Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ২ টি মামলার রায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রী চামেলী বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী রাশেদুল ওরফে রাশদ কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. শাহাবুদ্দিন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদুল ওরফে রাশদ ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি তার স্ত্রী ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার লাল চাঁনের মেয়ে চামেলীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বসবাস করে আসছিলেন। 

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. সালাউদ্দিন সুইট বলেন, ২০০০ সালের ২ আগস্ট পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ভিকটিম চামেলীর ভগ্নিপতি শাহজাহান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালত ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকাজ শেষে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

কোর্ট পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০০০ সালের একটি হত্যা মামলায় বিচার কাজ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। 


অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দায়ের করা অপহরণ মামলায় আসামী ওমর ফারুককে  ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।


একই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত আসামীর অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত ওমর ফারুক রাজশাহীর গোদাবাড়ি এলাকার সেকান্দার আলী ছেলে। একই মামলায় হাসান আলী ও ফটিক নামে দুইজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামীরা জিহান নামে এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করে। পরে এই ঘটনায় ভিকটিম শিশুর বাবা জীবনের চাচা মান্নান বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে অহহৃত শিশুকে রাজশাহী থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকাজ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামী পলাতক ছিলো।


আরও খবর



সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি নির্বাচন চায় না, উল্লেখ করে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কী আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? প্রধানমন্ত্রী এখন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়-তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?

তিনি বলেন, তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় (আ.লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




শুটিং ফেলে কেন চলে গেলেন সায়ন্তিকা ?

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রথমবার ঢাকার লোকাল সিনেমায় কাজ করছেন কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির নাম ছায়াবাজ। তাজু কামরুলের পরিচালনায় তার বিপরীতে নায়ক জায়েদ খান। আনন্দচিত্তে বাংলাদেশে এসে শুটিংয়েও নামেন। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ ফিরে যান নায়িকা। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঢালিপাড়ায় নানামুখী চর্চা হচ্ছে।

শুটিং ফেলে সায়ন্তিকার চলে যাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছবির নির্মাতা। তবে জানা গেছে, নৃত্য পরিচালক মাইকেলকে ঘিরে নায়িকা চটেছেন। এ বিষয়ে মাইকেল এবং ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করেছেন।

তারা জানান, দ্বিতীয় গানের শুটিংয়ের সময় সায়ন্তিকা অভিযোগ তোলেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল তার হাত ধরেছেন! তার সঙ্গে আর কাজ করতে রাজি নন বলে সাফ জানিয়ে দেন। অন্যদিকে প্রযোজকও অনড়, শুটিং হলে মাইকেলের কোরিওগ্রাফিতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন সায়ন্তিকা।

নিজ শহর কলকাতায় ফিরে অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা, জানালেন আসল কারণ। আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি জানালেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল নয়, তার চলে যাওয়ার মূল কারণ ছবির প্রযোজক। নায়িকার ভাষ্য, প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানে টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। এর পর মাইকেল নামক বাচ্চা ছেলেটি আসে। মাইকেল আমার অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সকলের সামনেই বাধা দিই।

কিন্তু ছায়াবাজ ছবির শুরু থেকেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন বলে জানান সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, বারবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে আলাপ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তরই পাইনি। তার কোনও পরিকল্পনা নেই। কোনও ব্যবস্থা নেই। হঠাৎ বলা হলো, নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে! বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও যখন মনিরুল উত্তর দেননি, তখন বলেছিলাম, আমি এই ভাবে কাজ করবো না মাইকেলের সঙ্গে।

এমন অবস্থায় বড় প্রশ্ন হলো, ছায়াবাজ ছবিটির কাজ কি তবে অসম্পূর্ণই থেকে যাবে? এ বিষয়ে প্রযোজক মনিরুল জানিয়েছেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেলের সঙ্গে যদি সায়ন্তিকা কাজ না করেন, তাহলে ছবির নায়ক-নায়িকাই পরিবর্তন করে ফেলবেন তিনি।

অন্যদিকে সায়ন্তিকার মন্তব্য, তিনি (প্রযোজক) যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন, তাহলে আমি নিশ্চয়ই ছবিটার কাজ শেষ করব। কিন্তু তার আগে আমাকে চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট ছায়াবাজ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। তখন তাকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন নায়ক জায়েদ খান। এরপর তারা কক্সবাজার গিয়ে অংশ নেন শুটিংয়ে। আট দিন শুটিং করে গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরে যান সায়ন্তিকা। ফেরার আগ মুহূর্তে বিমানবন্দরেই জায়েদের সঙ্গে আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান নায়িকা। টাইগার নামের সেই ছবি পরিচালনা করবেন কামরুজ্জামান রোমান।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মহান সাধক সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (রহ.)

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুল আলম : আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে খলিফা হিসাবেই প্রেরণ করেছেন। মানুষের প্রতি আল্লাহর খলিফা বিশেষণের মাহাত্ম্য যথাযথ অনুধাবন না করার কারণে আল্লাহর গুণ ও মানুষের যোগ্যতার মধ্যকার ব্যবধান একাকার করে গোলিয়ে ফেলি এবং কথায় কথায় শিরক-বিদআতের ফতোয়া দিই। আল্লাহর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণবাচক নাম যেমন, সত্য ও বাস্তব; সে গুণবাচক নামের প্রতি আমাদের ঈমান যেমন যথাযথ থাকা আবশ্যক তেমনি মানুষ নামক সৃষ্ট জীব দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা (প্রতিনিধি) সেটাও সত্য। খলিফা হিসাবে দুনিয়াতে মানুষকে মেনে নেয়াও ঈমানের অংশ।

ইবলিশ মানুষকে দুনিয়াতে খলিফা হিসাবে মেনে সিজদা না করাতে অভিশপ্ত হয়েছে।
আল্লাহ কে? আল্লাহপাক হচ্ছেন তাঁর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণে অসীম শক্তির অধিকারী। আল্লাহর পবিত্র জাত ও গুণের অস্তিত্বকে অকপটে সন্দেহাতীতভাবে স্বীকার করা একজন মুমিনের জন্য ঈমানের প্রধান শর্ত। কোন মানুষ আল্লাহর পবিত্র জাত কিংবা গুণের কোন একটিকে অস্বীকার বা সন্দেহ করলে তাকে ঈমানদার বা বিশ্বাসী বলা যাবেনা। মানুষ সৃষ্টি করা না হলে কিন্তু এ বিশ্বাসের প্রতিফলন সম্ভব ছিলনা। কেননা আল্লাহ নিরাকার, আল্লাহকে দেখা, কল্পনায় চিত্রায়িত করা, তাঁর গুণের বাস্তব চিত্রায়ণ মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। নিরাকার আল্লাহর অস্তিত্ব বা গুণ কোনটাই মানুষের পক্ষে বাস্তবে বিশ্বাস করাও সম্ভব ছিলনা; যদিনা সে গুণ খলিফা তথা
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি। খলিফা বা প্রতিনিধির কাজ কি? পৃথিবীতে আল্লাহর কাজের আন্জাম দেয়াই প্রতিনিধির কাজ।

পৃথিবীতে আল্লাহর কাজ কি? আল্লাহর নিরানব্বইটি গুণই আল্লাহর কাজ। আল্লাহর খলিফাগণ পৃথিবীতে তাঁর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন ঘটাবে।

তাহলে কি তারা আল্লাহ হয়ে গেল ? নাউযু বিল্লাহ। খলিফা আল্লাহ হতে যাবেন কেন? খলিফা তো সৃষ্ট আলাদা সত্তা। খলিফার মধ্যে আল্লাহর গুণের প্রতিফলন তো আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতা। যিনি যোগ্যতা দান করেছেন কৃতিত্বতো তাঁরই। খলিফার মধ্যে আল্লাহ গুণের প্রতিফলন তো কৃত্রিমভাবে। গুণের মৌলিকত্বতো আল্লাহর সাথে। সুতরাং বান্দার মধ্যে আল্লাহর গুণের বা আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিফলন মানলে বা বিশ্বাস করলে আল্লাহর সাথে বান্দাকে শরিক করা হবেনা বরং বান্দাকে আল্লাহর প্রকৃত খলিফা হিসাবে স্বীকার করা হবে।


খলিফার অর্থ বা সংজ্ঞার ব্যপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে খলিফা ও আল্লাহর মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করার যোগ্যতা অর্জিত হয়না। যার ফলে বান্দা কখন শিরক করে আবার কখন ইবাদত করে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। তাই আমরা যখন তখন, যাকে তাকে, যেখানে সেখানে, শিরকের ফতোয়া দিয়ে ফেলি। সুতরাং যে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকবে না সে বিষয়ে সাবধানে কথা বলা উচিত। আল্লাহর গুণের প্রতিফলন মানুষের মধ্যে অস্বিক্বার করলে দুনিয়া অর্থহীন হয়ে যাবে। মানুষ সৃষ্টির আসল রহস্যই অস্পষ্ট থেকে যাবে। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহর গুণের প্রতিফলনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। তাই কোন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কোন গুণের প্রতিফলন দেখার বর্ণনা দিলেই তিনি শিরক করেছেন বলে ফতোয়া দেয়া জগন্য অন্যায়। বরং দেখা উচিৎ তিনি কি ঐ মানুষকে আল্লাহর আসনে সমাসিন করছেন নাকি তাকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে স্বীকার করেই তাঁর গুণের বর্ণনা দিচ্ছেন। তাই যদি হয়, তাহলে তিনি তো আল্লাহর প্রিয় বান্দার খিলাফতকে স্বীকার করেছেন মাত্র। এতে তো তার ঐ বান্দার দোষের কিছু নেই। বরং তা আল্লাহ ও আল্লাহর বান্দার যোগ্যতা ও উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেছেন।


এ তো গেলো আল্লাহর খিলাফত। এ খিলাফতের আহাল দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, “আল্লাহর খিলাফতও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কি এক? নাকি ভিন্ন ভিন্ন? এর উত্তর হচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন। কেন না, আল্লাহর খলিফা পৃথিবীর সব মানুষ- যাদের মধ্যে আল্লাহর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন আছে। এরা সবাই কিন্তু, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের অনুসারী বা ওয়ারিশ নন। শুধুমাত্র তারাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খলিফা (প্রতিনিধি, উত্তরাধিকার-ওয়ারিশ) হবেন। যিনি আল্লাহকে ইলাহমেনে আনুগত্য স্বীকার করে, নিজের স্বাধীন সত্তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আনিত দ্বীনের প্রতি সোপর্দ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর মধ্যকার আল্লাহ প্রদত্ত খিলাফতকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের প্রতি সোপর্দ করেছেন, কেবল মাত্র তার খিলাফতই আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবে না। আমাদের সমাজের ওলামায়ে কিরামগণ যে কোন কারণে হউক না কেন আল্লাহর খিলাফত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কে একাকার করে ফেলার কারণে, কথায় কথায় শিরকের ফতোয়া দিয়ে থাকেন। এটা এক ধরনের অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়।


আল্লাহর খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবার উপায় কি? সব মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা হলেও সবার খিলাফত কি আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না? সবার খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তা হলে কোন্ খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য, আর কোন্ খিলাফত নয়? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আল্লাহর খিলাফত যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের আলোকে হবে, তখন তাঁর খিলাফত (প্রতিনিধিত্ব) আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবেনা। যাঁরা আল্লাহর খলিফা হয়ে আল্লাহর রাসূলের খিলাফতের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন আমার আজকের আলোচ্য ব্যক্তি হচ্ছেন তাদের অন্যতম।


নিম্নে হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উপর কিঞ্চিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হলো। আমাদের হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার সাধারণ কোন খলিফা নন। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার উত্তরাধিকারও বটে। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার বংশধরদেরও একজন। তিনি সাধারণ অর্থে আল্লাহর রাসূলের খলিফা ছিলেন না; তিনি তাঁর যুগে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আশেক ও জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একনিষ্ঠ খাদেম হিসাবে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসূলের ক্বদম ব-কদম অনুসারী ছিলেন। তিনি একমাত্র ওলি যিনি জাতিসংঘ নামক বিশ্ব দরবারে প্রিয়নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার শানকে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে মিলাদুন্নবী উদযাপনের মত সাহসী কর্মসূচি বা বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাপী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা-বিশ্বাসকে বিশ্ব মুসলিম জনতার মধ্যে প্রতিস্থাপন করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তাঁর যুগে মুজাদ্দিদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।


তিনি আচরণের দিক থেকে অসম্ভব বিনয়ী, ভদ্র ও নম্র ছিলেন। তিনি হুবহু রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার পদাংক অনুসরন করতেন। তিনি মেহমানদারীতেও আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতের অবিকল আদর্শ ছিলেন। তিনি নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতেন। তাঁর চেহারা মোবারক ও আচরণ দেখলে আল্লাহর রাসূল ও তাঁর সাহাবীগনের কথা স্মরণ হয়ে যেত। তাঁর সুঠাম উজ্জ্বল দেহ, নূরানী চেহারা, পরনে ধবধবে সাদা লুঙ্গী বা পাজামা, গায়ে সাদা পাঞ্জাবী, মাথায় টুপী, ইত্যাদি মিলিয়ে যেই ব্যক্তিত্তের প্রকাশ ঘটত, তা সত্যিই অভাবনীয়। তাঁর পৌরুষ দীপ্ত ও বীরোচিত আচরণ যে কোনো ধর্মের কিংবা দলের- মতের লোককে কাবু করে ফেলত। তাঁকে দেখা মাত্র মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সবাই মাথা নত করে ফেলত। ভক্তবৃন্দ সুবোধ বালকের মত শান্তশিষ্ট নিবেদিত প্রাণ হয়ে যে কোনো হুকুম কালবিলম্ব না করে তামিল করতে কোনো রকম কুণ্ঠাবোধ করতো না। হুজুরের যে কোনো নির্দেশ তামিল করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করত।


তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত অকর্ষণ ক্ষমতা, উষ্ণ হে প্রবণতা, দায়িত্ববোধ, উন্নত জীবনাদর্শ, সেবামূলক মনোভাব, জ্ঞানপিপাসু মন, ভক্ত ও শাগরিদদের প্রতি মমত্ত, নৈতিক আদর্শ, মানষিক সুস্থতা, ধৈর্য, দৃঢ়চেতা মনোভাব, সমাজ সচেতনতা, ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদায় বিশ্বাস, নির্ভীকতা, দল মত জাতি নির্বিশেষে সবার প্রতি স¤প্রীতি ও সদ্ভাব সারা জীবন অক্ষুণœ ছিলো। তাঁর খোদাভীরুতা, রসুল-প্রেম, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন বলয়ে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক সফলতা দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির দিশা হিসাবে ভূমিকা পালন করত। তাঁর উপস্থিতি যে কোনো মজলিশ বা অনুষ্ঠানকে নক্ষত্রের মত উদ্ভাসিত ও আলোকিত করত।


অনেক সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর বিশেষ বান্দাকে দিয়ে বিশেষ কোন গুণের বিশেষ প্রতিফলন ঘটিয়ে ঐ বান্দার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন। উদ্দেশ্য ঐ বান্দার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা। যখন কোন মকবুল বান্দার মধ্যে এ ধরনের কোন গুণের অস্বাভাবিক প্রতিফলন ঘটে তখন সাধারণ বান্দার কাজ হচ্ছে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তাকে অনুসরণ করা। তাঁকে অবহেলা বা তাঁর সমালোচনা করা নয়। এতে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। কারণ কোন বান্দার অস্বাভাবিক ঘটনা; কারামাত, অলৌকিক ঘটনা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাতে ঘটে। এর দ্বারা হিদায়ত উদ্দেশ্য। গোমরাহী নয়। আমরা হেদায়তের পথেই থাকি। গোমরাহীর পথে নয়। ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা গোমরাহীর পথকে বেছে নিয়েছে। আমরা যেন তা না হই।


বান্দা যখন তাঁর দাসত্ব দ্বারা আল্লাহর অধিক নিকটে হয়ে যান তখন তাঁকে স্বাভাবিকতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দুনিয়বাসীর জন্য মডেল (আদর্শ) হিসাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে তাঁকে দিয়ে তাঁর (আল্লাহর) শক্তির বিশেষ প্রদর্শন ঘটান। উদ্দেশ্য তাঁকে দুনিয়াবাসীর নিকট বিশেষ মর্যাদার আসনে আসীন করানো এবং অন্য বান্দাগণকে আল্লাহর দাসত্বে তাঁর অনুগত ও অনুসারী বানানো। অদূরদর্শিরা এটা গ্রহণে ব্যর্থ হয়। ফলে তারা তাঁর অনুগত হতেও বঞ্চিত হয়। অবশ্য কিছু সুবিধাবাদী এর জন্য দায়ী। যারা নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধার জন্য আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের এ ধরণের অলৌকিক ঘটনাকে ব্যবহার করে নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধা আদায় করে নেয়। তাঁদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া প্রয়োজন আছে।
হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ অন্তরদৃষ্টির অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন মানুষকে দেখে তাঁর অন্তরের অবস্থা বুঝে নিতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করতেন। অলি-আল্লাহগণের অন্তরদৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলের একটি পবিত্র হাদীস নিরূপ: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা তাঁর পবিত্র যবানীতে বলেন, উচ্চারণ: ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনুরিল্লাহি

 

(অর্থাৎ, তোমরা মুমিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন।) পুরা হাদিছটি নিম্নরূপ:


উচ্চারণ: আন আবি সাঈদিল খুদরী ক্বালা ক্বলা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি, ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনূরিল্লাহি ছুম্মা ক্বারা আ- ইন্না ফী জালিকা লাআইয়াতিল লিল মুতা ওয়াস সিমিন। অর্থাৎ, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইরশাদ করেছেন, তোমরা মুমিনগণের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন। ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহি তাঁর সহীহ গ্রন্থের ৩১২৭ নম্বরে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।


আমার আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছোট্ট একটি ঘটনার বিবরন দিয়ে আমার লেখার ইতি টানবো। চট্টগ্রামস্থ আল্লামা রুমী সোসাইটির একটি তাসাউফের প্রোগ্রামে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। সময়টি ছিল রমজান মাস। উক্ত তাসাউফের প্রোগ্রামে অন্যান্য সদস্যদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড.গিয়াসুদ্দীন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজকে কৌতুহলের বসে ভালোভাবে অনুধাবন করছিলেন।

 

 হুজুর কেবলা সাধারণ ইফতারী গ্রহণে মাজুর ছিলেন বিধায় তিনি নিজ বাসা থেকে নিজের ইফতারী নিয়ে এসেছিলেন। তাও আবার অসাধারণ কিছু নয়; দুধ-ছিড়া-কলা মাত্র। উক্ত ধরনের খাবার বর্ণিত প্রফেসর সাহেবেরও প্রিয় ছিল। তিনি খাবারের লোভে নয়; বরং কৌতুহলী হয়েই হুজুর কেবলার দিকে একটু দৃষ্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের দৃষ্টি এড়ায়নি। তিনি তাঁর অন্তরদৃষ্টি দিয়ে উল্লেখিত প্রফেসর সাহেবের মনের অবস্থা দেখে ফেলেন, তাই তিনি তাঁর বাসা থেকে আনিত ইফতারি অল্পকিছু খেয়ে বাকী সবটুকু প্রফেসর সাহেবকে দিয়ে খাবার অনুরোধ করেন। প্রফেসর সাহেব হুজুর কেবলার এহেন উদার আচরণ দেখে কিছুটা অবাক হন। অন্যরা তাঁকে বাহবা দিয়ে বলেন, আপনার জীবন ধন্য। আমরা যা পাওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি, আপনি তা সৌভাগ্য বসত: পেয়ে গেলেন। এ ছোট্ট ঘটনাতে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উদারতা, ইছার ও অন্তরদৃষ্টিসম্পন্ন হবার প্রমাণ পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অলিগণের ব্যাপারে সতর্ক হবার তৌফিক দান করুন।

 

লেখক : আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর



কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএর ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক : ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ অ্যাচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি শীর্ষক উচ্চ-স্তরের সাইড-ইভেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি। সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ প্রচেষ্টাকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুপাক্ষিক অর্থায়ন সংস্থাগুলোসহ আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-ক্লিনিক স্বাস্থ্য সেবায় তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। টেকসই উন্নয়ন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এ বছর শপথ নেওয়ার সময় আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে উৎসাহিত বোধ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ইস্যুটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। আমাদের দিক থেকে, বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি এবং দক্ষতা বিনিময় করতে প্রস্তুত। সব সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা আশা করি, এ সাইড ইভেন্ট স্বাস্থ্য এবং আমাদের সব জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আবার চালু করা ও এগুলোর টেকসইয়ত্ব শুধুমাত্র এগুলোর মালিক ও রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় জনগণের ওপর নির্ভর করে। কেন ৯০ শতাংশ সেবাপ্রার্থী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে- তা এ চিত্রটিই বলে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে তাদের পার্লামেন্ট কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাশ করেছে। যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরো সহজতর করা যায়।

স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা ভাবেন। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় রোধ করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার জন্য পাঁচটি অগ্রাধিকার অন্তর্ভুক্ত করা, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে বিশেষত এনসিডিগুলোর জন্য উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য ও ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দিতে সক্ষম করে তোলা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো ক্রমবর্ধমান জলবায়ু-জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সক্ষমতা আরও উন্নত করা।

অবশিষ্ট দুটি হলো- মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুবিক ব্যাধির জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সেবা দেওয়াসহ একটি শক্তিশালী ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ব্যবহার করা যায়।

এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি ধারণা- যা বাংলাদেশে সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে গেছে। এটি এখন আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ মডেলটিকে বাকি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি সর্বোত্তম অনুশীলন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমাদের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার পিতা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই, জাতির পিতা সমগ্র জনগণের জন্য চিকিৎসা সহায়তার ন্যূনতম সুযোগ দেওয়ার জন্য গ্রামীণ চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো তার স্বপ্ন এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এখন প্রায় ১৪ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, যা স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা এবং পুষ্টি-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোর জন্য ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, যা এখন সারা দেশে কাজ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নবজাতক, শিশু এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রায় ৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক জন্মদানের জন্য দক্ষতাপূর্ণ সেবার সুবিধা দিচ্ছে। এতে গড়ে প্রতি মাসে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন লোক ক্লিনিকে সেবা নিতে আসেন এবং এ সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সর্বজনীন টিকাদানের স্থানীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এবং তারা কোভিড-১৯ টিকার কভারেজ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক ব্যাধিও পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং যেখানে সম্ভব মানসিক স্বাস্থ্যের সহায়তা প্রসারিত করতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছি। এ জন্য কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কফোর্সের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৭টি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং তিনটি পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে দিয়ে আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ এজেন্ট দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো জরুরি ও জটিল ক্ষেত্রে উচ্চতর চিকিৎসা সুবিধার জন্য রেফারেল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, সেবা প্রদানকারীরা স্বাস্থ্য ডেটা রেকর্ড করার জন্য ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে সজ্জিত। তারা স্বাস্থ্য এবং বিকলতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য সামাজিক এবং আচরণগত পরিবর্তনের বিষয়গুলোতেও তারা সম্পৃক্ত।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রতিটি ৬ হাজার জন লোককে সেবার আওতায় আনবে বলে আশা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের একটি অনন্য মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, স্থানীয় লোকেরা এর জন্য জমি সরবরাহ করে এবং সরকার পরিচালনার খরচ বহন করে। নারীদের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণসহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের দ্বারা এগুলো পরিচালিত হয়।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পর, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রায় সাত বছর ধরে অবহেলিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে, সিন্ট মার্টেনের প্রধানমন্ত্রী সিলভেরিয়া এলফ্রিডা জ্যাকবস জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা কভারেজ অর্জনকারী বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সাফিয়া মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, এত শক্তিশালী নারী নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে পেরে তিনি অভিভূত। তিনি সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার উপায়গুলো সহজ করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও দেখানো হয়।

সূত্র : বাসস

 


আরও খবর



নওগাঁয় ভ্রাম্যমাণ আদালত এর অভিযানে ভূয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় মনিরুল ইসলাম স্বপন (৩৬) নামে এক ভূয়া ডাক্তার কে জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনিরুল ইসলাম স্বপন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের সততা ক্লিনিকের পরিচালক বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের সততা ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্যাহ আল মামুন। 

বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা মনিরুল ইসলাম স্বপন এর অপারেশন করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে সততা ক্লিনিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের প্রশ্নত্তোরে ওই কতিথ ডাক্তার তার দোষ স্বীকার করে। এসময় তার ক্লিনিকের লাইসেন্স না থাকায় এবং নিজেকে ডাক্তার হিসেবে অপারেশন করার অপরাধে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদন্ড আদেশ শোনান ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ক্লিনিকের রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও খোঁজ খবর নিতে বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন জাহান লুনা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাঃ রুহুল আমিন সহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য যে,  ঐ কতিথ ডাক্তার মনিরুল ইসলাম স্বপনের কোন একাডেমিক ও ডাক্তারি সনদ নেই বলে জানা গেছে। এছাড়াও সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে পোরশা উপেজলার সরাইগাছী সহ বিভিন্ন এলাকার ক্লিনিকগুলোতে অপারেশন করে আসছে বলে জানান একটি মহল।


আরও খবর