Logo
শিরোনাম

মানসিক চাপে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image

একথা আমাদের প্রায় সবারই জানা যে, রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে সমস্যা আরও বেশি দেখা দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছাড়াও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও রক্তে হঠাৎস সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার পরও সুগার বেড়েই চলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক কারণে শরীরে সুগারের তারতম্য ঘটতে পারে। কী কারণে এমনটা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক :

পানিশূন্যতা

শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তাকে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন বলা হয়। শরীরের ভেতরে পানির অভাব দেখা দিলে তখন শরীর আর্দ্রতা হারায়। এর ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যা। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে।

নিয়মিত ওষুধ না খেলে

রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে ভুলে যান। সেখান থেকেই বাড়ে বিপদ। নিয়মিত সুগারের ওষুধ না খেলেই হঠাৎ সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার পরও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এরকমটা হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করলে

ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় অনেকেরই। সেসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও সুগার বাড়তে পারে। ক্ষতিকারক স্টেরওয়েডযুক্ত ওষুধ সেবন করলে তা ব্লাড সুগার হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।

মানসিক চাপের কারণে

নানা কারণে মানসিক চাপে ভুগে থাকেন অনেকেই। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপের ফলে শরীরে হরমোন ক্ষরণে তারতম্য ঘটে থাকে। গবেষণা আরও বলছে, মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সুগারেরও। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে।

ঘুম কম হলে

অনেকেই রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে যান না। রাত জেগে থাকার বদ অভ্যাস আছে অনেকের। যে কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এদিকে মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




মোখা ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথ বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে তা স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এতে এ দুই জেলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখানকার উপকূলীয় এলাকা ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রায় ১৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১০৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

১১ মে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখামোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে স্থায়ী ৫৩০টি এবং অস্থায়ী ৫০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া যাবে। এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ উপজেলার ইউএনওরা এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

 

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার এবং সিসিপির আট হাজার ৮৮০ মিলিয়ে মোট ১৬ হাজার ৮৮০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে ১১৬টি, বাঁশখালীতে ১২২টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৪টি, ফটিকছড়িতে ১১২টি (অস্থায়ী), হাটহাজারিতে ১৮টি (অস্থায়ী), মীরসরাইতে ৮৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২১৭টি (অস্থায়ী), রাউজানে দুটি, সীতাকুণ্ডে ২৫টি, বোয়ালখালীতে ৮টি, চন্দনাইশে ৬টি, পটিয়ায় ১২৬টি (অস্থায়ী), সাতকানিয়ায় ৪টি, আনোয়ারায় ৫৮টি, লোহাগাড়ায় ২৭টি (অস্থায়ী) এবং কর্ণফুলীতে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে। ১১ মে অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। বর্তমান গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

 

এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার ৫১টি সম্ভাব্য যাত্রাপথের বেশিরভাগ পথ নির্দেশ করছে যে, এটি (মোখা) চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। 

 

স্থলভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। আর এ গতিতে মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল অতিক্রম করলে, এ দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

জলবায়ু গবেষক পলাশ আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।  

 

সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার এবং বরিশাল বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি।  

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এ কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

আশকোনা হজ অফিস ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট। হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন।

আশকোনা হজ ক্যাম্প, হজ এজেন্সি হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এবার হজ পালনে যাবেন সরকারি-বেসরকারিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন বাংলাদেশি। ৪০ হজযাত্রীর জন্য থাকছেন একজন গাইড।

হজ ক্যাম্পের আইটি সেকশন ও কয়েকটি হজ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক জানান, এবার ৬০৩টি হজ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১০ হাজার ৪১৭ জন (নন-ব্যালটি) হজে যাচ্ছেন। আর সরকারিভাবে যাচ্ছেন (ব্যালটি) ১০ হাজার ৭৪ জন। এসব হজযাত্রীর খোঁজখবর নিতে ৬০৩টি ট্রাভেল এজেন্সির ৬০৩ জন মালিক বা প্রতিনিধি সৌদি আরব যাচ্ছেন।

আগামী ২০ মে দিনগত রাত পৌঁনে ৩টায় প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবে যাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




নওগাঁয় ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে "চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়" নামের একটি নন এমপিও বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, নন এমপিওভুক্ত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কোঠা পূরণ করতে এই অনিয়ম করছেন তারা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার মধ্যে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়। ২০২৩ সালে ঐ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (নন এমপিওভুক্ত) চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে ও জানান তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়  চলতি ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঐ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০৪ জন বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীদেরকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে ফরম করিয়ে পরীক্ষা দেওয়াচ্ছেন। সেই ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের আর ৮ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীরা হলেন, মরিয়ম আক্তার, উর্মিলা, সীমা খাতুন, হিরা এবং সাহরিয়া আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, হাফিজা আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা, সুমি আক্তার, তাসমিন, রাজিয়া সুলতানা রিয়া, রাজ্জুমা এবং নাহিদা আক্তার। এর মধ্যে হাফিজা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করায় তাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এজন্য হাফিজা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অত্র বিদ্যালয়ে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করেছি। করোনাকালীন সময়ে জিএসসি পরীক্ষায় আমরা সকলে অটোপাস করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে কোন সনদপত্র দেয়া হয়নি। এবারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমাদের ১৩ জন শিক্ষার্থীদের কাউকে উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হয়নি। আমার মত আরো ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য স্কুলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমাদের ১৩ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমরা কেউ জানতাম না। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গোটগাড়ি শহীদ মামুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১১২ নং রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।আর বাকি ১০৪ জন এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে মান্দার প্রসাদপুরে “মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, তারা জেএসসি পরীক্ষাও ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়েছে। ঐ পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং ক্লাস করেছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাক্ষাত করতে বলেন।

চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না সেটা জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেকে লেখাপড়া করে গ্রামের প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাতে সমস্যা কি?

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে অন্য কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এরপরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 


আরও খবর



লালমনিরহাটে ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে 'অতিক্রম'-এর প্রধান উপদেষ্টা বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের মৃত্যুতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাট জেল রোড সোনালী পার্ক ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন জায়াভিয়েন গেষ্ট হাউসের সভা কক্ষে অতিক্রম লালমনিরহাটের আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিক্রম লালমনিরহাটের আহবায়ক হেলাল হোসেন কবির-এঁর সভাপতিত্বে অতিক্রম লালমনিরহাটের যুগ্ম আহবায়ক মুহিন রায় ও মাসুদ রানা রাশেদ-এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন ভাষা সৈনিক আবদুল কাদের ভাসানী। স্মৃতি চারণ করেন মরহুমের পরিবারের আজিজার রহমান বাবলু, হুমায়ুন কবির, জাহানারা বেগম শিরিন। এতে আলোচক ছিলেন প্রয়াতের অনুরাগী এবং লালমনিরহাটের বিদ্বৎসমাজ মনসুর আলী সরকার, শামীম আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, প্রদীপ রায়, জামাল হোসেন, সূফী মোহাম্মদ, সৈয়দ শামীম আহমেদ, জনি, রবিউল ইসলাম নিঝুম, মুহিন রায় প্রমুখ। এ সময় অতিক্রম লালমনিরহাটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের জন্ম ১৯৩৫খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ ও মৃত্যু ২০২৩খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মে।


আরও খবর



আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

আবারও বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। তেলের এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের এ নতুন দাম কার্যকর করবে ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দাম নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা।

নতুন মূল্য অনুযায়ী খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর