক্যে কোনো ধরনের ফাটল সৃষ্টি না হয়। আমাদের মধ্যে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।

ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী ছিল— জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলিল প্রণয়ন বিষয়ে আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছি, ইত্যাদি বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।

খসড়া নিয়ে কোনো আপত্তি আছে কি না— জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য কোন ধরনের বক্তব্য না দিয়ে চলে যান।


আরও খবর



দাবানলে পুড়ে যেতে পারে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো দাবানলের আগুনে নতুন নতুন এলাকা পুড়ছে। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসে আরও তীব্র বাতাসের প্রভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং এর আশপাশে এখনও জ্বলন্ত ভয়াবহ দাবানল আরও তীব্র হতে পারে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্যালিসেডস এবং ইটনের প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টির ফায়ার প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন যে এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

ঝড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, যা সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেছেন,ঝড়ো বাতাস ফিরে আসার আগেই জরুরি সব প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মীরা পুরোপুরি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা।

ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়লে তা বিপর্যয়কর হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গোটা লস এঞ্জেলসই দাবানলের হুমকির মুখে পড়েছে।

পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা হয়ত আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছি। কারণ মঙ্গলবার বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে।’

এরই মধ্যে আগুনে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি বলেন, ফিরে আসার পূর্বাভাস থাকা ঝড়ো বাতাসে আর্দ্রতা খুবই কম থাকায় লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।

লস এঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি আগুন নেভানোর কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের আরও সদস্য চেয়েছেন। চারশ’সদস্য এর মধ্যেই কাজ করছে।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ আছে বলে কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস কারফিউ পালনের জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উইলিয়ামসন আরও বলেন, পুলিশ কারফিউ ‘কঠোরভাবে প্রয়োগ’ করছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের এক হাজার ডলার জরিমানা অথবা জেল হতে পারে।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫