Logo
শিরোনাম

মামুনুল হকের মামলার পরবর্তী তারিখ ৪ অক্টোবর নির্ধারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

জান্নাত আরা ঝর্ণা কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে সোনারগাঁয় থানায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মঙ্গলবার  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ক্র্যাচে ভর দিয়ে আদালতে উঠেন ধর্ষণ মামলার আসামি মামুনুল হক। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন , রয়েল রিসোর্টের পিআরও জাকির হোসেন ও গণমাধ্যমকর্মী নুর নবী জনি। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে মামুনুল হককে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আবারও তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করেন মামুনুল হক। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হন মামুনুল হক। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, আরো দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে যে মামুনুল হক নির্দোষ, আমরা ন্যায় বিচার পাব আশা করি।

জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন সময়ে আদালত চত্তরে মামলার আসামী মামুনুল হক পন্থী অসংখ্য হেফাজত ইসলামীর নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে মামুনুল হকের মুক্তির দাবী করে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় হেফাজত কর্মীরা বলেন, “হুজুরের স্ত্রী হুজুরের নামে ধর্ষণের মামলা করছে ! আর সুযোগ নিয়েছে সরকার।”

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন জানান, আজ মামলার আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৪ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন আদালত। 


আরও খবর



প্রতারণা মামলায় নুসরাতকে ইডির তলব, কী বলছেন যশ?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে তাকে। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় দেশটির বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

একদিকে যখন এ খবরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম, অন্যদিকে তখন শহর জুড়ে অভিনেত্রী দিব্যা খোসলা কুমারের সঙ্গে আসন্ন নতুন হিন্দি সিনেমা ‘ইয়ারিয়া ২’-এর প্রচার চালাচ্ছেন স্বামী যশ দাশগুপ্ত।

নুসরাত প্রসঙ্গে যশকে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি এখন নতুন সিনেমার কাজে ব্যস্ত। আমার মনে হয় না, এটা সঠিক সময় এ বিষয়ে কথা বলার। সঠিক সময় এলে নিশ্চয়ই সব উত্তর দেব।

নুসরাতের সঙ্গে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন কী যশ? সে কথাও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, আজ শনিবারই সিনেমার প্রচারের জন্য মুম্বাই চলে যাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, নুসরাতসহ সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ এবং ‘স্লিপিং ডিরেক্টর’ রূপলেখা মিত্রকেও ইডির তরফে তলব করা হয়েছে।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে । ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে লঞ্চযাত্রীর সংখ্যা কমার পেছনে চারটি প্রধান কারণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছেপদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, মহানগরীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে দুঃসহ যানজট, প্রয়োজনীয় খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণের অভাবে বিভিন্ন নৌপথে তীব্র নাব্যসংকট এবং টার্মিনালসহ এর আশেপাশে ইজারাদারের লোকজন ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য। নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনা, নৌযান ও বাসমালিক, নৌ ও বাসশ্রমিক, সাধারণ যাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ উত্থাপন করেছে জাতীয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে। এর মধ্যে গত এক বছরেই কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এই মন্দার কারণে নৌযান মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এবং লঞ্চ চলাচল কমে আসছে। ফলে অনেক নৌযান- শ্রমিকও দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছেন।

জাতীয় কমিটি জানায়, ঢাকা থেকে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের বড় অংশ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার যাত্রী। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা শহরের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগের ২১ জেলার অত্যাধুনিক সড়ক যোগাযোগ হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াত করতে পারছে। ফলে বরিশালগামী যাত্রীদের একটি বড় অংশ আর লঞ্চে চড়ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীদের সদরঘাট পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু গুলিস্তান, দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু (বাবুবাজার ব্রিজ) ও শ্যামপুর থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে সারা বছর তীব্র যানজট থাকে। এতে মানুষের দীর্ঘ সময় নষ্ট ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে অনেক মানুষ লঞ্চে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে।

নাব্যসংকটের কারণেও নৌপথে যাত্রী কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নাব্যসংকট নিরসনে পর্যাপ্ত অর্থ দিলেও নদীগুলো যথাযথভাবে খনন করা হচ্ছে না। অনেক নৌপথে নিয়মিত পলি অপসারণের জন্য সংরক্ষণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ফলে মালিকরা ঢাকা থেকে নাব্যহীন নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিকে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়া সদরঘাট টার্মিনালসহ আশেপাশের ঘাটগুলোতে হয়রানির কারণেও লঞ্চযাত্রী কমছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালামালের টোল বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। কুলি-মজুররাও মালামাল নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে এবং বাড়তি মজুরি নেয়। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় কমিটি সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ হলো :

১. শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ার (জিপিও মোড়) থেকে সদরঘাট পর্যন্ত অবিলম্বে উড়াল সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ সেতু সদরঘাট থেকে একদিকে বাবুবাজার ব্রিজ, অপরদিকে শ্যামপুর পর্যন্ত সংযুক্তকরণ।

২. উড়াল সেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত উল্লিখিত সড়কগুলোকে যানজটমুক্ত রাখতে দুপাশের হকারসহ সব ধরনের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার।

৩. প্রয়োজনীয় খনন ও পলি অপসারণের মাধ্যমে সব নৌপথে সারা বছর নাব্য সংরক্ষণ।

৪. টার্মিনাল ও আশপাশের ঘাটগুলোতে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইজারাদার ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য বন্ধ। ৫. লঞ্চে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধ ও নৌ দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ৬. টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন, যাত্রীদের বিনামূলে টয়লেট ব্যবহার, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

৭. লঞ্চমালিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান। 


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মরক্কোয় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও একইসংখ্যক মানুষ। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর।

গত শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিকম্পে আহত ২ হাজার মানুষের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন মারাক্কেশের দক্ষিণে অবস্থিত প্রদেশগুলোতে।

বিবিসি বলছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্প ও হতাহতের ঘটনায় রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং বেঁচে যাওয়াদের আশ্রয়, খাবার ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য ভূমিকম্পে বাড়িঘর হারিয়ে অনেকেই তাদের টানা দ্বিতীয় রাত খোলা জায়গায় কাটাচ্ছেন।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

এছাড়া ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ- কম্পন অনুভূত হয়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানী রাবাতের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির এবং এসসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির আল হাউজ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, আর এর পরে রয়েছে তারউদান্ত প্রদেশ। মারাক্কেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম, যদিও ইউনেস্কো-সুরক্ষিত পুরোনো এই শহরটিও ভূমিকম্পে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

পাহাড়ের গ্রামগুলোতে সাধারণ মাটির ইট, পাথর এবং কাঠের তৈরি বাড়িগুলো ভেঙে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধ্বংসের মাত্রা মূল্যায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গ্রাম থেকে বিবিসির রিপোর্টার নিক বেক বলছেন, আফটারশকের আশঙ্কায় অনেক লোক সেখানে রাতের (ঘুমানোর) জন্য ক্যাম্পিং করছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, তাদের খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের জায়গায় খাবার ও পানি পৌঁছানো কঠিন। মূলত পাহাড়ি রাস্তাগুলোতে পাথর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় জরুরি পরিষেবার দলগুলোর জন্য সেখানে পৌঁছানো কঠিন।

মরক্কোর রাজপ্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়া উদ্ধারকারী দলকে সহায়তা করার জন্য রাজা সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং মরক্কোর নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য রক্ত ​​দান করছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর শুক্রবার এই ভূমিকম্প দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মরক্কোতে গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।

জাতিসংঘ বলেছে, তারা মরক্কো সরকারকে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এছাড়া স্পেন, ফ্রান্স এবং ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি এসেছে।

এছাড়া প্রতিবেশী আলজেরিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মরক্কোর বৈরী সম্পর্ক থাকলেও ভূমিকম্পের পর এখন মরক্কোতে মানবিক সহায়তাবাহী ফ্লাইটের জন্য দেশটি তার আকাশসীমা খুলে দিয়েছে।


আরও খবর



ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর প্রথম ৩ দিন বিপজ্জনক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর প্রথম তিন দিন বিপজ্জনক সময়। এই সময়ে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।

ভিসি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় দেশ সেরা। এডাল্ট ৭০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিশু বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যারা সবাই সুস্থ হয়েছে। আমাদের সেবার মান আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেমিনারে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন রোগীর জ্বর ছেড়ে যায়। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা ডেঙ্গু রোগীর ক্রিটিক্যাল সময়। এটি ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের প্রতি বেশি যত্মশীল হতে হয়। কারণ শিশুদের শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা স্পষ্ট করে বলতে পারে না। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের বাইরে থেকে স্বাভাবিক মনে হলেও যেকোনো সময় শিশুরা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে চলে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের যথাযথ মনিটরিং করতে হবে। যেন কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা ডাইনামেকিস অব ডেঙ্গু ভাইরাস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আপডেটস, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহবুব মোতানাব্বি ক্লিনিক্যাল প্রেসেন্টেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু: পেডিয়াট্রিক অ্যাসপেক্ট ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু ইনফেকশন: টিপস অ্যান্ড ট্যাকটিস শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



জামালপুর-১ আসনে নৌকা প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদের শোডাউন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ ব্যাপক শোডাউন করেছেন। মঙ্গলবার দিনব্যাপী বকশীগঞ্জে নইমিয়ার বাজার,কামালপুর, সারমারা বাজারসহ এবং দেওয়ানগঞ্জের বাশঁতলী,তারাটিয়া,কাঠারবিল এলাকায়ও শোডাউন করেন তিনি।  প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তিনি শোডাউনে যান। 


জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক নূর মোহাম্মদ। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। আগাম প্রচারনায় নেমেছেন তিনি। পথসভা,আলোচনা সভা,গণসংযোগ ও শোডাউন করছেন নিয়মিত। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। 


শোডাউনে অন্যান্যের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান,আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান খুদু, মনিরুজ্জামান মনির, নজরুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা মারুফ সিদ্দিকী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান লালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩