
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, শাহ্সুফি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"মিলাদ মাহ্ফিল, ফাতেহা, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ), শবে বরাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে। এ উপলক্ষ্যগুলো মহান আল্লাহ্ ও প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সান্নিধ্য অর্জনের উত্তম মাধ্যম। সুফিদের মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটেছে। তাই সুফি ও আউলিয়ায়ে কেরামের পথ ও মতই ইসলামের প্রকৃত ধারা। সে ধারা অনুসরণেই খুঁজে পাওয়া যাবে মুক্তির পথ। তরুণ প্রজন্মকে এ দিবসগুলো পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এতে তাদের মাঝে নৈতিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং খোদাপ্রেম জাগ্রত হবে। এ দিবসগুলো মুসলিম সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের অপব্যাখার জন্য তরুণরা আজ অপসংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছে। এতে তাদের মাঝে নৈতিকতার অবক্ষয় ও উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও এ অপব্যাখাকারীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে এবং মানুষের আত্নিক পরিশুদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন ইসলামি উৎসব ও উপলক্ষ্যগুলো গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।"
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ গাজীপুরে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপলক্ষ্যে আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ওলামা মাশায়েখ, খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
দো-জাহানের বাদশাহ্, রহমাতুল্লিল আলামীন, হযরত আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তার পবিত্র আহলে বাইতগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে দেশ ও মানবতার কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।