Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শিক্ষা সমাপনী উৎসব শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম ব্যাচ (সায়াহ্ন ১৬) এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা সমাপনী উৎসব আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ব্যাচই তাদের শিক্ষাজীবন শেষে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ তম ব্যাচও তিন দিনব্যাপী র‌্যাগ উৎসবের আয়োজন করছে।

‘শূণ্য থেকে শুরু এই অঙ্গনে, সকল গোধূলি মিশুক এই সায়াহ্নে’ এই স্লোগানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের (সায়াহ্ন'১৬) কেন্দ্রীয় শিক্ষা সমাপনী উৎসব উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সায়াহ্ন ১৬ এর আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান আহম্মেদ শান্ত। এ অনুষ্ঠানের প্রথমদিন সোমবার একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  প্রফেসর ড. মো: ফরহাদ হোসেন। এরপর শুরু হবে কেক কাটা, আনন্দর‍্যালি ও রঙ উৎসবের। আজ (সোমবার) বিকেল ৫ ঘটিকায় ক্যাম্পাসে ফটোসেশন, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। আজ রাত ৮ ঘটিকায় সমাপনী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গ্র্যান্ড ডিনার ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করবে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ২য় দিনের প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করবে সায়াহ্ন ১৬ ব্যাচটি। ওইদিন বিকেল ৫ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে আনপ্লাগড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। শিক্ষা সমাপনী উৎসবের শেষদিন (বুধবার), বিকাল ৫ টা থেকে মুক্তমঞ্চ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যান্ড এমবিএমসি ও ঢাকা থেকে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন অংশগ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন সায়াহ্ন ১৬ এর আহবায়ক রায়হান আহম্মেদ শান্ত।


আরও খবর



বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলেই সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয়টিতে ঘুরে দাঁড়ায় টিম টাইগ্রেস। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় মেয়েদের কাছে ৮ উইকেটে হারের ফলে সিরিজের সাথে সরাসরি বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগও হারাল বাংলাদেশ। অবশ্য সুযোগ একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ৬ দলের সঙ্গে একটি বাছাইপর্ব খেলে উৎরে যেতে পারলে ২০২৫ সালের বিশ্বমঞ্চের টিকিট পাবেন জ্যোতিরা।

সেন্ট কিটসে শুক্রবার রাতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৯ রান। এক পর্যায়ে স্কোর হয় ৩ উইকেটে ৯৪। সেখান থেকে হঠাৎ ধসে ৪৩.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে কেবল ১১৮ রানের সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের মেয়েরা। জবাবে ২৭.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিক দল।

টপঅর্ডার ব্যাটাররা কাজটা কিছুটা করে দিয়েছিলেন। শুরুতে উইকেট হারানোর পরও ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তারের জুটিতে ধীরে অর্ধশতরানের জুটি আসে। দুজনই থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন, ফারজানা করেছেন ২২, শারমিন বিদায় নেন ৩৭ রানে।

তাদের বিদায়ের পর থেকে শেষপর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইনিংসটা খেলেছেন সোবহানা মোস্তারি। কিন্তু উইকেটের অন্যপাশে ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। এরমধ্যেই ৬২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১১৮ রানে থামে বাংলাদেশ।

জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। উদ্বোধনী জুটি তাদের এনে দেয় ৪৫ রান। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ফিরে গেলেও ১১৯ রান তাড়া করতে স্বাগতিকদের বেগ পেতে হয়নি। কিয়ানা জোসেফ করেন ৩৯, সঙ্গে ডিয়ান্দ্রা ডটিনের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস উইন্ডিজের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে দেয়।

মেয়েদের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশকে হারানোয় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে অষ্টমস্থানে। তাদেরও সরাসরি খেলা হচ্ছে না বিশ্বকাপে। অন্যদিকে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাছাই পর্ব খেলবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে দুটি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

নিহত ৬০৮ জনের মধ্যে নারী ৭২ জন ও শিশু ৮৪ জন। এ ছাড়া ২৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছ, যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬১ জন ঢাকা বিভাগের। সবচেয়ে কম ৩০ জন বরিশাল বিভাগে।

এ ছাড়া একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা জেলায় এবং সবচেয়ে কম অর্থাৎ পঞ্চগড় জেলায় কোনো মৃতু ঘটেনি।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ বেশি কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদনটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারই হবে বড় সংস্কার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, যে যন্ত্রপাতি দিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, সেই যন্ত্রপাতি অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে। নানা কারণে মানুষের মিছিল, জনতার মিছিল হতেই পারে। সেখানে টিয়ারগ্যাস মারতে পারেন, লাঠিচার্জ করতে পারেন। কিন্তু মিঠিলের আওয়াজ শোনা মাত্রই শর্টগান দিয়ে পাখির মতো গুলি করবেন। গত ১৭ বছরে বিএনপির কত মানুষ অন্ধ হয়েছে, কত মানুষের পা চলে গেছে, কত মানুষের হাত চলে গেছে, কত মানুষ খোড়া হয়েছে। এগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। নতুন করে ডেলে সাজাতে হবে পুলিশকে। তাহলেই হবে সবচাইতে বড় সংস্কার। মানুষের আহারের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং বিচার বিভাগের সত্যিকারের স্বাধীনতা দিতে হবে। এর চাইতে বড় আর সংস্কার আর হতে পারে না। আর এগুলো সংস্কারের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজনের হয় না। তাছাড়া সংস্কার তো একটা ধারাবাহিকতা চলমান প্রক্রিয়া। একটা বন্ধ রাখবেন আর একটা করবো,এভাবে হয়না।

মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১ যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আপনারা সংস্কার করবেন, করুন। আপনারা এমন সংস্কার করুন, যাতে আর কোন দিন ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়। সেই ধরনের একটা দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করুন। তা-না হলে তো তারা নানা ভাবে মাথাচাড়া দিবে। এখনো চালের দাম কমেনি। চাল তো কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। হয়তো সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। এক চালের দাম না কমানোর কারণে, দুর্ভিক্ষ হওয়ার কারণে শেখ মুজিবের পাহার সমান জনপ্রিয়তা একবারে ধূলায় লুটিয়ে গেলো। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সিন্ডিকেটবাজদের ধরতে হবে, অপরাধীদের ধরতে হবে, তাদেরকে আইনের মধ্যে আনতে হবে এবং সমাজের মধ্যে একটা স্বস্তি আনতে হবে।

রুহুল কবীর রিজভী আরও বলেন, ১৫ আগস্টের মর্মাহত মৃত্যু হলো কিন্তু মানুষ ইন্নানিল্লাহ পড়লো না। এটা আওয়ামী লীগ কোনদিন বিশ্লেষণ করেনি। যে আমার বাবার রাজত্ব্যে বাংলাদেশ ভালোমতো চলেনি। যদি দুর্ভিক্ষের সময় মানুষ গাছের পাতা চিবিয়ে খায় আর একি সময়ে ৩২ নম্বরের ধানমন্ডিতে সোনার মুকুট পড়ে ভাইয়ের বিয়ে হয়। তাহলে মানুষ এটা ভালো ভাবে নিবেনা। এই বোধ আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার ছিলনা। যদি এই বোধ তাদের থাকতো, তাহলে আবার তারা দ্বিতীয় বাকশাল তৈরি করতে পারতো না। গোটা দেশকে বন্দিশালায় পরিণত করতে পারতো না।

জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মো.জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মো.রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের কয়েকটি বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিরাজ করবে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এই তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে দেওয়া এক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মোস্তাফা কালাম পলাশ জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রংপুর, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা বিরাজ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আজ শুক্রবার রাতে দেশের বেশিভাগ জেলার আকাশ কুয়াশা মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামীকাল শনিবার খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা বিরাজ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের উপর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুয়াশা অতিক্রম করার আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ৬৪ টি জেলার আকাশই কুয়াশার চাদের ঢাকা থাকার আশংকা করা যাচ্ছে।

কোন বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে কবে কুয়াশা অতিক্রম করবে

৮ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, সিলেট, ঢাকা বিভাগ

৯ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ

১০ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ

১১ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ

১২ ফেব্রুয়ারি: সকল বিভাগ

১৩ ফেব্রুয়ারি: সকল বিভাগ

১৪ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট বিভাগ

১৫ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগ

১৬ ফেব্রুয়ারি: খুলনা ও বরিশাল বিভাগ


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশেকদের কথা ভেবেছেন সৈয়দ মইনুদ্দীন (কঃ)

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হযরত সৈয়দ  মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী এমনই এক মহান অলিয়ে কামেল ছিলেন, যিনি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আল্লাহ্ ও রাসুলের (সাঃ) পথে এনেছেন। হাজার হাজার বিধর্মীরা তার পবিত্র হাতে হাত রেখে শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহন করেছেন। 

ফুলের মধু আহরনে মৌমাছিরা যেমন পাগলপারা হয়ে যায়। বাবা মইনুদ্দীন নামটাও ঠিক তেমনই। চৌম্বকের দুই বিপরীত মেরুর যেমন আকর্ষণ, বাবা মইনুদ্দীন এবং তার আশেকদেরও তেমন। 

২০১১ সালের ১৭ই আগস্ট হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (রঃ) মহামহিম স্রষ্টার ডাকে সাড়া দেন৷ তার এ ওফাত সম্পর্কেও তার অজানা কিছুই ছিল না। 

প্রায় ২/৩ বছর আগে থেকেই তিনি যেখানেই সফরে যেতেন, দরবারের মাহ্ফিলগুলোতে তিনি সকলকে বলতেন এটাই তার শেষ সফর এবং স্বীয় স্থলাভিসিক্ত স্নেহধন্য শাহ্জাদা হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাঃজিঃআঃ) এর হাত মুবারক উঠিয়ে সকলের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতেন। 

তিনি জানতেন তার জানাযা শরীফে এত মানুষের সমাগম হবে যে, তা সামলানো অত্যন্ত কঠিন হবে। আশেকদের যেন অংশগ্রহণে কষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি তার স্থলাভিষিক্ত শাহ্জাদাকে অসিয়ত করেন, পৃথকভাবে ৩ টি প্রধান স্থানে জানাযাহ্ শরীফ আয়োজনের জন্য। 

তিনি বলেন, ঢাকাতে মিরপুর-১ হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রঃ) এর মাযার শরীফ প্রাঙ্গনে, আমার প্রিয় খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম জামালপুরী (রঃ) এর ইমামতিতে  ১ম জানাযা, চট্টগ্রাম শহরের জাতীয় মসজিদ জামিয়াতুল ফালাহ্ ময়দানে খতিবে বাঙ্গাল মাওলানা  জালালুদ্দিন আল ক্বাদেরী (রঃ) এর নেতৃত্বে ২য় জানাযা এবং মাইজভাণ্ডার শরীফে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (মাঃজিঃআঃ) এর ইমামতিতে সর্বশেষ ও প্রধান  নামাযে জানাযাহ্ শরীফ অনুষ্ঠিত হবে। 

হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (রঃ) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ওফাত বরণের পরে, সিঙ্গাপুরে দুটি জানাযা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার প্রবাসী ও স্থানীয় মুসলিম এতে অংশগ্রহণ করেন। 

হযরত শাহ্জালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হযরতের কফিন মুবারক আগমন করলে, এয়ারপোর্টে লাখো জনতার ভীড়ে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ চারদিকে তীব্র যানজটের দেখা দেয়। 

ঢাকাস্থ হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার প্রাঙ্গনে জানাযা শরীফের ব্যাপ্তি মিরপুর-১ ওভারব্রিজও অতিক্রম করে। বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীবর্গ, সিটি মেয়র,  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ সহ লাখ লাখ জনতা এতে অংশগ্রহণ করেন। 

চট্টগ্রামের জানাযা শরীফের জানাযা, চট্টগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম জানাযা শরীফ। স্মরণকালের দীর্ঘ এ জানাযা শরীফেও সিটি মেয়র, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরামগণ সহ লাখ লাখ জনতা শরীক হন। 

এরপর শুক্রবার ১৯শে আগস্ট, ২০১৭, ১৯ শে রমজান বাদ জুম'আ লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে হযরতের সর্বশেষ জানাযা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। জামাআত এত দীর্ঘ ছিল যে, নাজিরহাট পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে৷ দরবার শরীফের মসজিদ, বাড়ি, খানকাহ্, মঞ্জিলগুলোর ছাদেও তিল পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট ছিল না৷ 

সুবহান আল্লাহ্ সুবহান আল্লাহ্! সার্থক জীবন বাবা মইনুদ্দীন ক্বেবলা ক্বাবার৷ যার প্রয়াণে চোখের পানি ঝরিয়েছেন, জানাযা শরীফে শরীক হয়েছেন কোটি মানুষ৷ এর চেয়ে কারো জীবনে আর কি চাওয়া থাকতে পারে! মহান আল্লাহর জন্য যারা নিজেদেরকে উৎসর্গ করেন, মহান আল্লাহ্ও তাদেরকে এভাবেই সম্মানিত করেন। 

পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহ্ পাক বলেন,, "সম্মান আল্লাহর জন্য, আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) জন্য এবং মু'মিনদের জন্য"


আরও খবর