Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাটে ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে 'অতিক্রম'-এর প্রধান উপদেষ্টা বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের মৃত্যুতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাট জেল রোড সোনালী পার্ক ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন জায়াভিয়েন গেষ্ট হাউসের সভা কক্ষে অতিক্রম লালমনিরহাটের আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিক্রম লালমনিরহাটের আহবায়ক হেলাল হোসেন কবির-এঁর সভাপতিত্বে অতিক্রম লালমনিরহাটের যুগ্ম আহবায়ক মুহিন রায় ও মাসুদ রানা রাশেদ-এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন ভাষা সৈনিক আবদুল কাদের ভাসানী। স্মৃতি চারণ করেন মরহুমের পরিবারের আজিজার রহমান বাবলু, হুমায়ুন কবির, জাহানারা বেগম শিরিন। এতে আলোচক ছিলেন প্রয়াতের অনুরাগী এবং লালমনিরহাটের বিদ্বৎসমাজ মনসুর আলী সরকার, শামীম আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, প্রদীপ রায়, জামাল হোসেন, সূফী মোহাম্মদ, সৈয়দ শামীম আহমেদ, জনি, রবিউল ইসলাম নিঝুম, মুহিন রায় প্রমুখ। এ সময় অতিক্রম লালমনিরহাটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের জন্ম ১৯৩৫খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ ও মৃত্যু ২০২৩খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মে।


আরও খবর



ভারত ফাইনালে, বাংলাদেশের বিদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইয়াশফি রহমান : দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের লক্ষ্যটা হাতের কাছে রাখায় দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন দুনিথ ভেল্লালাগে। এরপর ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে লড়াই করেন বুক চিতিয়ে। কিন্তু সঙ্গীদের ব্যর্থতায় বৃথা যায় তার প্রতিরোধ। তাতে ভারতের কাছে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের এই হারে জটিল এক সমীকরণে টিকে থাকা বাংলাদেশের শেষ আশারও সমাপ্তি ঘটে। গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকেট কেটেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ৫১ বল বাকি থাকতেই ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

এই হারের পরও পাকিস্তানের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে স্বাগতিকরা। তাতে এখনও টিকে আছে তাদের ফাইনালের স্বপ্ন। সেই হিসেব মেলাতে গেলে আগামীকাল পাকিস্তানকে হারাতে হবে লঙ্কানদের। যদি বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্তও তবুও নেট রান রেটের হিসেবে ১৭ অক্টোবর শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গী হবে দ্বীপ দেশটি। আর তাতে ১৫ অক্টোবর সুপার ফোরে ভারতের ম্যাচটি সাকিব আল হাসানদের জন্য হয়ে উঠল কেবলই নিয়মরক্ষার। সেই হিসেবে আগামীকাল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি তৈরি হলো অলিখিত সেমি-ফাইনালে। সেই ম্যাচের জয়ী দল আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহর তোপে দলীয় ২৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে পাথুম নিসাঙ্কাকে লোকেশ রাহুলের ক্যাচে পরিণত করার পর হাওয়ায় কুশল মেন্ডিসকে অতিরিক্ত ফিল্ডার সুরিয়াকুমার যাদবের ক্যাচে পরিণত করেন বুমরাহ। ১৮ বলে ২ রান করার এ ব্যাটারের হঠাৎই ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে ধরা পড়েন সিপে।

চাপে পড়া দলের হাল সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে ধরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। সামারাবিক্রমাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন আগের দিন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেওয়া কুলদিপ যাদব। এরপর আসালাঙ্কাকেও ফেরান এই স্পিনার। উইকেটের পেছনে অবশ্য দারুণ ক্যাচ ধরেন রাহুল। দলীয় ৯৯ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। সিপে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। তবে সপ্তম উইকেটে ভেল্লালাগেকে নিয়ে লঙ্কানদের ফের স্বপ্ন দেখান ধনাঞ্জয়া। ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ ধৈর্য হারান ধনাঞ্জয়া। মিডঅন উপর দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন সুরিয়াকুমারের হাতে। কার্যত তখন হার দেখতে থাকে লঙ্কানরা। এরপর মহেশ থিকসানাকে হার্দিক পান্ডিয়া আউট করার পর লেজের দুই উইকেট ছাঁটাই করেন কুলদিপ। ফলে দারুণ এক জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ভেল্লালাগে। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৬৬ বলে ৫টি চারে ৪১ রান করেন ধনাঞ্জয়া। ভারতের পক্ষে ৪৩ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন কুলদিপ।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে ভারত। ৬৭ বলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮০ রান। এরপর শুরু হয় ওয়েলালাগের স্পিন ভেলকি। দ্বাদশ ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম বলেই শুবমান গিলকে বোল্ড করেন। টার্নে পরাস্ত হন তিনি। ভারতের স্কোরবোর্ডে আর ১১ রান যোগ হতে ওয়েলালাগে সাজঘরে পাঠান বিরাট কোহলি আর রোহিতকেও। পিচে পড়ে কিছুটা থেমে আসা বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। নিচু হওয়া ডেলিভারিতে স্টাম্প হারানোর আগে রোহিত ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ভারতের ষষ্ঠ ও সব মিলিয়ে ১৫তম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

৯১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন ইশান কিশান ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল। ৮৯ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন দুজনে। এই জুটিও ভেঙে শ্রীলঙ্কাকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু দেন ভেল্লালাগে। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ভারত। কোহলিকে কুপোকাত করার মতো প্রায় একই বলে রাহুলকে ফিরতি ক্যাচ বানান ওয়েলালাগে। আরেক থিতু ব্যাটার ইশানের আউটেও ভূমিকা রাখেন তিনি। আসালাঙ্কার বলে শর্ট মিডউইকেটে নেন দুর্দান্ত ক্যাচ। এরপর বিপজ্জনক হার্দিক পান্ডিয়াকে রিভিউ নিয়ে দ্রুত ফেরায় লঙ্কানরা। এই উইকেটের মাধ্যমে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ফাইফারের স্বাদ নেন ওয়েলালাগে।

পরের গল্পটা আসালাঙ্কার। রবীন্দ্র জাদেজার পর টানা দুই বলে তিনি শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদবের উইকেট। আর আক্সার প্যাটেলকে ঝুলিতে ঢুকিয়ে ভারতকে গুটিয়ে দেন থিকশানা।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক রোহিত। ৪৮ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। ইশান ৬১ বলে ৩৩ রান করেন একটি করে চার ও ছক্কায়। রাহুলের ব্যাট থেকে ২ চারের সাহায্যে আসে ৪৪ বলে ৩৯ রান। শেষদিকে আক্সার ৩৬ বলে একটি ছক্কায় করেন ২৬ রান। তার কারণে ভারতের সংগ্রহ ছাড়িয়ে যায় দুইশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন ২০ বছর বয়সী ওয়েলালাগে। আসালাঙ্কা ১৮ রানের বিনিময়ে পান ৪ উইকেট। অপর উইকেটটি পান মাহিশ থিকশানা। ফলে ভারতের ১০ উইকেটের সবকটিই নেন লঙ্কান স্পিনাররা। ওয়ানডে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে স্পিনারদের কাছে ১০ উইকেট হারাল ভারত। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনটা ঘটল ১০ বার।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পোশাকে রপ্তানি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানি সেপ্টেম্বর মাসে বাড়লেও তা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর টানা দুই মাস সরকার নির্ধারিত পোশাক পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য বিশ্ববাজারে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৬১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৩১৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বিদায়ী মাসটিতে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে আয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯০ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণের। আর আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। ২৯ কোটি ডলার অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম রপ্তানি আয় হয়েছে।

তার আগের মাস আগস্টে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২২ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আয় হয়েছিল ৪০৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। পরপর দুই মাসেই কমেছে। তবে তার আগের মাস জুলাইয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭৭কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিমাণ পোশাক পণ্যের। সেই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার পরিমাণের। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বেশি রপ্তানি আয় হয়েছিল।

সবমিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তিন) মাসে রপ্তানি আয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১৭৯ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। সেখান থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার পরিমাণ পণ্য। অর্থাৎ সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

তবে আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালের প্রথম তিন মাসের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৭কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার পণ্যের। আর চলতি বছরে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

তার আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




এক সপ্তাহে এলো রেমিট্যান্স ৪ হাজার ৩৯ কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এলো ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের প্রতিদিন ৫ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার করে প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৬ কোটি ৭৯ মার্কিন ডলার।

তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ৬ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে প্রবাসী আয় এসেছে ৩ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। আর ৩২ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বিডিবিএল ও রাকাবের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। প্রবাসী আয় আসেনি বেসরকারি বেঙ্গল ও কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সিটি ব্যাংক এনএ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। 

শনিবার সকালে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

এর আগে শুক্রবার সকালে টেকনাফ থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজে করে ৮৫২ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যান। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়া কারণে ওই জাহাজে করে ছয় শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা দ্বীপে অবস্থান করেন। আদনান চৌধুরী বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছে। 

এদিকে, শনিবার বিকেলেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক ও টেকনাফে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন শীল  বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিবন্ধকতা যাচাই করতে পরীক্ষামূলকভাবে এমভি বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মূলত সাত দিনের জন্য আপাতত জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেলে পরে ওই জাহাজটিসহ অন্যগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।

 


আরও খবর



বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০' যানবাহন চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় বাস ও সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিক উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

এ সময় দুটি বাস ও ১৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের শিকার হয়। দু- পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সড়কে যানবাহন চলাচল না করায় চরম দূর্ভোগের পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। দু' পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মান্দাতে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সহ নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, প্রথমে সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিকেরা মান্দা উপজেলার সাবাইহাট বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাস ভাঙচুর করেন। এঘটনার পর মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর শ্রমিকেরা মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় জড়ো হয়ে সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিকদের উপর চড়াও হোন এবং অটো-রিকশা ভাঙচুর করেন। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ফেরিঘাট সেতুর মুখে ও ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার উপর বাস রেখে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানান মোটর শ্রমিকরা।

সুত্র আরো জানায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট ও ফেরিঘাট এলাকায় দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কে বাস ও তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংবাদ সংগ্রহকালে ফেরিঘাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মতিউজ্জামান মতি বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অটো-রিকশা চালকরা নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে দু' পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজকে বেলা দুইটার দিকে সাবাইহাট এলাকায় সিএনজি চালক ও মালিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে যাত্রীবাহী দুটি বাস ভাঙচুর করেন। 

এ সময় বাস দু'টির চালক ও তার সহকারীকে মারধরও করা হয়। খবর পাওয়ার পর বাস শ্রমিকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তার উপর বাস রেখে (বাস চলাচল বন্ধ করে) প্রতিবাদ জানান। 

অপরদিকে ঘটনার বিষয়ে সিএনজি-মালিক শ্রমিক সমিতি সাবাইহাট শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইন বোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে নতুন চেক পোস্ট বসিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। 

শুক্রবার নামাজের পর ফেরিঘাট থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার সময় নতুন চেকপোষ্টে একটি অটোরিকশা থামিয়ে চালককে মারধর করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাস শ্রমিকেরা আবারও সিএনজি মালিক ও চালকের উপর হামলা চালায়। এ সময় ১৫-১৬টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। হামলায় অন্তত ১৫ জন অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর