Logo
শিরোনাম

মুসলিমদেরকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, শাহ্সুফি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"মিলাদ মাহ্ফিল, ফাতেহা, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ),  শবে বরাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে। এ উপলক্ষ্যগুলো মহান আল্লাহ্ ও প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সান্নিধ্য অর্জনের উত্তম মাধ্যম। সুফিদের মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটেছে। তাই সুফি ও আউলিয়ায়ে কেরামের পথ ও মতই ইসলামের প্রকৃত ধারা। সে ধারা অনুসরণেই খুঁজে পাওয়া যাবে মুক্তির পথ। তরুণ প্রজন্মকে এ দিবসগুলো পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এতে তাদের মাঝে নৈতিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং খোদাপ্রেম জাগ্রত হবে। এ দিবসগুলো মুসলিম সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের অপব্যাখার জন্য তরুণরা আজ অপসংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছে। এতে তাদের মাঝে নৈতিকতার অবক্ষয় ও উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও এ  অপব্যাখাকারীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে এবং মানুষের আত্নিক পরিশুদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন ইসলামি উৎসব ও উপলক্ষ্যগুলো গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।"

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ গাজীপুরে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপলক্ষ্যে আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ  কথা বলেন। অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। 

বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ওলামা মাশায়েখ, খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

দো-জাহানের বাদশাহ্, রহমাতুল্লিল আলামীন, হযরত আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তার পবিত্র আহলে বাইতগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে দেশ ও মানবতার কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে ২ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব ও সালাউদ্দীন আম্মার। 

ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এর মধ্যে মেহেদী সজীব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সালাউদ্দীন আম্মার যুগ্ম সদস্য সচিব পদধারী নেতা।

ফেসবুক মেহেদী সজীব তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তার অগোচরেই করা হয়েছে, যা তিনি মেনে নিতে রাজি নন। 

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান-এর প্রতিবাদে তিনি এ প্ল্যাটফর্মে থাকতে চান না।

মেহেদী সজীব আরও লেখেন, আমি আগেই কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছি, বিভাজনের রাজনীতিতে আমি থাকতে পারব না। তবুও আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট বার্তা ঢাকা ও ঢাবি কেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যতদিন না এই দলের অংশীজনরা বেরিয়ে আসতে পারবে, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবে, ততদিন আমি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাব না।

অন্যদিকে সালাউদ্দিন আম্মার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমাদের স্ট্যান্ড আমরা গতকাল রাতেই ক্লিয়ার করেছিলাম। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকতে। তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই না।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

আত্মপ্রকাশের একদিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক শ্যামলী সুলতানা জেদনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে এ তথ্য জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে জেদনী বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সংগঠক’ পদ থেকে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম।

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৭/৮ মাস ছিল আমার জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতার সময়। পুরো সময়জুড়ে অনেক কিছু বুঝেছি, জেনেছি, শিখেছি। নানা রকম চিন্তাভাবনার মানুষের সঙ্গে মিশতে পারা এবং তাদের সঙ্গে গল্প করতে পারা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম অধ্যায়। জুলাই/আগস্টের পর আর সবার মতো আমার মনেও নানা আশা-আকাঙ্ক্ষার উদয় হয়েছে যার পুরোটা জুড়ে ছিল দেশের মানুষের জন্য কিছু করা এবং গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন। কাজেই গণঅভ্যূত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে এর ভীতকে মজবুত করার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। যখন মনে হয়েছে, হাতে সময় কম তবে কাজ অনেক; ঠিক তখনই সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে এই জায়গাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। চলমান সেমিস্টারেও বেশিরভাগ ক্লাস করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে বিশেষ কারণে সবকিছু থেকে আজ ইস্তফা দিতে হচ্ছে।’

গত ৬ মাসে বোধহয় ১২০ দিনও বাসায় থাকতে পারিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মায়ের হাতের রান্না খেতে পারিনি। কারণ দেশের নানা প্রান্তের মানুষকে পড়ার জন্য, বোঝার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি। আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন এখনও আসেনি। কাজেই যখন রাত ২/৩টায় বাসায় ফিরতাম, গলির মোড়ের দোকানদার থেকে শুরু করে অনেকে আড়চোখে তাকাতো। এইসব উপেক্ষা করে চলার দারুণ ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা অবশ্য আমাকে দিয়েছে। পড়াশোনা/নিজের শখ/যত্ন বিসর্জন দেওয়া বা কারো কোনো ভাবনা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই কিংবা কোনো অনুশোচনা কাজ করছে না। তবে আজ খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, গত ৬ মাস আমার মাকে আমি ঠিকঠাক সময় দিতে পারি নি বরং বেশিরভাগ সময় উপেক্ষা করে গেছি।’

জেদনী বলেন, ‘আমার এইটুকু জার্নিতে আমার মা সবচেয়ে বেশি সাপোর্টিভ ছিল, কি কি করেছে আমার জন্য সেগুলো বলা এখানে মুখ্য বিষয়ও নয় অবশ্য। সবকিছু বাদ দিয়ে এই জায়গাকে আপন করে নেওয়ার ফলে যা কিছু হারিয়েছি, তা নিয়ে মা মাঝেমধ্যে বকা দিলেও আজ যখন আমি এখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি; ঠিক তখনই আমার মায়ের চোখেও পানি দেখেছি!’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জন্য শুভকামনা রইল। ৫৪ বছরের কুৎসিত ছাত্র রাজনীতির অবসান এই প্লাটফর্মের হাত ধরে হোক, এই প্রত্যাশা! আপনারা সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করুন, স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দিকে অগ্রসর হোন। যোগ্য নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেয়া এবং মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠুন, মানুষের অধিকারের কথা বলুন।’

তিনি বলেন, ‘যাদের সঙ্গে এতদিন কাজ করেছি কিংবা গল্প করেছি, তাদের জন্যও শুভকামনা রইল। আপনারা এগিয়ে যান, সাংগঠনিকভাবে আপনাদের সঙ্গে না থাকলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিবাদে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার লড়াই আজীবন চলবে। আজকের সিদ্ধান্ত আমার জীবনের অন্যতম কঠিন এবং কষ্টের সিদ্ধান্ত। তবে আবুল মনসুর আহমেদের একটা লাইনকে আমি ধারণ করি বলি- এখানে থাকা আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছে না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদ পদত্যাগ করেন। ইতোমধ্যে তিনি পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন।


আরও খবর



ভোট সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ভোট সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ইইউর কমিশনার হাজদা লাহবিব বলেন, ইইউ এ বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের সহায়তায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, এ অনুদান গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হলেও ক্যাম্পের মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি ঠেকানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়, কারণ তহবিলের ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এটি বহু বছর ধরে চলমান, কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। এর কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ নেই।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনার বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য আনন্দের। জাতিসংঘের মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’

ইইউ কমিশনার বলেন, ‘এ সংকটের একমাত্র সমাধান হলো শান্তি। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানোও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এক ঘণ্টার এ বৈঠকে তারা জলবিদ্যুৎ আমদানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইইউ’র সমর্থন চান, কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে উত্তরণের পথ সুগম করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।

‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলি, আর এটি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নেপাল ও ভুটান— উভয় দেশই আমাদের কাছে জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী-যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইইউ কমিশনার দুর্যোগ প্রস্তুতি, ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ‘সেরা অভিজ্ঞতা’ এবং প্রস্তুতি কৌশল বিনিময়ের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।

দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি অসাধারণ সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হলো— আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইইউর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সময় প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, পরিবর্তন আনতে গেলে সবসময় প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এখনও অনেক কিছু করার বাকি। আমরা আপনাদের পাশে আছি।


আরও খবর



বাড়তে পারে গরম

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপদাহ। শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রবিবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এমন তাপদাহ আরও কয়েক দিন চলতে পারে। তবে বৃষ্টির বার্তাও আছে। সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত বছরের মতো এ বছরও গরমে পুড়বে দেশ এমনটাই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৪ সাল। গত এপ্রিলে তাপমাত্রা ছিল ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ চলে। এবারও তাপমাত্রার চোখরাঙানি দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। এপ্রিল ও মে মাসে মেঘ সৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। কালবৈশাখীর সংখ্যাও বাড়তে পারে। আর তাতে গত বছর যেভাবে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে, তা নাও থাকতে পারে। তবে গরমের অনুভূতি আগের চেয়ে বেশি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা যে অমূলক নয়, পুরো শীতকালেই খানিকটা আঁচ পাওয়া গেছে। এবার শীত তেমন অনুভূত হয়নি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বেশি ছিল ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই শীতে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়নি। শীতে বৃষ্টিও হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে, মার্চে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এপ্রিলজুড়ে থাকবে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকবে। শীতের মাসগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবার ইঙ্গিত দিচ্ছে, গরম অনেকটাই বেশি পড়বে।


আরও খবর



কান চলচ্চিত্রে আলোচনায় ভারতের সিনেমা ‘আগ্রা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে আলোচনায় আসে ভারতের সিনেমা আগ্রা। সিনেমায় একাধিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল, গল্পের প্রয়োজনে পরিচালক কানু বেহেল রাখঢাক ছাড়াই তুলে ধরেছিলেন যৌন দৃশ্যগুলো। এসব দৃশ্য নিয়ে পরিচালক চলচ্চিত্রবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেইউরোপার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি মনে করেন, পরিচালক হিসেবে কোনো দৃশ্যই আলাদা নয়।

আগ্রা সিনেমায় বড় একটা অংশজুড়েই ছিল অন্তরঙ্গ দৃশ্য। এমনটা ভারতীয় সিনেমায় দেখে খোদ সমালোচকেরা অবাক হয়ে যান। তবে এসব দৃশ্য নিয়ে সেই সময়ে সাক্ষাৎকারে কানু বেহেল বলেছিলেন, আমি টিমের কাছে এটা নিশ্চিত করে বুঝিয়েছিলাম যে আমরা যে দৃশ্যে শুটিং করতে যাচ্ছি, তার কোনোটিই যৌন দৃশ্য নয়। এটাকে আলাদা করে ট্রিট করা যাবে না। এগুলো অন্য দৃশ্যের মতোই। কোনোটিই যৌন দৃশ্য নয়।

আগ্রা সিনেমাটি কান উৎসবে সেবার ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগে প্রদর্শিত হয়। তরুণ দুই প্রেমিকপ্রেমিকার মধ্যে প্রেম ও যৌন সম্পর্ক ঘিরে এগিয়ে যেতে থাকে গল্প। এই গল্পে আমাদের দৃশ্যগুলো (যৌন দৃশ্য) অন্য দৃশ্যের মতোই ইমোশনের দিকে দর্শকদের নিয়ে যায়; এটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। যে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আগে এই দৃশ্যগুলোর অনুশীলন করব না। তবে আমার চেষ্টা ছিল, ভারতের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে দৃশ্যগুলোকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার। যেটা সত্যিকারভাবে ভারতের সিনেমায় অবদান রাখবে। যে কারণে আগেই বলেছিলাম, কোনোটাই যৌন দৃশ্য না, সেভাবেই অভিনয়শিল্পীদের প্রস্তুত করি, বলেন পরিচালক।

সিনেমাটির শুটিংয়ের আগে তিন মাস ধরে অনুশীলন করান পরিচালক। এই চরিত্রগুলোর মধ্যে একান্ত বোঝাপড়ার সুযোগ করে দেন কানু। এটাও বলা হয় চরিত্রগুলো যেন একে অন্যের কাছাকাছি আসতে পারে। চরিত্রগুলো নিজেদের মধ্যে সত্য আবিষ্কার করতে পারলে যৌন দৃশ্যগুলোর মধ্য দিয়ে সত্যিকারের আবেগ বের হয়ে আসবে।

তবে বিপত্তি বাধে গত বছর। সিনেমাটি মুক্তির আগেই অনলাইন আগ্রার অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো প্রকাশ পায়। এই সিনেমা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়। সিনেমায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো অভিনয় করা শিল্পীদের ট্রল করা হয়। আগ্রা দিয়ে আলোচনায় আসেন মালা চরিত্রের রুহানি শর্মা। তিনি চরিত্রটি নিয়ে ইন্ডিয়া ডটকমে জানিয়েছিলেন, সিনেমায় জীবনের মানবিক গল্প দেখানো হয়েছে। সেখানে যৌন দৃশ্যগুলো নিয়ে আলাদা করে কিছু তাঁকে ভাবায়নি।

ফাঁস হওয়া দৃশ্য নিয়ে ইনস্টাগ্রামে রুহানি বিদ্রপের স্বীকার হয়ে লিখেছিলেন, একটি সিনেমার কিছু অংশ দেখে আপত্তিকর মন্তব্য করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি নিজের সিনেমা নিয়ে খুশি, যা করেছি, সে জন্য গর্বিত।


আরও খবর