কুমিল্লা ব্যুরো :কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ট্রেন দুর্ঘটনার ৪৭ ঘণ্টা পর শেষ
হলো উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হলেও
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেন সোনার বাংলার ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি নিরাপদ স্থানে
সরিয়ে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে ট্রলির মাধ্যমে চট্টগ্রামে তা স্থানান্তর করা হবে।
এর
আগে রবিবার রাত দেড়টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন
ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে আরও একটি
রিলিফ ট্রেন আসলে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে একসঙ্গে উদ্ধারকাজে শুরু হয়।
উদ্ধারকাজে
নেতৃত্বদানকারী রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান মঙ্গলবার রাত ৮টায়
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার ফলে তিন ও চার নম্বর লাইন
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূল লাইন দুটির ক্ষতি না হওয়ায় ওই রাত থেকে আপ ও ডাউন দুইদিকে ট্রেন
চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আমাদের সম্মিলিত উদ্ধারকাজ সমাপ্ত
ঘোষণা করা হয়।
তিনি
আরো বলেন, সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি ব্যাপক
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে লাইনে তোলা সম্ভব হয়নি। আপাতত সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে রেখে
লাইন মেরামতসহ সব কাজ শেষ করা হয়। বর্তমানে আপ এবং ডাউন দুইদিকে ট্রেন চলাচল
স্বাভাবিক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন ও বগিটি বুধবার সকালে ট্রলির মাধ্যমে
চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হবে।
এর
আগে রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলওয়ে
স্টেশনের পূর্বপাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের পেছনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে
আসা সোনার বাংলা ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে সাতটি বগি
দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় মালবাহী ট্রেনটির চারটি বগিও লাইন থেকে ছিটকে পড়ে
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সোনার বাংলা ট্রেনের চালকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন।
পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলার বিভিন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।