মতিঝিল গন্তব্যে মেট্রোরেলের আজ
(মঙ্গলবার) তৃতীয় দিন। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মাত্র ৩২ মিনিটেই পৌঁছানো যায়
বলে এই পথের যাত্রীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল। যদিও শুরুতে
মাত্র চার ঘণ্টার জন্য মেট্রোরেল চালানো হচ্ছে এই পথে। তবুও যাত্রীর কমতি নেই
মতিঝিল গন্তব্যে। ‘দরজা ঠাসা’
যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল ছুটছে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের পথে।
৭ নভেম্বর সকাল আটটার দিকে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন থেকে আফজাল হোসেন আজমের তোলা
দুটি ছবিতে দেখা গেছে, ওই সময় মতিঝিল গন্তব্যের মেট্রো ট্রেনের প্রতিটি কোচে
নির্ধারিত সংখ্যার বেশি যাত্রী চড়েছে। যাত্রী চড়তে চড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মেট্রো
ট্রেনের কোচের দরজা যেন ঠিকমতো লাগে, সেজন্য যাত্রীরা নিজেদের ভেতরের দিকে চাপ
দিয়ে রেখেছেন। এমন দৃশ্য বাংলাদেশের মেট্রোরেলে প্রথমবারের মতোই দেখা গেছে। আফজাল
হোসেন ছবি দুটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ ‘ট্রাফিক অ্যালার্টে’
পোস্ট করেছেন।
ছবিগুলো দেখে মন্তব্যের ঘরে অনেকেই লিখেছেন, এখন বোধহয় বিদেশের মতো পুশ ম্যান
প্রয়োজন হবে মেট্রোরেলে যাত্রী চড়াতে। আবার অনেকেই লিখেছেন অফিস টাইমে ১০ মিনিট
নয়, অন্তত ৩ মিনিট পরপর স্টেশনে মেট্রো ট্রেন আসা উচিত। যাত্রীর চাহিদা যেহেতু
রয়েছে সেহেতু কর্তৃপক্ষ আরও মেট্রোরেল পরিচালনা করতে পারে। আবার অনেকে মন্তব্য
করেছেন, মেট্রোর ভালো দিন বোধহয় শেষ হয়ে গেল।
এর আগে মতিঝিল স্টেশনে
দাঁড়িয়ে জনতা ব্যাংকের কর্মী মনোয়ার হোসেন বলেন, মাত্র ২০ মিনিটে মিরপুর-১০
নাম্বার থেকে মতিঝিল আসলাম। আগে আমাকে সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠতে হতো।
এরপরেও এখানে পৌঁছাতে প্রায় দশটা বেজে যেত। এখন গতকাল থেকে সকালে নিজের জন্য কিছু
সময় পেয়েছি। কিছুটা সময় পরিবারকেও দিতে পারি।